< المَزامِير 74 >
مَزْمُورٌ تَعْلِيمِيٌّ لآسَافَ يَا اللهُ لِمَاذَا نَبَذْتَنَا إِلَى الأَبَدِ؟ لِمَاذَا ثَارَ غَضَبُكَ الشَّدِيدُ عَلَى غَنَمِ مَرْعَاكَ؟ | ١ 1 |
আসফের মস্কীল। হে ঈশ্বর কেন তুমি আমাদের চিরকালের জন্য পরিত্যাগ করেছ? তোমার চারণভূমির মেষদের প্রতি কেন তোমার ক্রোধ জ্বলে ওঠে?
اذْكُرْ جَمَاعَتَكَ الَّتِي اقْتَنَيْتَهَا مُنْذُ الْقِدَمِ، وَالَّتِي افْتَدَيْتَهَا لِتَجْعَلَهَا سِبْطَ مِيرَاثِكَ. اذْكُرْ جَبَلَ صِهْيَوْنَ الَّذِي أَقَمْتَ فِيهِ. | ٢ 2 |
তুমি সেই জাতিকে মনে রেখো, যাদের তুমি প্রাচীনকালে কিনেছ, তোমার অধিকারের লোকেদের, যাদের তুমি মুক্ত করেছ— সিয়োন পর্বত, যেখানে তুমি বসবাস করেছিলে।
سِرْ يَا رَبُّ مُسْرِعاً وَسَطَ هَذِهِ الْخَرَائِبِ الدَّائِمَةِ، فَإِنَّ الْعَدُوَّ قَدْ دَمَّرَ كُلَّ شَيْءٍ فِي بَيْتِكَ الْمُقَدَّسِ. | ٣ 3 |
চিরস্থায়ী এই ধ্বংসের দিকে তুমি এবার পা বাড়াও, দেখো, শত্রুরা পবিত্রস্থানে কেমন ধ্বংস নিয়ে এসেছে।
إِنَّ خُصُومَكَ يُزَمْجِرُونَ فِي وَسَطِ مَحْفَلِكَ، وَيَنْصِبُونَ أَصْنَامَهُمْ شَارَاتٍ لِلنَّصْرِ. | ٤ 4 |
তোমার বিপক্ষেরা সেই স্থানে গর্জন করল যেখানে তুমি আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলে; তারা তাদের যুদ্ধের মানদণ্ড নিদর্শনরূপে স্থাপন করল।
يَظْهَرُ الْعَدُوُّ كَأَنَّهُ يَهْوِي بِالْفُؤُوسِ عَلَى الأَشْجَارِ الْكَثِيفَةِ. | ٥ 5 |
তারা এমন মানুষের মতো আচরণ করল যারা ঘন বনজঙ্গল কুড়ুল দিয়ে শাসন করে।
هَدَمُوا مَنْقُوشَاتِهِ كُلَّهَا بِالْمَطَارِقِ وَالْمَعَاوِلِ. | ٦ 6 |
কুড়ুল ও হাতুড়ি দিয়ে তারা সেইসব খাঁজকাটা কাজ ধ্বংস করল।
أَضْرَمُوا النَّارَ فِي مَقْدِسِكَ، وَدَنَّسُوهُ إِذْ قَوَّضُوا مَقَرَّ اسْمِكَ إِلَى الأَرْضِ. | ٧ 7 |
তারা তোমার পবিত্রস্থান পুড়িয়ে ধুলোতে মিলিয়ে দিল; তোমার নামের আবাসস্থল অশুচি করল।
قَالُوا فِي أَنْفُسِهِمْ: لِنُبِدْهُمْ جَمِيعاً. وَأَحْرَقُوا كُلَّ مَحَافِلِ اللهِ فِي الْبِلادِ. | ٨ 8 |
তারা নিজেদের হৃদয়ে বলল, “আমরা তাদের সম্পূর্ণরূপে চূর্ণ করব!” দেশের যে স্থানে ঈশ্বরের আরাধনা হত সেইসব স্থান তারা পুড়িয়ে দিল।
لَمْ نَعُدْ نَشْهَدُ رُمُوزَ عِبَادَتِنَا، وَلَمْ يَبْقَ نَبِيٌّ بَعْدُ، وَلَيْسَ بَيْنَنَا مَنْ يَعْرِفُ مَتَى تَكُونُ خَاتِمَةُ الأَمْرِ. | ٩ 9 |
ঈশ্বরের কাছ থেকে আমাদের কোনো নিদর্শন দেওয়া হয়নি; কোনো ভাববাদী আর বেঁচে নেই, আর আমাদের কেউ জানে না এসব কতকালের জন্য।
يَا اللهُ: إِلَى مَتَى يُعَيِّرُنَا الْخَصْمُ؟ أَيَظَلُّ الْعَدُوُّ يَسْتَهِينُ بِاسْمِكَ إِلَى الأَبَدِ؟ | ١٠ 10 |
হে ঈশ্বর, আর কত কাল শত্রুরা তোমাকে উপহাস করবে? তারা কি চিরকাল তোমার নামের অসম্মান করবে?
