< رُؤيا 19 >

وَبَعْدَ هَذَا سَمِعْتُ صَوْتاً عَالِياً كَأَنَّهُ صَادِرٌ مِنْ جَمْعٍ كَبِيرٍ فِي السَّمَاءِ يَقُولُ: «هَلِّلُويَا! الْخَلاصُ وَالْمَجْدُ وَالْكَرَامَةُ وَالْقُدْرَةُ لِلرَّبِّ إِلَهِنَا ١ 1
এরপরে আমি স্বর্গে এক বিপুল জনসমষ্টির গর্জনের মতো শব্দ শুনতে পেলাম। তারা বলছিল: “হাল্লেলুইয়া! পরিত্রাণ ও মহিমা ও পরাক্রম আমাদের ঈশ্বরেরই,
فَإِنَّ أَحْكَامَهُ حَقٌّ وَعَدْلٌ، لأَنَّهُ عَاقَبَ الزَّانِيَةَ الْكُبْرَى الَّتِي أَفْسَدَتِ الأَرْضَ، وَانْتَقَمَ لِدَمِ عَبِيدِهِ مِنْهَا». ٢ 2
কারণ তাঁর বিচারাদেশ সব যথার্থ ও ন্যায়সংগত। যে মহাবেশ্যা অবৈধ সহবাসের দ্বারা পৃথিবীকে কলুষিত করেছিল, তিনি তার বিচার করেছেন। তিনি তাঁর দাসদের রক্তের প্রতিশোধ তার কাছ থেকে নিয়েছেন।”
وَهَتَفُوا ثَانِيَةً: «هَلِّلُويَا! دُخَانُ حَرِيقِهَا يَتَصَاعَدُ إِلَى أَبَدِ الآبِدِينَ!» (aiōn g165) ٣ 3
তারা আবার চিৎকার করে উঠল: “হাল্লেলুইয়া! তার ধোঁয়া যুগে যুগে চিরকাল উপরে উঠে যাবে।” (aiōn g165)
وَجَثَا الشُّيُوخُ الأَرْبَعَةُ وَالْعِشْرُونَ وَالْكَائِنَاتُ الْحَيَّةُ الأَرْبَعَةُ سُجُوداً لِلهِ الْجَالِسِ عَلَى الْعَرْشِ، وَهَتَفُوا: «آمِينَ! هَلِّلُويَا!» ٤ 4
সেই চব্বিশজন প্রাচীন ও চারজন জীবন্ত প্রাণী নত হয়ে প্রণাম করে সিংহাসনে উপবিষ্ট ঈশ্বরের উপাসনা করলেন। তাঁরা উচ্চকণ্ঠে বললেন, “আমেন, হাল্লেলুইয়া!”
وَخَرَجَ مِنَ الْعَرْشِ صَوْتٌ يَقُولُ: «سَبِّحُوا إِلهَنَا يَا جَمِيعَ عَبِيدِهِ الَّذِينَ يَتَّقُونَهُ صِغَاراً وَكِبَاراً!» ٥ 5
তখন সিংহাসন থেকে এক কণ্ঠস্বর শোনা গেল, “ঈশ্বরের দাসেরা, তোমরা যারা ঈশ্বরকে ভয় করো, সামান্য কি মহান তোমরা সকলে আমাদের ঈশ্বরের স্তবগান করো।”
ثُمَّ سَمِعْتُ صَوْتاً كَأَنَّهُ صَوْتُ جَمْعٍ كَبِيرٍ أَوْ شَلّالٍ غَزِيرٍ أَوْ رَعْدٍ شَدِيدٍ، يَقُولُ: «هَلِّلُويَا! فَإِنَّ الرَّبَّ الإِلهَ الْقَادِرَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدْ مَلَكَ، ٦ 6
তারপর আমি এক বিপুল জনসমষ্টির রব, প্রবহমান মহা জলস্রোত ও প্রবল বজ্রপাতের মতো ধ্বনি শুনতে পেলাম। সেই ধ্বনিতে ঘোষণা করা হচ্ছিল: “হাল্লেলুইয়া! কারণ আমাদের সর্বশক্তিমান, প্রভু ঈশ্বর, রাজত্ব করছেন।
لِنَفْرَحْ وَنَبْتَهِجْ وَنُمَجِّدْهُ، فَإِنَّ عُرْسَ الْحَمَلِ قَدْ حَانَ مَوْعِدُهُ، وَعَرُوسَهُ قَدْ هَيَّأَتْ نَفْسَهَا، ٧ 7
এসো আমরা উল্লসিত হই, আনন্দ করি এবং তাঁকে মহিমা প্রদান করি! কারণ মেষশাবকের বিবাহ-লগ্ন উপস্থিত এবং তাঁর কনে নিজেকে প্রস্তুত করেছে।
وَوُهِبَ لَهَا أَنْ تَلْبَسَ الكَتَّانَ الأَبْيَضَ النَّاصِعَ!» وَالْكَتَّانُ يَرْمِزُ إِلَى أَعْمَالِ الصَّلاحِ الَّتِي قَامَ بِها الْقِدِّيسُونَ. ٨ 8
