১ কৰিন্থীয়া 1
পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর আহূত প্রেরিতশিষ্য ও আমাদের ভাই সোস্থিনি,
2 ২ এই পত্র কৰিন্থত থকা ঈশ্বৰৰ যি মণ্ডলী; খ্রীষ্ট যীচুৱে পবিত্র কৰি যি সকলক পবিত্র লোক হবলৈ আমন্ত্রণ কৰিলে, তেওঁলোকৰ আৰু সকলো ঠাইতে যি সকল লোকে আমাৰ অর্থাৎ তেওঁলোকৰ আৰু আমাৰো প্ৰভু খ্রীষ্ট যীচুৰ নামত প্রার্থনা কৰে, সেই সকলোৰে সমীপলৈ।
করিন্থে অবস্থিত ঈশ্বরের মণ্ডলীর প্রতি, খ্রীষ্ট যীশুতে যাদের শুচিশুদ্ধ ও পবিত্ররূপে আহ্বান করা হয়েছে তাদের প্রতি, সেই সঙ্গে যারা সর্বত্র আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে ডাকে, তাদের সকলের প্রতি; তিনি তাদের ও আমাদেরও প্রভু।
আমাদের পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি বর্তুক।
4 ৪ খ্রীষ্ট যীচুত ঈশ্বৰে যি অনুগ্রহ আপোনালোকক দান কৰিলে, তাৰ কাৰণে মই সদায় মোৰ ঈশ্বৰক ধন্যবাদ দিওঁ।
খ্রীষ্ট যীশুতে যে অনুগ্রহ তোমাদের দেওয়া হয়েছে, সেজন্য আমি প্রতিনিয়ত ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই।
কারণ তাঁতেই তোমরা—তোমাদের সমস্ত কথাবার্তায় ও তোমাদের সমস্ত জ্ঞানে—সর্বতোভাবে সমৃদ্ধ হয়েছ।
6 ৬ তেওঁ আপোনালোকক উপচাই দিছে আৰু এইদৰেই আপোনালোকৰ মাজত খ্রীষ্ট সম্পর্কীয় সাক্ষ্য সত্যৰূপে প্রমাণিত হৈ আছে।
কারণ খ্রীষ্ট সম্পর্কে আমাদের সাক্ষ্য তোমাদের মধ্যে স্বীকৃত হয়েছে।
7 ৭ সেই কাৰণে আপোনালোকৰ আত্মিক বৰৰ কোনো অভাৱ নাই আৰু আমাৰ প্রভু যীচু খ্রীষ্ট প্রকাশিত হোৱা দিনলৈ আপোনালোকে আগ্রহেৰে অপেক্ষা কৰি আছে।
এই কারণে যখন তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশের জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করছ, তোমাদের মধ্যে কোনও আত্মিক বরদানের অভাব ঘটেনি।
8 ৮ তেওঁ আপোনালোকক শেষলৈকে বলৱন্ত কৰিব, যাতে আমাৰ প্রভু যীচু খ্রীষ্টৰ সেইদিন পর্যন্ত আপোনালোক নিৰ্দোষী, পবিত্ৰ হৈ থাকিব।
তিনিই শেষ পর্যন্ত তোমাদের সবল রাখবেন, যেন তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দিনে অনিন্দনীয় থাকতে পারো।
9 ৯ ঈশ্বৰ বিশ্বাসী; তেৱেঁই আপোনালোকক তেওঁৰ পুত্র, আমাৰ প্রভু যীচু খ্রীষ্টৰ সহভাগিতা লাভৰ কাৰণে আমন্ত্রণ কৰিছে।
