যাত্রাপুস্তক 24
1 ১ যিহোৱাই মোচিক কলে, “তুমি, হাৰোণ, নাদব, অবীহূ, আৰু ইস্ৰায়েলৰ সত্তৰজন পৰিচাৰক মোৰ ওচৰলৈ উঠি আহাঁ; আৰু তোমালোকে দূৰৰে পৰা মোক আৰাধনা কৰা।
১তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তুমি, হারোণ, নাদব, অবীহূ এবং ইস্রায়েলের প্রাচীনবর্গের সত্তর জন, “তোমরা আমার কাছে এসো এবং দূর থেকে আমাকে প্রণাম কর।
2 ২ কেৱল মোচিহে মোৰ ওচৰলৈ আহিব। আন লোকসকল ওচৰলৈ আহিব নালাগে; বা লোকসকল তেওঁৰ লগত ওপৰলৈ উঠি আহিব নালাগে।”
২কেবল মোশি সদাপ্রভুর কাছে আসতে পারে, কিন্তু অন্যরা কাছে আসবে না; আর লোকেরা তার সঙ্গে উপরে উঠবে না।”
3 ৩ তেতিয়া মোচিয়ে গৈ, যিহোৱাৰ সকলো বাক্য আৰু শাসন প্ৰণালীৰ কথা লোকসকলক ক’লে। সকলোৱে একে লগে উত্তৰ দি ক’লে, “যিহোৱাই কোৱা সকলো কথা আমি পালন কৰিম।”
৩তখন মোশি এসে লোকদেরকে সদাপ্রভুর সব বাক্য ও সব শাসনের কথা বললেন, তাতে সব লোক একসঙ্গে উত্তর দিয়ে বলল, “সদাপ্রভু যে যে কথা বললেন, আমরা সবই পালন করব।”
4 ৪ তাৰ পাছত মোচিয়ে যিহোৱাৰ সকলো বাক্য লিখিলে। ৰাতিপুৱাই উঠি, মোচিয়ে পৰ্ব্বতৰ তলত এটা যজ্ঞবেদী আৰু ইস্ৰায়েলৰ বাৰ ফৈদ অনুসাৰে বাৰটা স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ কৰিলে।
৪পরে মোশি সদাপ্রভুর সব বাক্য লিখলেন এবং সকালে উঠে পর্বতের তলে এক যজ্ঞবেদি ও ইস্রায়েলের বারোটি বংশানুসারে বারোটি স্তম্ভ তৈরী করলেন।
5 ৫ তেওঁ ইস্ৰায়েলী লোকসকলৰ মাজৰ কিছুমান যুৱকক যিহোৱাৰ উদ্দেশ্যে হোমবলি আৰু মঙ্গলাৰ্থক বলিস্বৰূপে ভতৰা গৰু উৎসৰ্গ কৰিবলৈ পঠিয়ালে।
৫আর তিনি ইস্রায়েল সন্তানদের যুবকদেরকে পাঠালেন তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমের জন্য ও মঙ্গলের জন্য বলিরূপে ষাঁড়দেরকে বলিদান করল।
৬তখন মোশি তার অর্ধেক রক্ত নিয়ে থালায় রাখলেন এবং অর্ধেক রক্ত বেদির উপরে ছিটিয়ে দিলেন।
7 ৭ তেওঁ নিয়ম-পুস্তকখন ল’লে লোকসকলে শুনাকৈ পাঠ কৰিলে। তেওঁলোকে ক’লে, “যিহোৱাই যি যি সকলো কৈছে, সেই সকলোকে আমি পালন কৰিম, আৰু আমি তেওঁৰ আজ্ঞাধীন হম।”
৭আর তিনি নিয়ম বইটি নিয়ে লোকদের কাছে উচ্চস্বরে পড়লেন; তাতে তারা বলল, “সদাপ্রভু যা যা বললেন, আমরা সবই পালন করব ও বাধ্য হব।”
8 ৮ তাৰ পাছত মোচিয়ে সেই তেজ লৈ, লোকসকলৰ ওপৰত ছটিয়াই দিলে। মোচিয়ে ক’লে, “যিহোৱাই এই সকলো বাক্যৰ সৈতে আপোনালোকক দিয়া প্রতিজ্ঞাৰ যি নিয়ম স্থাপন কৰিলে, এয়ে সেই নিয়মৰ তেজ।”
৮পরে মোশি সেই রক্ত নিয়ে লোকদের উপরে ছিটিয়ে দিয়ে বললেন, দেখ, এই হলো নিয়মের রক্ত, যা সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে এই সব বাক্য সম্বন্ধে স্থির করেছেন।