উজ্জ্বল ও পরিষ্কার, মিহি মসিনার পোশাক সজ্জিত হতে তাকে দেওয়া হয়েছিল।” (মিহি মসিনার পোশাক পবিত্রগণের ধর্মাচরণের প্রতীক।)
وَأَمْلَى عَلَيَّ الْمَلاكُ أَنْ أَكْتُبَ: «طُوبَى لِلْمَدْعُوِّينَ إِلَى وَلِيمَةِ عُرْسِ الْحَمَلِ». ثُمَّ قَالَ: «اللهُ نَفْسُهُ يَقُولُ هَذَا الْقَوْلَ الْحَقَّ». ٩ 9
তখন সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “তুমি লেখো, ‘ধন্য তারা, যারা মেষশাবকের বিবাহভোজে আমন্ত্রিত।’” তিনি আরও যোগ করলেন, “এগুলি প্রকৃতই ঈশ্বরের বাক্য।”
فَجَثَوْتُ عِنْدَ قَدَمَيْهِ لأَسْجُدَ لَهُ، فَقَالَ لِي: «لا تَفْعَلْ! إِنِّي عَبْدٌ لِلهِ، مِثْلُكَ وَمِثْلُ إِخْوَتِكَ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ لَدَيْهِمِ الشَّهَادَةُ الْمُخْتَصَّةُ بِيَسُوعَ: لِلهِ اسْجُدْ! فَإِنَّ الشَّهَادَةَ الْمخْتَصَّةَ بِيَسُوعَ هِيَ رُوحُ النُّبُوءَةِ». ١٠ 10
একথা শুনে উপাসনা করার জন্য আমি তাঁর পায়ে পড়লাম। কিন্তু তিনি আমাকে বললেন, “তুমি এরকম কোরো না! আমি তোমার ও তোমার ভাইবোন যারা যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে, তাদের সহদাস; কেবলমাত্র ঈশ্বরের উপাসনা করো! কারণ যীশুর সাক্ষ্যই হল ভাববাণীর অনুপ্রেরণা।”
ثُمَّ رَأَيْتُ السَّمَاءَ مَفْتُوحَةً، وَإذَا حِصَانٌ أَبْيَضُ يُسَمَّى رَاكِبُهُ «الأَمِينَ الصَّادِقَ» الَّذِي يَقْضِي وَيُحَارِبُ بِالْعَدْلِ. ١١ 11
আমি দেখলাম, স্বর্গ খুলে গেল এবং সেখানে আমার সামনে ছিল একটি সাদা ঘোড়া। এর আরোহী বিশ্বস্ত ও সত্যময় নামে আখ্যাত। ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে তিনি বিচার ও যুদ্ধ করেন।
عَيْنَاهُ كَلَهِيبِ نَارٍ، وَعَلَى رَأْسِهِ أَكَالِيلُ كَثِيرَةٌ، وَقَدْ كُتِبَ عَلَى جَبْهَتِهِ اسْمٌ لَا يَعْرِفُهُ أَحَدٌ إِلّا هُوَ. ١٢ 12
তাঁর দুই চোখ জ্বলন্ত আগুনের শিখার মতো এবং তাঁর মাথায় আছে অনেক মুকুট। তাঁর উপরে একটি নাম লেখা আছে, যা স্বয়ং তিনি ছাড়া আর কেউ জানে না।
وَكَانَ يَرْتَدِي ثَوْباً مُغَمَّساً بِالدَّمِ؛ أَمَّا اسْمُهُ فَهُوَ «كَلِمَةُ اللهِ» ١٣ 13
তিনি রক্তে ডুবানো পোশাক পরে আছেন ও তাঁর নাম ঈশ্বরের বাক্য।
وَكَانَ الأَجْنَادُ الَّذِينَ فِي السَّمَاءِ يَتْبَعُونَهُ رَاكِبِينَ خُيُولاً بَيْضَاءَ، وَلابِسِينَ كَتَّاناً نَقِيًّا نَاصِعَ الْبَيَاضِ، ١٤ 14
স্বর্গের সৈন্যরা তাঁকে অনুসরণ করল যিনি সাদা ও পরিষ্কার মিহি মসিনার পোশাক পরে সাদা ঘোড়ায় চড়ে ছিলেন।
وَكَانَ يَخْرُجُ مِنْ فَمِهِ سَيْفٌ حَادٌّ لِيَضْرِبَ بِهِ الأُمَمَ وَيَحْكُمَهُمْ بِعَصاً مِنْ حَدِيدٍ، وَيَدُوسَهُمْ فِي مِعْصَرَةِ شِدَّةِ غَضَبِ اللهِ الْقَادِرِ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ. ١٥ 15
