মথি 11
1 ১ যীচুৱে তেওঁৰ বাৰ জন শিষ্যক এইদৰে আদেশ দি শেষ কৰিলে। তাৰ পাছত তেওঁ নগৰে নগৰে শিক্ষা দিবৰ বাবে আৰু প্রচাৰ কৰিবৰ কাৰণে সেই ঠাইৰ পৰা গুচি গ’ল।
যীশু তাঁর বারোজন শিষ্যকে আদেশ দেওয়া শেষ করে সেখান থেকে গালীলের বিভিন্ন নগরে শিক্ষা দিতে ও প্রচার করতে চলে গেলেন।
2 ২ যোহনে বন্দীশালৰ পৰা যেতিয়া খ্ৰীষ্টৰ কৰ্মৰ কথা শুনিলে, তেতিয়া নিজৰ শিষ্য সকলৰ দ্বাৰাই যীচুক সুধি পঠালে,
সেই সময়ে, যোহন কারাগার থেকে মশীহের কার্যাবলি শুনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করার জন্য তাঁর শিষ্যদের এই বলে পাঠালেন,
“যাঁর আসার কথা ছিল আপনিই কি তিনি না আমরা অন্য কারও প্রতীক্ষায় থাকব?”
4 ৪ যীচুৱে উত্তৰ দি তেওঁলোকক ক’লে, “যোৱা, তোমালোকে যি শুনিছা আৰু দেখিছা, সেই বিষয়ৰ সম্বাদ যোহনক দিয়াগৈ।
যীশু উত্তর দিলেন, “তোমরা যা শুনছ ও দেখছ, ফিরে গিয়ে যোহনকে সেই কথা বলো।
5 ৫ অন্ধই দৃষ্টিশক্তি পাইছে, খোৰাই খোজ কাঢ়িছে, কুষ্ঠ ৰোগীক শুচি কৰা হৈছে, কলাই পুণৰ শুনিছে, মৃত সকলক জীৱনলৈ পুণৰুত্থিত কৰা হৈছে, দৰিদ্ৰ সকলৰ আগত শুভবাৰ্তা ঘোষণা কৰা হৈছে।
যারা অন্ধ তারা দৃষ্টি পাচ্ছে, যারা খোঁড়া তারা চলতে পারছে, যারা কুষ্ঠরোগী তারা শুচিশুদ্ধ হচ্ছে, যারা কালা তারা শুনতে পাচ্ছে, যারা মৃত তারা উত্থাপিত হচ্ছে ও যারা দরিদ্র তাদের কাছে সুসমাচার প্রচারিত হচ্ছে।
আর ধন্য সেই ব্যক্তি যে আমার কারণে বাধা পায় না।”
7 ৭ যোহনৰ শিষ্য সকল যেতিয়া উলটি গ’ল, সেই সময়ত যীচুৱে যোহনৰ বিষয়ে লোক সকলৰ আগত এই কথা কবলৈ ধৰিলে, “আপোনালোকে কি চাবৰ বাবে মৰুপ্ৰান্তলৈ গৈছিল- বতাহে লৰোৱা এক নল-খাগৰি?
যখন যোহনের শিষ্যেরা চলে যাচ্ছিল, তখন যীশু সকলের কাছে যোহনের সম্পর্কে বলতে লাগলেন, “তোমরা মরুপ্রান্তরে কী দেখতে গিয়েছিলে? বাতাসে দুলছে এমন কোনো নলখাগড়া?
