< زَكَريّا 8 >
وَأَوْحَى الرَّبُّ الْقَدِيرُ إِلَيَّ بِهَذِهِ الْكَلِمَةِ: | ١ 1 |
১বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং তিনি বললেন,
«هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ: إِنِّي أَغَارُ عَلَى صِهْيَوْنَ غَيْرَةً عَظِيمَةً مُفْعَمَةً بِغَضَبٍ شَدِيدٍ عَلَى أَعْدَائِهَا. | ٢ 2 |
২“বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘সিয়োনের জন্য আমি প্রবল আগ্রহে আগ্রহী এবং তার প্রতি আমি প্রচণ্ড ক্রোধে ভীষণভাবে জ্বলছি!’
لِهَذَا يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ: هَا أَنَا عَائِدٌ إِلَى صِهْيَوْنَ لأُقِيمَ فِي أُورُشَلِيمَ، فَتُدْعَى آنَئِذٍ مَدِينَةَ الْحَقِّ، كَمَا يُدْعَى جَبَلُ الرَّبِّ الْقَدِيرِ الْجَبَلَ الْمُقَدَّسَ. | ٣ 3 |
৩বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন, ‘আমি সিয়োনে ফিরে গিয়েছি এবং আমি যিরূশালেমের মধ্য বাস করব, কারণ যিরূশালেমকে সত্যের শহর এবং বাহিনীদের সদাপ্রভুর পর্বত বলে ডাকা হবে, পবিত্র পর্বত বলা হবে’!”
وَيَعُودُ الشُّيُوخُ مِنْ رِجَالٍ وَنِسَاءٍ، مِمَّنْ يَتَّكِئُونَ عَلَى عِصِيِّهِمْ لِفَرْطِ كِبَرِ أَعْمَارِهِمْ، فَيَجْلِسُونَ فِي شَوَارِعِ أُورُشَلِيمَ. | ٤ 4 |
৪“বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন, ‘যিরূশালেমের রাস্তায় আবার বৃদ্ধ পুরুষদের ও বৃদ্ধ মহিলাদের দেখা যাবে এবং প্রত্যেক পুরুষদের হাতে লাঠির প্রয়োজন হবে কারণ তাদের বয়স অনেক হয়েছে।
وَتَكْتَظُّ طُرُقَاتُهَا بِالأَوْلادِ وَالْبَنَاتِ اللّاعِبِينَ فِيهَا. | ٥ 5 |
৫এবং অনেক ছেলে ও মেয়ে শহরের রাস্তাগুলি পরিপূর্ণ করবে ও তারা সেই রাস্তাগুলিতে খেলা করবে’!”
فَإِنْ كَانَ هَذَا الأَمْرُ عَجِيباً فِي أَعْيُنِ الْبَقِيَّةِ النَّاجِيَةِ مِنْ هَذَا الشَّعْبِ، أَيَكُونُ عَجِيباً فِي عَيْنَيِ الرَّبِّ؟ | ٦ 6 |
৬“বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন, ‘সেই দিনের যদি সেই সমস্ত অবশিষ্ট লোকদের চোখে কোনো কিছু অসম্ভব বলে মনে হয়, তবে কি তা আমার চোখেও অসম্ভব বলে মনে হবে’?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
هَا أَنَا أُنْقِذُ شَعْبِي الْمَنْفِيَّ فِي أَرْضِ الْمَشْرِقِ أَوْ فِي الْمَغْرِبِ. | ٧ 7 |
৭বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন যে, দেখ যিনি সূর্য্য উদয়ের স্থান থেকে ও সূর্য্য অস্ত যাওয়ার স্থান থেকে আমার লোকদের উদ্ধার করেন!
وَأَرُدُّهُمْ إِلَى أُورُشَلِيمَ لِيَسْكُنُوا فِيهَا، وَيَكُونُونَ لِي شَعْباً وَأَنَا أَكُونُ لَهُمْ إِلَهاً بِالْحَقِّ وَالْعَدْلِ. | ٨ 8 |
৮কারণ আমি তাদের ফিরিয়ে আনব এবং তারা যিরূশালেমে বাস করবে, তারা আবার আমার লোক হবে এবং সত্য ও ধার্ম্মিকতায় আমি তাদের ঈশ্বর হব!
