যোহন 6
এর কিছুদিন পর, যীশু গালীল সাগরের (অর্থাৎ, টাইবেরিয়াস সাগরের) দূরবর্তী তীরে, লম্বালম্বি ভাবে পার হলেন।
2 ২ তেতিয়া বহু মানুহৰ এটা দল যীচুৰ পাছে পাছে গ’ল, কাৰণ যীচুৱে ৰোগী সকললৈ যি যি কৰিছিল, সেই সকলো আচৰিত কার্যৰ চিনবোৰ তেওঁলোকে দেখা পাইছিল।
অসুস্থদের ক্ষেত্রে তিনি যে চিহ্নকাজ সাধন করেছিলেন, তার পরিচয় পেয়ে অনেক লোক তাঁকে অনুসরণ করল।
যীশু তখন শিষ্যদের নিয়ে এক পর্বতে উঠলেন ও তাঁদের নিয়ে সেখানে বসলেন।
তখন ইহুদিদের নিস্তারপর্ব উৎসবের সময় এসে গিয়েছিল।
5 ৫ যীচুৱে ওপৰৰ ফালে চাই দেখিলে যে এক বৃহৎ মানুহৰ দল তেওঁৰ ওচৰলৈ আহি আছে। তেতিয়া তেওঁ ফিলিপক সুধিলে, “এওঁলোকক খোৱাবৰ কাৰণে আমি ক’ৰ পৰা পিঠা কিনিবলৈ পাম?”
যীশু চোখ তুলে অনেক লোককে তাঁর দিকে এগিয়ে আসতে দেখে ফিলিপকে বললেন, “এসব লোককে খাওয়াবার জন্য আমরা কোথা থেকে রুটি কিনব।”
তিনি তাঁকে শুধু পরীক্ষা করার জন্যই একথা জিজ্ঞাসা করলেন, কারণ তিনি যে কি করবেন সে সম্পর্কে ইতিমধ্যেই মনস্থির করে ফেলেছিলেন।
7 ৭ ফিলিপে উত্তৰ দিলে, “এওঁলোক প্রত্যেকে যদি অলপকৈয়ো পায়, তথাপি দুশ আধলিৰ পিঠা কিনিলেও যথেষ্ট নহ’ব।”
ফিলিপ তাঁকে উত্তর দিলেন, “প্রত্যেকের মুখে কিছু খাবার দেওয়ার জন্য আট মাসের বেতনের বিনিময়ে কেনা রুটিও পর্যাপ্ত হবে না।”
তাঁর অপর একজন শিষ্য, শিমোন পিতরের ভাই, আন্দ্রিয়কে বললেন,
9 ৯ “ইয়াত এজন সৰু ল’ৰা আছে আৰু তেওঁৰ ওচৰত পাঁচোটা যৱৰ পিঠা আৰু দুটা সৰু মাছ আছে; কিন্তু ইমান মানুহৰ মাজত তাৰে কি হ’ব?”
“এখানে একটি ছেলের কাছে যবের পাঁচটি ছোটো রুটি ও দুটি ছোটো মাছ আছে। কিন্তু এত লোকের মধ্যে ওতে কী হবে?”
