< এস্থার 7 >

1 তাৰ পাছত ৰজা আৰু হামনে ৰাণী ইষ্টেৰৰ ভোজলৈ গ’ল।
পরে রাজা ও হামন দ্বিতীয় বার রাণী ইষ্টেরের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করবার জন্য আসলেন।
2 দ্বিতীয় দিনা তেওঁলোকে যেতিয়া দ্ৰাক্ষাৰস বাকি দি আছিল, তেতিয়া ৰজাই ইষ্টেৰক পুনৰ সুধিলে, “ৰাণী ইষ্টেৰ, তোমাৰ নিবেদন কি? তাক তোমালৈ কৰা হ’ব। তোমাৰ অনুৰোধ কি? যদি ৰাজ্যৰ আধা অংশও তোমাক লাগে তাক দিয়া হ’ব।”
আর রাজা সেই দ্বিতীয় দিনের আঙ্গুর রসের সঙ্গে ভোজের দিনের ইষ্টেরকে আবার বললেন, “ইষ্টের রাণী, তোমার প্রার্থনা কি? তা তোমাকে দেওয়া যাবে এবং তোমার অনুরোধ কি? রাজ্যের অর্ধেক পর্যন্ত হলেও তা সম্পূর্ণ করা যাবে।”
3 তেতিয়া ৰাণী ইষ্টেৰে উত্তৰ দি ক’লে, “মই যদি ৰজাৰ দৃষ্টিত অনুগ্ৰহ পাইছোঁ, আৰু যদি আপুনি ভাল দেখে, তেনেহ’লে মোৰ প্ৰাণ মোক দিয়ক। এয়েই মোৰ নিবেদন আৰু মোৰ লোক সকলৰ বাবেও মই এই অনুৰোধ কৰিছোঁ।
তখন উত্তরে রাণী ইষ্টের বললেন, “মহারাজ, আমি যদি আপনার চোখে দয়া পেয়ে থাকি এবং মহারাজের যদি ভালো মনে হয়, তবে আমার অনুরোধ হল আমার ও আমার জাতির লোকদের প্রাণ রক্ষা করুন,
4 কাৰণ মোক আৰু মোৰ স্বজাতীয় লোকসকলক ধ্বংস, বধ, আৰু বিনষ্ট কৰিবৰ বাবে বিক্রী কৰা হৈছে। আমি যদি কেৱল দাস-দাসী হ’বলৈ বেচা গলোহেঁতেন, তেনেহ’লে মই নিজমে থাকিলো হয়; আৰু ৰজাৰ শান্তি ভংগ কৰাৰ একো প্রয়োজন নহলে হয়।”
কারণ ধ্বংস, হত্যা করবার ও বিনষ্ট করবার জন্যই আমাকে ও আমার জাতির লোকদের বিক্রি করা হয়েছে। যদি আমাদের শুধু দাস ও দাসী হবার জন্য বিক্রিত হতাম, তবে আমি চুপ করেই থাকতাম; কিন্তু তা হলেও মহারাজের ক্ষতিপূরণ করা শত্রুদের সহজ হত না।”
5 তেতিয়া ৰজা অহচবেৰোচে ৰাণী ইষ্টেৰক ক’লে, “তেওঁ কোন হয়? এই কাৰ্য কৰিবলৈ সাহ কৰা জন ক’ত আছে?”
তখন রাজা অহশ্বেরশ রাণী ইষ্টেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কে সে? সেই লোকটি কোথায়? এমন কাজ করার মানসিকতা কার মনে জন্মিয়েছে?”
