رُؤيا 17
| وَجَاءَ وَاحِدٌ مِنَ الْمَلائِكَةِ السَّبْعَةِ حَامِلِي الْكُؤُوسِ السَّبْعِ وَقَالَ لِي: «تَعَالَ فَأُرِيَكَ عِقَابَ الزَّانِيَةِ الْكُبْرَى الْجَالِسَةِ عَلَى الْمِيَاهِ الْكَثِيرَةِ، | ١ 1 |
সেই সাতটি বাটি যাদের হাতে ছিল, সেই সাতজন স্বর্গদূতের মধ্যে একজন এসে আমাকে বললেন, “এসো, বহু জলরাশির উপরে বসে থাকে যে মহাবেশ্যা, তার কী শাস্তি হয়, আমি তোমাকে দেখাব।
| الَّتِي زَنَى مَعَهَا مُلُوكُ الأَرْضِ، وَسَكِرَ أَهْلُ الأَرْضِ مِنْ خَمْرِ زِنَاهَا». | ٢ 2 |
তার সঙ্গে পৃথিবীর রাজারা ব্যভিচার করেছে। আর পৃথিবীর অধিবাসীরা তার ব্যভিচারের সুরায় মত্ত হয়েছে।”
| وَحَمَلَنِي الْمَلاكُ بِالرُّوحِ إِلَى الْبَرِّيَّةِ، فَرَأَيْتُ امْرَأَةً رَاكِبَةً عَلَى وَحْشٍ قِرْمِزِيٍّ لَهُ سَبْعَةُ رُؤُوسٍ وَعَشَرَةُ قُرُونٍ، وَقَدْ كُتِبَتْ عَلَى جِسْمِهِ كُلِّهِ أَسْمَاءُ تَجْدِيفٍ. | ٣ 3 |
তারপর সেই স্বর্গদূত পবিত্র আত্মায় আমাকে এক মরুপ্রান্তরে নিয়ে গেলেন। সেখানে আমি এক নারীকে একটি গাঢ় লাল রংয়ের পশুর উপরে বসে থাকতে দেখলাম। পশুটি ছিল ঈশ্বরনিন্দার নামে আবৃত এবং তার ছিল সাতটি মাথা ও দশটি শিং।
| وَكَانَتِ الْمَرْأَةُ تَلْبَسُ مَلابِسَ مِنْ أُرْجُوَانٍ وَقِرْمِزٍ، وَتَتَحَلَّى بِالذَّهَبِ وَالْحِجَارَةِ الْكَرِيمَةِ وَاللُّؤْلُوءِ، وَقَدْ أَمْسَكَتْ كَأْسَ ذَهَبٍ مَمْلُوءَةً بِزِنَاهَا الْمَكْرُوهِ النَّجِسِ، | ٤ 4 |
সেই নারীর পোশাক ছিল বেগুনি ও লাল রংয়ের এবং সে ছিল সোনা, মণিমাণিক্য ও মুক্তায় ভূষিত। সে তার হাতে একটি সোনার পানপাত্র ধরেছিল, যা ছিল ঘৃণ্য সব দ্রব্য ও তার ব্যভিচারের মলিনতায় পূর্ণ।
| وَعَلَى جَبِينِهَا اسْمٌ مَكْتُوبٌ: سِرٌّ: «بَابِلُ الْعُظْمَى، أُمُّ زَانِيَاتِ الأَرْضِ وَأَصْنَامِهَا الْمَكْرُوهَةِ». | ٥ 5 |
তার কপালে লিখিত ছিল এই শিরোনাম: রহস্যময়ী মহানগরী ব্যাবিলন পৃথিবীর বেশ্যাদের এবং ঘৃণ্য বস্তুসকলের মা।
| وَرَأَيْتُ الْمَرْأَةَ سَكْرَى لِكَثْرَةِ مَا شَرِبَتْ مِنْ دَمِ الْقِدِّيسِينَ، وَدَمِ شُهَدَاءِ يَسُوعَ الَّذِينَ قَتَلَتْهُمْ. فَتَمَلَّكَتْنِي الدَّهْشَةُ لِمَنْظَرِهَا، | ٦ 6 |
আমি দেখলাম, সেই নারী পবিত্রগণের রক্তে ও যারা যীশুর সাক্ষ্য বহন করেছে, তাদের রক্তে মত্ত। তাকে দেখে আমি ভীষণ আশ্চর্য হলাম।
| فَسَأَلَنِي الْمَلاكُ: «لِمَاذَا دُهِشْتَ؟ سَأُطْلِعُكَ عَلَى سِرِّ الْمَرْأَةِ وَالْوَحْشِ الَّذِي يَحْمِلُهَا، صَاحِبُ الرُّؤُوسِ السَّبْعَةِ وَالْقُرُونِ الْعَشَرَةِ: | ٧ 7 |