10 ১০ যীচুৱে ক’লে, “লোক সকলক বহিবলৈ দিয়া।” সেই ঠাইতে ভালেমান বন আছিল। তেতিয়া সকলো লোক তাৰ ওপৰতে বহিল। তাত পুৰুষৰ সংখ্যাই প্রায় পাঁচ হাজাৰ আছিল।
যীশু বললেন, “লোকদের বসিয়ে দাও।” সেখানে প্রচুর ঘাস ছিল এবং প্রায় পাঁচ হাজার পুরুষ বসে পড়ল।
11 ১১ তাৰ পাছত যীচুৱে সেই পিঠাকেইখন লৈ ঈশ্বৰক ধন্যবাদ দি বহি থকা সকলৰ মাজত ভগাই দিলে। তেনেদৰে তেওঁ পাছত মাছো ভগাই দিলে। যেয়ে যিমান বিচাৰিলে সিমানকৈ পালে।
তখন যীশু রুটিগুলি নিয়ে ধন্যবাদ দিলেন এবং যারা বসেছিলেন তাদের মধ্যে চাহিদামতো ভাগ করে দিলেন। মাছগুলি নিয়েও তিনি তাই করলেন।
12 ১২ তেনেকৈ তেওঁলোক পৰিতৃপ্ত হোৱাৰ পাছত যীচুৱে শিষ্য সকলক ক’লে, “যি টুকুৰাবোৰ বাকী থাকিল, তাৰ একোৱেই যেন নষ্ট নহয়; সেইবোৰ একেলগে গোটাই লোৱা।”
সকলে তৃপ্তি করে খাওয়ার পর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “অবশিষ্ট রুটির টুকরোগুলি এক জায়গায় জড়ো করো। কোনো কিছুই যেন নষ্ট না হয়।”
13 ১৩ তেতিয়া শিষ্য সকলে সেইবোৰ গোটালে আৰু লোক সকলে খোৱাৰ পাছত সেই পাঁচোটা যৱৰ পিঠাৰ যি টুকুৰাবোৰ বাকী থাকিল, সেইবোৰ গোটাই তেওঁলোকে বাৰটা পাচি পূৰ কৰিলে।
তাই তাঁরা সেই পাঁচটি যবের রুটির অবশিষ্ট অংশ সংগ্রহ করলেন। লোকদের খাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া রুটির টুকরোগুলি দিয়ে তাঁরা বারোটি ঝুড়ি পূর্ণ করলেন।
14 ১৪ যীচুৰ এই আচৰিত কার্য দেখি লোক সকলে কবলৈ ধৰিলে, “জগতলৈ যি জন ভাৱবাদী অহাৰ কথা আছে, এওঁ নিশ্চয়ে সেই ভাৱবাদী।”
যীশুর করা এই চিহ্নকাজ দেখে লোকেরা বলতে লাগল, “পৃথিবীতে যাঁর আসার কথা, ইনি নিশ্চয়ই সেই ভাববাদী।”
15 ১৫ যেতিয়া যীচুৱে বুজিলে যে লোক সকলে তেওঁক জোৰ কৰি তেওঁলোকৰ ৰজা পাতিবৰ কাৰণে ধৰি নিবলৈ উদ্যত হৈছে; তেতিয়া তেওঁ আতৰি অকলে সেই পাহাৰলৈ পুণৰ উঠি গ’ল।
যীশু বুঝতে পারলেন যে লোকেরা তাঁকে জোর করে রাজা করতে চায়, তখন তিনি নিজে একটি পাহাড়ে চলে গেলেন।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে তাঁর শিষ্যেরা সাগরের তীরে নেমে গেলেন।
17 ১৭ তেওঁলোকে গৈ এখন নাৱত উঠিল আৰু কফৰনাহূম নগৰৰ ফালে সাগৰ পাৰ হৈ যাবলৈ ধৰিলে। ইতিমধ্যে আন্ধাৰ হৈ গৈছিল, কিন্তু যীচু তেতিয়াও তেওঁলোকৰ ওচৰ আহি নাপালে।
সেখানে একটি নৌকায় উঠে তাঁরা সাগর পার হয়ে কফরনাহূমের উদ্দেশে যাত্রা করলেন। সেই সময় অন্ধকার নেমে এলেও যীশু তখনও তাঁদের কাছে ফিরে আসেননি।
প্রবল বাতাস বইছিল এবং জলরাশি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।
19 ১৯ শিষ্য সকলে নাও বাই প্রায় পাঁচ ছয় কিলোমিটাৰমান যোৱাৰ পাছত দেখিলে, যীচু সাগৰৰ ওপৰেদি খোজকাঢ়ি নাৱঁৰ ওচৰলৈ আহি আছে। তাকে দেখি তেওঁলোকে অতিশয় ভয় খালে।
