লূক 22
তখন, নিস্তারপর্ব নামে পরিচিত খামিরবিহীন রুটির পর্ব ক্রমশ এগিয়ে আসছিল।
2 ২ তেতিয়া প্ৰধান পুৰোহিত আৰু বিধানৰ অধ্যাপক সকলে কেনেকৈ যীচুক বধ কৰিব পাৰে, তাৰে উপায় বিচাৰিলে; কিয়নো তেওঁলোকে লোক সকলক ভয় কৰিছিল।
আর প্রধান যাজকেরা ও শাস্ত্রবিদরা যীশুর হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার পথ খুঁজছিল, কারণ তারা জনসাধারণকে ভয় করত।
শয়তান তখন সেই বারোজনের অন্যতম, ইষ্কারিয়োৎ নামে পরিচিত যিহূদার অন্তরে প্রবেশ করল।
4 ৪ তাতে তেওঁ গৈ, কেনেকৈ যীচুক তেওঁলোকৰ হাতত শোধাই দিব পাৰে, সেই বিষয়ে প্ৰধান পুৰোহিত আৰু সেনাপতি সকলৰ সৈতে কথা-বাৰ্ত্তা হ’ল।
যিহূদা প্রধান যাজকবর্গ ও মন্দিরের পাহারায় নিযুক্ত পদস্থ কর্মচারীদের কাছে গিয়ে, কীভাবে যীশুকে ধরিয়ে দেবে, তা নিয়ে আলোচনা করল।
তারা আনন্দিত হয়ে তাকে টাকা দিতে সম্মত হল।
সেও তাদের প্রস্তাবে সম্মত হয়ে জনসাধারণের অগোচরে যীশুকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ খুঁজতে লাগল।
অবশেষে খামিরবিহীন রুটির পর্বের দিন উপস্থিত হল। সেদিন নিস্তারপর্বের মেষ বলি দিতে হত।
8 ৮ যীচুৱে পিতৰ আৰু যোহনক পঠিয়াই দি ক’লে, “তোমালোক যোৱা, আমি ভোজন কৰিবলৈ নিস্তাৰ-পৰ্বৰ ভোজ যুগুত কৰাগৈ।”
যীশু পিতর ও যোহনকে পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, “যাও, আমাদের জন্য নিস্তারপর্বের ভোজের আয়োজন করো।”
তাঁরা জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কী চান? আমরা কোথায় এর আয়োজন করব?”
10 ১০ তেওঁ তেওঁলোকক ক’লে, “চোৱা, তোমালোকে নগৰৰ ভিতৰত সোমালেই, পানী একলহ লৈ অহা এজন মানুহে তোমালোকক লগ ধৰিব৷ তেওঁ যি ঘৰত সোমায়, তোমালোকে তেওঁৰ পাছে পাছে গৈ সেই ঘৰত সোমাবা৷
তিনি উত্তর দিলেন, “তোমরা নগরে প্রবেশ করেই দেখতে পাবে, এক ব্যক্তি জলের একটি কলশি নিয়ে যাচ্ছে। তোমরা তাকে অনুসরণ করে যে বাড়িতে সে প্রবেশ করবে, সেখানে যেয়ো।
11 ১১ তেতিয়া ঘৰৰ গৰাকীক ক’বা, ‘গুৰুৱে তোমাক কবলৈ কৈছে, বোলে মই যি ঠাইত মোৰ শিষ্য সকলৰ সৈতে নিস্তাৰ-পৰ্বৰ ভোজ খাম, সেই আলহী-কোঠালি ক’ত আছে’?
তোমরা সেই বাড়ির কর্তাকে বোলো, ‘গুরুমহাশয় জানতে চান, অতিথিদের জন্য নির্দিষ্ট ঘরটি কোথায়, যেখানে আমি আমার শিষ্যদের নিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণ করতে পারি?’