তখন সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “তুমি আশ্চর্য বোধ করলে কেন? আমি ওই নারীর ও তার বাহনের, অর্থাৎ যার সাতটি মাথা ও দশটি শিং, সেই পশুর রহস্য তোমার কাছে ব্যাখ্যা করব।
| هَذَا الْوَحْشُ كَانَ مَوْجُوداً، وَهُوَ غَيْرُ مَوْجُودٍ الآنَ، وَلَكِنَّهُ عَلَى وَشْكِ أَنْ يَطْلُعَ مِنَ الْهَاوِيَةِ وَيَمْضِيَ إِلَى الْهَلاكِ. وَسَيُدْهَشُ سُكَّانُ الأَرْضِ الَّذِينَ لَمْ تُكْتَبْ أَسْمَاؤُهُمْ مُنْذُ تَأْسِيسِ الْعَالَمِ فِي سِجِلِّ الْحَيَاةِ، عِنْدَمَا يَرَوْنَ الْوَحْشَ، لأَنَّهُ كَانَ مَوْجُوداً، ثُمَّ أَصْبَحَ غَيْرَ مَوْجُودٍ، وَسَيَعُودُ! (Abyssos g12) | ٨ 8 |
যে পশুকে তুমি দেখলে, যে এক সময়ে ছিল, কিন্তু এখন নেই, সে অতল-গহ্বর থেকে আবার উঠে আসবে ও তার ধ্বংসের পথে যাবে। আর পৃথিবীর অধিবাসী যতজনের নাম জগৎ সৃষ্টির সময় থেকে জীবনপুস্তকে লেখা নেই, তারা যখন সেই পশুটিকে দেখবে, যা ছিল কিন্তু এখন নেই কিন্তু পরে আসবে, তখন তারাও আশ্চর্য বোধ করবে। (Abyssos g12)
| وَلابُدَّ هُنَا مِنْ فِطْنَةِ الْعَقْلِ: الرُّؤُوسُ السَّبْعَةُ هِيَ التِّلالُ السَّبْعَةُ الَّتِي تَجْلِسُ الْمَرْأَةُ عَلَيْهَا وَتَرْمِزُ أَيْضاً إِلَى سَبْعَةِ مُلُوكٍ، | ٩ 9 |
“এখানে বিচক্ষণ মানসিকতার প্রয়োজন হয়। ওই সাতটি মাথা হল সাতটি পর্বত, যার উপরে সেই নারী বসে আছে।
| خَمْسَةٌ مِنْهُمْ مَضَوْا، وَالسَّادِسُ يَحْكُمُ الآنَ، وَالسَّابِعُ سَيَأْتِي، وَلَكِنَّ مُدَّةَ حُكْمِهِ سَتَكُونُ قَصِيرَةً. | ١٠ 10 |
সেগুলি আবার সাতজন রাজাও। পাঁচজনের পতন হয়েছে, একজন আছে, অন্যজনের আগমন এখনও হয়নি; কিন্তু সে এলে পরে, তাকে অবশ্য অল্প সময়ের জন্য থাকতে হবে।
| أَمَّا الْوَحْشُ الَّذِي كَانَ مَوْجُوداً ثُمَّ أَصْبَحَ غَيْرَ مَوْجُودٍ، فَهُوَ مَلِكٌ ثَامِنٌ سَبَقَ أَنْ مَلَكَ كَوَاحِدٍ مِنَ السَّبْعَةِ، سَيَمْضِي إِلَى الْهَلاكِ. | ١١ 11 |
আর যে পশুটি এক সময় ছিল, কিন্তু এখন নেই, সে অষ্টম রাজা। সেও সেই সাতজনের অন্যতম এবং সে তার বিনাশের অভিমুখী হবে।
| وَأَمَّا الْقُرُونُ الْعَشَرَةُ الَّتِي رَأَيْتَهَا هِيَ عَشَرَةُ مُلُوكٍ لَمْ يَتَوَلَّوْا الْمُلْكَ بَعْدُ، وَسَيَتَوَلَّوْنَ سُلْطَةَ الْمُلْكِ مَعَ الْوَحْشِ لِمُدَّةِ سَاعَةٍ وَاحِدَةٍ، | ١٢ 12 |