তাঁরা নৌকা বেয়ে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার এগিয়ে যাওয়ার পর যীশুকে জলের উপর দিয়ে হেঁটে নৌকার দিকে আসতে দেখলেন। তাঁরা ভয় পেলেন।
কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, “এ আমি, ভয় পেয়ো না।”
21 ২১ শিষ্য সকলে যীচুক নাৱত তুলি লবলৈ বিচাৰিলে আৰু তেওঁলোক যি ঠাইলৈ গৈ আছিল, নাও খন তেতিয়াই সেই ঠাই পালেগৈ।
তখন তাঁরা যীশুকে নৌকায় তুলতে আগ্রহী হলেন এবং তাঁরা যেখানে যাচ্ছিলেন নৌকা তাঁদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গেল।
22 ২২ পিছদিনা খনৰ কথা। যি সকল লোক সাগৰৰ আন পাৰত থিয় হৈ আছিল, তেওঁলোকে দেখিছিল যে কেৱল মাত্র এখন নাৱৰ বাহিৰে সেই ঠাইত আন এখনো নাও নাছিল আৰু যীচু তেওঁৰ শিষ্য সকলৰ সৈতে তাত নুঠিল, অকল শিষ্য সকলহে আতৰি গৈছিল।
পরদিন, সাগরের অপর তীরে যারা থেকে গিয়েছিল, তারা বুঝতে পারল যে, আগের দিন সেখানে একটি নৌকা ছাড়া আর অন্য নৌকা ছিল না। যীশু শিষ্যদের সঙ্গে সেই নৌকায় ওঠেননি, বরং শিষ্যেরা নিজেরাই চলে গিয়েছিলেন।
23 ২৩ কিন্তু, প্রভুৱে ধন্যবাদ দিয়াৰ পাছত লোক সকলে যি ঠাইত পিঠা খাইছিল, সেই ঠাইৰ ওচৰতে তিবিৰিয়াৰ পৰা অহা কিছুমান নাও আছিল।
প্রভুর ধন্যবাদ দেওয়ার পর লোকেরা যেখানে রুটি খেয়েছিল, টাইবেরিয়াস থেকে কয়েকটি নৌকা তখন সেই স্থানে এসে পৌঁছাল।
24 ২৪ সেয়ে, লোক সকলে যেতিয়া জানিলে যে যীচু আৰু তেওঁৰ শিষ্য সকল সেই ঠাইত নাই, তেতিয়া তেওঁলোকে সেই নাওবোৰত উঠি যীচুক বিচাৰি কফৰনাহূমলৈ গ’ল।
যীশু বা তাঁর শিষ্যদের কেউই সেখানে নেই বুঝতে পেরে সকলে নৌকায় উঠে যীশুর সন্ধানে কফরনাহূমে গেল।
সাগরের অপর পারে যীশুকে দেখতে পেয়ে তারা জিজ্ঞাসা করল, “রব্বি, আপনি কখন এখানে এলেন?”
26 ২৬ যীচুৱে তেওঁলোকক উত্তৰ দি ক’লে, “মই আপোনালোকক অতি সত্যৰূপে কওঁ, আপোনালোকে আচৰিত চিন দেখিছে কাৰণে নহয়, বৰং পিঠা খাই তৃপ্ত হোৱাৰ কাৰণেহে মোক বিচাৰিছে।
যীশু উত্তর দিলেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমরা চিহ্নকাজ দেখেছিলে বলে যে আমার অন্বেষণ করছ, তা নয়, কিন্তু রুটি খেয়ে তৃপ্ত হয়েছিলে বলেই তোমরা আমার অন্বেষণ করছ।
27 ২৭ ক্ষয়ণীয় আহাৰৰকাৰণে শ্ৰম কৰিবলৈ এৰক; কিন্তু অনন্ত জীৱনলৈকে যি আহাৰ থাকে তাৰ কাৰণে শ্ৰম কৰক। সেই আহাৰ মানুহৰ পুত্ৰই আপোনালোকক দিব; কিয়নো পিতৃ ঈশ্বৰে তেওঁৰ ওপৰত নিজৰ মোহৰমাৰিলে।” (aiōnios g166)
যে খাদ্য নষ্ট হয়ে যায় তার জন্য নয়, বরং অনন্ত জীবনব্যাপী স্থায়ী খাদ্যের জন্য তোমরা পরিশ্রম করো। মনুষ্যপুত্রই তোমাদের সেই খাদ্য দান করবেন। পিতা ঈশ্বর তাঁকেই মুদ্রাঙ্কিত করেছেন।” (aiōnios g166)
তারা তখন জিজ্ঞাসা করল, “ঈশ্বরের কাজ করতে হলে আমাদের কী করতে হবে?”
