যোব 37
১“সত্যি, এটাতে আমার হৃদয় কাঁপছে; এটা তার জায়গা থেকে সরে গেছে।
২ওহে শোন, ঈশ্বরের গলার আওয়াজ শোন, সেই আওয়াজ যা তাঁর মুখ থেকে বের হয়।
৩তিনি এটা সমস্ত আকাশের নিচে পাঠান এবং তিনি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাঁর বিদ্যুতের ঝলক পাঠান।
4 ৪ তাৰ পাছত গাজনি মাৰে, তেওঁ নিজৰ মহৎ শব্দেৰে গৰ্জ্জন কৰে; যেতিয়া তেওঁৰ মাত শুনা যায়, তেতিয়াই তেওঁ সেইবোৰক নথমায়।
৪এটার পরে তাঁর স্বর গর্জিত হয়; তাঁর মহিমার রবে তিনি বজ্রধ্বনি করেন; যখন তাঁর রব শোনা যায়, তিনি তাদের বাধা দেন না।
৫ঈশ্বর তাঁর রবে আশ্চর্য্যরূপে গর্জন করেন; তিনি মহান কাজ করেছেন যা আমরা বুঝতে পারি না।
6 ৬ কিয়নো তেওঁ হিমক কয়, ‘তুমি পৃথিবীত পৰা’, সেইদৰে তেওঁ বৰষুণক বৰষিবলৈ কয়, ‘তীব্ৰৰূপ ধৰি বৰষুণ বৰ্ষা’।
৬কারণ তিনি তুষারকে বলেন, পৃথিবীতে পড়, একইভাবে বৃষ্টিকেও বলেন, এক মহা বৃষ্টির ধারা হয়ে পড়তে।
৭তিনি প্রত্যেক মানুষের হাত মুদ্রাঙ্কিত করেন, যাতে সমস্ত মানুষ যাদের তিনি বানিয়েছেন তারা তাঁর কাজ দেখতে পায়।
৮তখন পশুরা লুকাবে এবং তারা তাদের গুহায় থাকবে।
৯দক্ষিণে দিকের ঘর থেকে ঝড় আসে এবং উত্তর দিক থেকে ঝড়ো হাওয়ায় ঠান্ডা আসে।
১০ঈশ্বরের নিঃশ্বাসের দ্বারা বরফ দেওয়া হয়েছে; বিস্তৃত জল ধাতুর মত জমে গেছে।
১১সত্যি, তিনি ঘন মেঘকে জলে ভরেন; তিনি তাঁর বিদ্যুতের ঝলক মেঘের মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে দেন।
12 ১২ গোটেই ভু-মণ্ডলত সেইবোৰে যেন তেওঁৰ আজ্ঞা অনুসাৰে কাৰ্য কৰে, এই কাৰণে সেইবোৰে তেওঁৰ পৰিচালনৰ দ্বাৰাই ঘুৰি ফুৰে।
১২তিনি তাঁর পরিচালনায় মেঘেদের ঘুরান, যাতে তারা তাঁর আদেশ অনুযায়ী কার্য্য করে, সমস্ত পৃথিবীর উপরে করে।
13 ১৩ তেওঁ এইবোৰ হ’বলৈ সৃষ্টি কৰে, সেয়া শাস্তিৰ বাবেই হওক, বা নিজ পৃথিবীৰ বাবেই হওক, নাইবা বিশ্বস্ততাৰ বাবেই হওক, তেওঁ তাক হ’ব দিয়ে।
১৩তিনি এসমস্ত ঘটান, কখনও এটা শাসনের জন্য, কখনও তাঁর নিজের দেশের জন্য এবং কখনও চুক্তির বিশ্বস্ততার জন্য ঘটান।
১৪হে ইয়োব, এটা শুনুন, স্থির হন এবং ঈশ্বরের আশ্চর্য্য কাজের বিষয়ে চিন্তা করুন।
১৫আপনি কি জানেন ঈশ্বর কীভাবে তাঁর ইচ্ছা মেঘেদের উপরে রাখেন এবং বিদ্যুতকে তার মধ্যে তীব্র গতিতে ছোটান?
16 ১৬ কেনেকৈ আকাশত মেঘ ভাহি থাকে, ঈশ্বৰৰ বিস্ময়কৰ কাৰ্যপ্ৰণালীবোৰ তুমি জানানে, জ্ঞানত কোন নিখুত জানানে?
১৬আপনি কি মেঘেদের দোলন বোঝেন, ঈশ্বরের আশ্চর্য্য কাজ বোঝেন, কে জ্ঞানে সিদ্ধ?
17 ১৭ যেতিয়া দক্ষিণ বায়ুৰ দ্বাৰাই পৃথিৱী নিস্তব্ধ হয়, তেতিয়া বস্ত্ৰ কেনেকৈ গৰম যেন বোধ হয় তুমি জানানে?
১৭যখন দক্ষিণী বাতাসের জন্য পৃথিবী স্তব্ধ, তখন কেন আপনার বস্ত্র গরম হয়?
১৮আপনি কি তাঁর মত আকাশকে বাড়াতে পারেন যেমন তিনি পারেন সেই আকাশ, যা ছাঁচে ঢালা আয়নার মত শক্ত?
19 ১৯ আমি তেওঁক কি ক’ম, সেয়া আমাক জনোৱা; কিয়নো আমাৰ যুক্তিৰ উদ্দেশ্যে আমি একো উলিয়াব পৰা নাই, কাৰণ আমাৰ মন অন্ধকাৰত আচ্ছন্ন।
১৯আমাদের শেখান তাঁকে আমরা কি বলব, কারণ আমাদের মনের অন্ধকারের জন্য আমরা আমাদের অভিযোগ রাখতে পারি না।
২০তাঁকে কি বলা হবে যে আমি তার সঙ্গে কথা বলতে চাই? কেউ কি কবলিত হতে চাইবে?
২১যখন বাতাস বয়ে আকাশ পরিষ্কার হয়, তখন লোকেরা আকাশে জ্বলজ্বল করা সূর্য্যের দিকে তাকাতে পারে না।
২২উত্তর দিক থেকে সোনার সমারোহ আসে ঈশ্বরের উপরে ভয়ঙ্কর মহিমা থাকে।
23 ২৩ সৰ্ব্বশক্তিমান জনা আমাৰ তত্ত্বৰ অগম্য, তেওঁ পৰাক্ৰমত মহান; তেওঁ ন্যায় বিচাৰ আৰু ধাৰ্মিকতাৰ বিপৰীত কোনো ৰূপে নকৰে।
২৩সর্বশক্তিমানের সম্বন্ধে, আমরা তাঁকে খুঁজে পেতে পারি না; তিনি পরাক্রম এবং ধার্ম্মিকতায় মহান। তিনি লোকেদের অত্যাচার করেন না।
24 ২৪ এই কাৰণে মানুহে তেওঁলৈ ভয় ৰাখে; কিন্তু যিসকল লোকে নিজৰ মনতে জ্ঞানী বুলি ভাবে, তেনেলোকলৈ তেওঁ মনোযোগ নিদিয়ে।
২৪এই জন্য, লোকেরা তাঁকে ভয় পায়। যারা নিজেদের জ্ঞানী মনে করে তিনি তাদের প্রতি মনোযোগ দেন না।”
