< زَكَريّا 1 >

فِي الشَّهْرِ الثَّامِنِ مِنَ السَّنَةِ الثَّانِيَةِ لِحُكْمِ دَارِيُّوسَ أَوْحَى الرَّبُّ بِهَذِهِ الْكَلِمَةِ إِلَى النَّبِيِّ زَكَرِيَّا بْنِ بَرَخِيَّا بْنِ عِدُّو قَائِلاً: ١ 1
দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের অষ্টম মাসে, সদাপ্রভুর বাক্য বেরিখিয়ের ছেলে ভাববাদী সখরিয়ের কাছে এল, বেরিখিয় ছিল ইদ্দোর ছেলে।
«لَقَدْ غَضِبَ الرَّبُّ أَشَدَّ الْغَضَبِ عَلَى آبَائِكُمْ. ٢ 2
“সদাপ্রভু তোমার পূর্বপুরুষদের উপর ভীষণ রেগে ছিলেন।
وَلَكِنْ قُلْ لَهُمْ، هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ: ارْجِعُوا إِلَيَّ فَأَرْجِعَ إِلَيْكُمْ، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ. ٣ 3
অতএব লোকদের বলো, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন ‘আমার দিকে ফেরো,’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, ‘আর আমিও তোমাদের দিকে ফিরব,’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
وَلا تَكُونُوا كَآبَائِكُمُ الَّذِينَ نَادَاهُمُ الأَنْبِيَاءُ السَّالِفُونَ قَائِلِينَ: هَكَذَا يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ، ارْجِعُوا عَنْ طُرُقِكُمُ الْبَاطِلَةِ وَأَعْمَالِكُمُ الشِّرِّيرَةِ، وَلَكِنَّهُمْ لَمْ يَسْمَعُوا وَلَمْ يُصْغُوا إِلَيَّ، يَقُولُ الرَّبُّ. ٤ 4
তোমাদের পূর্বপুরুষদের মতো হোয়ো না, যাদের কাছে আগেকার ভাববাদীরা ঘোষণা করেছিল সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন ‘তোমাদের মন্দ পথ এবং তোমাদের মন্দ অভ্যাস থেকে ফেরো।’ কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি বা মনোযোগ দেয়নি, এই কথা সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।
أَيْنَ هُمْ آبَاؤُكُمْ؟ وَهَلْ يَحْيَا الأَنْبِيَاءُ إِلَى الأَبَدِ؟ ٥ 5
তোমাদের পূর্বপুরুষেরা এখন কোথায়? তারা এবং ভাববাদীরা কি চিরকাল বেঁচে থাকে?
وَلَكِنْ أَلَمْ تُدْرِكْ أَقْوَالِي وَفَرَائِضِي الَّتِي أَمَرْتُ بِها عَبِيدِي الأَنْبِيَاءَ آبَاءَكُمْ فَتَابُوا قَائِلِينَ: لَقَدْ نَفَّذَ الرَّبُّ الْقَدِيرُ مَا عَزَمَ أَنْ يُعَاقِبَنَا بِمُقْتَضَى مَا ارْتَكَبْنَاهُ مِنْ أَعْمَالٍ بَاطِلَةٍ؟» ٦ 6
কিন্তু আমি আমার দাস ভাববাদীদের যেসব আদেশ দিয়েছিলাম, আমার সেই বাক্য এবং আদেশ অনুসারে কি তোমাদের পূর্বপুরুষেরা করেনি? “তখন তারা মন ফিরিয়ে বলেছিল, ‘সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু আমাদের পথ এবং অভ্যাসের জন্য যা প্রাপ্য তাই তিনি আমাদের প্রতি করেছেন, যেমন তিনি করতে মনস্থির করেছিলেন।’”
