প্রবচন 13
জ্ঞানবান ছেলে বাবার নির্দেশ মানে, কিন্তু বিদ্রুপকারী ভর্ৎসনায় কান দেয় না।
মানুষ তাদের মুখের ফল দ্বারাই মঙ্গল উপভোগ করে, কিন্তু বিশ্বাসঘাতক হিংস্রতার প্রবৃত্তি রাখে।
3 ৩ যিজনে নিজৰ মুখ চম্ভালে, তেওঁ নিজৰ প্ৰাণ ৰক্ষা কৰে; কিন্তু যিজনে মুখ বহলকৈ মেলে, তেওঁৰ সৰ্ব্বনাশ হয়।
যারা ঠোঁট নিয়ন্ত্রণে রাখে তারা তাদের প্রাণরক্ষা করে, কিন্তু যারা বেপরোয়াভাবে কথাবার্তা বলে তাদের সর্বনাশ হয়।
অলসের খিদে কখনও মেটে না, কিন্তু পরিশ্রমীদের বাসনাগুলি পুরোপুরি চরিতার্থ হয়।
ধার্মিকেরা মিথ্যাচারিতা ঘৃণা করে, কিন্তু দুষ্টেরা নিজেদের এক দুর্গন্ধে পরিণত করে ও নিজেদের উপরে লজ্জা ডেকে আনে।
6 ৬ যেতিয়া এজন লোকে সত্যতাত চলে, তেওঁ ন্যায়ৰ পথ সুৰক্ষিত কৰে। কিন্তু দুষ্ট লোকসকল তেওঁলোকৰ পাপৰ কাৰণে বিনষ্ট হয়।
ধার্মিকতা ন্যায়পরায়ণ মানুষদের রক্ষা করে, কিন্তু দুষ্টতা পাপীদের উৎখাত করে।
7 ৭ এনে লোক আছে, যিয়ে নিজকে ধনী দেখুৱাই, কিন্তু তেওঁৰ একো নাথাকে; আৰু এনে লোকো আছে যি সকলো দান কৰে, তথাপি তেওঁ প্রকৃততেই ধনৱান।
কেউ ধনী হওয়ার ভান করে, অথচ তার কাছে কিছুই নেই; অন্যজন দরিদ্র হওয়ার ভান করে, অথচ তার কাছে মহাধন আছে।
8 ৮ এজন ধনী লোকে নিজৰ সম্পত্তিৰ দ্বাৰাই নিজৰ জীৱনৰ প্রায়শ্চিত কৰিব পাৰে, কিন্তু এজন দুখীয়া তেনেধৰণৰ ভীতিপ্রদৰ্শনৰ সন্মুখীন নহয়।
মানুষের ধন হয়তো তাদের প্রাণের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারে, কিন্তু দরিদ্রকে ভয় দেখানো যায় না।
ধার্মিকদের আলো উজ্জ্বলভাবে জ্বলজ্বল করে, কিন্তু দুষ্টদের প্রদীপ নিভে যায়।
যেখানে বিবাদ থাকে, সেখানে অহংকারও থাকে, কিন্তু যারা পরামর্শ নেয় তাদের অন্তরে প্রজ্ঞা পাওয়া যায়।
11 ১১ অধিক অহঙ্কাৰে সম্পত্তি হ্রাস কৰে; কিন্তু যি জনে পৰিশ্ৰমেৰে ধন উপাৰ্জন কৰে, তেওঁৰ ধন বৃদ্ধি হয়।
অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ কমে যায়, কিন্তু যে অল্প অল্প করে অর্থ সংগ্রহ করে, তার অর্থ বাড়তে থাকে।
12 ১২ যেতিয়া আশা সিদ্ধ হ’বলৈ পলম হয়, তেতিয়া হৃদয় ভাগি পৰে; কিন্তু আকাংক্ষা সিদ্ধ হোৱাই জীৱনৰ বৃক্ষৰ দৰে।
বিলম্বিত আশা হৃদয়কে অসুস্থ করে তোলে, কিন্তু পূর্ণ আকাঙ্ক্ষা এক জীবনবৃক্ষ।