12 ১২ তাতে সেই মানুহে সজোৱা ওপৰ-মহলৰ এটা ডাঙৰ কোঁঠালি তোমালোকক দেখুৱাই দিব৷ তাতে তোমালোকে যুগুত কৰিবা।”
সে তোমাদের উপরতলার একটি সুসজ্জিত বড়ো ঘর দেখাবে। সেখানেই সব আয়োজন কোরো।”
13 ১৩ তেতিয়া তেওঁলোক গ’ল আৰু তেওঁ কোৱাৰ দৰে তাত সকলোবোৰ পালে৷ পাছত তেওঁলোকে তাতে নিস্তাৰ-পৰ্বৰ ভোজ যুগুত কৰিলে।
তাঁরা বেরিয়ে পড়ে যীশুর কথামতো সবকিছুই দেখতে পেলেন এবং নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন।
পরে সময় উপস্থিত হলে যীশু ও প্রেরিতশিষ্যেরা আসনে হেলান দিয়ে বসলেন।
15 ১৫ তেতিয়া তেওঁ তেওঁলোকক ক’লে, “মোৰ দুখভোগৰ আগেয়ে তোমালোকে সৈতে এই নিস্তাৰ-পৰ্বৰ ভোজ খাবলৈ মই বৰ ইচ্ছা কৰিলোঁ।
আর তিনি তাঁদের বললেন, “যন্ত্রণাভোগের আগে আমি তোমাদের সঙ্গে নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণ করার জন্য সাগ্রহে প্রতীক্ষা করেছি।
কারণ আমি তোমাদের বলছি, ঈশ্বরের রাজ্যে এই ভোজের উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত, আমি আর এই ভোজ গ্রহণ করব না।”
পরে তিনি পানপাত্র তুলে নিয়ে ধন্যবাদ দিলেন। তারপর বললেন, “এটি নাও ও তোমাদের মধ্যে ভাগ করো।
18 ১৮ কিয়নো মই তোমালোকক কওঁ, ঈশ্বৰৰ ৰাজ্য আহি নোপোৱালৈকে মই এতিয়াৰ পৰা আৰু দ্ৰাক্ষাগুটিৰ ৰস পান নকৰোঁ।”
আমি তোমাদের বলছি, ঈশ্বরের রাজ্যের আগমন না হওয়া পর্যন্ত আমি আর দ্রাক্ষারস পান করব না।”
19 ১৯ তাৰ পাছত পিঠা লৈ তেওঁ স্তুতি কৰিলে আৰু ভাঙি তেওঁলোকক দি ক’লে, “এয়ে তোমালোকৰ কাৰণে দান কৰা মোৰ শৰীৰ; মোক সুৱঁৰিবলৈ ইয়াকে কৰিবা।”
তাপর তিনি রুটি নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও ভেঙে তাঁদের দিলেন, আর বললেন, “এই হল আমার শরীর যা তোমাদের জন্য উৎসর্গীকৃত; আমার স্মরণার্থে তোমরা এরকম কোরো।”
20 ২০ পিঠা ভোজন কৰাৰ পাছত, সেইদৰে পান-পাত্ৰকো লৈ ক’লে, “তোমালোকৰ কাৰণে উলিওৱা মোৰ তেজৰ দ্বাৰাই হোৱা যি নতুন নিয়ম, সেয়ে এই৷
একইভাবে, খাবারের পরে তিনি পানপাত্র নিয়ে বললেন, “এই পানপাত্র আমার রক্তে নতুন নিয়ম, যা তোমাদেরই জন্য পাতিত হয়েছে।
কিন্তু যে আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, তার হাত আমারই সঙ্গে টেবিলের উপরে আছে।
22 ২২ কিয়নো যেনেকৈ নিৰূপণ কৰা হৈছিল, তেনেকৈ মানুহৰ পুত্ৰৰ গতি হ’ব হয়, কিন্তু যি মানুহৰ দ্বাৰাই তেওঁক শোধাই দিয়া হব, তেওঁ সন্তাপৰ পাত্ৰ!”
