যাত্রাপুস্তক 26
1 ১ তুমি দহখন পৰ্দাৰে আবাস যুগুত কৰিবা; সেই পৰ্দাৰ কাপোৰ কেইখন পকোৱা মিহি শণ সূতা, আৰু নীলা, বেঙুনীয়া, আৰু ৰঙা বৰণীয়া সূতাৰে নিপুণ শিল্পকাৰৰ দ্বাৰাই কৰূবৰ নক্সাৰে তৈয়াৰ কৰিবা।
১আর তুমি দশটি পর্দা দিয়ে একটি পবিত্র সমাগম তাঁবু তৈরী করবে; সেগুলি পাকান সাদা মসীনা এবং নীল, বেগুনে ও লাল সুতো দিয়ে তৈরী করবে; সেই পর্দাগুলি সুনিপুণ করূবদের আকৃতি থাকবে।
২প্রতিটি পর্দার দৈর্ঘ্য আটাশ হাত ও প্রতিটি পর্দা প্রস্থে চার হাত হবে; সব পর্দার পরিমাণ সমান হবে।
৩আর পাঁচটি পর্দার পরস্পর যুক্ত থাকবে এবং অন্য পাঁচটি পর্দা পরস্পর যুক্ত থাকবে।
4 ৪ প্ৰথম জোৰা দিয়া পৰ্দা কেইখনৰ শেষৰ খনৰ চুকত, আৰু দ্বিতীয়তে জোৰা দিয়া পৰ্দা কেইখনৰ শেষৰ খনৰ চুকত নীলা বৰণীয়া জৰীৰ পাক লগাবা।
৪আর জোড়ার জায়গায় প্রথমটির শেষে পর্দার মুড়াতে নীলসূতোর হূকের ঘর তৈরী করে দেবে এবং জোড়ার জায়গার দ্বিতীয়টির শেষে পর্দার মুড়াতেও সেরকম করবে।
5 ৫ সেই প্ৰথম খন পৰ্দাৰ কিনাৰত পঞ্চাশটা জৰীৰ পাক লগাবা, আৰু জোৰা দিয়া দ্বিতীয়খন পৰ্দাৰ শেষৰ কিনাৰতো পঞ্চাশটা জৰীৰ পাক লগাবা। এইদৰে কৰিবা যাতে, জৰীৰ পাক দুশাৰী মুখামুখি হ’ব।
৫প্রথম পর্দাতে পঞ্চাশ হূকের ঘর তৈরী করে দেবে এবং জোড়ার জায়গায় দ্বিতীয় পর্দার মুড়াতেও পঞ্চাশ হূকের ঘর তৈরী করে দেবে; সেই দুটি হূকের ঘর একে অন্যের সম্মুখীন হবে।
6 ৬ সোণৰ পঞ্চাশটা হাঁকোটা গঢ়াই সেই হাঁকোটাৰে কাপোৰ দুখন ইখনৰ সৈতে সিখনক বান্ধিবা; সেইদৰে কৰিলে আবাস একলগ হ’ব।
৬আর পঞ্চাশ সোনার হূক তৈরী করে হূকের ঘরে পর্দাগুলি পরস্পর যুক্ত; তাতে তা একই সমাগম তাঁবু হবে।
7 ৭ সেই আবাস ঢাকিবলৈ তম্বুৰ দৰে ছাগলীৰ নোমেৰে পৰ্দা যুগুত কৰিবা। তুমি এঘাৰখন পৰ্দা যুগুত কৰিব লাগিব।
৭আর তুমি সমাগম তাঁবুর উপরে ঢাকার জন্য ছাগলের লোম দিয়ে পর্দাগুলি তৈরী করবে, এগারটি পর্দা তৈরী করবে।
৮প্রত্যেকটি পর্দার দৈর্ঘ্য ত্রিশ হাত ও প্রত্যেকটি পর্দা প্রস্থে চার হাত হবে; এই এগারতম পর্দাও একই পরিমাণের হবে।
9 ৯ পাঁচখন পৰ্দা ইখনৰ লগত সিখনক জোৰা লগাবা, আৰু আন ছয়খন পৰ্দাও ইখনৰ লগত সিখনক জোৰা লগাবা। তুমি ষষ্ঠ পৰ্দাখন দুতৰপিয়া কৰি তম্বুৰ সন্মুখত থবা।
