ৰোমীয়া 12
1 ১ এতেকে, হে ভাই সকল, ঈশ্বৰৰ সকলো দয়াৰ দ্বাৰাই মই আপোনালোকক এই মিনতি কৰোঁ যে, আপোনালোকে নিজ নিজ শৰীৰক ঈশ্বৰৰ গ্ৰহণীয়, জীৱিত, আৰু পবিত্ৰ বলি স্বৰূপে উৎসৰ্গ কৰক; এয়েই আপোনালোকৰ যুক্তিসঙ্গত আৰাধনা।
অতএব, ভাইবোনেরা, ঈশ্বরের বহুবিধ করুণার পরিপ্রেক্ষিতে, আমি তোমাদের কাছে মিনতি করছি, তোমরা তোমাদের শরীরকে জীবন্ত বলিরূপে, পবিত্র ও ঈশ্বরের গ্রহণযোগ্যরূপে উৎসর্গ করো—তাই হবে তোমাদের যুক্তিসংগত আরাধনা।
2 ২ আপোনালোক জগতৰ অনুৰূপ নহ’ব; কিন্তু মন নতুন কৰাৰ যোগেদি ৰূপান্তৰিত হওক, তাতে আপোনালোকে পৰীক্ষা কৰি জানি লওঁক, কোনটো উত্তম, গ্ৰহণীয় আৰু সিদ্ধ, কিয়নো এয়ে ঈশ্বৰৰ ইচ্ছা৷ (aiōn g165)
আর তোমরা এই জগতের রীতি অনুযায়ী জীবনযাপন করো না, কিন্তু তোমাদের মনের নতুনীকরণের দ্বারা রূপান্তরিত হও। তখন তোমরা ঈশ্বরের ইচ্ছাকে যাচাই ও অনুমোদন করতে পারবে, যা উৎকৃষ্ট, প্রীতিজনক ও সিদ্ধ। (aiōn g165)
3 ৩ কিয়নো মোক দিয়া অনুগ্ৰহৰ দ্বাৰাই মই আপোনালোকৰ প্ৰত্যেক জনক কওঁ যে, উপযুক্ত বিবেচনাতকৈ কোনেও নিজকে বৰ বুলি বিবেচনা নকৰক; কিন্তু ঈশ্বৰে যাক যি পৰিমাণে বিশ্বাস দিলে, তেওঁ সেই অনুসাৰে নিজৰ বিষয়ে গভীৰ মনেৰে বিবেচনা কৰক।
কারণ যে অনুগ্রহ আমাকে দেওয়া হয়েছে, তার গুণে আমি তোমাদের প্রত্যেককে বলছি: তোমরা নিজেদের সম্বন্ধে যেমন উপযুক্ত, তার থেকে আরও উচ্চ ধারণা পোষণ কোরো না, কিন্তু ঈশ্বর তোমাকে যে পরিমাণ বিশ্বাস দান করেছেন, সেই অনুযায়ী, সংযমী বিচার দ্বারা নিজের বিষয়ে চিন্তা কোরো।
4 ৪ কাৰণ আমাৰ এই শৰীৰত যেনেকৈ অনেক অঙ্গ-প্ৰত্যঙ্গ আছে, অথচ সেই সকলো অঙ্গ-প্ৰত্যঙ্গৰ একে ৰূপৰ কাৰ্য নহয়,
যেমন আমাদের প্রত্যেকের একই শরীরে বহু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আছে, আর এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাজ এক নয়,
তেমনই খ্রীষ্টে আমরা, যারা অনেকে, এক দেহ গঠন করি এবং প্রত্যেক সদস্য অপর সদস্যদের প্রতি অঙ্গপ্রত্যঙ্গরূপে যুক্ত।
6 ৬ কিন্তু আমাক দিয়া অনুগ্ৰহৰ দৰে, আমি পৃথক পৃথক অনুগ্ৰহৰ বৰ প্ৰাপ্ত হৈছোঁ৷ সেই বৰ যদি ভাববাণী হয়, তেনেহলে বিশ্বাসৰ পৰিমাণেৰে সেয়া কওঁহক৷
আমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী আমাদের বিভিন্ন বরদান আছে। যদি কোনো মানুষের বরদান হয় ভাববাণী বলা, তাহলে সে তার বিশ্বাসের মাত্রা অনুযায়ী তা ব্যবহার করুক।
যদি তা হয় সেবাকাজ করার, তাহলে সে সেবাকাজ করুক; যদি তা হয় শিক্ষাদানের, তাহলে সে শিক্ষাদান করুক;