মনুষ্যপুত্র তাঁর নির্ধারিত পথেই এগিয়ে যাবেন, কিন্তু ধিক্ সেই ব্যক্তিকে, যে মনুষ্যপুত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে!”
তাঁরা পরস্পরকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন যে, তাদের মধ্যে কে এমন কাজ করতে পারে!
আর তাঁদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ, এ নিয়েও একটি বিতর্ক দেখা দিল।
25 ২৫ কিন্তু তেওঁ তেওঁলোকক ক’লে, “অনা-ইহুদী ৰজা সকলে তেওঁলোকৰ ওপৰত ৰাজত্ব কৰে আৰু তেওঁলোকৰ মাজত ক্ষমতা পোৱা অধিকাৰী সকলক ‘উপকাৰক’ বুলি কোৱা হয়।
যীশু তাঁদের বললেন, “অন্য অন্য জাতির রাজা তাদের প্রজাদের উপরে প্রভুত্ব করে; আর যারা তাদের উপরে কর্তৃত্ব করে, তারা নিজেদের হিতার্থী বলে অভিহিত করে।
26 ২৬ কিন্তু তোমালোক তেনেকুৱা নহবা৷ তোমালোকৰ মাজত যি জন শ্ৰেষ্ঠ, তেওঁ সৰু এজনৰ নিচিনা হওক; আৰু যি জন প্ৰধান, তেওঁ পৰিচাৰকৰ নিচিনা হওক।
কিন্তু তোমরা সেরকম হোয়ো না। বরং, তোমাদের মধ্যে যে শ্রেষ্ঠ, তাকে হতে হবে যে সবচেয়ে ছোটো তার মতো, আর প্রশাসককে হতে হবে সেবকের মতো।
27 ২৭ কিয়নো বিবেচনা কৰাচোন, কোন শ্ৰেষ্ঠ? ভোজনত বহা জন নে, পৰিচাৰক জন? ভোজনত বহা জন নহয় নে? কিন্তু মই পৰিচাৰকৰ নিচিনাকৈ তোমালোকৰ মাজত আছোঁ৷
কারণ শ্রেষ্ঠ কে? যে খাবার খেতে বসে সে, না, যে পরিবেশন করে, সে? যে খাবার খেতে বসে, সেই নয় কি? কিন্তু আমি তোমাদের মধ্যে সেবকের মতো আছি।
আমার পরীক্ষার দিনগুলিতে তোমরা বরাবর আমার সঙ্গে আছ।
আমার পিতা যেমন আমাকে একটি রাজ্য অর্পণ করেছেন, আমিও তেমনই তোমাদের জন্য একটি রাজ্য নিরূপণ করছি,
30 ৩০ মোৰ মেজত যেন ভোজন-পান কৰিবা, এই কাৰণে ময়ো তোমালোকৰ বাবে ৰাজ্য নিয়োজন কৰি থৈছোঁ৷ তাতে তোমালোকে সিংহাসনত বহি ইস্ৰায়েলৰ বাৰ ফৈদৰ সোধ-বিচাৰ কৰিবা।
যেন তোমরা আমার রাজ্যে আমারই সঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করতে ও সিংহাসনে বসে ইস্রায়েলের বারো গোষ্ঠীর বিচার করতে পারো।
“শিমোন, শিমোন, শয়তান তোমাদেরকে গমের মতো ঝাড়াই করার জন্য অনুমতি চেয়েছে।
32 ৩২ কিন্তু তোমাৰ বিশ্বাস যেন লোপ নাপায়, এই কাৰণে, মই তোমাৰ অৰ্থে প্ৰাৰ্থনা কৰিলোঁ; আৰুতুমি মন পালটোৱাৰ পাছত, তোমাৰ ভাইসকলকো বিশ্বাসত স্থিৰ হৈ থাকিবলৈ উদগাবা।”