29 ২৯ যীচুৱে উত্তৰ দিলে, “ঈশ্বৰে যি জনক পঠালে, আপোনালোকে তেওঁত বিশ্বাস কৰাই হৈছে ঈশ্বৰৰ মনোনীত কৰ্ম।”
যীশু উত্তর দিলেন, “ঈশ্বরের কাজ হল এই: তিনি যাঁকে পাঠিয়েছেন, তোমরা তাঁকে বিশ্বাস করো।”
30 ৩০ তেতিয়া তেওঁলোকে তেওঁক সুধিলে, “আমি দেখি বিশ্বাস কৰিবলৈ আপুনি কি এনে কার্য কৰি আচৰিত চিন দেখুৱাব? আপুনি কি কৰ্ম কৰিব?
অতএব, তারা জিজ্ঞাসা করল, “আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি, এমন কী অলৌকিক চিহ্নকাজ আপনি আমাদের দেখাবেন? আপনি কী করবেন?
31 ৩১ আমাৰ পূর্বপুৰুষ সকলে মৰুপ্রান্তত মান্না খাইছিল; যেনেকৈ শাস্ত্রত লিখা আছে, ‘তেওঁ তেওঁলোকক খাবলৈ স্বৰ্গৰ পৰা পিঠা দিলে’।”
‘তিনি খাবারের জন্য স্বর্গ থেকে তাদের খাদ্য দিয়েছিলেন,’ শাস্ত্রে লিখিত এই বচন অনুসারে, আমাদের পূর্বপুরুষেরা মরুপ্রান্তরে মান্না আহার করেছিলেন।”
32 ৩২ যীচুৱে তেওঁলোকক ক’লে, “মই আপোনালোকক সঁচাকৈয়ে কওঁ, স্বর্গৰ পৰা সেই পিঠা মোচিয়ে আপোনালোকক দিয়া নাছিল, কিন্তু মোৰ পিতৃয়েহে আপোনালোকক স্বৰ্গৰ পৰা প্রকৃত পিঠা দিয়ে
যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, মোশি স্বর্গ থেকে তোমাদের সেই খাদ্য দেননি, বরং আমার পিতাই স্বর্গ থেকে প্রকৃত খাদ্য দান করেন।
কারণ যিনি স্বর্গ থেকে নেমে এসে জগৎকে জীবন দান করেন, তিনিই ঈশ্বরীয় খাদ্য।”
তারা বলল, “প্রভু, এখন থেকে সেই খাদ্যই আমাদের দিন।”
35 ৩৫ যীচুৱে তেওঁ তেওঁলোকক ক’লে, “জীৱন দিওঁতা আহাৰ ময়েই; যি জন মোৰ ওচৰলৈ আহে, তেওঁৰ কেতিয়াও ভোক নালাগিব; আৰু যি জনে মোত বিশ্বাস কৰে, তেওঁৰ কেতিয়াও পিয়াহ নালাগিব।
যীশু তখন ঘোষণা করলেন, “আমিই সেই জীবন-খাদ্য। যে আমার কাছে আসে, সে কখনও ক্ষুধার্ত হবে না এবং যে আমাকে বিশ্বাস করে, সে কোনোদিনই পিপাসিত হবে না।
কিন্তু আমি যেমন তোমাদের বলেছি, তোমরা আমাকে দেখেছ অথচ এখনও পর্যন্ত আমাকে বিশ্বাস করোনি।
37 ৩৭ পিতৃয়ে মোক যি সকলক দিছে, তেওঁলোক সকলোৱেই মোৰ ওচৰলৈ আহিব; আৰু মোৰ ওচৰলৈ অহা জনক মই কেতিয়াও বাহিৰ কৰি নিদিম।
পিতা যাদের আমাকে দেন, তাদের সবাই আমার কাছে আসবে, আর যে আমার কাছে আসে, তাকে আমি কখনও তাড়িয়ে দেব না।
38 ৩৮ কিয়নো মই মোৰ নিজৰ ইচ্ছা পূৰ কৰিবলৈ স্বৰ্গৰ পৰা নামি অহা নাই, কিন্তু মোক পঠোৱা জনৰ ইচ্ছা পূৰ কৰিবলৈহে নামি আহিছোঁ।
কারণ আমার ইচ্ছা পূরণের জন্য আমি স্বর্গ থেকে আসিনি, আমি এসেছি যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছা পূরণের জন্য।
