< رُؤيا 9 >
وَلَمَّا نَفَخَ الْمَلاكُ الْخَامِسُ فِي بُوقِهِ، رَأَيْتُ نَجْماً قَدْ هَوَى مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ، وَأُعْطِيَ مِفْتَاحَ الْهَاوِيَةِ السَّحِيقَةِ. (Abyssos ) | ١ 1 |
পঞ্চম স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন, আর আমি দেখলাম আকাশ থেকে একটি তারা পৃথিবীতে খসে পড়ল। সেই তারাটিকে অতল-গহ্বরের সুড়ঙ্গপথের চাবি দেওয়া হল। (Abyssos )
فَلَمَّا فَتَحَهَا انْدَفَعَ الدُّخَانُ كَأَنَّهُ مِنْ أَتُونٍ عَظِيمٍ، فَأَظْلَمَتِ الشَّمْسُ وَالْجَوُّ مِنْ هَذَا الدُّخَانِ. (Abyssos ) | ٢ 2 |
যখন সে অতল-গহ্বরের সুড়ঙ্গপথটি খুলল, তার মধ্যে থেকে বিশাল চুল্লির ধোঁয়ার মতো একটি ধোঁয়া উঠতে লাগল। অতল-গহ্বরের সেই ধোঁয়ায় সূর্য ও চাঁদ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেল। (Abyssos )
وَطَلَعَ مِنَ الدُّخَانِ جَرَادٌ عَلَى الأَرْضِ، وَأُعْطِيَ سُلْطَةً أَنْ يَلْسَعَ كَالْعَقَارِبِ، | ٣ 3 |
আর সেই ধোঁয়ার মধ্য থেকে পঙ্গপাল বের হয়ে পৃথিবীতে নেমে এল। তাদেরকে পৃথিবীর কাঁকড়াবিছেদের মতোই ক্ষমতা দেওয়া হল।
وَأُمِرَ أَلّا يَضُرَّ عُشْبَ الأَرْضِ وَلا مَزْرُوعَاتِهَا وَلا أَشْجَارَهَا بَلْ فَقَطْ جَمِيعَ مَنْ لَيْسَ عَلَى جِبَاهِهِمْ خَتْمُ اللهِ، | ٤ 4 |
তাদের বলা হল, তারা যেন পৃথিবীর কোনো ঘাস বা গাছপালা বা গাছের ক্ষতি না করে, কিন্তু সেইসব মানুষের ক্ষতি করে, যাদের কপালে ঈশ্বরের সিলমোহর নেই।
فَيُعَذِّبُهُمْ دُونَ أَنْ يَقْتُلَهُمْ، مُدَّةَ خَمْسَةِ أَشْهُرٍ. وَالأَلَمُ الَّذِي يُسَبِّبُهُ يُشْبِهُ أَلَمَ لَدْغَةِ الْعَقْرَبِ. | ٥ 5 |
তাদের হত্যা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি, কিন্তু পাঁচ মাস ধরে অত্যাচার করার ক্ষমতা দেওয়া হল। আর তারা সেরকম যন্ত্রণাভোগ করল, যেমন কাঁকড়াবিছে কোনো মানুষকে হুল ফোটালে যন্ত্রণা হয়।
وَفِي أَثْنَاءِ تِلْكَ الشُّهُورِ يُحَاوِلُ النَّاسُ أَنْ يَتَخَلَّصُوا مِنْ حَيَاتِهِمْ فَلا يَقْدِرُونَ! وَيَتَمَنَّوْنَ أَنْ يَمُوتُوا، لَكِنَّ الْمَوْتَ يَهْرُبُ مِنْهُمْ. | ٦ 6 |
ওই দিনগুলিতে মানুষ মৃত্যুর সন্ধান করবে, কিন্তু তার সন্ধান পাবে না। তারা আকুল হয়ে মৃত্যুবরণ করতে চাইবে, কিন্তু মৃত্যু তাদের নাগাল এড়িয়ে যাবে।
وَيَبْدُو هَذَا الْجَرَادُ كَأَنَّهُ خَيْلٌ مُجَهَّزَةٌ لِلْقِتَالِ، عَلَى رُؤُوسِهِ مَا يُشْبِهُ أَكَالِيلَ الذَّهَبِ، وَوُجُوهُهُ كَوُجُوهِ الْبَشَرِ، | ٧ 7 |