কিন্তু শিমোন, আমি তোমার জন্য প্রার্থনা করেছি, যেন তোমার বিশ্বাস ব্যর্থ না হয়। আর তুমি যখন ফিরে আসবে, তখন তোমার ভাইদের মধ্যে শক্তি সঞ্চার কোরো।”
33 ৩৩ পাছত পিতৰে তেওঁক ক’লে, “হে প্ৰভু, আপোনাৰ সৈতে বন্দীশাল আৰু মৰণলৈকো যাবৰ বাবে মই যুগুত হৈ আছোঁ।”
কিন্তু পিতর উত্তর দিলেন, “প্রভু, আমি আপনার সঙ্গে কারাগারে যেতে ও মৃত্যুবরণ করতেও প্রস্তুত আছি।”
34 ৩৪ তেতিয়া যীচুৱে ক’লে, “হে পিতৰ, মই তোমাক কওঁ, তুমি যে মোক জানা, ইয়াকে তিনি বাৰ অস্বীকাৰ নকৰালৈকে, আজি কুকুৰাই ডাক নিদিব।”
যীশু উত্তর দিলেন, “পিতর, আমি তোমাকে বলছি, আজ মোরগ ডাকার আগেই তুমি আমাকে চেনো না বলে তিনবার অস্বীকার করবে।”
35 ৩৫ পাছত যীচুৱে তেওঁলোকক ক’লে, “মই যেতিয়া বিনা ধন, পাদুকা, মোনা আৰু জোলোঙাৰে, তোমালোকক পঠিয়াইছিলো, তেতিয়া তোমালোকৰ কোনো বস্তুৰ অভাৱ হৈছিল নে?” তেওঁলোকে ক’লে, “কোনো অভাৱ হোৱা নাছিল।”
যীশু তারপর তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি যখন তোমাদের টাকার থলি, ঝুলি, বা চটিজুতো ছাড়াই পাঠিয়েছিলাম, তখন তোমরা কি কোনো কিছুর অভাববোধ করেছিলে?” তাঁরা উত্তর দিলেন, “না, কোনো কিছুরই নয়।”
36 ৩৬ তেতিয়া তেওঁ তেওঁলোকক ক’লে, “কিন্তু এতিয়া যাৰ ধনৰ মোনা আছে, তেওঁ তাক লওঁক; সেইদৰে জোলোঙাও লওঁক; আৰু যাৰ তৰোৱাল নাই, তেওঁ নিজৰ চোলা বেচি এখন তৰোৱাল কিনক।
তিনি তাঁদের বললেন, “কিন্তু এখন তোমাদের কাছে টাকার থলি থাকলে সঙ্গে নিয়ো, একটি ঝুলিও নিয়ো; যদি তোমাদের তরোয়াল না থাকে, তাহলে পোশাক বিক্রি করে তা কিনে নিয়ো।
37 ৩৭ কিয়নো মই তোমালোকক কওঁ, এই যি বচন লিখাআছে, সেয়ে মোত সিদ্ধ হ’ব লাগে; ‘তেওঁ বিধানহীন সকলৰ লগত গণ্য হ’ল৷’ কিয়নো মোৰেই সম্বন্ধীয় কথা সিদ্ধ হৈ আহিছে।”
কারণ লেখা আছে: ‘আর তিনি অপরাধীদের সঙ্গে গণিত হলেন’; আর আমি তোমাদের বলছি, যে লেখা আছে তা আমার জীবনে অবশ্যই পূর্ণ হবে। হ্যাঁ, আমার সম্পর্কে যা লেখা আছে, তার পূর্ণ হতে চলেছে।”
38 ৩৮ তেতিয়া তেওঁলোকে ক’লে, “হে প্ৰভু, চাওক! ইয়াত দুখন তৰোৱাল আছে।” তেওঁ তেওঁলোকক ক’লে, “সেয়ে যথেষ্ট।”
শিষ্যেরা বললেন, “প্রভু দেখুন, এখানে দুটি তরোয়াল আছে।” তিনি উত্তর দিলেন, “তাই যথেষ্ট।”
39 ৩৯ পাছত তেওঁ বাহিৰলৈ ওলাই, তেওঁৰ নিয়মৰ দৰে জৈতুন পৰ্বতলৈ গ’ল; আৰু শিষ্য সকল তেওঁৰ পাছে পাছে গ’ল।