8 ৮ তেনেহলে কি চাবলৈ ওলাই গৈছিল- মিহি কাপোৰ পিন্ধা মানুহ নে? বাস্তৱিকতে, যি সকলে মিহি কাপোৰ পিন্ধে, তেওঁলোক ৰজাৰ ভৱনতহে থাকে।
তা যদি না হয়, তাহলে তোমরা কী দেখতে গিয়েছিলে? মোলায়েম পোশাক পরা কোনো মানুষকে? তা নয়, যারা মোলায়েম পোশাকে পরিচ্ছন্ন তারা তো রাজপ্রাসাদে থাকে।
তাহলে তোমরা কী দেখতে গিয়েছিলে? কোনো ভাববাদীকে? হ্যাঁ, আমি তোমাদের বলি, ভাববাদীর চেয়েও মহত্তর একজনকে।
10 ১০ এই জন তেৱেঁই, যি জনৰ বিষয়ে শাস্ত্রত লিখা আছে, ‘চোৱা, মই তোমাৰ আগত মোৰ বার্তাবাহকক পঠাম, তেওঁ তোমাৰ আগত তোমাৰ পথ প্রস্তুত কৰিব।’
ইনিই সেই ব্যক্তি, যাঁর সম্পর্কে লেখা আছে: “‘আমি আমার বার্তাবাহককে তোমার আগে পাঠাব, যে তোমার আগে তোমার জন্য পথ প্রস্তুত করবে।’
11 ১১ মই আপোনালোকক সঁচাকৈয়ে কওঁ, মহিলাৰ গর্ভত যিমান মানুহৰ জন্ম হৈছে, তেওঁলোকৰ মাজত বাপ্তাইজক যোহনতকৈ মহান কোনো নাই; কিন্তু স্বৰ্গৰাজ্যত আটাইতকৈ গুৰুত্বহীন সৰু ব্যক্তিও যোহনতকৈ মহান।
আমি তোমাদের সত্যি বলছি: নারীর গর্ভে জন্মেছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে, বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের চেয়ে মহান আর কেউই নেই; তবুও স্বর্গরাজ্যে যে নগণ্যতম সেও যোহনের চেয়ে মহান।
12 ১২ বাপ্তাইজক যোহনৰ দিনৰ পৰা এতিয়ালৈকে স্বৰ্গৰাজ্য ভীষণভাৱে আক্ৰান্ত হৈছে আৰু বলৱান লোকে বলেৰে তাক নিয়ন্ত্রণ কৰিবলৈ চেষ্টা কৰিছে।
বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের সময় থেকে এখন পর্যন্ত, স্বর্গরাজ্য সবলে অগ্রসর হচ্ছে ও পরাক্রমী ব্যক্তিরা তা অধিকার করছে।
কারণ সমস্ত ভাববাদী ও বিধান যোহনের সময় পর্যন্ত ভবিষ্যদ্বাণী করেছে।
আর তোমরা যদি স্বীকার করতে আগ্রহী হও তাহলে জেনে নাও, ইনিই সেই এলিয় যার আগমনের কথা ছিল।
যার কান আছে, সে শুনুক।
16 ১৬ এই যুগৰ লোক সকলক কাৰ লগত তুলনা কৰিম? এওঁলোক এনেকুৱা ল’ৰা-ছোৱালীৰ নিচিনা, যি সকলে বজাৰত বহি সঙ্গী সকলক মাতি কয়;
“এই প্রজন্মকে আমি কার সঙ্গে তুলনা করব? তারা সেই ছেলেমেয়েদের মতো, যারা হাটেবাজারে বসে অন্য লোকদের আহ্বান করে বলে,
17 ১৭ ‘আমি তোমালোকৰ কাৰণে বাঁহী বজালো, তোমালোকে নানাচিলা; আমি শোকৰ গান গালো, তোমালোকে বিলাপ নকৰিলা।’
“‘আমরা তোমাদের জন্য বাঁশি বাজালাম, তোমরা তো নৃত্য করলে না; আমরা শোকগাথা গাইলাম, তোমরা তো বিলাপ করলে না!’
কারণ যোহন এসে আহার করলেন না, দ্রাক্ষারসও পান করলেন না, অথচ তারা বলল, ‘সে ভূতগ্রস্ত।’
19 ১৯ মানুহৰ পুত্ৰই আহি ভোজন-পান কৰিলে কাৰণে লোকে কয়, ‘এই চোৱা, এই জন এজন খকুৱা আৰু মদাহী মানুহ; কৰ সংগ্রহকাৰী আৰু পাপীবোৰৰ বন্ধু! কিন্তু জ্ঞান যে সত্য, নিজৰ কৰ্মৰ দ্বাৰাই প্ৰমাণিত হয়।’”
মনুষ্যপুত্র এলেন, খাওয়াদাওয়া করলেন, কিন্তু তারা বলল, ‘এই দেখো একজন পেটুক ও মদ্যপ, কর আদায়কারী ও “পাপীদের” বন্ধু।’ কিন্তু প্রজ্ঞা তার অনুসরণকারীদের আচরণের দ্বারাই সত্য বলে প্রমাণিত হয়।”
20 ২০ যীচুৱে যিবোৰ নগৰত বেচি ভাগ পৰাক্রম কাৰ্য কৰিছিল, সেইবোৰ ঠাইৰ নিবাসী সকলক তেওঁ গৰিহণা দিলে, কাৰণ তেওঁলোকে মন-পালটন নকৰিলে।