لِمَاذَا تَرْفُضُ أَنْ تَمُدَّ يَدَ الْعَوْنِ؟ لِمَاذَا تُبْقِي يَمِينَكَ خَلْفَكَ؟ أَخْرِجْهَا وَأَفْنِهِمْ. | ١١ 11 |
কেন তুমি তোমার শক্তিশালী ডান হাত আটকে রেখেছ? তা তোমার পোশাকের ভিতর থেকে বের করে শত্রুদের ধ্বংস করো!
إِنَّمَا اللهُ مَلِكِي مُنْذُ الْقَدِيمِ، صَانِعُ الْخَلاصِ فِي وَسَطِ الأَرْضِ. | ١٢ 12 |
কিন্তু ঈশ্বর বহুকাল থেকেই আমার রাজা তিনি জগতে পরিত্রাণ নিয়ে আসেন।
أَنْتَ فَلَقْتَ الْبَحْرَ بِقُوَّتِكَ وَحَطَّمْتَ رُؤُوسَ التَّنَانِينِ. | ١٣ 13 |
তুমি তোমার শক্তি দিয়ে সমুদ্র দুভাগে ভাগ করেছ; আর সামুদ্রিক দৈত্যের মাথাগুলি পিষে দিয়েছ।
أَنْتَ مَزَّقْتَ رُؤُوسَ فِرْعَوْنَ وَجَيْشِهِ، وَجَعَلْتَهُ قُوتاً لِلْحَيَوَانَاتِ الْمُتَوَحِّشَةِ | ١٤ 14 |
তুমিই লিবিয়াথনের মাথাগুলি চূর্ণ করেছ আর মরুভূমির জন্তুদের তা খাবার জন্য দিয়েছ।
فَجَّرْتَ نَبْعاً وَجَدْوَلاً، وَجَفَّفْتَ أَنْهَاراً دَائِمَةَ الْجَرَيَانِ. | ١٥ 15 |
তুমি ঝরনা আর জলপ্রবাহ খুলে দিয়েছ; চিরকাল বয়ে যাওয়া নদীকে তুমি শুকনো করেছ।
لَكَ النَّهَارُ وَاللَّيْلُ أَيْضاً. أَنْتَ كَوَّنْتَ الْكَوَاكِبَ الْمُنِيرَةَ وَالشَّمْسَ. | ١٦ 16 |
দিন তোমার এবং রাতও তোমার তুমি সূর্য আর চাঁদ সৃষ্টি করেছ।
نَصَبْتَ حُدُودَ الأَرْضِ، وَخَلَقْتَ الصَّيْفَ وَالشِّتَاءَ. | ١٧ 17 |
তুমি জগতের সমস্ত প্রান্তসীমা নির্ণয় করেছ; তুমি গ্রীষ্মকাল আর শীতকাল উভয় তৈরি করেছ।
إِنَّمَا اذْكُرْ أَنَّ عَدُوّاً قَدْ عَيَّرَ الرَّبَّ، وَشَعْباً جَاهِلاً قَدِ اسْتَهَانَ بِاسْمِكَ. | ١٨ 18 |
হে সদাপ্রভু, মনে রেখো, শত্রুরা কেমন তোমাকে উপহাস করেছে, মূর্খ লোকেরা কীভাবে তোমার নামের অসম্মান করেছে।
لَا تُسَلِّمْ لِلْوَحْشِ نَفْسَ شَعْبِكَ الضَّعِيفِ، وَلَا تَنْسَ إِلَى الأَبَدِ حَيَاةَ جُمْهُورِكَ الْمُضْطَهَدِ. | ١٩ 19 |
তোমার ঘুঘুর প্রাণ বন্যপশুর হাতে তুলে দিয়ো না; চিরকালের জন্য তোমার পীড়িত লোকেদের জীবন ভুলে যেয়ো না।
اذْكُرِ الْعَهْدَ الَّذِي قَطَعْتَهُ لَنَا، فَإِنَّ الظُّلْمَ كَامِنٌ فِي كُلِّ رُكْنٍ مُظْلِمٍ مِنَ الأَرْضِ. | ٢٠ 20 |
তোমার নিয়মের প্রতিশ্রুতি মনে রেখো, কেননা পৃথিবী অন্ধকার আর অত্যাচারে পরিপূর্ণ।
لَا تَدَعِ الْمُنْسَحِقَ يَرْجِعُ بِالْخِزْيِ، بَلْ لِيُسَبِّحِ اسْمَكَ الْفَقِيرُ وَالْبَائِسُ. | ٢١ 21 |
পীড়িত ব্যক্তি যেন লজ্জিত হয়ে ফিরে না যায়; দরিদ্র আর অভাবী তোমার নামের প্রশংসা করুক।
قُمْ يَا اللهُ وَدَافِعْ عَنْ دَعْوَاكَ. اذْكُرْ كَيْفَ يُعَيِّرُكَ الْجَاهِلُ طُولَ النَّهَارِ. | ٢٢ 22 |
হে ঈশ্বর, ওঠো, তোমার উদ্দেশ্য রক্ষা করো; মনে রেখো, সারাদিন মূর্খরা কীভাবে তোমাকে উপহাস করে।
لَا تَنْسَ أَصْوَاتَ خُصُومِكَ، فَإِنَّ ضَجِيجَ الثَّائِرِينَ عَلَيْكَ يَتَصَاعَدُ دَائِماً. | ٢٣ 23 |
তোমার প্রতিপক্ষদের চিৎকার উপেক্ষা কোরো না; তোমার শত্রুদের শোরগোল, যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পায়।