পরে যীশু সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁর অভ্যাসমতো জলপাই পর্বতে গেলেন এবং তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে অনুসরণ করলেন।
সেই স্থানে উপস্থিত হয়ে তিনি তাঁদের বললেন, “প্রার্থনা করো, যেন তোমরা প্রলোভনে না পড়ো।”
তিনি তাঁদের কাছ থেকে এক-ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করলেন,
42 ৪২ “হে পিতৃ, যদি তোমাৰ ইচ্ছা হয়, তেনেহলে এই দূখৰ পান-পাত্ৰ মোৰ ওচৰৰ পৰা দূৰ কৰা; তথাপি মোৰ ইচ্ছা নহয়, তোমাৰেই ইচ্ছা সিদ্ধ হওক।”
“পিতা, তোমার ইচ্ছা হলে আমার কাছ থেকে এই পানপাত্র সরিয়ে নাও। তবুও আমার ইচ্ছা নয়, তোমারই ইচ্ছা পূর্ণ হোক।”
তখন স্বর্গের এক দূত তাঁর কাছে আবির্ভূত হয়ে তাঁকে শক্তি জোগালেন।
44 ৪৪ পাছত তেওঁ অতি যাতনা পাই বৰকৈ প্ৰাৰ্থনা কৰিব ধৰিলে; আৰু গোট বান্ধি মাটিলৈ বৈ যোৱা তেজৰ নিচিনাকৈ, তেওঁৰ ঘাম তেজময় হৈ গ’ল।
নিদারুণ যন্ত্রণায়, তিনি প্রার্থনায় আরও একাগ্র হলেন; তাঁর ঘাম রক্তের বড়ো বড়ো ফোঁটার মতো মাটিতে ঝরে পড়ছিল।
45 ৪৫ পাছত তেওঁ প্ৰাৰ্থনা কৰি উঠি, শিষ্য সকলৰ ওচৰলৈ আহিল আৰু তেওঁলোকক শোকত ভাগৰি শুই যোৱা দেখি ক’লে,
প্রার্থনা থেকে উঠে তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে গিয়ে দেখলেন, তাঁরা দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন।
তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা ঘুমাচ্ছ কেন? ওঠো, প্রার্থনা করো, যেন তোমরা প্রলোভনে না পড়ো।”
47 ৪৭ তেওঁ কথা কৈ থাকোতেই, বাৰ জন পাঁচনিৰ লগৰ যিহূদাৰ নেতৃত্বত এদল মানুহ আহি সেই ঠাইত উপস্থিত হ’ল। তাতে তেওঁ চুমা খাবলৈ যীচুৰ ওচৰ চাপি গ’ল।
তিনি তখনও কথা বলছেন, এমন সময় একদল লোক উঠে এল আর তাদের সঙ্গে এল সেই বারোজনের অন্যতম যিহূদা। সে তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। সে চুম্বন করার জন্য যীশুর কাছে এগিয়ে এল।
কিন্তু যীশু তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “যিহূদা, তুমি কি চুম্বন করে মনুষ্যপুত্রকে শত্রুদের হাতে সমর্পণ করছ?”
যীশুর অনুগামীরা যখন দেখলেন কী ঘটতে যাচ্ছে, তাঁরা বললেন, “প্রভু, আমাদের তরোয়াল দিয়ে কি আঘাত করব?”