ঈশ্বর, যিনি তাঁর পুত্র, আমাদের প্রভু, যীশু খ্রীষ্টের সহভাগিতায় তোমাদের আহ্বান করেছেন, তিনি বিশ্বাসযোগ্য।
10 ১০ কিন্তু মোৰ প্রিয় ভাই আৰু ভনী সকল, আমাৰ প্রভু যীচু খ্রীষ্টৰ নামত মই আপোনালোকক বিনয় কৰোঁ যে, আপোনালোকৰ পৰস্পৰৰ মাজত যেন মতৰ মিল থাকে; আপোনালোকৰ মাজত কোনো বিভেদ নাথাকক। আপোনালোক সকলোৰে যেন একে মন আৰু এক উদ্দেশ্য হয়।
ভাইবোনেরা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাদের কাছে নিবেদন করছি, তোমরা সকলে পরস্পর অভিন্নমত হও, যেন তোমাদের মধ্যে কোনোরকম দলাদলি না হয় এবং তোমরা যেন মনে ও চিন্তায় সম্পূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকো।
11 ১১ মোৰ ভাই-ভনী সকল, মই ক্লোয়ীৰ ঘৰৰ লোক সকলৰ পৰা শুনিবলৈ পাইছো যে, আপোনালোকৰ মাজত নানা বাক-বিতণ্ডা হৈ আছে।
আমার ভাইবোনরা, ক্লোয়ীর পরিজনদের মধ্যে কয়েকজন আমাকে এই সংবাদ দিয়েছে যে, তোমাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ আছে।
12 ১২ এতিয়া মই এই কথা কবলৈ বিচাৰিছোঁ যে, আপোনালোক প্রতিজনে কয় “মই পৌলৰ দলৰ” অথবা “মই আপল্লোৰ দলৰ” নাইবা “মই কৈফাৰ” বা “মই খ্রীষ্টৰ দলৰ।”
আমি যা বলতে চাই, তা হল এই: তোমাদের মধ্যে একজন বলে, “আমি পৌলের অনুসারী,” অন্য একজন বলে, “আমি আপল্লোর অনুসারী,” আরও একজন বলে, “আমি কৈফার অনুসারী”; এছাড়াও অন্য একজন বলে, “আমি খ্রীষ্টের অনুসারী।”
13 ১৩ তেনেহলে খ্রীষ্টক ভাগ কৰা হৈছে নেকি? পৌলক জানো আপোনালোকৰ কাৰণে ক্রুচত দিয়া হৈছিল? আপোনালোকে জানো পৌলৰ নামেৰে বাপ্তিস্ম লৈছিল?
খ্রীষ্ট কি বিভাজিত হয়েছেন? পৌল কি তোমাদের জন্য ক্রুশবিদ্ধ হয়েছে? তোমরা কি পৌলের নামে বাপ্তাইজিত হয়েছ?
14 ১৪ মই ঈশ্বৰৰ ধন্যবাদ কৰোঁ যে ক্ৰীষ্প আৰু গায়ৰ বাহিৰে আপোনালোকৰ আন কোনো এজনকো মই বাপ্তিস্ম দিয়া নাই।
আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ যে, ক্রীষ্প ও গায়ো ছাড়া তোমাদের মধ্যে আমি কাউকে বাপ্তিষ্ম দিইনি,
তাই কেউই বলতে পারে না যে, তোমরা আমার নামে বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করেছ।
16 ১৬ অৱশ্যে হয়, স্তিফানাৰ পৰিবাৰৰ লোক সকলকো মই বাপ্তিস্ম দিছোঁ। এওঁলোকৰ বাহিৰে আন কোনো এজনক বাপ্তিস্ম দিছোঁ বুলি মোৰ মনত নপৰে।