39 ৩৯ মোক পঠোৱা জনৰ ইচ্ছা এই যে, তেওঁ মোক যি সকলক দিলে, তেওঁলোকৰ এজনকো যেন মই নেহেৰুৱাও, কিন্তু শেষৰ দিনা তেওঁলোক সকলোকে যেন মই উঠাও।
আর যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা এই যে, তিনি যাদের আমাকে দিয়েছেন, আমি যেন তাদের একজনকেও না হারাই, কিন্তু শেষের দিনে তাদের মৃত্যু থেকে উত্থাপিত করি।
40 ৪০ মোৰ পিতৃৰ ইচ্ছা এই- যি কোনোৱে পুত্ৰক দেখি তেওঁত বিশ্বাস কৰে, তেওঁ যেন অনন্ত জীৱন পায়; আৰু শেষৰ দিনা মই তেওঁক তুলিম।” (aiōnios g166)
কারণ আমার পিতার ইচ্ছা এই, পুত্রের দিকে যে দৃষ্টিপাত করে তাঁকে বিশ্বাস করে, সে যেন অনন্ত জীবন লাভ করে। আর শেষের দিনে আমি তাকে উত্থাপিত করব।” (aiōnios g166)
41 ৪১ পাছত ইহুদী নেতা সকলে যীচুৰ বিষয়ে ভোৰভোৰনি আৰম্ভ কৰিলে; যিহেতু তেওঁ কৈছিল, “স্বৰ্গৰ পৰা নমা আহাৰ ময়েই;”
একথায় ইহুদিরা তাঁর বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করতে লাগল, কারণ তিনি বলেছিলেন, “আমিই সেই খাদ্য, যা স্বর্গলোক থেকে নেমে এসেছে।”
42 ৪২ সেই নেতা সকলে কৈছিল, “এওঁ যোচেফৰ পুতেক যীচু, যাৰ বাপেক-মাকক আমি জানো, সেই জনেই নহয় নে? তেনেহলে ‘মই স্বৰ্গৰ পৰা নামি আহিছোঁ’ এই কথা এতিয়া তেওঁ কেনেকৈ কৈছে?”
তারা বলল, “এ কি যোষেফের পুত্র যীশু নয়, যার বাবা-মা আমাদের পরিচিত? তাহলে কী করে ও এখন বলছে, ‘আমি স্বর্গলোক থেকে নেমে এসেছি’?”
প্রত্যুত্তরে যীশু বললেন, “তোমরা নিজেদের মধ্যে অসন্তোষ দেখিয়ো না।
44 ৪৪ যি জনে মোক পঠাইছে, সেই পিতৃয়ে চপাই নললে, কোনেও মোৰ ওচৰলৈ আহিব নোৱাৰে; আৰু মই শেষৰ দিনা তেওঁক তুলিম।
পিতা, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তিনি আকর্ষণ না করলে কেউ আমার কাছে আসতে পারে না, আর শেষের দিনে আমি তাকে উত্থাপিত করব।
45 ৪৫ ভাববাদী সকলৰ পুস্তকত এই বুলি লিখা আছে, ‘তেওঁলোক সকলোৱে ঈশ্বৰৰ পৰা শিক্ষা লাভ কৰিব।’যি জনে পিতৃৰ পৰা শুনি শিক্ষা পাইছে, তেৱেঁই মোৰ ওচৰলৈ আহে।
ভাববাদীদের গ্রন্থে লেখা আছে, ‘তারা সবাই ঈশ্বরের কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করবে।’ পিতার কথায় যে কর্ণপাত করে এবং তাঁর কাছে শিক্ষা লাভ করে, সে আমার কাছে আসে।
ঈশ্বরের কাছ থেকে যিনি এসেছেন, তিনি ব্যতীত আর কেউ পিতার দর্শন লাভ করেনি, একমাত্র তিনিই পিতাকে দর্শন করেছেন।
আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন লাভ করেছে। (aiōnios g166)
আমিই সেই জীবন-খাদ্য।
তোমাদের পিতৃপুরুষেরা মরুপ্রান্তরে মান্না আহার করেছিল, তবুও তাদের মৃত্যু হয়েছিল।