৯পরে পাঁচটি পর্দা একে অপরের সঙ্গে জোড়া দিয়ে আলাদা করে রাখবে, অন্য ছয়টি পর্দাও আলাদা করে রাখবে এবং এদের ছয়তম পর্দা দ্বিগুন করে সমাগম তাঁবুর সামনে রাখবে।
10 ১০ প্ৰথম জোৰা দিয়া পাঁচখন পৰ্দাৰ শেষৰ খনৰ আউঠিত পঞ্চাশটা জৰীৰ পাক লগাবা, আৰু সেই দৰে জোৰা দিয়া দ্বিতীয়খন পৰ্দাৰ শেষৰ আউঠিতো পঞ্চাশটা জৰীৰ পাক লগাবা।
১০আর জোড় জায়গায় প্রথম পর্দার শেষ মুড়াতে পঞ্চাশ হূকের ঘর তৈরী করে দেবে এবং সংযুক্তব্য দ্বিতীয় পর্দার মুড়াতেও পঞ্চাশ হূকের ঘর তৈরী করে দেবে।
11 ১১ পিতলৰ পঞ্চাশটা হাঁকোটা গঢ়াই, সেই হাঁকোটাৰে জৰীৰ পাক যোৰা দি তম্বু ল’গ লগাবা। তাৰ পাছত তম্বুৰ ঢাকনিৰ দৰে একেলগে যোৰা দিবা, সেয়ে এটাৰ দৰে হ’ব।
১১পরে পিতলের পঞ্চাশটি হূক তৈরী করে হূকের ঘরে তা ঢুকিয়ে তাঁবু সংযুক্ত করবে; তাতে তা একই তাঁবু হবে;
১২সমাগম তাঁবুর পর্দার বেশী অংশ, অর্থাৎ যে অর্ধেক পর্দার বেশী অংশ থাকবে, তা সমাগম তাঁবুর পিছন দিকে ঝুলে থাকবে।
13 ১৩ তম্বুৰ পৰ্দা কেইখনৰ এফালে এহাত দীঘল, আৰু আনফালে এহাত দীঘল হ’ব লাগিব। তম্বুৰ বাকী থকা পৰ্দাৰ দীঘল অংশ আবাসৰ এটা ফালে ওলমি থাকিব লাগিব, আৰু আন ফালৰ ওলমি থকা অংশ আবাস ঢাকি ৰাখিব।
১৩আর সমাগম তাঁবুর পর্দার দৈর্ঘ্য যে অংশ তার একপাশে এক হাত, ও অন্য পাশে এক হাত বেশী থাকবে, তা ঢেকে রাখার জন্য সমাগম তাঁবুর উপরে উভয় পাশে ঝুলে থাকবে।
14 ১৪ তুমি ৰঙা ৰং কৰা মেৰ-ছাগ পোৱালীৰ ছালেৰে তম্বুৰ বাবে এটা আবৰণ যুগুত কৰিবা। তাৰ ওপৰত আন এটা আবৰণ মিহি ছালেৰে যুগুত কৰিবা।
১৪পরে তুমি তাঁবুর জন্য রক্ত বর্ণের ভেড়ার চামড়ার এবং অন্য একটি সুন্দর চামড়ার ছাদ তৈরী করবে।
১৫পরে তুমি সমাগম তাঁবুর জন্য শিটীম কাঠের দাঁড় করানো তক্তা তৈরী করবে।
১৬প্রত্যেক তক্তার দৈর্ঘ্য দশ হাত ও প্রস্থে দেড় হাত হবে।
17 ১৭ প্ৰতিখন তক্তাত একে ধৰণৰ দুটা ভাগ ওলাই থকা হ’ব লাগিব; যাতে ইখন তক্তা সিখন তক্তাৰ লগত যোৰা দিব পাৰি। আবাসৰ কাৰণে এইদৰেই তক্তা তৈয়াৰ কৰিবা।
১৭প্রত্যেক তক্তার একে অপরের সংযুক্ত দুটি করে পায়া থাকবে; এই ভাবে সমাগম তাঁবুর সব তক্তাগুলি তৈরী করবে।
১৮সমাগম তাঁবুর জন্য তক্তা তৈরী করবে, দক্ষিণদিকের দক্ষিণ পাশের জন্য কুড়িটি তক্তা তৈরী করবে।
19 ১৯ সেই বিশখন তক্তাৰ তলত চল্লিশটা ৰূপৰ চুঙী লগাবা, এখন তক্তাৰ তলত দুটা স্তম্ভমূলৰ বাবে দুটা চুঙী, আৰু আনবোৰ তক্তাৰ তলতো দুটা দুটাকৈ স্তম্ভমূলৰ বাবে দুটাকৈ চুঙী লগাবা।