(হ্যাঁ, আমি স্তেফানার পরিজনদেরও বাপ্তিষ্ম দিয়েছি, এছাড়া আর কাউকে যে আমি বাপ্তিষ্ম দিয়েছি, তা আমার মনে পড়ে না।)
17 ১৭ কিয়নো খ্রীষ্টই মোক বাপ্তিস্ম দিবৰ কাৰণে নহয়, কিন্তু শুভবার্তা প্রচাৰ কৰিবৰ কাৰণেহে পঠাইছে। খ্রীষ্টৰ ক্ৰুচৰ পৰাক্রম যেন বিফল নহয়, সেয়ে তেওঁ মোক এই শুভবার্তা মানুহৰ জ্ঞানেৰেও প্রচাৰ কৰিবলৈ পঠোৱা নাই।
কারণ খ্রীষ্ট আমাকে বাপ্তিষ্ম দেওয়ার জন্য পাঠাননি, কিন্তু সুসমাচার প্রচারের জন্য—কিন্তু তা মানবিক জ্ঞানের বাক্য দিয়ে নয় কারণ এতে খ্রীষ্টের ক্রুশের পরাক্রম ক্ষুণ্ণ হয়।
18 ১৮ বিনাশৰ পথত চলা লোক সকললৈ ক্ৰুচৰ শিক্ষা মূর্খতা। কিন্তু ঈশ্বৰে পৰিত্ৰাণ কৰা যি আমি, আমালৈ ই ঈশ্বৰৰ শক্তিস্বৰূপ।
কারণ যারা ধ্বংস হচ্ছে সেই ক্রুশের বার্তা তাদের কাছে মূর্খতা, কিন্তু আমরা যারা পরিত্রাণ লাভ করছি, এই বাক্য হল ঈশ্বরের পরাক্রমস্বরূপ।
কারণ একথা লেখা আছে: “আমি জ্ঞানীদের জ্ঞান নষ্ট করব, বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি ব্যর্থ করব।”
20 ২০ কিন্তু জ্ঞানী লোক ক’ত? পণ্ডিত লোকেই বা ক’ত? এই জগতৰ তার্কিক লোক বা ক’ত? ঈশ্বৰে জানো জগতৰ জ্ঞানক মূর্খতালৈ পৰিণত কৰা নাই? (aiōn g165)
জ্ঞানবান মানুষ কোথায়? বিধানের শিক্ষকই বা কোথায়? এই যুগের দার্শনিক কোথায়? ঈশ্বর কি জগতের জ্ঞানকে মূর্খতায় পরিণত করেননি? (aiōn g165)
21 ২১ সেয়ে ঈশ্বৰৰ নিজ জ্ঞানত যেতিয়া জনিলে যে জগতে নিজৰ জ্ঞানেৰে ঈশ্বৰক নাজানিলে, তেতিয়া প্রচাৰৰ মূর্খতাৰ দ্বাৰাই যি সকলে বিশ্বাস কৰে, সেই সকলক উদ্ধাৰ কৰাত ঈশ্বৰ সন্তুষ্ট হ’ল।
কারণ, যেহেতু ঈশ্বরের জ্ঞান অনুসারে জগৎ তার জ্ঞানে তাঁকে জানতে পারেনি, তাই যা প্রচারিত হয়েছিল সেই মূর্খতার মাধ্যমে যারা বিশ্বাস করে ঈশ্বর তাদের পরিত্রাণ দিতে প্রীত হলেন।
ইহুদিরা অলৌকিক বিভিন্ন চিহ্ন দাবি করে এবং গ্রিকেরা জ্ঞানের খোঁজ করে,
23 ২৩ কিন্তু আমি হ’লে ক্রুচত হত হোৱা খ্রীষ্টৰ সম্বন্ধেহে প্রচাৰ কৰোঁ। ইহুদী লোক সকললৈ এই কথা এক বিঘিনি স্বৰূপ আৰু গ্রীক সকলৰ ওচৰত মূর্খতাস্বৰূপ।
কিন্তু আমরা ক্রুশবিদ্ধ খ্রীষ্টকে প্রচার করি; তিনি ইহুদিদের কাছে প্রতিবন্ধকতাস্বরূপ ও অইহুদিদের কাছে মূর্খতাস্বরূপ।
24 ২৪ কিন্তু ইহুদী লোকেই হওক বা গ্রীক লোকেই হওক, ঈশ্বৰে যি সকলক আমন্ত্রণ কৰিছে, আমি তেওঁলোকৰ ওচৰত খ্রীষ্টক ঈশ্বৰৰ শক্তি আৰু জ্ঞানস্বৰূপে প্রচাৰ কৰোঁ।