কিন্তু এখানে স্বর্গ থেকে আগত সেই খাদ্য রয়েছে, কোনো মানুষ তা গ্রহণ করলে তার মৃত্যু হবে না।
51 ৫১ স্বৰ্গৰ পৰা নমা জীৱনময় আহাৰ ময়েই। যদি কোনোৱে এই আহাৰ খায়, তেনেহলে তেওঁ চিৰকাল জীৱ; আৰু জগতৰ জীৱনৰ কাৰণে মই যি আহাৰ দিম, সেয়ে মোৰ মাংস।” (aiōn g165)
আমিই স্বর্গ থেকে নেমে আসা সেই জীবন-খাদ্য। যদি কেউ এই খাদ্যগ্রহণ করে, সে চিরজীবী হবে। আমার মাংসই এই খাদ্য, যা জগতের জীবন লাভের জন্য আমি দান করব।” (aiōn g165)
52 ৫২ এই কথাত ইহুদী সকল খঙত জ্বলি উঠি পৰস্পৰে বাকযুদ্ধত লিপ্ত হৈ ক’লে, “কেনেকৈ এই মানুহ জনে তেওঁৰ দেহৰ মাংস আমাক খাবলৈ দিব পাৰে?”
তখন ইহুদিরা নিজেদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু করল, “এই লোকটি কীভাবে আমাদের খাওয়ার জন্য তাঁর মাংস দান করতে পারে?”
53 ৫৩ যীচুৱে তেওঁলোকক ক’লে, “সঁচাকৈয়ে মই আপোনালোকক কওঁ, মানুহৰ পুত্ৰৰ মাংস নাখালে আৰু তেওঁৰ তেজ পান নকৰিলে, আপোনালোকৰ ভিতৰত জীৱন নাই।
যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমরা যদি মনুষ্যপুত্রের মাংস ভোজন এবং তাঁর রক্ত পান না করো, তোমাদের মধ্যে জীবন নেই।
54 ৫৪ যি কোনোৱে মোৰ মাংস খায়, আৰু মোৰ তেজ পান কৰে, তেওঁৰ অনন্ত জীৱন আছে; আৰু শেষৰ দিনা মই তেওঁক তুলিম। (aiōnios g166)
যে আমার মাংস ভোজন ও আমার রক্ত পান করে, সে অনন্ত জীবন লাভ করেছে এবং শেষের দিনে আমি তাকে উত্থাপিত করব। (aiōnios g166)
কারণ আমার মাংসই প্রকৃত খাদ্য এবং আমার রক্তই প্রকৃত পানীয়।
যে আমার মাংস ভোজন ও আমার রক্ত পান করে, সে আমার মধ্যে থাকে, আর আমি তার মধ্যে থাকি।
57 ৫৭ যেনেকৈ জীৱিত পিতৃয়ে মোক পঠালে আৰু পিতৃৰ কাৰণে মই জীৱিত আছোঁ, তেনেকৈ যি কোনোৱে মোক ভোজন কৰে, তেৱোঁ মোৰ দ্বাৰাই জীয়াই থাকিব।
জীবন্ত পিতা যেমন আমাকে পাঠিয়েছেন এবং আমি যেমন পিতারই জন্য জীবনধারণ করি, আমাকে যে ভোজন করে, সেও তেমনই আমার জন্য জীবনধারণ করবে।
58 ৫৮ স্বৰ্গৰ পৰা নমা আহাৰ এয়েই। পিতৃপুৰুষ সকলে যেনেকৈ খায়ো মৰিল, তাৰ নিচিনা নহয়; যি জনে এই আহাৰ খায়, সেই জন চিৰকাল জীৱ।” (aiōn g165)
এই সেই খাদ্য যা স্বর্গলোক থেকে নেমে এসেছে। তোমাদের পিতৃপুরুষেরা মান্না ভোজন করেছিল, তাদের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু যে এই খাদ্য ভোজন করে, সে চিরকাল জীবিত থাকবে।” (aiōn g165)
কফরনাহূমের সমাজভবনে শিক্ষা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বললেন।
একথা শুনে তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে বললেন, “এ এক কঠিন শিক্ষা। এই শিক্ষা কে গ্রহণ করতে পারে?”