তাঁদের মধ্যে একজন মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার ডানদিকের কান কেটে ফেললেন।
কিন্তু যীশু উত্তর দিলেন, “এমন যেন আর না ঘটে!” আর তিনি সেই লোকটির কান স্পর্শ করে তাকে সুস্থ করে দিলেন।
52 ৫২ তেতিয়া তেওঁৰ বিৰুদ্ধে অহা প্ৰধান পুৰোহিত, মন্দিৰৰ সেনাপতি আৰু পৰিচাৰক সকলক যীচুৱে ক’লে, “যেনেকৈ ডকাইতৰ বিৰুদ্ধে ওলাই আহা, তেনেকৈ মোৰ বিৰুদ্ধেও তোমালোকে তৰোৱাল আৰু টাঙোন লৈ ওলাই আহিলা নে?
আর যে প্রধান যাজকবর্গ, মন্দিরের প্রহরীদলের অধ্যক্ষেরা ও প্রাচীনবর্গ যীশুর উদ্দেশে এসেছিল, তিনি তাদের বললেন, “আমি কি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছি যে, তোমরা তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে এসেছ?
53 ৫৩ যেতিয়া মই নিতৌ তোমালোকৰ লগত মন্দিৰত আছিলোঁ, তেতিয়া তোমালোকে মোৰ বিৰুদ্ধে হাত নেমেলিলা; কিন্তু এয়ে তোমালোকৰ সময় আৰু আন্ধাৰৰ অধিকাৰ।”
আমি মন্দির চত্বরে প্রতিদিনই তোমাদের মধ্যে ছিলাম। তখন তোমরা আমার উপরে হস্তক্ষেপ করোনি। কিন্তু এই হল তোমাদের সুসময়, কারণ এখন অন্ধকারেরই রাজত্ব।”
54 ৫৪ পাছত তেওঁলোকে তেওঁক ধৰি নিলে, আৰু মহা-পুৰোহিতৰ ঘৰলৈ লৈ গ’ল; কিন্তু পিতৰে এক দূৰত্ব ৰাখি পাছে পাছে গ’ল।
তারা তখন যীশুকে বন্দি করল ও তাঁকে মহাযাজকের বাড়িতে নিয়ে গেল। পিতর দূরত্ব বজায় রেখে অনুসরণ করলেন।
কিন্তু উঠানের মাঝখানে তারা যখন আগুন জ্বেলে একসঙ্গে বসল, পিতরও তাদের সঙ্গে বসলেন।
56 ৫৬ তেওঁ বহি থাকোঁতে জুইৰ পোহৰত, কোনো এজনী চাকৰণীয়ে দেখা পাই, তেওঁলৈ একেথৰে চাই ক’লে, “এই মানুহ জনো তেওঁৰ লগত আছিল।”
একজন দাসী আগুনের আলোয় তাঁকে সেখানে বসে থাকতে দেখল। সে তাঁর দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে বলল, “এই লোকটিও ওর সঙ্গে ছিল।”
কিন্তু তিনি অস্বীকার করে বললেন, “নারী, আমি ওঁকে চিনি না।”
58 ৫৮ অলপ সময়ৰ পাছত, আন এজনে তেওঁক দেখা পাই ক’লে, “তুমিও তেওঁলোকৰ মাজৰ এজন।” কিন্তু পিতৰে ক’লে, “হে’ৰা, মই নহওঁ।”
অল্প কিছুক্ষণ পরে আর একজন তাকে দেখে বলল, “তুমিও ওদের একজন।” পিতর বললেন, “ওহে, আমি নই।”
59 ৫৯ প্ৰায় এঘন্টা মানৰ পাছত, আন কোনো এজনে দৃঢ়কৈ ক’লে, “সঁচা, এই মানুহ জনেই তেওঁৰ লগত আছিল; কিয়নো তেওঁ এজন গালীলীয়া।”