কিন্তু ইহুদি ও গ্রিক নির্বিশেষে, ঈশ্বর যাদের আহ্বান করেছেন, তাদের কাছে খ্রীষ্টই হলেন ঈশ্বরের পরাক্রম ও ঈশ্বরের জ্ঞান।
25 ২৫ কাৰণ ঈশ্বৰৰ যি মূর্খতা, সেয়া মানুহৰ জ্ঞানতকৈ অধিক জ্ঞানসম্পন্ন আৰু ঈশ্বৰৰ যি দুর্বলতা, সেয়া মানুহৰ শক্তিতকৈ অধিক শক্তিশালী।
কারণ ঈশ্বরের মূর্খতা মানুষের জ্ঞান থেকেও বেশি জ্ঞানসম্পন্ন এবং ঈশ্বরের দুর্বলতা মানুষের শক্তি থেকেও বেশি শক্তিশালী।
26 ২৬ ভাই-ভনী সকল, ঈশ্বৰে যে আপোনালোকক আহ্বান কৰিছে, সেই বিষয়ে অলপ ভাৱি চাওক। মানুহৰ বিচাৰত আপোনালোক বহুতেই জ্ঞানী আছিল, এনে নহয়; ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিও যে আছিল, এনে নহয় নাইবা অনেকে যে অভিজাত বংশত জন্মিছিল, তেনেও নহয়।
ভাইবোনেরা, ভেবে দেখো, যখন তোমাদের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা কী ছিলে? মানবিক মানদণ্ড অনুসারে, তোমরা অনেকেই জ্ঞানী ছিলে না; অনেকেই প্রভাবশালী ছিলে না; অনেকেই অভিজাত বংশীয় ছিলে না।
27 ২৭ কিন্তু ঈশ্বৰে জ্ঞানৱন্তক লাজ দিবলৈ জগতৰ মূর্খবোৰক মনোনীত কৰিলে আৰু বলৱন্তক লাজ দিবলৈ ঈশ্বৰে জগতৰ দুর্বলবোৰক মনোনীত কৰিলে।
কিন্তু ঈশ্বর জগতের মূর্খ বিষয়গুলি মনোনীত করলেন, যেন জ্ঞানীদের লজ্জা দেন; ঈশ্বর জগতের দুর্বল বিষয়গুলি মনোনীত করলেন, যেন শক্তিসম্পন্ন বিষয়গুলিকে লজ্জিত করেন।
28 ২৮ জগতত যি তুচ্ছ আৰু ঘৃণিত, যাৰ কোনো মূল্যই নাই, সেই সকলক ঈশ্বৰে মনোনীত কৰিলে যাতে জগতৰ মূল্যৱান সকলক তেওঁ মূল্যহীন কৰিব পাৰে।
তিনি জগতের যা কিছু নিচুস্তরের, যা কিছু তুচ্ছ, আবার যেসব বিষয় কিছুই নয়, সেইসব বিষয় মনোনীত করলেন, যেন যা কিছু আছে সেগুলিকে নাকচ করেন,
যেন কোনো মানুষ তাঁর সামনে গর্ব করতে না পারে।
30 ৩০ কাৰণ ঈশ্বৰৰ কার্যৰ দ্বাৰাই আপোনালোক এতিয়া খ্রীষ্ট যীচুৰ লগত যুক্ত হ’ল। খ্রীষ্টই হৈছে আমাৰ বাবে ঈশ্বৰে দিয়া জ্ঞান, তেৱেঁই আমাৰ জীৱনৰ ধাৰ্মিকতা, পবিত্রতা আৰু মুক্তি।
তাঁরই কারণে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি আমাদের জন্য হয়েছেন ঈশ্বর থেকে জ্ঞান—অর্থাৎ, আমাদের ধার্মিকতা, পবিত্রতা ও মুক্তি।
অতএব, যেমন লেখা আছে, “যে গর্ব করে, সে প্রভুতেই গর্ব করুক।”