“যে দশটি শিং তুমি দেখলে, তারা দশজন রাজা। তারা এখনও তাদের রাজ্য লাভ করেনি, কিন্তু তারা সেই পশুর সঙ্গে এক ঘণ্টার জন্য রাজাদের মতো কর্তৃত্ব প্রাপ্ত হবে।
| يَتَّفِقُونَ فِيهَا بِرَأْيٍ وَاحِدٍ أَنْ يُعْطُوا الْوَحْشَ قُوَّتَهُمْ وَسُلْطَتَهُمْ. | ١٣ 13 |
তাদের অভিপ্রায় একই, তাই তারা তাদের পরাক্রম ও কর্তৃত্ব সেই পশুকে দান করবে।
| ثُمَّ يُحَارِبُونَ الْحَمَلَ، وَلَكِنَّ الْحَمَلَ يَهْزِمُهُمْ، لأَنَّهُ رَبُّ الأَرْبَابِ وَمَلِكُ الْمُلُوكِ، وَالَّذِينَ مَعَهُ هُمُ الْمَدْعُوُّونَ، الْمُخْتَارُونَ، الْمُؤْمِنُونَ». | ١٤ 14 |
তারা মেষশাবকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, কিন্তু মেষশাবক তাদের পরাস্ত করবেন, কারণ তিনি প্রভুদের প্রভু ও রাজাদের রাজা। আর যারা আহূত, মনোনীত ও বিশ্বস্ত অনুসারী, তারাও তাঁর সঙ্গে বিজয়ী হবেন।”
| ثُمَّ قَالَ لِيَ الْمَلاكُ: «أَمَّا الْمِيَاهُ الَّتِي رَأَيْتَ حَيْثُ تَجْلِسُ الزَّانِيَةُ، فَتَرْمِزُ إِلَى شُعُوبٍ وَجَمَاهِيرَ وَأُمَمٍ وَلُغَاتٍ. | ١٥ 15 |
তারপর সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “যে জলরাশি তুমি দেখলে, যার উপরে সেই বেশ্যা বসে আছে, তা হল বিভিন্ন প্রজাবৃন্দ, বিপুল জনসমষ্টি, বিভিন্ন জাতি ও ভাষাভাষী মানুষ।
| وَأَمَّا الْقُرُونُ الْعَشَرَةُ الَّتِي رَأَيْتَهَا، وَالْوَحْشُ، فَسَيُبْغِضُونَ الزَّانِيَةَ وَيَجْعَلُونَهَا مَعْزُولَةً وَعَارِيَةً، وَيَأْكُلُونَ لَحْمَهَا وَيُحْرِقُونَهَا بِالنَّارِ، | ١٦ 16 |
আর তুমি যে সেই পশু ও দশটা শিং দেখলে তারা সেই বেশ্যাকে ঘৃণা করবে। তারা তার সর্বনাশ করে তাকে উলঙ্গ করে ছেড়ে দেবে; তারা তার মাংস খাবে ও তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারবে।
| لأَنَّ اللهَ جَعَلَ فِي قُلُوبِهِمْ أَنْ يَعْمَلُوا وَفْقَ قَصْدِهِ، فَيَتَّفِقُوا عَلَى أَنْ يُعْطُوا الْوَحْشَ مُلْكَهُمْ، حَتَّى تَتِمَّ كَلِمَاتُ اللهِ. | ١٧ 17 |
কারণ ঈশ্বর তাদের হৃদয়ে এই প্রবৃত্তি দিয়েছিলেন যেন তারা তাঁর অভিপ্রায় পূর্ণ করে এবং যতদিন পর্যন্ত ঈশ্বরের সমস্ত বাক্য পূর্ণ না হয়, ততদিন তারা শাসন করার জন্য সেই পশুকে রাজকীয় কর্তৃত্ব দান করতে একমত হয়।
| أَمَّا هَذِهِ الْمَرْأَةُ الَّتِي رَأَيْتَهَا، فَهِيَ الْمَدِينَةُ الْعُظْمَى الَّتِي تَحْكُمُ مُلُوكَ الأَرْضِ». | ١٨ 18 |
যে নারীকে তুমি দেখলে, সে হল সেই মহানগরী, যা পৃথিবীর রাজাদের উপরে শাসন করে।”