সেই পঙ্গপালগুলি দেখতে ছিল রণসাজে সজ্জিত ঘোড়ার মতো। তাদের মাথায় ছিল সোনার মুকুটের মতো দেখতে কিছু এক জিনিস এবং তাদের মুখমণ্ডল দেখতে ছিল মানুষের মুখমণ্ডলের মতো।
وَلَهُ شَعْرٌ طَوِيلٌ كَشَعْرِ النِّسَاءِ، وَأَسْنَانُهُ كَأَسْنَانِ الأُسُودِ، | ٨ 8 |
তাদের চুল ছিল নারীর চুলের মতো এবং দাঁত ছিল সিংহের দাঁতের মতো।
وَصُدُورُهُ كَدُرُوعٍ حَدِيدِيَّةٍ، وَحَفِيفُ أَجْنِحَتِهِ كَضَجِيجِ مَرْكَبَاتِ خَيْلٍ تَجْرِي إِلَى الْقِتَالِ، | ٩ 9 |
তাদের বুকের পাটা ছিল লোহার বুকের পাটার মতো এবং তাদের ডানার আওয়াজ ছিল যুদ্ধে চলেছে এমন অনেক ঘোড়া ও রথের গুরুগম্ভীর শব্দের মতো।
وَأَذْنَابُهُ ذَاتُ إِبَرٍ كَالْعَقَارِبِ. وَلَهُ سُلْطَةٌ أَنْ يُؤْذِيَ الْبَشَرَ بِأَذْنَابِهِ مُدَّةَ خَمْسَةِ أَشْهُرٍ. | ١٠ 10 |
কাঁকড়াবিছের মতো ছিল তাদের লেজ ও হুল। পাঁচ মাস ধরে মানুষকে যন্ত্রণা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের ওই লেজে ছিল,
أَمَّا مَلِكُهُ فَهُوَ «مَلاكُ الْهَاوِيَةِ»، وَاسْمُهُ بِالْعِبْرِيَّةِ «أَبَدُّونُ»، وَبِالْيُونَانِيَّةِ «أَبُولِّيُّونُ». (Abyssos ) | ١١ 11 |
অতল-গহ্বরের এক দূত ছিল তাদের রাজা। হিব্রু ভাষায় তার নাম আবদ্দোন ও গ্রিক ভাষায়, আপল্লিয়োন। (Abyssos )
انْقَضَى الْوَيْلُ الأَوَّلُ، وَهُنَاكَ وَيْلانِ آخَرَانِ قَادِمَانِ! | ١٢ 12 |
প্রথম দুর্দশার অন্ত হল; আরও বাকি দুই দুর্দশার সময় ছিল সন্নিকট।
وَعِنْدَمَا نَفَخَ الْمَلاكُ السَّادِسُ فِي بُوقِهِ، سَمِعْتُ صَوْتاً آتِياً مِنَ الْقُرُونِ الأَرْبَعَةِ لِمَذْبَحِ الذَّهَبِ الْمَوْجُودِ أَمَامَ اللهِ، | ١٣ 13 |
ষষ্ঠ দূত তাঁর তূরী বাজালেন, আর আমি ঈশ্বরের সামনে স্থিত সোনার বেদির শৃঙ্গগুলি থেকে এক বাণী শুনতে পেলাম।
يَقُولُ لِلْمَلاكِ السَّادِسِ الَّذِي يَحْمِلُ الْبُوقَ: «أَطْلِقِ الْمَلائِكَةَ الأَرْبَعَةَ الْمُقَيَّدِينَ عِنْدَ نَهْرِ الْفُرَاتِ الْكَبِيرِ». | ١٤ 14 |
তা তূরীধারী সেই ষষ্ঠ স্বর্গদূতকে বলছিল, “ইউফ্রেটিস মহানদীর কাছে যে চারজন দূত রুদ্ধ আছে, তাদের মুক্ত করে দাও।”
وَكَانَ هَؤُلاءِ الْمَلائِكَةُ الأَرْبَعَةُ مُجَهَّزِينَ اسْتِعْدَاداً لِهذِهِ السَّاعَةِ وَالْيَوْمِ وَالشَّهْرِ وَالسَّنَةِ، فَأُطْلِقُوا لِيَقْتُلُوا ثُلْثَ الْبَشَرِ. | ١٥ 15 |
তখন যে চারজন দূতকে সেই ক্ষণ ও দিন ও মাস ও বছরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল, তাদের মুক্ত করা হল, যেন তারা মানবজাতির এক-তৃতীয়াংশকে হত্যা করতে পারে।