وَلْتَتَشَدَّدْ أَيْدِيكُمْ أَنْتُمْ يَا مَنْ تَسْمَعُونَ هَذِهِ الْكَلِمَاتِ الَّتِي نَطَقَ بِها الأَنْبِيَاءُ الَّذِينَ كَانُوا حَاضِرِينَ عِنْدَ إِرْسَاءِ أَسَاسِ هَيْكَلِ الرَّبِّ الْقَدِيرِ لإِعَادَةِ بِنَائِهِ، | ٩ 9 |
৯“বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন যে, ‘তোমাদের হাতকে শক্তিশালী করো, তোমরা যারা এখন শুনতে পাচ্ছ সেই একই কথা যা ভাববাদীদের মুখ থেকেও বের হয়ে এসেছিল যখন বাহিনীদের সদাপ্রভুর গৃহের ভিত্তি গাঁথা হচ্ছিল, যেন তারা সেই মন্দিরকে গাঁথতে পারে।
فَإِنَّهُ قَبْلَ تِلْكَ الأَيَّامِ لَمْ تُدْفَعْ أُجْرَةٌ لِرَجُلٍ أَوْ بَهِيمَةٍ، وَلَمْ يَكُنْ هُنَاكَ مَنْ يَأْمَنُ عَلَى نَفْسِهِ مِنْ أَعْدَائِهِ فِي ذِهَابِهِ وَإِيَابِهِ، لأَنَّنِي أَثَرْتُ كُلَّ وَاحِدٍ ضِدَّ صَاحِبِهِ. | ١٠ 10 |
১০কারণ সেই দিনের র আগে কোনো মানুষের বেতন কিম্বা পশুর পারিশ্রমিকের জন্য ভাড়া দিত না। ভিতরে প্রবেশ করতে কিম্বা বাইরে যাওয়ার জন্য সেখানে শত্রুদের থেকে কোনো শান্তি ছিল না। আমি প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে রেখেছিলাম।
أَمَّا الآنَ فَلَنْ أَتَعَامَلَ مَعَ بَقِيَّةِ شَعْبِي النَّاجِيَةِ كَمَا تَعَامَلْتُ مَعَهُ فِي الأَيَّامِ الْغَابِرَةِ، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ. | ١١ 11 |
১১কিন্তু এখন এটি আর আগেকার দিনের র মত হবে না; আমি অবশিষ্ট এই লোকদের সঙ্গে থাকব’!” এটি বাহিনীদের সদাপ্রভুর ঘোষণা।
بَلْ يَزْرَعُونَ فِي سَلامٍ، فَتُعْطِي الْكُرُومُ ثَمَرَهَا وَالأَرْضُ غَلّاتِهَا، وَتَجُودُ السَّمَاءُ بِأَمْطَارِهَا، وَأُوَرِّثُ بَقِيَّةَ هَذَا الشَّعْبِ النَّاجِيَةَ كُلَّ هَذِهِ. | ١٢ 12 |
১২“‘সেখানে শান্তির বীজ বপন করা হবে। বেয়ে ওঠা আঙ্গুরের লতা তার ফল দেবে এবং মাটিও তার ফল দেবে। আকাশ শিশির দেবে। কারণ আমি এই অবশিষ্ট লোকদের অধিকার হিসাবে এই সমস্ত কিছু দেব।
وَكَمَا كُنْتُمْ لَعْنَةً بَيْنَ الأُمَمِ يَا أَبْنَاءَ يَهُوذَا وَإِسْرَائِيلَ، فَإِنَّنِي أُخَلِّصُكُمْ فَتُصْبِحُونَ بَرَكَةً. لَا تَجْزَعُوا، بَلْ تَشَجَّعُوا. | ١٣ 13 |
১৩এটি সেই রকম হবে যে, যেমন সমস্ত জাতিদের কাছে তুমি অভিশাপের উদাহরণস্বরূপ ছিলে, হে যিহূদার কুল ও ইস্রায়েলের কুল, এখন আমি তোমাদের উদ্ধার করব এবং তোমরা আশির্বাদ পাবে। ভয় পেয়ো না, কিন্তু তোমাদের হাত শক্তিশালী হোক’!”
لأَنَّهُ هَكَذَا يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ، كَمَا وَطَّدْتُ الْعَزْمَ أَنْ أُعَاقِبَكُمْ بِالشَّرِّ عِنْدَمَا أَثَارَ آبَاؤُكُمْ سَخَطِي، وَلَمْ أَرْجِعْ عَنْ عَزْمِي، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ، | ١٤ 14 |
১৪“কারণ বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘যেমনভাবে আমি তোমাদের অমঙ্গল করার পরিকল্পনা করেছিলাম যখন তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমার ক্রোধকে বাড়িয়ে দিয়েছিল, মোন ফেরায় নি, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
فَإِنِّي عُدْتُ أَيْضاً فَقَضَيْتُ فِي هَذِهِ الأَيَّامِ أَنْ أُحْسِنَ إِلَى أُورُشَلِيمَ وَإِلَى شَعْبِ يَهُوذَا. فَلا تَجْزَعُوا. | ١٥ 15 |
১৫তাই আমিও এখন ফিরে যাব এবং আবার যিরূশালেম ও যিহূদার কুলের প্রতি মংগল করার পরিকল্পনা করব! ভয় পেয়ো না!