8 ৮ উদগাওঁতাই উদগোৱা কাৰ্যত থাকক; দান দিওঁতাই দানশীলতাৰে দান কৰক; শাসন কৰা জনে যত্নেৰে শাসন কৰক; দয়া কৰা জনে হৰ্ষিত মনেৰে দয়া কৰক।
যদি তা হয় উৎসাহদানের, তবে সে উৎসাহ দান করুক। যদি তা হয় অন্যের প্রয়োজনে দান করার, সে উদারভাবে দান করুক; যদি তা হয় নেতৃত্বদানের, সে নিষ্ঠার সঙ্গে শাসন করুক; তা যদি হয় করুণা প্রদর্শনের, সে আনন্দের সঙ্গেই তা করুক।
প্রেম অকপট হোক। যা মন্দ, তা ঘৃণা করো, যা ভালো, তার প্রতি আসক্ত হও।
প্রেমে তোমরা পরস্পরের প্রতি অনুরক্ত হও। নিজেদের থেকেও বেশি একে অপরকে সম্মান করো।
কর্ম উদ্যোগে শিথিল হোয়ো না, কিন্তু আত্মায় উদ্দীপিত থেকো ও প্রভুর সেবা করো।
প্রত্যাশায় আনন্দ করো, কষ্ট-সংকটে সহিষ্ণু হও, প্রার্থনায় বিশ্বস্ত থেকো।
ঈশ্বরভক্তদের অভাবে সাহায্য করো। আতিথেয়তার চর্চা করো।
যারা তোমাদের নির্যাতন করে, তাদের আশীর্বাদ করো; আশীর্বাদ করো, অভিশাপ দিয়ো না।
যারা আনন্দ করে, তাদের সঙ্গে আনন্দ করো; যারা শোক করে, তাদের সঙ্গে শোক করো।
16 ১৬ আপোনালোকৰ পৰস্পৰৰ ভাব একে হওক। বৰ বৰ বিষয়বোৰ চিন্তা নকৰি, সামান্য লোকৰ দৰে চলক৷ নিজৰ নিজৰ মনত জ্ঞানী নহব।
পরস্পরের প্রতি তোমরা সমমনা হও। দাম্ভিক হোয়ো না, কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রতি সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক হও। নিজেকে বিজ্ঞ বলে মনে করো না।
মন্দের পরিশোধে কারও মন্দ করো না। সকলের দৃষ্টিতে যা ন্যায়সংগত, তা করতে যত্নবান হও।
যদি সম্ভব হয়, তোমার পক্ষে যতদূর সাধ্য, সকলের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করো।
19 ১৯ হে প্ৰিয় সকল, আপোনালোকে অন্যায়ৰ প্ৰতিকাৰ নকৰিব, কিন্তু ঈশ্বৰৰ ক্ৰোধলৈ ঠাই থ’ব; কিয়নো এনেদৰে লিখা আছে, প্ৰভুৱে কৈছে, “প্ৰতিকাৰ কৰা মোৰ কৰ্ম; মইহে প্ৰতিফল দিম।”
হে আমার প্রিয় বন্ধুগণ, তোমরা প্রতিশোধ নিয়ো না, কিন্তু ঈশ্বরের ক্রোধের জন্য স্থান ছেড়ে দাও, কারণ একথা লেখা আছে: “প্রতিশোধ নেওয়া আমারই কাজ, আমি প্রতিফল দেব,” একথা প্রভু বলেন।
20 ২০ “কিন্তু যদি তোমাৰ শত্ৰুৰ ভোক লাগে, তেনেহলে তেওঁক ভোজন কৰোঁৱা; যদি তেওঁৰ পিয়াহ লাগে, তেনেহলে জল পান কৰোঁৱা; তেনে কৰিলে তেওঁৰ মূৰত জ্বলি থকা আঙঠা দ’ম কৰি থবা”।
বরং, “তোমার শত্রু যদি ক্ষুধার্ত হয়, তাকে খেতে দাও; যদি সে তৃষ্ণার্ত হয়, তাকে পান করার কিছু দাও। এরকম করলে, তুমি তার মাথায় জ্বলন্ত কয়লার স্তূপ চাপিয়ে দেবে।”
তুমি মন্দের দ্বারা পরাজিত হোয়ো না, বরং উত্তমের দ্বারা মন্দকে পরাস্ত করো।
