প্রবচন 20
1 ১ দ্ৰাক্ষাৰস নিন্দক, আৰু সুৰা দ্বন্দ্ব-কাজিয়া কৰা লোক; যি কোনোৱে সুৰা পান কৰি মতলীয়া হয়, তেওঁ জ্ঞানী নহয়।
দ্রাক্ষারস বিদ্রুপকারী ও সুরা কলহকারী; যে এগুলির দ্বারা বিপথগামী হয় সে জ্ঞানবান নয়।
রাজার ক্রোধ সিংহের গর্জনের মতো আতঙ্ক ছড়ায়; যারা তাঁকে ক্রুদ্ধ করে তোলে তারা তাদের প্রাণ খোয়ায়।
বিবাদ এড়িয়ে চলা মানুষের পক্ষে সম্মানজনক বিষয়, কিন্তু মূর্খমাত্রই চট্জলদি বিবাদ করে ফেলে।
4 ৪ এলেহুৱা লোকে শৰৎ কালত হাল নাবায়; আৰু তেওঁ শস্য দোৱাৰ সময়ত অলপ শস্য বিচাৰে, কিন্তু একোকে নাপায়।
অলসেরা যথাসময়ে লাঙ্গল চষে না; অতএব ফসল কাটার সময় তারা চেয়ে দেখে কিন্তু কিছুই পায় না।
মানুষের অন্তরের অভিপ্রায় গভীর জলরাশি, কিন্তু যে বিচক্ষণ সেই তা তুলে আনে।
অনেকেই দাবি করে যে তাদের ভালোবাসা অফুরান, কিন্তু বিশ্বস্ত লোক কে খুঁজে পায়?
ধার্মিকেরা অনিন্দনীয় জীবনযাপন করে; তাদের পরে তাদের সন্তানেরাও আশীর্বাদধন্য হয়।
8 ৮ সিংহাসনত বহা ৰজাই বিচাৰকৰ দ্বায়ীত্ব পালন কৰে; তেওঁৰ আগত থকা সকলো দুষ্টতা তেওঁৰ দৃষ্টিৰে পৰীক্ষা কৰে।
রাজা যখন বিচার করার জন্য তাঁর সিংহাসনে বসেন, তখন তিনি তাঁর চোখ দিয়ে সব অমঙ্গল উড়িয়ে দেন।
কে বলতে পারে, “আমি আমার অন্তর বিশুদ্ধ রেখেছি; আমি শুচিশুদ্ধ ও নিষ্পাপ”?
বিসদৃশ বাটখারা ও বিসদৃশ মাপ— সদাপ্রভু উভয়ই ঘৃণা করেন।
11 ১১ এনেকি যুৱক এজনে তেওঁৰ কাৰ্যৰ দ্বাৰাই পৰিচিত হয়, শুদ্ধ আৰু ন্যায়পৰায়ণ আচৰণৰ দ্বাৰাই তেওঁক বুজিব পৰা যায়।
ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরাও তাদের কাজকর্মের দ্বারা পরিচিত হয়, তাই তাদের আচরণ কি সত্যিই বিশুদ্ধ ও ন্যায্য?
