< رُؤيا 4 >

بَعْدَ ذَلِكَ رَأَيْتُ بَاباً مَفْتُوحاً فِي السَّمَاءِ، وَإذَا الصَّوْتُ الَّذِي سَمِعْتُهُ مِنْ قَبْلُ يُخَاطِبُنِي كَأَنَّهُ بُوقٌ، وَيَقُولُ: «اصْعَدْ إِلَى هُنَا فَأُرِيَكَ مَا لابُدَّ أَنْ يَحْدُثَ بَعْدَ هَذَا». ١ 1
এরপরে আমি তাকিয়ে দেখলাম, আমার সামনে স্বর্গে একটি দুয়ার খোলা রয়েছে; আর প্রথমে যে কণ্ঠস্বর আমি শুনেছিলাম যা তূরীধ্বনির মতো আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তিনি বললেন, “তুমি এখানে উঠে এসো, এরপরে যা অতি অবশ্যই ঘটবে, সেসব আমি তোমাকে দেখাব।”
وَفِي الْحَالِ صِرْتُ فِي الرُّوحِ، فَرَأَيْتُ فِي السَّمَاءِ عَرْشاً يَجْلِسُ عَلَيْهِ وَاحِدٌ ٢ 2
আমি সেই মুহূর্তেই পবিত্র আত্মায় আবিষ্ট হলাম এবং দেখলাম আমার সামনে স্বর্গের সিংহাসন রাখা আছে এবং এক ব্যক্তি তার উপরে উপবিষ্ট।
تَنْبَعِثُ مِنْهُ أَنْوَارٌ كَأَنَّهَا صَادِرَةٌ مِنْ لَمَعَانِ الْيَشْبِ وَالْعَقِيقِ الأَحْمَرِ. وَحَوْلَ الْعَرْشِ قَوْسُ قُزَحٍ يَلْمَعُ كَأَنَّهُ الزُّمُرُّدُ. ٣ 3
এবং উপবিষ্ট সেই ব্যক্তির চেহারা সূর্যকান্ত ও সার্দীয় মণির মতো। সেই সিংহাসনকে ঘিরে ছিল পান্নার মতো এক মেঘধনু।
وَقَدْ أَحَاطَ بِالْعَرْشِ أَرْبَعَةٌ وَعِشْرُونَ عَرْشاً يَجْلِسُ عَلَيْهَا أَرْبَعَةٌ وَعِشْرُونَ شَيْخاً يَلْبَسُونَ ثِيَاباً بَيْضَاءَ، وَعَلَى رُؤَوسِهِمْ أَكَالِيلُ مِنْ ذَهَبٍ. ٤ 4
সেই সিংহাসনের চারদিকে ছিল আরও চব্বিশটি সিংহাসন, সেগুলির উপরে উপবিষ্ট ছিলেন চব্বিশজন প্রাচীন ব্যক্তি। তাদের পরনে ছিল সাদা পোশাক ও তাদের মাথায় ছিল সোনার মুকুট।
وَكَانَتْ تَخْرُجُ مِنَ الْعَرْشِ بُرُوقٌ وَرُعُودٌ وَأَصْوَاتٌ، وَأَمَامَهُ سَبْعَةُ مَصَابِيحِ نَارٍ مُضَاءَةٍ، هِيَ أَرْوَاحُ اللهِ السَّبْعَةُ. ٥ 5
সেই সিংহাসন থেকে নির্গত হচ্ছিল বিদ্যুতের ঝলক, গুরুগম্ভীর ধ্বনি ও বজ্রপাতের গর্জন। সিংহাসনের সামনে রাখা ছিল সাতটি জ্বলন্ত প্রদীপ, যেগুলি ঈশ্বরের সপ্ত-আত্মা।
وَكَانَ يَبْدُو كَأَنَّ بَحْراً شَفَّافاً مِثْلَ الْبِلَّوْرِ يَمْتَدُّ أَمَامَ الْعَرْشِ، وَفِي وَسَطِ الْعَرْشِ وَحَوْلَهُ أَرْبَعَةُ كَائِنَاتٍ تَكْسُوهَا عُيُونٌ كَثِيرَةٌ مِنَ الأَمَامِ وَمِنَ الْخَلْفِ: ٦ 6
এছাড়াও, সিংহাসনের সামনেটা ছিল স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ, যেন কাচের একটি সমুদ্র। মাঝখানে, সিংহাসনের চারদিকে ছিলেন চার জীবন্ত প্রাণী, এবং তাদের সামনের ও পেছনের দিক ছিল চোখে পরিপূর্ণ।