13 ১৩ যি জনে নিৰ্দেশ অবজ্ঞা কৰে, তেওঁ তাৰ আলোচনাৰ বিষয় হ’ব; কিন্তু যি জনে আজ্ঞা সন্মান কৰে, তেওঁ পুৰস্কাৰ পায়।
যে নির্দেশ অবজ্ঞা করে তাকে এর মূল্য চোকাতে হয়, কিন্তু যে আজ্ঞাকে সম্মান করে সে পুরস্কৃত হয়।
জ্ঞানবানের শিক্ষা জীবনের উৎস, তা মানুষকে মৃত্যুর ফাঁদ থেকে ফিরিয়ে আনে।
সুবিবেচনা অনুগ্রহজনক হয়, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের পথ তাদের বিনাশের দিকে নিয়ে যায়।
যারা বিচক্ষণ তারা সবাই জ্ঞানপূর্বক কাজ করে, কিন্তু মূর্খেরা তাদের মূর্খতাই প্রকাশ করে ফেলে।
দুষ্ট দূত অসুবিধায় পড়ে, কিন্তু বিশ্বস্ত দূত আরোগ্য দান করে।
18 ১৮ যি জনে নিয়মানুৱৰ্তিতা অগ্ৰাহ্য কৰে, তেওঁ দৰিদ্ৰ হয় আৰু লাজত পৰে; কিন্তু যি জনে শুধৰণিৰ পৰা শিক্ষা গ্রহণ কৰে, তেওঁ সন্মান পায়।
যে শাসন উপেক্ষা করে তাকে দারিদ্র ও লজ্জা ভোগ করতে হয়, কিন্তু যে সংশোধনে মনোযোগ দেয় সে সম্মানিত হয়।
19 ১৯ বাঞ্ছা সিদ্ধিয়ে আত্মা সন্তুষ্টি দিয়ে; কিন্তু অজ্ঞানীলোকে বেয়াৰ পৰা আঁতৰি আহিবলৈ ইচ্ছা নকৰে।
পূর্ণ আকাঙ্ক্ষা প্রাণের পক্ষে তৃপ্তিদায়ক, কিন্তু মূর্খেরা মন্দ পথ থেকে ফিরতে চায় না।
জ্ঞানবানদের সঙ্গে সঙ্গে চলো ও জ্ঞানবান হও, কারণ মূর্খদের সহচর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিপত্তি পাপীর পশ্চাদ্ধাবন করে, কিন্তু ধার্মিককে মঙ্গল দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।
22 ২২ ভাল ব্যক্তিয়ে নিজৰ নাতি-নাতিনীয়েকৰ বাবে উত্তৰাধিকাৰ এৰি যায়; কিন্তু পাপীৰ ধন সম্পত্তি সত্যতাত চলাজনৰ বাবে সংৰক্ষিত হয়।
সৎলোক তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য উত্তরাধিকার ছেড়ে যায়, কিন্তু পাপীর ধন ধার্মিকদের জন্য মজুত হয়।
অকর্ষিত জমি দরিদ্রদের জন্য খাদ্য উৎপাদন করে, কিন্তু অবিচার তা নিশ্চিহ্ন করে দেয়।
24 ২৪ যি জনে নিজৰ সন্তানক নিয়মানুৱৰ্তিতাত নচলায়, তেওঁ তাক ঘিণ কৰে, কিন্তু যিজনে তাক প্ৰেম কৰে, তেওঁ উচিত সময়ত তাক শাস্তিও দিয়ে।
যারা লাঠির ব্যবহার করে না, তারা তাদের সন্তানদের ঘৃণা করে, কিন্তু যারা তাদের সন্তানদের ভালোবাসে, তারা সযত্নে তাদের শাসনও করে।
ধার্মিকেরা তাদের প্রাণের তৃপ্তি পর্যন্ত খাবার খায়, কিন্তু দুষ্টেরা ক্ষুধার্ত পেটেই থেকে যায়।