প্রায় এক ঘণ্টা পরে আরও একজন দৃঢ়ভাবে বলল, “নিঃসন্দেহে, এই লোকটিও তাঁর সঙ্গে ছিল, কারণ এ একজন গালীলীয়।”
পিতর উত্তর দিলেন, “ওহে, তুমি কী বলছ, আমি বুঝতে পারছি না।” তিনি কথা বলছিলেন, এমন সময় মোরগ ডেকে উঠল।
61 ৬১ তাতে প্ৰভুৱে ঘূৰি পিতৰলৈ চাওতে, এই যি কথা প্ৰভুৱে তেওঁক কৈছিল, ‘কুকুৰাই ডাক দিয়াৰ আগেয়ে, তুমি তিনি বাৰ মোক অস্বীকাৰ কৰিবা৷’
প্রভু মুখ ফিরালেন ও সোজা পিতরের দিকে তাকালেন। তখন প্রভু তাঁকে যে কথা বলেছিলেন, পিতরের তা মনে পড়ল: “আজ মোরগ ডাকার আগেই তুমি আমাকে তিনবার অস্বীকার করবে।”
তখন পিতর বাইরে গিয়ে তীব্র কান্নায় ভেঙে পড়লেন।
যারা যীশুর পাহারায় নিযুক্ত ছিল, তারা তাঁকে বিদ্রুপ ও মারধর করতে লাগল।
তাঁর চোখ বেঁধে দিয়ে তারা জিজ্ঞাসা করল, “ভাববাণী বল দেখি! কে তোকে মারল?”
তারা তাঁকে আরও অনেক অপমানসূচক কথা বলল।
66 ৬৬ পাছত দিন হ’লত, প্ৰধান পুৰোহিত আৰু বিধানৰ অধ্যাপক সকলৰ সৈতে লোক সকলৰ পৰিচাৰক সকল গোট খালে৷ তেওঁলোকে তেওঁক মহাসভালৈ আনিলে,
সকাল হলে সেই জাতির প্রাচীনবর্গ, দুই প্রধান যাজক ও শাস্ত্রবিদদের মন্ত্রণা পরিষদ সমবেত হল। যীশুকে তাদের সামনে হাজির করা হল।
67 ৬৭ তেওঁলোকে ক’লে, “তুমি যদি খ্ৰীষ্ট হোৱা, তেনেহলে আমাক কোৱা।” কিন্তু তেওঁ তেওঁলোকক ক’লে, “যদিও তোমালোকক কওঁ, তথাপি তোমালোকে মোক বিশ্বাস নকৰিবা,
তারা বলল, “তুমি যদি সেই খ্রীষ্ট হও, তাহলে আমাদের বলো।” যীশু উত্তর দিলেন, “আমি তোমাদের বললে তোমরা আমাকে বিশ্বাস করবে না।
আর আমি যদি তোমাদের প্রশ্ন করি, তোমরাও উত্তর দেবে না।
কিন্তু এখন থেকে, মনুষ্যপুত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ডানদিকে উপবিষ্ট থাকবেন।”
70 ৭০ তেতিয়া তেওঁলোকে তেওঁক সুধিলে, “তেনেহলে তুমি ঈশ্বৰৰ পুত্ৰ নে?” যীচুৱে তেওঁলোকক ক’লে, “তোমালোকেই কোৱা যে, মই হওঁ।”
তারা সবাই প্রশ্ন করল, “তাহলে, তুমিই কি ঈশ্বরের পুত্র?” তিনি বললেন, “তোমরা ঠিক কথাই বলছ, আমিই তিনি।”
71 ৭১ তেতিয়া তেওঁলোকে ক’লে, “আমাৰ অন্য সাক্ষ্যৰ কি প্ৰয়োজন আছে? কিয়নো আমি নিজে এওঁৰ মুখৰ পৰাই এতিয়া শুনিলোঁ।”
তখন তারা বলল, “আমাদের আর সাক্ষ্য-প্রমাণের কী প্রয়োজন? আমরা নিজেরাই তো ওর মুখ থেকে একথা শুনলাম।”