الْكَائِنُ الأَوَّلُ يُشْبِهُ الأَسَدَ، وَالثَّانِي يُشْبِهُ الْعِجْلَ، وَالثَّالِثُ لَهُ وَجْهٌ مِثْلُ وَجْهِ إِنْسَانٍ. أَمَّا الْكَائِنُ الرَّابِعُ فَيُشْبِهُ النَّسْرَ الطَّائِرَ. ٧ 7
প্রথম জীবন্ত প্রাণী ছিলেন সিংহের মতো, দ্বিতীয়জন ছিলেন বলদের মতো, তৃতীয় জনের মুখমণ্ডল ছিল মানুষের মতো, চতুর্থজন ছিলেন উড়ন্ত ঈগলের মতো।
وَكَانَ لكُلِّ كَائِنٍ مِنْهَا سِتَّةُ أَجْنِحَةٍ، تَكْسُوهَا عُيُونٌ مِنَ الدَّاخِلِ وَمِنَ الْخَارِجِ. وَهَذِهِ الْكَائِنَاتُ الْحَيَّةُ الأَرْبَعَةُ تَهْتِفُ لَيْلاً وَنَهَاراً دُونَ انْقِطَاعٍ قَائِلَةً: «قُدُّوسٌ قُدُّوسٌ قُدُّوسٌ، الرَّبُّ الإِلهُ الْقَادِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ، الَّذِي كَانَ الْكَائِنُ الَّذِي سَيَأْتِي». ٨ 8
এই চার জীবন্ত প্রাণীর প্রত্যেকের ছিল ছয়টি করে ডানা এবং তাদের দেহের সর্বত্র এমনকি ডানাগুলির নিচেও ছিল চোখে পরিপূর্ণ। দিনরাত, অবিরাম তারা একথা বলেন:
وَكُلَّمَا قَدَّمَتْ هَذِهِ الْكَائِنَاتُ التَّمْجِيدَ وَالإِجْلالَ وَالْحَمْدَ لِلْجَالِسِ عَلَى الْعَرْشِ، الْحَيِّ إِلَى أَبَدِ الآبِدِينَ، (aiōn g165) ٩ 9
যিনি সিংহাসনে উপবিষ্ট ও যিনি যুগে যুগে চিরকাল জীবন্ত, তাঁকে যখনই সেই জীবন্ত প্রাণীরা গৌরব, সম্মান ও ধন্যবাদ অর্পণ করেন, (aiōn g165)
يَجْثُو الشُّيُوخُ الأَرْبَعَةُ وَالْعِشْرُونَ أَمَامَ الْجَالِسِ عَلَى الْعَرْشِ سَاجِدِينَ لِلْحَيِّ إِلَى أَبَدِ الآبِدِينَ، وَيُلْقُونَ أَكَالِيلَهُمْ أَمَامَ عَرْشِهِ وَهُمْ يَهْتِفُونَ: (aiōn g165) ١٠ 10
তখন সিংহাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তির সামনে ওই চব্বিশজন প্রাচীন প্রণাম করেন ও যিনি যুগে যুগে চিরকাল জীবন্ত, তাঁর উপাসনা করেন। তাঁরা তাদের মুকুট সিংহাসনের সামনে রেখে দিয়ে বলেন, (aiōn g165)
«مُسْتَحِقٌّ أَنْتَ يَا رَبَّنَا وَإِلَهَنَا الْمَجْدَ وَالإِجْلالَ وَالْقُدْرَةَ، لأَنَّكَ خَلَقْتَ الأَشْيَاءَ كُلَّهَا، وَهِيَ بِإِرَادَتِكَ كَائِنَةٌ وَقَدْ خُلِقَتْ!» ١١ 11
“আমাদের প্রভু ও ঈশ্বর, তুমি মহিমা, সম্মান ও পরাক্রম গ্রহণের যোগ্য; কেননা তুমি সবকিছু সৃষ্টি করেছ, এবং তোমার ইচ্ছামতোই সবকিছু সৃষ্ট হয়েছে ও তাদের অস্তিত্ব প্রকাশিত হয়েছে।”

< رُؤيا 4 >