এরপর যীশু সেই সমস্ত নগরকে ধিক্কার দিতে লাগলেন, যেখানে তাঁর অধিকাংশ অলৌকিক কাজ সম্পাদিত হয়েছিল, কারণ তারা মন পরিবর্তন করেনি। তিনি বললেন,
21 ২১ “হায় কোৰাচীন! হায় বৈৎ-চৈদা! কিয়নো তোমালোকৰ মাজত যিবোৰ পৰাক্ৰম কাৰ্য কৰা হ’ল, সেইবোৰ কাৰ্য যদি তুৰ আৰু চীদোন নগৰত কৰিলোঁ হয়, তেনেহলে বহু দিনৰ আগেয়ে তাৰ নিবাসী সকলে চট পিন্ধিলেহেঁতেন আৰু ছাইত বহি মন-পালটন কৰিলেহেঁতেন।
“কোরাসীন, ধিক্ তোমাকে! বেথসৈদা, ধিক্ তোমাকে! তোমাদের মধ্যে যেসব অলৌকিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, সেসব যদি টায়ার ও সীদোনে করা হত, তারা অনেক আগেই চটবস্ত্র পরে ভস্মে বসে অনুতাপ করত।
কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, বিচারদিনে টায়ার ও সীদোনের দশা, বরং তোমাদের চেয়ে বেশি সহনীয় হবে।
23 ২৩ তুমি, কফৰনাহূম! তুমি ভাৱা নেকি যে তোমাক স্বৰ্গলৈ তোলা হ’ব? কেতিয়াও নহয়, তোমাক মৃতলোকলৈ, অৰ্থাৎ নৰকলৈহে অনা হ’ব। কিয়নো তোমাৰ মাজত যিবোৰ পৰাক্ৰম কাৰ্য কৰা হ’ল, সেইবোৰ কৰ্ম যদি চদোমত কৰা হ’লহেতেন, তেনেহলে চদোম আজিও থাকিলেহেতেন। (Hadēs g86)
আর তুমি কফরনাহূম, তুমি কি না স্বর্গ পর্যন্ত উঁচুতে উঠবে? তা নয়, তুমি অধোলোক পর্যন্ত তলিয়ে যাবে। তোমার মধ্যে যেসব অলৌকিক কাজ করা হয়েছে, সেগুলি যদি সদোমে করা হত, তাহলে আজও সেই নগরের অস্তিত্ব থাকত। (Hadēs g86)
কিন্তু আমি তোমাকে বলছি যে, বিচারদিনে টায়ার ও সদোমের দশা, বরং তোমাদের চেয়ে বেশি সহনীয় হবে।”
25 ২৫ সেই সময়ত যীচুৱে মাত লগাই ক’লে, “হে পিতৃ, তুমি স্বৰ্গ আৰু পৃথিৱীৰ প্ৰভু, মই তোমাৰ প্রশংসা কৰোঁ, কাৰণ তুমি জ্ঞানী আৰু বুদ্ধিমন্ত লোকৰ পৰা এইবোৰ কথা গুপুতে ৰাখিছা, কিন্তু শিশু সকলৰ দৰে সৰল লোক সকলৰ আগত প্ৰকাশ কৰিলা।
সেই সময় যীশু বললেন, “হে পিতা, তুমি স্বর্গ ও পৃথিবীর প্রভু, আমি তোমার প্রশংসা করি, কারণ তুমি এই সমস্ত বিষয় বিজ্ঞ ও শিক্ষিত মানুষদের কাছ থেকে গোপন রেখে ছোটো শিশুদের কাছে প্রকাশ করেছ।
হ্যাঁ পিতা, কারণ এই ছিল তোমার ঈপ্সিত ইচ্ছা।
27 ২৭ কিয়নো মোৰ পিতৃয়ে সকলোকে মোৰ হাতত সমৰ্পন কৰিছে; পিতৃৰ বাহিৰে পুত্রক কোনেও নাজানে: পুত্ৰৰ বাহিৰে পিতৃক কোনেও নাজানে। পুত্ৰই যি জনৰ আগত পিতৃক প্ৰকাশ কৰিবলৈ ইচ্ছা কৰে, তেৱেঁই তেওঁক জানে।
“আমার পিতা সবকিছুই আমার হাতে সমর্পণ করেছেন। পুত্রকে কেউ জানে না, কেবলমাত্র পিতা জানেন এবং পিতাকে কেউ জানে না, কেবলমাত্র পুত্র জানেন ও পুত্র যার কাছে তাঁকে প্রকাশ করেন, সেই জানে।
“ওহে, তোমরা যারা পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত, আমার কাছে এসো, আমি তোমাদের বিশ্রাম দেব।
29 ২৯ মই নম্ৰ আৰু কোমল চিত্তৰ মানুহ; এই হেতুকে, তোমালোকৰ ওপৰত মোৰ যুৱঁলি লোৱা আৰু মোৰ শিক্ষা লোৱা; তাতে তোমালোকে নিজৰ নিজৰ মনত জিৰণি পাবা।
আমার জোয়াল তোমরা নিজেদের উপরে তুলে নাও ও আমার কাছে শিক্ষা নাও, কারণ আমার স্বভাব কোমল ও নম্র। এতে তোমরা নিজেদের অন্তরে বিশ্রাম পাবে।
কারণ আমার জোয়াল সহজ ও আমার বোঝা হালকা।”