১৯আর সেই কুড়িতম তক্তার নীচে চল্লিশটি রূপার ভিত্তি তৈরী করে দেবে; এক তক্তার নীচে তার দুই পায়ার জন্য দুটি ভিত্তি এবং অন্য অন্য তক্তার নীচেও তাদের দুটি করে পায়ার জন্য দুটি করে ভিত্তি হবে।
২০আবার সমাগম তাঁবুর দ্বিতীয় পাশের জন্য উত্তরদিকে কুড়িটি তক্তা তৈরী করবে;
21 ২১ আৰু সেইবোৰত চল্লিশটা ৰূপৰ চুঙী লগাবা; প্রথম তক্তাৰ তলত দুটা চুঙী, আৰু আনবোৰ তক্তাৰ তলতো দুটাকৈ চুঙী থাকিব।
২১আর সেইগুলির জন্য রূপার চল্লিশটি ভিত্তি; এক তক্তার নীচে দুটি ভিত্তি ও অন্য তক্তাগুলির নীচেও দুটি করে ভিত্তি;
২২আর সমাগম তাঁবুর পিছনের অংশের পশ্চিম দিকের জন্য ছয়টি তক্তা করবে।
২৩আর তাঁবুর সেই পিছনের অংশের দুটি কোণের জন্য দুটি তক্তা করবে।
24 ২৪ প্ৰত্যেক তক্তা তলৰ ফালে খোলা হৈ থাকিব, কিন্তু ওপৰফালে একেডাল আঙঠিতে যোৰা লাগি থাকিব। এইদৰেই পিছফালৰ দুয়োটা চুকৰ বাবেও হ’ব।
২৪সেই দুটি তক্তার নীচে জোড়া হবে এবং সেইভাবে উপরের অংশেও প্রথম কড়ার কাছে জোড় হবে; এই ভাবে পিছনের উভয় কোণেই হবে; তা দুটি কোণের জন্য হবে।
25 ২৫ তাত আঠখন তক্তা ৰূপৰ চুঙীৰ সৈতে একেলগে থাকিব লাগিব। সৰ্ব্বমুঠ ষোল্লটা চুঙী হ’ব লাগিব। প্রথম তক্তাৰ তলত দুটা চুঙী, আৰু আনখন তক্তাৰ তলতো দুটা চুঙী থাকিব। এইদৰে বাকিবোৰ তক্তাতো থাকিব লাগিব।
২৫সেখানে অবশ্যই আটটি তক্তা থাকবে এবং সেগুলি রূপার ভিত্তি ষোলটী হবে; এক তক্তার নীচে দুটি ভিত্তি, ও অন্য তক্তার নীচে দুটি ভিত্তি থাকবে।
২৬আর তুমি শিটীম কাঠের খিল তৈরী করবে,
27 ২৭ আবাসৰ আনফালৰ তক্তাৰ বাবে পাঁচডাল, আৰু আবাসৰ পশ্চিমদিশে থকা পাছফালৰ তক্তাৰ বাবেও পাঁচডাল; চিটীম কাঠৰ পথলি ডাং বনাবা।
২৭সমাগম তাঁবুর এক পাশের তক্তাতে পাঁচটি খিল ও সমাগম তাঁবুর অন্য পাশের তক্তাতে পাঁচটি খিল এবং সমাগম তাঁবুর পশ্চিম দিকের পিছনের দিকের তক্তাতে পাঁচটি খিল দেবে।
২৮এবং মাঝখানের খিল তক্তাগুলির মাঝখান দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যাবে।
29 ২৯ সেই তক্তাবোৰত সোণৰ পতা মাৰিবা, আৰু ডাংবোৰ সুমুউৱাবলৈ, সোণৰ চক্র গঢ়াবা; আৰু ডাংবোৰতো সোণৰ পতা মাৰিবা।
২৯আর ঐ তক্তাগুলি সোনা দিয়ে মুড়ে দেবে এবং খিলের ঘর হবার জন্য সোনার কড়া গড়বে এবং খিলগুলি সোনা দিয়ে মুড়ে দেবে।