وَفِي الْيَوْمِ الرَّابِعِ وَالْعِشْرِينَ مِنَ الشَّهْرِ الْحَادِي عَشَرَ، أَيْ شَهْرِ شَبَاطَ الْعِبْرِيِّ، مِنَ السَّنَةِ الثَّانِيَةِ لِحُكْمِ دَارِيُّوسَ أَوْحَى الرَّبُّ بِهَذِهِ الْكَلِمَةِ إِلَى النَّبِيِّ زَكَرِيَّا بْنِ بَرَخِيَّا بْنِ عِدُّو قَائِلاً: ٧ 7
দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের এগারো মাসের, অর্থাৎ শবাট মাসের, চব্বিশ দিনের দিন সদাপ্রভুর বাক্য বেরিখিয়ের ছেলে ভাববাদী সখরিয়ের কাছে এল, বেরিখিয় ছিল ইদ্দোর ছেলে।
شَاهَدْتُ فِي رُؤْيَا اللَّيْلِ وَإذَا بِرَجُلٍ يَمْتَطِي فَرَساً أَحْمَرَ اللَّوْنِ يَقِفُ بَيْنَ أَشْجَارِ الآسِ الْمُتَوَارِيَةِ فِي الْوَادِي، وَخَلْفَهُ رِجَالٌ رَاكِبُونَ عَلَى خَيْلٍ حُمْرٍ وَشُقْرٍ وَبِيضٍ. ٨ 8
রাতের বেলায় আমি একটি দর্শন দেখলাম, এবং আমি দেখলাম একজন লোক একটি লাল ঘোড়ায় চড়ে আছে। সে একটি খাদের ভিতরে মেদি গাছগুলির মধ্যে দাঁড়িয়েছিল। তার পিছনে লাল, বাদামি এবং সাদা ঘোড়া ছিল।
فَسَأَلْتُ: «مَنْ هَؤُلاءِ يَا سَيِّدِي؟» فَأَجَابَنِي الْمَلاكُ الَّذِي كَلَّمَنِي: «أَنَا أُخْبِرُكَ مَنْ هَؤُلاءِ». ٩ 9
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “হে আমার প্রভু, এগুলি কী?” যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি আমাকে বললেন, “সেগুলি কী তা আমি তোমাকে দেখাব।”
قَالَ الْفَارِسُ الْوَاقِفُ بَيْنَ الآسِ: «هَؤُلاءِ هُمُ الَّذِينَ أَوْفَدَهُمُ الرَّبُّ لِيَجُولُوا فِي الأَرْضِ». ١٠ 10
তখন যে লোকটি মেদি গাছগুলির মধ্যে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি ব্যাখ্যা করলেন, “সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখবার জন্য সদাপ্রভু এগুলিকে পাঠিয়েছেন।”
عِنْدَئِذٍ قَالَ رَاكِبُو الْجِيَادِ لِلْمَلاكِ الْوَاقِفِ بَيْنَ الآسِ: «قَدْ جُلْنَا فِي الأَرْضِ، فَإِذَا بِها كُلِّهَا آمِنَةٌ مُطْمَئِنَّةٌ». ١١ 11
আর সদাপ্রভুর যে দূত মেদি গাছগুলির মধ্যে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকে ঘোড়াসওয়ারেরা বলল, “আমরা সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখলাম যে, সমগ্র জগতে সুস্থিরতা ও শান্তি বিরাজমান।”
فَقَالَ الْمَلاكُ: «إِلَى مَتَى أَيُّهَا الرَّبُّ الْقَدِيرُ لَا تُشْفِقُ عَلَى أُورُشَلِيمَ وَمُدُنِ يَهُوذَا الَّتِي سُخْطْتَ عَلَيْهَا طَوَالَ هَذِهِ السَّبْعِينَ سَنَةً؟» ١٢ 12
তখন সদাপ্রভুর দূত বললেন, “সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু, তুমি জেরুশালেম ও যিহূদার নগরগুলির উপর এই যে সত্তর বছর অসন্তুষ্ট হয়ে রয়েছ তাদের উপর আর কত কাল তুমি মমতা না করে থাকবে?”