وَهَذَا مَا عَلَيْكُمْ أَنْ تَفْعَلُوهُ: لَا تَكْذِبُوا بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ، وَاحْكُمُوا فِي سَاحَاتِ قَضَائِكُمْ بِالْعَدْلِ وَأَحْكَامِ السَّلامِ. | ١٦ 16 |
১৬এই সমস্ত বিষয় যা তোমরা অবশ্যই করবে, প্রত্যেক ব্যক্তি, তার প্রতিবেশীর কাছে সত্যি বলবে। নগরের দরজায় সততা, ন্যায়ে ও শান্তিতে বিচার করবে।
لَا يُضْمِرْ أَحَدُكُمْ شَرّاً فِي قَلْبِهِ لِقَرِيبِهِ، وَلا تَحْلِفُوا يَمِينَ زُورٍ، فَإِنَّ هَذِهِ جَمِيعَهَا مَقَتُّهَا، يَقُولُ الرَّبُّ». | ١٧ 17 |
১৭এবং কেউ যেন তার হৃদয়ে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মন্দ চিন্তা না করে, এমনকি মিথ্যা শপথ যেন না ভালবাসে; কারণ আমি এই সমস্ত বিষয় ঘৃণা করি’।” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
ثُمَّ أَوْحَى الرَّبُّ إِلَيَّ بِكَلِمَتِهِ قَائِلاً: | ١٨ 18 |
১৮তখন বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং তিনি বললেন,
«هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ: إِنَّ أَصْوَامَكُمُ فِي الشُّهُورِ الرَّابِعِ وَالْخَامِسِ وَالسَّابِعِ وَالْعَاشِرِ سَتَكُونُ مَوَاسِمَ ابْتِهَاجٍ وَفَرَحٍ وَأَعْيَادٍ سَعِيدَةٍ يَتَمَتَّعُ بِها شَعْبُ يَهُوذَا، لِهَذَا أَحِبُّوا الْحَقَّ وَالسَّلامَ. | ١٩ 19 |
১৯“বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, চতুর্থ মাসের উপবাস, পঞ্চম মাসের উপবাস, সপ্তম মাসের উপবাস ও দশম মাসের উপবাস যিহূদা কুলের জন্য আনন্দ ও খুশীর এবং মঙ্গলের হবে। তাই সত্য ও শান্তিকে ভালবাসো।”
وَسَتَأْتِي شُعُوبٌ أَيْضاً وَأَفْوَاجٌ مِنْ سُكَّانِ مُدُنٍ كَثِيرَةٍ إِلَى أُورُشَلِيمَ. | ٢٠ 20 |
২০বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, লোকেরা আবার ফিরে আসবে, এমনকি যারা অন্যান্য শহরে বাস করে তারাও আসবে।
وَيَمْضِي أَهْلُ الْمَدِينَةِ الْوَاحِدَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ الأُخْرَى قَائِلِينَ: هَيَّا نَذْهَبْ عَلَى الْفَوْرِ لِنَطْلُبَ رِضَى وَجْهِ الرَّبِّ الْقَدِيرِ وَنَلْتَمِسَ بَرَكَتَهُ، لأَنَّنَا عَلَى أَيِّ حَالٍ مُنْطَلِقُونَ إِلَى هُنَاكَ. | ٢١ 21 |
২১এক শহরের বাসিন্দারা অন্য শহরে গিয়ে বলবে, সদাপ্রভুর দয়া ভিক্ষা করতে এবং বাহিনীদের সদাপ্রভুকে খুঁজতে চল আমরা তাড়াতাড়ি যাই! আমি নিজেও যাব!
فَتَتَوَافَدُ أُمَمٌ كَثِيرَةٌ وَشُعُوبٌ قَوِيَّةٌ لِيَلْتَمِسُوا وَجْهَ الرَّبِّ الْقَدِيرِ فِي أُورُشَلِيمَ وَلِيَحْظَوْا بِرِضَاهُ. | ٢٢ 22 |
২২অনেক লোকেরা ও বিভিন্ন শক্তিশালী জাতি যিরূশালেমে আসবে বাহিনীদের সদাপ্রভুকে খুঁজতে এবং সদাপ্রভুর দয়া ভিক্ষা করতে আসবে।
فِي تِلْكَ الأَيَّامِ يَتَشَبَّثُ عَشَرَةُ رِجَالٍ مِنْ أَبْنَاءِ الأُمَمِ بِثَوْبِ رَجُلٍ يَهُودِيٍّ قَائِلِينَ: دَعْنَا نَذْهَبُ مَعَكُمْ، لأَنَّنَا سَمِعْنَا أَنَّ الرَّبَّ مَعَكُمْ». | ٢٣ 23 |
২৩বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, সেই দিনের সমস্ত জাতি থেকে নানা ভাষার মধ্য থেকে দশ জন লোক তোমাদের পোশাকের অংশ ধরে বলবে, “চল, আমরা তোমাদের সঙ্গে যাই, কারণ আমরা শুনেছি যে, ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে আছেন।”