< زَكَريّا 5 >
وَعُدْتُ وَرَفَعْتُ عَيْنَيَّ وَإذَا بِي أُشَاهِدُ دَرْجاً طَائِراً. | ١ 1 |
পরে আমি আবার তাকালাম, আর দেখলাম আমার সামনে একটি উড়ন্ত গুটানো চামড়ার পুঁথি!
فَسَأَلَنِي الْمَلاكُ: «مَاذَا تَرَى؟» فَأَجَبْتُ: «أَرَى دَرْجاً طَائِراً، طُولُهُ عِشْرُونَ ذِرَاعاً (نَحْوَ عَشَرَةِ أَمْتَارٍ) وَعَرْضُهُ عَشْرُ أَذْرُعٍ (نَحْوَ خَمْسَةِ أَمْتَارٍ)». | ٢ 2 |
তিনি আমায় জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কী দেখছ?” আমি উত্তর দিলাম, “আমি ত্রিশ ফুট লম্বা ও পনেরো ফুট চওড়া একটি উড়ন্ত গুটানো চামড়ার পুঁথি দেখছি।”
فَقَالَ لِي: «هَذِهِ هِيَ اللَّعْنَةُ الْمُنْصَبَّةُ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ كُلِّهَا. كُلُّ مَنْ يَسْرِقُ يُسْتَأْصَلُ بِمُقْتَضَى مَا هُوَ مُدَوَّنٌ فِيهَا، وَكُلُّ حَالِفِ زُورٍ يُعَاقَبُ بِمُوْجِبِ مَا هُوَ مَنْصُوصٌ فِيهَا». | ٣ 3 |
তিনি আমাকে আবার বললেন, “এটি হল সেই অভিশাপ যা সমস্ত দেশের উপর পড়বে; কারণ একদিকে যা লেখা আছে সেই অনুসারে, সব চোরেরা নির্বাসিত হবে, এবং অন্য দিকের কথা অনুসারে, মিথ্যা শপথকারীরা নির্বাসিত হবে।
وَيَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ: «إِنِّي أَصُبُّ هَذِهِ اللَّعْنَةَ عَلَى بَيْتِ كُلِّ سَارِقٍ أَوْ حَالِفٍ بِاسْمِي زُوراً، فَتَحُلُّ فِي وَسَطِ بَيْتِهِ وَتُبِيدُهُ مَعَ خَشَبِهِ وَحَجَرِهِ». | ٤ 4 |
সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, ‘আমি তাকে বের করে আনব, এবং সে চোরেদের বাড়িতে ও আমার নামে মিথ্যা শপথকারীদের বাড়িতে ঢুকবে। সে সেই বাড়িতে থেকে কাঠ ও পাথর শুদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করবে।’”
ثُمَّ قَالَ لِي الْمَلاكُ الَّذِي كَلَّمَنِي: «ارْفَعْ عَيْنَيْكَ وَانْظُرْ إِلَى هَذَا الشَّيْءِ الْمُقْبِلِ». | ٥ 5 |
পরে সেই স্বর্গদূত যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি এগিয়ে এসে আমাকে বললেন, “তুমি উপরে তাকিয়ে দেখো কী আসছে।”
فَسَأَلْتُ: «مَا هَذَا؟» فَأَجَابَ: «إِنَّهُ مِكْيَالٌ، وَهُوَ رَمْزُ إِثْمِهِمْ فِي الأَرْضِ كُلِّهَا». | ٦ 6 |
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “ওটি কী?” তিনি উত্তর দিলেন, “এটি ঐফা।” আর তিনি আরও বললেন, “এটি সমস্ত দেশে তাদের অধর্ম।”
وَمَا لَبِثَ أَنْ رُفِعَ الْغِطَاءُ الرَّصَاصِيُّ مِنْ عَلَى فُوَّهَتِهِ، وَإذَا بِامْرَأَةٍ جَالِسَةٍ فِي دَاخِلِ الْمِكْيَالِ. | ٧ 7 |
তারপর সীসার ঢাকনি তোলা হল, আর ঐফার মধ্যে একজন স্ত্রীলোক বসেছিল!
فَقَالَ لِي: «هَذِهِ هِيَ رَمْزُ الشَّرِّ»، وَأَلْقَى بِها إِلَى دَاخِلِ الْمِكْيَالِ، وَأَلْقَى الْغِطَاءَ الثَّقِيلَ عَلَى فُوَّهَتِهِ. | ٨ 8 |
তিনি বললেন, “এ হল দুষ্টতা,” এই বলে তিনি সেই স্ত্রীলোকটিকে ঐফার মধ্যে ঠেলে দিয়ে ঐফার মুখে সীসার ঢাকনিটা চেপে দিলেন।
ثُمَّ نَظَرْتُ مَرَّةً أُخْرَى فَرَأَيْتُ امْرَأَتَيْنِ مُقْبِلَتَيْنِ لَهُمَا أَجْنِحَةٌ كَأَجْنِحَةِ اللَّقْلَقِ، مَحْمُولَتَيْنِ عَلَى أَمْوَاجِ الرِّيحِ، فَرَفَعَتَا الْمِكْيَالَ وَحَلَّقَتَا بِهِ بَيْنَ الأَرْضِ وَالسَّمَاءِ. | ٩ 9 |
তারপর আমি উপরে তাকালাম, আর দেখলাম আমার সামনে দুজন স্ত্রীলোক, তাদের ডানায় বাতাস ছিল! তাদের ডানা ছিল সারস পাখির ডানার মতো, এবং তারা পৃথিবী ও আকাশের মাঝখানে সেই ঐফাকে উঠিয়ে নিয়ে গেল।
فَسَأَلْتُ الْمَلاكَ الَّذِي كَلَّمَنِي: «إِلَى أَيْنَ مَضَتَا بِالْمِكْيَالِ؟» | ١٠ 10 |
যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “তারা ঐফা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?”
فَأَجَابَنِي: «إِلَى أَرْضِ شِنْعَارَ لِتُشَيِّدَا لَهُ هَيْكَلاً حَتَّى إِذَا تَمَّ بِنَاؤُهُ يَسْتَقِرُّ الْمِكْيَالُ فِيهِ عَلَى قَاعِدَتِهِ». | ١١ 11 |
তিনি উত্তর দিলেন, “তার জন্য বাড়ি তৈরি করতে ব্যাবিলন দেশে নিয়ে যাচ্ছে। সেটা যখন প্রস্তুত হবে; ঐফাকে তার জায়গায় বসানো হবে।”