< زَكَريّا 4 >
وَرَجَعَ مَلاكُ الرَّبِّ الَّذِي يُكَلِّمُنِي وَأَيْقَظَنِي كَمَا يُوْقَظُ رَجُلٌ مِنْ نَوْمِهِ، | ١ 1 |
১পরে যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি ফিরে এলেন এবং কাউকে ঘুম থেকে জাগানোর মত করে, আমাকে জাগালেন।
وَسَأَلَنِي: «مَاذَا تَرَى؟» فَأَجَبْتُ: «أَرَى مَنَارَةً مَصُوغَةً كُلُّهَا مِنْ ذَهَبٍ، عَلَى رَأْسِهَا صَحْنٌ قَائِمٌ، عَلَيْهِ سَبْعَةُ سُرُجٍ، مُتَّصِلَةٍ بِسَبْعِ أَنَابِيبَ مِنْ أَعْلَى | ٢ 2 |
২তিনি আমাকে বললেন, “তুমি কি দেখতে পাচ্ছ?” আমি বললাম, “আমি একটা সোনার বাতিদান দেখতে পাচ্ছি যার মাথায় রয়েছে একটা পাত্র, সেই বাতিদানের উপরে সাতটি প্রদীপ ও প্রত্যেকটি প্রদীপে সাতটি সলতে রাখবার জায়গা।
يَنْتَصِبُ إِلَى جِوَارِهَا زَيْتُونَتَانِ إِحْدَاهُمَا عَنْ يَمِينِ الصَّحْنِ وَالأُخْرَى عَنْ يَسَارِهِ». | ٣ 3 |
৩তার কাছে আছে দুইটি জিতবৃক্ষ, ডানদিকে একটা ও বাঁদিকে আর একটা।”
ثُمَّ سَأَلْتُ الْمَلاكَ: «مَا هَذِهِ يَا سَيِّدِي؟» | ٤ 4 |
৪আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “হে আমার প্রভু, এগুলো কি?”
فَأَجَابَنِي: «أَلَمْ تَعْلَمْ مَا هَذِهِ؟» فَقُلْتُ: «لا يَا سَيِّدِي». | ٥ 5 |
৫তাতে যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি আমাকে বললেন, “এগুলো কি তা কি তুমি জান না?” আমি বললাম, “হে আমার প্রভু, আমি জানি না।”
فَقَالَ: «هَذِهِ رِسَالَةُ الرَّبِّ إِلَى زَرُبَّابِلَ: لَا بِالْقُدْرَةِ وَلا بِالْقُوَّةِ، وَلَكِنْ بِرُوحِي تُفْلِحُونَ يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ. | ٦ 6 |
৬তখন তিনি আমাকে বললেন, সরুব্বাবিলের প্রতি সদাপ্রভুর এই বাক্য, শক্তি দিয়ে নয় ক্ষমতা দিয়েও নয়, কিন্তু আমার আত্মা দিয়েই, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
أَيُّ شَيْءٍ أَنْتَ أَيُّهَا الْجَبَلُ الْعَظِيمُ؟ أَنْتَ سَهْلٌ أَمَامَ زَرُبَّابِلَ، وَسَيَضَعُ زَرُبَّابِلُ حَجَرَ الزَّاوِيَةِ فِي خِضَمِّ هُتَافِ الْقَائِلِينَ: لِيُبَارِكْهُ، لِيُبَارِكْهُ الرَّبُّ». | ٧ 7 |
৭হে বিরাট পাহাড়, তুমি কে? সরুব্বাবিলের সামনে তুমি সমভূমি হবে এবং সে চিৎকার করে অনুগ্রহ, এর প্রতি অনুগ্রহ বলতে বলতে সেই প্রধান পাথরটি বার করে নিয়ে আসবে।
ثُمَّ أَوْحَى الرَّبُّ إِلَيَّ بِكَلِمَتِهِ قَائِلاً: | ٨ 8 |
৮তারপর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল,
«قَدْ أَسَّسَتْ يَدَا زَرُبَّابِلَ هَذَا الْهَيْكَلَ، وَيَدَاهُ تُكَمِّلانِ بِنَاءَهُ، فَتُدْرِكُ أَنَّ الرَّبَّ الْقَدِيرَ قَدْ أَرْسَلَنِي إِلَيْكُمْ. | ٩ 9 |
৯সরুব্বাবিলের হাত এই মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করেছে; তার হাতই সেটা শেষ করবে। তাতে তুমি জানতে পারবে যে, বাহিনীদের সদাপ্রভুই তোমাদের কাছে আমাকে পাঠিয়েছেন।
مَنْ يَزْدَرِي بِيَوْمِ الإِنْجَازَاتِ الصَّغِيرَةِ؟ يَفْرَحُ الرِّجَالُ حِينَ يُشَاهِدُونَ مِيزَانَ الْبِنَاءِ فِي يَدِ زَرُبَّابِلَ، وَهَذِهِ السَّبْعَةُ هِيَ أَعْيُنُ الرَّبِّ الْجَائِلَةُ فِي كُلِّ الأَرْضِ». | ١٠ 10 |
১০কে ক্ষুদ্র বিষয়ের দিন কে তুচ্ছ করেছে? কিন্তু সরুব্বাবিলের হাতে ওলনদড়িটা দেখে সেই সাতটি প্রদীপ আনন্দ করবে, এগুলি সদাপ্রভুর চোখ যা সারা পৃথিবী প্রদক্ষিণে করে।
ثُمَّ سَأَلْتُهُ: «مَا هَاتَانِ الزَّيْتُونَتَانِ الْقَائِمَتَانِ عَنْ يَمِينِ الْمَنَارَةِ وَعَنْ يَسَارِهَا؟ | ١١ 11 |
১১তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ঐ বাতিদানের ডানদিকে ও বাঁদিকে যে দুইটি জিতবৃক্ষ আছে সেগুলো কি?”
وَمَا غُصْنَا الزَّيْتُونِ هَذَانِ الْمُنْتَصِبَانِ إِلَى جُوَارِ أُنْبُوبَتَيِ الذَّهَبِ، اللَّتَيْنِ تَصُبَّانِ الزَّيْتَ الذَّهَبِيَّ؟» | ١٢ 12 |
১২দ্বিতীয়বার তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ঐ দুইটি জিতবৃক্ষের ডাল যা দুইটি সোনালী নলের পাশে আছে এবং যার মধ্যে দিয়ে সোনালী তেল বার হয়ে আসছে, ঐ ডালগুলোর অর্থ কি?”
فَأَجَابَنِي: «أَلا تَعْلَمُ مَا هَاتَانِ؟» فَقُلْتُ: «لا يَا سَيِّدِي». | ١٣ 13 |
১৩তখন তিনি উত্তর দিয়ে বললেন, “তুমি কি জান না ঐ দুইটির অর্থ কি?” আমি বললাম, “হে আমার প্রভু, জানি না।”
فَقَالَ: «هَاتَانِ تُمَثِّلانِ الْمَمْسُوحَيْنِ بِالزَّيْتِ اللَّذَيْنِ يَمْثُلانِ لَدَى رَبِّ الأَرْضِ كُلِّهَا». | ١٤ 14 |
১৪তখন তিনি আমাকে বললেন, “এরা হল সেই অভিষিক্ত দুই জন, যারা সমস্ত পৃথিবীর প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।”