وَسَمِعْتُ أَنَّ جَيْشَهُمْ يَبْلُغُ مِئَتَيْ مِلْيُونِ مُحَارِبٍ! | ١٦ 16 |
আর অশ্বারোহী ওই সৈন্যের সংখ্যা ছিল কুড়ি কোটি। আমি তাদের সংখ্যা শুনলাম।
وَرَأَيْتُ فِي الرُّؤْيَا الْخُيُولَ وَعَلَيْهَا فُرْسَانٌ يَلْبَسُونَ دُرُوعاً بَعْضُهَا أَحْمَرُ نَارِيٌّ، وَبَعْضُهَا بَنَفْسَجِيٌّ، وَبَعْضُهَا أَصْفَرُ كِبْرِيتِيٌّ. وَكَانَتْ رُؤُوسُ الْخَيْلِ مِثْلَ رُؤُوسِ الأُسُودِ، تَلْفُظُ مِنْ أَفْوَاهِهَا نَاراً وَدُخَاناً وَكِبْرِيتاً. | ١٧ 17 |
আমি আমার দর্শনে যেসব ঘোড়া ও তাদের আরোহীদের দেখতে পেলাম, তারা দেখতে ছিল এরকম: তাদের বুকের পাটা ছিল আগুনে-লাল, ঘন নীল ও গন্ধকের মতো হলুদ রংয়ের। ঘোড়াগুলির মাথা ছিল সিংহের মাথার মতো এবং তাদের মুখ দিয়ে বের হচ্ছিল আগুন, ধোঁয়া ও গন্ধক।
فَقُتِلَ ثُلْثُ النَّاسِ بِهذِهِ الْبَلايَا الثَّلاثِ، أَيْ بِالنَّارِ وَالدُّخَانِ وَالْكِبْرِيتِ الْخَارِجَةِ مِنْ أَفْوَاهِ الْخَيْلِ. | ١٨ 18 |
তাদের মুখ থেকে বের হওয়া সেই তিন মহামারি, আগুন, ধোঁয়া ও গন্ধকের দ্বারা মানবজাতির এক-তৃতীয়াংশ নিহত হল।
وَكَانَتْ قُوَّةُ الْخَيْلِ الْقَاتِلَةُ تَكْمُنُ فِي أَفْوَاهِهَا وَفِي أَذْنَابِهَا أَيْضاً، لأَنَّ أَذْنَابَهَا تُشْبِهُ الْحَيَّاتِ ذَاتَ الرُّؤُوسِ الْمُؤْذِيَةِ! | ١٩ 19 |
ঘোড়াগুলির ক্ষমতা ছিল তাদের মুখে ও তাদের লেজে; কারণ তাদের লেজে সাপের মতো মাথা ছিল, যার দ্বারা তারা মানুষের ক্ষতি করতে পারত।
وَلَكِنَّ النَّاسَ الَّذِينَ نَجَوْا مِنْ هذِهِ الْبَلايَا، لَمْ يَتُوبُوا عَنْ أَعْمَالِهِمْ، وَظَلُّوا يَسْجُدُونَ لِلشَّيَاطِينِ وَلِلأَصْنَامِ الَّتِي صَنَعُوهَا مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَالنُّحَاسِ وَالْحَجَرِ وَالْخَشَبِ، مَعَ أَنَّهَا لَا تَرَى وَلا تَسْمَعُ وَلا تَتَحَرَّكُ! | ٢٠ 20 |
মানবজাতির অবশিষ্ট লোক, যারা এই সমস্ত মহামারির দ্বারা নিহত হল না, তারা তখনও তাদের হাত দিয়ে করা কাজ থেকে মন পরিবর্তন করল না; তারা ভূতদের পূজা এবং সোনা, রুপো, পিতল, পাথর ও কাঠ দ্বারা নির্মিত বিভিন্ন প্রতিমা—যে প্রতিমারা দেখতে বা শুনতে বা চলতে পারে না, তাদের পূজা করা থেকে বিরত থাকল না।
وَلَمْ يَتُوبُوا عَنِ الْقَتْلِ وَالسِّحْرِ وَالزِّنَى وَالسَّرِقَةِ! | ٢١ 21 |
এছাড়াও তারা তাদের নরহত্যা, তাদের তন্ত্রমন্ত্র-মায়াবিদ্যা, তাদের অবৈধ যৌনাচার, কিংবা তাদের চুরি করা থেকেও মন পরিবর্তন করল না।