< المَزامِير 73 >
مَزْمُورٌ لآسَافَ حَقّاً إِنَّ اللهَ رَفِيقٌ بِإِسْرَائِيلَ، بِذَوِي الْقُلُوبِ النَّقِيَّةِ. | ١ 1 |
১আসফের সঙ্গীত। সত্যিই ঈশ্বর, ইস্রায়েলের পক্ষে মঙ্গলময়, তাদের পক্ষে যাদের হৃদয় বিশুদ্ধ।
أَمَّا أَنَا فَقَدْ أَوْشَكَتْ قَدَمَايَ أَنْ تَزِلّا، وَخَطَوَاتِي أَنْ تَنْزَلِقَ، | ٢ 2 |
২কিন্তু আমার পা প্রায় টলে গিয়েছিল; আমার পা প্রায় পিছলিয়ে গিয়েছিল।
لأَنِّي حَسَدْتُ الْمُتَكَبِّرِينَ، إِذْ شَاهَدْتُ نَجَاحَ الأَشْرَارِ. | ٣ 3 |
৩কারণ আমি অহঙ্কারীদের প্রতি হিংসা করেছিলাম, যখন আমি অধার্মিকের বৃদ্ধি দেখলাম।
فَإِنَّ أَوْجَاعَ الْمَوْتِ لَا تُصِيبُهُمْ وَأَجْسَامَهُمْ سَمِينَةٌ. | ٤ 4 |
৪কারণ তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তারা যন্ত্রণা পায় না, কিন্তু তারা শক্তিশালী ও খাদ্যে তৃপ্ত।
لَا يُقَاسُونَ مِنْ أَتْعَابِ الْبَشَرِ، وَلَا يُعَانُونَ مِنَ الْمَصَائِبِ كَالنَّاسِ. | ٥ 5 |
৫তারা অন্যান্য লোকদের বোঝা থেকে মুক্ত; তারা অন্যান্য লোকেদের মত কষ্ট পায়না।
لِذَلِكَ لَبِسُوا الْكِبْرِيَاءَ كَقِلادَةٍ، وَارْتَدَوْا الظُّلْمَ كَثَوْبٍ. | ٦ 6 |
৬অহঙ্কার তাদের গলার হারের মত, হিংসা তাদের পোশাকের মত।
عُيُونُهُمْ جَاحِظَةٌ مِنْ كَثْرَةِ شَحْمِ طَمَعِهِمْ. وَشَرُّهُمْ تَجَاوَزَ مَا يَتَصَوَّرُهُ الْقَلْبُ. | ٧ 7 |
৭এই ধরনের অবিবেচনা থেকে পাপ উপস্থিত হয়, তাদের হৃদয় থেকে মন্দ চিন্তা বের হয়।
يَسْتَهْزِئُونَ وَيَتَكَلَّمُونَ بِالظُّلْمِ خُبْثاً، وَبِكِبْرِيَاءَ يَنْطِقُونَ. | ٨ 8 |
৮তারা বিদ্রুপ করে মন্দ কথা বলে, তারা গর্বের সঙ্গে হিংসার কথা বলে।
جَدَّفُوا عَلَى السَّمَاءِ بِأَفْوَاهِهِمْ، وَلَوَّثُوا الأَرْضَ بِخُبْثِ أَلْسِنَتِهِمْ. | ٩ 9 |
৯তারা স্বর্গের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং তাদের জিভ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণে করে।
حَتَّى شَعْبُ اللهِ يَرْجِعُونَ إِلَيْهِمْ، وَيُصَدِّقُونَ مَا يَقُولُونَهُ لَهُمْ. | ١٠ 10 |
১০এই জন্য ঈশ্বরের লোকেরা তাদের দিকে ফেরে এবং তারা তাদের মধ্যে কোনো দোষ পায় না।
أَمَّا هُمْ فَيَقُولُونَ: كَيْفَ يَعْلَمُ اللهُ، وَهَلْ يَدْرِي الْعَلِيُّ بِمَا يَحْدُثُ؟ | ١١ 11 |
১১তারা বলে, “ঈশ্বর কি করে জানতে পারবেন? কি ঘটছে সেই বিষয়ে কি ঈশ্বর জানেন?”