৯তখন মোশি ও হারোণ, নাদব, ও অবীহূ এবং ইস্রায়েলের প্রাচীনদের মধ্য থেকে সত্তর জন পর্বতে চলে গেলেন;
10 ১০ তেওঁলোকে ইস্ৰায়েলৰ ঈশ্বৰৰ দৰ্শন পালে। নীলা আকাশৰ দৰে স্বচ্ছ নীলকান্ত বাখৰেৰে তৈয়াৰী বাটত তেওঁ থিয় হৈ আছিল।
১০আর তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে দেখলেন; তাঁর চরণতলের জায়গা নীলকান্তমণি দিয়ে তৈরী শিলাস্তরের কার্য্য এবং আকাশের মতই নির্মল ছিল।
11 ১১ ঈশ্বৰে ক্রোধেৰে ইস্ৰায়েলী মুখ্যলোক সকলৰ ওপৰত হাত নিদিলে। তেওঁলোকে ঈশ্বৰৰ দৰ্শন পালে আৰু তেওঁলোকে ভোজন পান কৰিলে।
১১আর ঈশ্বর রাগে ইস্রায়েলের অধ্যক্ষদের উপরে হাত রাখলেন না, বরং তারা ঈশ্বরকে দর্শন করলেন এবং তারা খেলেন ও পান করলেন।
12 ১২ যিহোৱাই মোচিক কলে, “তুমি পৰ্ব্বতলৈ মোৰ ওচৰলৈ উঠি আহাঁ, আৰু তাতে থাকা। মই লিখা ব্যৱস্থা আৰু আজ্ঞাৰ শিলৰ ফলি মই তোমাক দিম; যাতে সেইবোৰ তুমি তেওঁলোকক শিকাব পাৰা।”
১২আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি পর্বতে আমার কাছে উঠে এসো এবং এই জায়গায় থাক, তাতে আমি দুটি পাথরের ফলক এবং আমার লেখা ব্যবস্থা ও আদেশ তোমাকে দেব, যেন তুমি লোকদের শিক্ষা দিতে পার।”
১৩পরে মোশি ও তাঁর পরিচারক যিহোশূয় উঠলেন এবং মোশি ঈশ্বরের পর্বতে উঠলেন।
14 ১৪ মোচিয়ে পৰিচাৰক সকলক ক’লে, “আমি আপোনালোকৰ ওচৰলৈ উভটি নহালৈকে, আপোনালোক ইয়াতে থাকক। হাৰোণ আৰু হূৰ আপোনালোকৰ লগত আছে। কোনো জনৰ যদি কিবা বিবাদ থাকে, তেওঁক তেওঁলোকৰ ওচৰলৈ যাব দিব।”
১৪আর তিনি প্রাচীনদের বললেন, “আমরা যতক্ষণ না তোমাদের কাছে ফিরে না আসি, ততক্ষণ তোমরা আমাদের অপেক্ষায় এই জায়গায় থাক; আর দেখ, হারোণ ও হূর তোমাদের কাছে থাকলেন; যদি কারও কোন বিবাদ থাকে তবে সে তাদের কাছে যাক।”
১৫সুতরাং মোশি যখন পর্বতে উঠলেন তখন পর্বত মেঘে ঢাকা ছিল।
16 ১৬ সেই চীনয় পৰ্ব্বতৰ ওপৰত যিহোৱাৰ প্ৰতাপ স্থাপিত আছিল, আৰু ছয় দিনলৈকে মেঘে পৰ্ব্বত ঢাকি ৰাখিছিল। সপ্তম দিনত তেওঁ মেঘৰ মাজৰ পৰা মোচিক মাতিলে।
১৬আর সীনয় পর্বতের উপরে সদাপ্রভুর প্রতাপ অবস্থিতি করছিল এবং ওটা ছয় দিন মেঘে ঢাকা ছিল; পরে সপ্তম দিনের তিনি মেঘের মধ্য থেকে মোশিকে ডাকলেন।
১৭আর ইস্রায়েলীয়দের চোখে সদাপ্রভুর প্রতাপ পর্বতশৃঙ্গে গ্রাসকারী আগুনের মত প্রকাশিত হল।
১৮আর মোশি মেঘের মধ্যে প্রবেশ করে পর্বতে উঠলেন। মোশি চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত সেই পর্বতে ছিলেন।