61 ৬১ যীচুৱে নিজৰ মনতে জানিব পাৰিছিল যে তেওঁৰ শিষ্য সকলে এই বিষয়ত বু বু বা বা কৰি আছে; সেয়ে তেওঁ শিষ্য সকলক সুধিলে, “এই কথাত তোমালোকে মনত বিঘিনি পাইছা নেকি?
শিষ্যেরা এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে, জানতে পেরে যীশু তাদের বললেন, “একথায় কি তোমরা আঘাত পেলে?
তাহলে, মনুষ্যপুত্র আগে যে স্থানে ছিলেন সেই স্থানে উন্নীত হতে দেখলে কী বলবে?
63 ৬৩ আত্মাইহে জীৱন দিয়ে। মাংস একো উপকাৰত নাহে; মই তোমালোকক যিবোৰ কথা কৈছোঁ, সেই কথাই আত্মা আৰু জীৱন।
পবিত্র আত্মাই জীবন দান করেন, মাংস কিছু উপকারী নয়। তোমাদের কাছে আমি যেসব কথা বলেছি সেই বাক্যই আত্মা এবং জীবন।
64 ৬৪ কিন্তু তোমালোকৰ মাজত এনে কিছুমান আছে, যি সকলে বিশ্বাস নকৰে।” কিয়নো যীচুৱে আদিৰে পৰা জানিছিল, কোনে কোনে বিশ্বাস নকৰে আৰু কোনে তেওঁক শত্ৰুৰ হাতত শোধাই দিব।
কিন্তু তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আছে, যারা বিশ্বাস করে না।” কারণ প্রথম থেকেই যীশু জানতেন, তাদের মধ্যে কে তাঁকে বিশ্বাস করবে না এবং কে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।
65 ৬৫ তেওঁ পুনৰ ক’লে, “এই কাৰণে মই তোমালোকক কৈছিলোঁ যে, পিতৃয়ে ইচ্ছা নকৰিলে কোনেও মোৰ ওচৰলৈ আহিব নোৱাৰে।”
তিনি বলে চললেন, “এই জন্য আমি তোমাদের বলছি, পিতার কাছ থেকে সামর্থ্য লাভ না করলে, কেউ আমার কাছে আসতে পারে না।”
সেই সময় থেকে বহু শিষ্য ফিরে গেল এবং তারা আর তাঁকে অনুসরণ করল না।
তখন যীশু সেই বারোজন শিষ্যকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরাও কি আমাকে ছেড়ে যেতে চাও?”
68 ৬৮ চিমোন পিতৰে তেওঁক উত্তৰ দিলে, “প্ৰভু, আমি কাৰ ওচৰলৈ যাম? অনন্ত জীৱনৰ কথা আপোনাৰ ওচৰতহে আছে। (aiōnios g166)
শিমোন পিতর তাঁকে উত্তর দিলেন, “প্রভু, আমরা কার কাছে যাব? আপনার কাছেই আছে অনন্ত জীবনের বাক্য। (aiōnios g166)
আমরা বিশ্বাস করি এবং জানি যে, আপনিই ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি।”
70 ৭০ যীচুৱে তেওঁলোকক ক’লে, “মই তোমালোক বাৰ জনক মনোনীত কৰা নাই নে? কিন্তু তোমালোকৰ মাজতো এজন দিয়াবলআছে।”
যীশু তখন বললেন, “তোমাদের এই বারোজনকে কি আমি মনোনীত করিনি? তবুও তোমাদের মধ্যে একজন হচ্ছে এক দিয়াবল।”
71 ৭১ ইয়াত ঈষ্কৰিয়োতীয়া চিমোনৰ পুত্ৰ যিহূদাৰ বিষয়ে কৈছিল; কিয়নো যদিও তেওঁ বাৰ জনৰ মাজৰ এজন আছিল, তথাপি তেৱেঁ পাছত যীচুক শত্ৰুৰ হাতত শোধাই দিছিল।
(একথার দ্বারা তিনি শিমোন ইষ্কারিয়োৎ-এর পুত্র যিহূদার বিষয়ে ইঙ্গিত করলেন। সে বারোজন শিষ্যের অন্যতম হলেও পরবর্তীকালে যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।)