যে কান শোনে ও যে চোখ দেখে— সদাপ্রভু উভয়ই তৈরি করেছেন।
13 ১৩ নিদ্ৰাক ভাল নাপাবা অথবা, তুমি দৰিদ্ৰ হবা; তোমাৰ চকু মেলা, আৰু তোমাৰ প্রচুৰ পৰিমাণে খোৱা বস্তু থাকিব।
ঘুম ভালোবেসো না পাছে তুমি দরিদ্র হয়ে যাও; জেগে থাকো ও তোমার কাছে অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য থাকবে।
“এটি ভালো নয়, এটি ভালো নয়!” ক্রেতা বলে— পরে ফিরে যায় ও সংগৃহীত বস্তুটি নিয়ে গর্ববোধ করে।
সেখানে সোনা আছে, ও প্রচুর পরিমাণে মণিমুক্তো আছে, কিন্তু যে ঠোঁট জ্ঞানের কথা বলে তা দুর্লভ এক রত্ন।
16 ১৬ যি জনে অচিনাকীৰ জামিন হয়, তেওঁৰ বস্ত্ৰ লোৱা; যেতিয়া তেওঁ কোনো ব্যভিচাৰিণীৰ বাবে জামিন হয়, তেতিয়া তেওঁৰ পৰা বন্ধক লোৱা।
যে এক আগন্তুকের জামিনদার হয়েছে তার পোশাকটি নিয়ে নাও; তা যদি এক বহিরাগতের জন্য করা হয়েছে, তবে সেটি বন্ধকরূপে রেখে দাও।
প্রতারণার দ্বারা অর্জিত খাদ্যদ্রব্য সুস্বাদু লাগে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানুষের মুখ কাঁকরে ভরে যায়।
পরামর্শ খোঁজ করার দ্বারাই পরিকল্পনা সফল হয়; অতএব তুমি যদি যুদ্ধ শুরু করেছ, তবে পরিচালনা লাভ করো।
পরনিন্দা পরচর্চা আস্থা ভঙ্গ করে; অতএব সেই লোককে এড়িয়ে চলো যে অতিরিক্ত কথাবার্তা বলে।
যদি কেউ তাদের মা-বাবাকে অভিশাপ দেয়, তবে ঘোর অন্ধকারে তাদের প্রদীপ নিভে যাবে।
যে উত্তরাধিকার খুব তাড়াতাড়ি অর্জন করা যায় তা শেষ পর্যন্ত আর আশীর্বাদধন্য হবে না।
22 ২২ এইদৰে নকবা, “মই তোমাৰ ভুলৰ বাবে প্ৰতিকাৰ সাধিম!” যিহোৱালৈ অপেক্ষা কৰা, তেওঁ তোমাক উদ্ধাৰ কৰিব।
একথা বোলো না, “আমি এই অন্যায়ের প্রতিশোধ নেব!” সদাপ্রভুর অপেক্ষা করো, ও তিনিই তোমার হয়ে প্রতিশোধ নেবেন।
সদাপ্রভু বিসদৃশ বাটখারা ঘৃণা করেন, ও অসাধু দাঁড়িপাল্লা তাঁকে সন্তুষ্ট করে না।
মানুষের পদক্ষেপ সদাপ্রভু দ্বারাই পরিচালিত হয়। তবে মানুষ কীভাবে তাদের নিজস্ব পথ বুঝতে পারবে?
25 ২৫ কোনো লোকে হঠাতে “এই বস্তু পবিত্ৰ” বুলি কোৱা, মানুহ; আৰু সঙ্কল্প কৰাৰ পাছত তাৰ অৰ্থ কি সেই বিষয়ে চিন্তা কৰা মানুহৰ বাবে ফান্দৰ দৰে।
হঠাৎ করে কোনো কিছু উৎসর্গ করে পরে নিজের করা প্রতিজ্ঞার বিষয়ে বিবেচনা করলে, তা এক ফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়।
জ্ঞানবান রাজা দুষ্টদের ঝেড়ে ফেলেন; তিনি তাদের উপর দিয়ে শস্য মাড়াই কলের চাকা চালিয়ে দেন।
মানবাত্মা সদাপ্রভুর সেই প্রদীপ যা মানুষের অন্তরের অন্তস্থলে আলোকপাত করে।
28 ২৮ বিশ্বাসযোগ্য আৰু বিশ্বস্বতাৰ নিয়মে ৰজাক সংৰক্ষিত কৰে, আৰু তেওঁৰ সিংহাসন প্রেমৰ দ্বাৰাই নিৰাপদে থাকে।
ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা রাজাকে নিরাপদ রাখে; ভালোবাসার মাধ্যমেই তাঁর সিংহাসন দৃঢ় হয়।
যুবকদের গৌরব হল তাদের শক্তি, পাকা চুলই হল বৃদ্ধদের ঐশ্বর্য।
আঘাত ও ক্ষত অনিষ্ট ধুয়ে দেয়, ও মারধর অন্তরের অন্তস্থলকে বিশোধিত করে।