6 ইষ্টেৰে ক’লে, “সেই দুষ্ট হামনেই বিৰুদ্ধী আৰু শত্ৰু লোক হয়।” তেতিয়া হামনে ৰজা আৰু ৰাণীৰ আগত আতঙ্কিত হ’ল।
ইষ্টের বললেন, “একজন বিপক্ষ ও শত্রু, সেই এই দুষ্ট হামন।” তখন হামন রাজা ও রাণীর সামনে ভীষণ ভয় পেল।
7 তেতিয়া ৰজাই ক্ৰোধত দ্ৰাক্ষাৰস পান কৰাৰ পৰা উঠি গৈ ৰাজপ্রসাদৰ বাগিছাত সোমাল; কিন্তু ৰজাই যে হামনৰ বিৰুদ্ধে অমঙ্গল স্থিৰ কৰিলে সেই কথা হামনে জানিবলৈ পাই, ৰাণী ইষ্টেৰৰ পৰা নিজৰ প্ৰাণ ভিক্ষা কৰিবলৈ তাতে থাকিল।
পরে রাজা রেগে গিয়ে আঙ্গুর রস পান করা থেকে উঠে গিয়ে রাজবাড়ীর বাগানে গেলেন। হামন রাণী ইষ্টেরের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইবার জন্য দাঁড়ালো, কারণ সে দেখল, রাজা থেকে তার অমঙ্গল অবশ্যই।
8 তাৰ পাছত ৰজাই ৰাজপ্রসাদৰ বাগিছাৰ পৰা দ্ৰাক্ষাৰস পান কৰা কোঁঠালিলৈ উভটি আহিল। সেই সময়ত ইষ্টেৰে বহা আসনত হামন পৰি আছিল। ৰজাই ক’লে, “এই ব্যক্তিয়ে মোৰ গৃহত মোৰ সন্মুখত ৰাণীক বলাৎকাৰ কৰিব খুজিছে নেকি? এই কথা ৰজাৰ মুখৰ পৰা ওলোৱাৰ লগে লগে দাসসকলে হামনৰ মুখ ঢাকি ধৰিলে।
পরে রাজবাড়ীর বাগান থেকে রাজা আঙ্গুর রস সহযোগে ভোজের জায়গায় ফিরে আসলেন; তখন ইষ্টের যে আসনে বসে ছিলেন তার উপর হামন পড়ে ছিল; তাতে রাজা বললেন, “এই লোকটা কি ঘরের মধ্যে আমার সামনে রাণীর শ্লীলতাহানি করবে?” এই কথা রাজার মুখ থেকে বের হওয়া মাত্র লোকেরা হামনের মুখ ঢেকে ফেলল।
9 পাছত ৰজাৰ পৰিচৰ্যা কৰা হৰ্বোনা নামেৰে এজন নপুংসকে ক’লে, “যি মৰ্দখয়ে ৰজাৰ পক্ষে হিতজনক সম্বাদ দিছিল, তেওঁৰ বাবে হামনে যুগুত কৰা পঞ্চাশ হাত দীঘল ফাঁচি কাঠডাল হামনৰ ঘৰত পোতা আছে।” ৰজাই ক’লে, “সেই কাঠৰ ওপৰতে ইয়াক ফাঁচি দিয়া হওক।”
পরে হর্বোণা নামে একজন নপুংসক রাজার সামনে এসে বলল, “হামনের বাড়িতে পঞ্চাশ হাত উঁচু একটা ফাঁসিকাঠ রাখা আছে। মর্দখয়, যিনি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য খবর দিয়েছিলেন তাঁর জন্যই হামন ওটা তৈরী করেছিল।” রাজা বললেন, “ওটার উপরে ওকেই ফাঁসি দাও।”
10 ১০ তাতে মৰ্দখয়ৰ বাবে হামনে যুগুত কৰা ফাঁচি কাঠত হামনক ফাঁচি দিয়া হ’ল। তাৰ পাছতহে ৰজাৰ ক্ৰোধ শান্ত হ’ল।
১০তাতে হামন যে ফাঁসিকাঠ মর্দখয়ের জন্য তৈরী করেছিল লোকেরা তার উপরে তাকেই ফাঁসি দিল। তখন রাজার রাগ কমল।

< এস্থার 7 >