فَأَجَابَ الرَّبُّ الْمَلاكَ الَّذِي كَلَّمَنِي، بِعِبَارَاتٍ طَيِّبَةٍ مُعَزِّيَةٍ. ١٣ 13
তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন সদাপ্রভু তাঁকে অনেক মঙ্গলের ও সান্ত্বনার কথা বললেন।
ثُمَّ خَاطَبَنِي الْمَلاكُ قَائِلاً: «نَادِ، هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ: إِنِّي قَدْ غِرْتُ عَلَى أُورُشَلِيمَ وَعَلَى صِهْيَوْنَ غَيْرَةً عَظِيمَةً. ١٤ 14
তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি আমাকে বললেন, “তুমি এই কথা ঘোষণা করো: সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন ‘জেরুশালেম ও সিয়োনের জন্য আমি অন্তরে খুব উদ্যোগী হয়েছি,
وَلَكِنَّ غَضَبِي مُتَأَجِّجٌ عَلَى الأُمَمِ الْمُتَنَعِّمَةِ. لَقَدِ اغْتَظْتُ قَلِيلاً مِنْ شَعْبِي إِلّا أَنَّهُمْ زَادُوا مِنْ فَوَاجِعِهِمْ. ١٥ 15
কিন্তু নিশ্চিন্তে থাকা জাতিগুলির উপরে আমি ভীষণ অসন্তুষ্ট হয়েছি। আমি কেবল অল্প অসন্তুষ্ট হয়েছিলাম, কিন্তু জাতিরা তাদের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।’
لِذَلِكَ يَقُولُ الرَّبُّ سَأَرْجِعُ إِلَى أُورُشَلِيمَ بِفَيْضٍ مِنَ الْمَرَاحِمِ، فَيُبْنَى هَيْكَلِي فِيهَا وَتَعْمُرُ أُورُشَلِيمُ، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ. ١٦ 16
“অতএব, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি জেরুশালেমকে মমতা করার জন্য ফিরে আসব, এবং সেখানে আবার আমার গৃহ পুনর্নির্মিত হবে। আর জেরুশালেম নির্মাণের জন্য মাপ নেওয়া হবে,’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন।
وَاهْتِفْ أَيْضاً قَائِلاً: هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ: سَتَفِيضُ مُدُنِي خَيْراً ثَانِيَةً، وَيَرْجِعُ الرَّبُّ فَيُعَزِّي صِهْيَوْنَ وَيَصْطَفِي أُورُشَلِيمَ». ١٧ 17
“আরও ঘোষণা করো: সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমার নগরগুলি আবার মঙ্গলে উপচে পড়বে, এবং সদাপ্রভু আবার সিয়োনকে সান্ত্বনা দেবেন এবং জেরুশালেমকে মনোনীত করবেন।’”
ثُمَّ رَفَعْتُ نَظَرِي وَإذَا بِي أَرَى أَرْبَعَةَ قُرُونٍ. ١٨ 18
তারপর আমি চোখ তুলে দেখলাম, আর সেখানে আমার সামনে চারটি শিং ছিল!
فَقُلْتُ لِلْمَلاكِ: «مَا هَذِهِ؟» فَأَجَابَ: «هَذِهِ هِيَ الْقُرُونُ الَّتِي بَدَّدَتْ أَهْلَ يَهُوذَا وَإِسْرَائِيلَ وَأُورُشَلِيمَ». ١٩ 19
যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “এগুলি কি?” তিনি উত্তর দিলেন, “এগুলি সেই শিং যা যিহূদা, ইস্রায়েল এবং জেরুশালেমকে ছিন্নভিন্ন করেছে।”
وَأَرَانِي الرَّبُّ أَرْبَعَةَ صُنَّاعٍ، ٢٠ 20
সদাপ্রভু তারপর আমাকে চারজন কারিগরকে দেখালেন।
فَسَأَلْتُ: «مَا الَّذِي جَاءَ يَفْعَلُهُ هَؤُلاءِ الرِّجَالُ؟» فَأَجَابَ: «هَذِهِ هِيَ الْقُرُونُ (أَيِ الأُمَمُ) الَّتِي بَدَّدَتْ أَهْلَ يَهُوذَا حَتَّى ذَلَّتْ كُلُّ نَفْسٍ. أَمَّا هَؤُلاءِ الصُّنَّاعُ فَقَدْ أَقْبَلُوا لِيُوْقِعُوا الرُّعْبَ فِي نُفُوسِ الأُمَمِ الَّتِي هَاجَمَتْ أَرْضَ يَهُوذَا لِيَطْرُدُوا أَهْلَهَا». ٢١ 21
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “এরা কী করতে আসছে?” তিনি উত্তর দিলেন, “সেই শিংগুলি হল সেইসব জাতির শক্তি যারা যিহূদার লোকদের এমনভাবে ছিন্নভিন্ন করেছে যে, তারা কেউ মাথা তুলতে পারেনি, কিন্তু সেইসব জাতিকে ভয় দেখাবার জন্য ও তাদের শক্তি ধ্বংস করবার জন্য এই কারিগরেরা এসেছে।”

< زَكَريّا 1 >