তাঁর মুখ থেকে নির্গত হচ্ছিল এক ধারালো তরোয়াল, যা দিয়ে তিনি সব জাতিকে ধরাশায়ী করেন। “তিনি লোহার রাজদণ্ড নিয়ে তাদের শাসন করবেন।” তিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রচণ্ড ক্রোধের পেষণকুণ্ডের দ্রাক্ষা দলন করেন।
وَقَدْ كُتِبَ عَلَى ثَوْبِهِ وَعَلَى فَخْذِهِ «مَلِكُ الْمُلُوكِ وَرَبُّ الأَرْبَابِ». ١٦ 16
তাঁর পোশাকে ও তাঁর ঊরুতে তাঁর এই নাম লেখা আছে: রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু।
ثُمَّ رَأَيْتُ مَلاكاً وَاقِفاً فِي الشَّمْسِ، يُنَادِي الطُّيُورَ الطَّائِرَةَ فِي وَسَطِ السَّمَاءِ بِصَوْتٍ عَالٍ قَائِلاً: «هَلُمِّي اجْتَمِعِي مَعاً إِلَى وَلِيمَةِ اللهِ الْكُبْرَى! ١٧ 17
আর আমি দেখলাম, একজন স্বর্গদূত সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি মধ্যাকাশে উড়ন্ত সব পাখিকে উচ্চকণ্ঠে ডেকে বললেন, “তোমরা এসো, ঈশ্বরের মহাভোজে সকলে একত্র হও,
تَعَالَيْ وَالْتَهِمِي لُحُومَ الْمُلُوكِ وَالْقَادَةِ وَالأَبْطَالِ، وَالْخُيُولِ وَفُرْسَانِهَا، وَلُحُومَ الْبَشَرِ جَمِيعاً مِنْ أَحْرَارٍ وَعَبِيدٍ، وَصِغَارٍ وَكِبَارٍ». ١٨ 18
যেন তোমরা রাজাদের মাংস, সৈন্যাধ্যক্ষদের মাংস, শক্তিশালী লোকেদের মাংস, ঘোড়া ও তাদের আরোহীর মাংস, স্বাধীন বা ক্রীতদাস, সামান্য বা মহান—সকলের মাংস খেতে পারো।”
وَرَأَيْتُ الْوَحْشَ وَمُلُوكَ الأَرْضِ وَجُيُوشَهُمْ وَقَدِ احْتَشَدُوا لِيُحَارِبُوا هَذَا الْفَارِسَ وَجَيْشَهُ. ١٩ 19
তারপর আমি দেখলাম, ওই সাদা ঘোড়ার আরোহী ও তাঁর সৈন্যদলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সেই পশু ও পৃথিবীর রাজারা ও তাদের সৈন্যবাহিনী একত্রিত হল।
فَقُبِضَ عَلَى الْوَحْشِ وَعَلَى النَّبِيِّ الدَّجَّالِ الَّذِي قَامَ بِالْمُعْجِزَاتِ فِي حُضُورِ الْوَحْشِ وَأَضَلَّ بِها الَّذِينَ قَبِلُوا عَلامَةَ الْوَحْشِ، وَسَجَدُوا لِتِمْثَالِهِ. وَطُرِحَ كِلاهُمَا حَيًّا فِي بُحَيْرَةِ النَّارِ وَالْكِبْرِيتِ الْمُتَّقِدَةِ، (Limnē Pyr g3041 g4442) ٢٠ 20
কিন্তু সেই পশু বন্দি হল ও তার সঙ্গে যে ভণ্ড ভাববাদী তার হয়ে অলৌকিক সব চিহ্নকাজ করেছিল, সেও ধরা পড়ল। যারা সেই পশুর ছাপ ধারণ ও তার মূর্তির পূজা করেছিল, সে এসব চিহ্নকাজের দ্বারা তাদের বিভ্রান্ত করেছিল। সেই দুজনকে জীবন্ত অবস্থায় জ্বলন্ত গন্ধকের আগুনের হ্রদে নিক্ষেপ করা হল। (Limnē Pyr g3041 g4442)
وَقَتَلَ السَّيْفُ الْخَارِجُ مِنْ فَمِ الْفَارِسِ جَمِيعَ الْبَاقِينَ، وَشَبِعَتِ الطُّيُورُ كُلُّهَا مِنْ لُحُومِهِمْ. ٢١ 21
অবশিষ্ট সকলে সেই সাদা ঘোড়ার আরোহীর মুখ থেকে নির্গত তরোয়ালের দ্বারা নিহত হল এবং সব পাখি তাদের মাংস খেয়ে তৃপ্ত হল।

< رُؤيا 19 >