৩০সমাগম তাঁবুর জন্য যে পরিকল্পনা পর্বতে তোমাকে দেখান হয়েছিল, সেই অনুসারে তা স্থাপন করবে।
31 ৩১ তুমি নীলা, বেঙুনীয়া, আৰু ৰঙা বৰণীয়া সূতা আৰু পকোৱা মিহি শণ সূতাৰে এখন পৰ্দা যুগুত কৰিবা। সেই পৰ্দা নিপুণ শিল্পকাৰে কৰূবৰ নক্সাৰে তৈয়াৰ কৰিব লাগিব।
৩১আর তুমি নীল, বেগুনে ও লাল এবং পাকান সাদা মসীনা সূতো দিয়ে এক পর্দা তৈরী করবে; তা শিল্পের কাজ হবে, তাতে করুবদের আকৃতি থাকবে।
32 ৩২ তুমি সেই পৰ্দাবোৰ, সোণৰ পতা মৰা চিটীম কাঠৰ চাৰিটা খুটাৰ ওপৰত ওলমাই দিবা। সেই খুটাবোৰৰ হাঁকোটা সোণৰ হ’ব লাগিব, আৰু সেই খুঁটা ৰূপৰ চাৰিটা চুঙীৰ ওপৰত থাকিব।
৩২তুমি তা সোনায় মুড়ান শিটীম কাঠের চার স্তম্ভের উপরে খাটাবে; সেগুলির আঁকড়া সোনা দিয়ে হবে এবং সেগুলি রূপার চারটি ভিত্তির উপরে বসবে।
33 ৩৩ তুমি পৰ্দাবোৰ হাঁকোটাবোৰত ওলমাবা; আৰু তাৰ ভিতৰলৈ নিয়ম চন্দুকৰ সাক্ষ্য ফলি আনিবা। সেই পৰ্দাই পবিত্ৰ-স্থান আৰু অতি পবিত্ৰ-স্থানৰ মাজত প্ৰভেদ ৰাখিব।
৩৩আর হূকগুলির নীচে পর্দা খাটিয়ে দেবে এবং সেখানে পর্দার ভিতরে সাক্ষ্য সিন্দুক আনবে এবং সেই পর্দা ও অতি পবিত্র স্থান থেকে পবিত্র স্থানকে আলাদা করে রাখবে।
৩৪আর অতি পবিত্র জায়গায় সাক্ষ্য-সিন্দুকের উপরে পাপাবরণ রাখবে।
35 ৩৫ মেজখন পৰ্দাৰ বাহিৰত ৰাখিবা, মেজৰ বিপৰীতে আবাসৰ দক্ষিণ ফালে দীপাধাৰ ৰাখিবা, আৰু মেজখন উত্তৰফালে থ’ব লাগিব।
৩৫আর পর্দার বাইরে মেজ রাখবে ও টেবিলের সামনে সমাগম তাঁবুর পাশে, দক্ষিণদিকে বাতিদানি রাখবে এবং উত্তরদিকে টেবিল রাখবে।
36 ৩৬ তম্বুৰ প্রবেশ দুৱাৰৰ বাবে নীলা, বেঙুনীয়া, আৰু ৰঙা বৰণীয়া সূতা আৰু পকোৱা মিহি শণ সূতাৰে ফুল বছা এখন পৰ্দা যুগুত কৰিবা।
৩৬আর সমাগম তাঁবুর ফটকের জন্য নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সুতো তৈরী শিল্পীদের করা একটি পর্দা তৈরী করবে।
37 ৩৭ সেই পৰ্দা ওলমাবলৈ চিটীম কাঠৰ পাঁচটা খুঁটা যুগুত কৰিবা, আৰু সেইবোৰত সোণৰ পতা মাৰিবা। সেইবোৰৰ হাঁকোটা সোণৰ হ’ব; আৰু সেইবোৰৰ বাবে পিতলৰ পাঁচটা চুঙী সাঁচত ঢালিবা।
৩৭আর সেই পর্দার জন্য শিটীম কাঠের পাঁচটি স্তম্ভ তৈরী করে সোনায় মুড়ে দেবে, ও সোনা দিয়ে তার আঁকড়া তৈরী করবে এবং তার জন্য পিতলের পাঁচ ভিত্তি ঢালবে।