هَا هُمُ الأَشْرَارُ الْمُفْلِحُونَ فِي الْعَالَمِ يَزْدَادُونَ ثَرْوَةً. | ١٢ 12 |
১২দেখ এরাই অধার্ম্মিক, এরা চিরকাল নিশ্চিন্তে থেকে সম্পত্তি বৃদ্ধি করছে।
بَاطِلاً قَدْ طَهَّرْتُ قَلْبِي وَغَسَلْتُ يَدَيَّ بِالنَّقَاوَةِ. | ١٣ 13 |
১৩নিশ্চয় আমি বৃথাই আমার হৃদয় পরিষ্কার করেছি এবং নিষ্কলঙ্কতায় আমার হাত ধুয়েছি।
لَقَدْ جَعَلْتَنِي يَا رَبُّ مُصَاباً طُولَ النَّهَارِ، وَأَوْقَعْتَ علَيَّ عِقَابَكَ كُلَّ صَبَاحٍ. | ١٤ 14 |
১৪কারণ আমি সমস্ত দিন ধরে আহত হয়েছি এবং প্রতি সকালে শাস্তি পেয়েছি।
لَوْ أَنَّنِي نَطَقْتُ بِمِثْلِ هَذَا، لَكُنْتُ قَدْ خُنْتُ جِيلَ أَوْلادِكَ. | ١٥ 15 |
১৫যদি আমি বলতাম, “আমি এই বিষয়ে বলব,” তবে আমি, তোমার সন্তানদের বংশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতাম।
وَعِنْدَمَا نَوَيْتُ أَنْ أَفْهَمَ هَذَا، تَعَذَّرَ الأَمْرُ عَلَيَّ، | ١٦ 16 |
১৬যদিও আমি এই বিষয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম, কিন্তু তা আমার জন্য খুবই কঠিন বিষয় ছিল,
إِلَى أَنْ دَخَلْتُ أَقْدَاسَ اللهِ، وَتَأَمَّلْتُ آخِرَةَ الأَشْرَارِ | ١٧ 17 |
১৭তখন আমি ঈশ্বরের পবিত্র স্থানে প্রবেশ করলাম এবং তাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে বুঝতে পারলাম।
حَقّاً إِنَّكَ أَوْقَفْتَهُمْ فِي أَمَاكِنَ زَلِقَةٍ، وَأَوْقَعْتَهُمْ فِي التَّهْلُكَاتِ. | ١٨ 18 |
১৮তুমি নিশ্চই তাদেরকে পিছল জায়গায় রাখবে; তুমি তাদেরকে ধ্বংসে নামিয়ে নিয়ে আসছ।
كَيْفَ صَارُوا لِلْخَرَابِ فَجْأَةً؟ انْقَرَضُوا وَأَفْنَتْهُمُ الدَّوَاهِي. | ١٩ 19 |
১৯তারা এক নিমেষের মধ্যে কিভাবে মরুপ্রান্তে পরিণত হয়! তারা শেষ মুহূর্তে উপস্থিত হয় এবং বিভিন্ন ত্রাসে কেমন ধ্বংস হয়।
كَحُلْمٍ يَتَلاشَى عِنْدَ الْيَقَظَةِ هَكَذَا تَخْتَفِي صُورَتُهُمْ عِنْدَمَا تَنْهَضُ يَا رَبُّ لِمُعَاقَبَتِهِمْ. | ٢٠ 20 |
২০স্বপ্ন থেকে যেমন একজন জেগে ওঠে তারা ঠিক তেমন; তেমনি হে প্রভু, তুমি যখন জেগে উঠবে তুমিও সেই স্বপ্নের বিষয়ে আর কিছু চিন্তা করবে না।
عِنْدَمَا تَمَرْمَرَ قَلْبِي وَوَخَزَنِي ضَمِيرِي، | ٢١ 21 |
২১কারণ আমার হৃদয় দুঃখীত হল এবং আমি গভীরভাবে আহত হয়েছি;
أَدْرَكْتُ أَنَّنِي كُنْتُ غَبِيًّا لَا أَعْرِفُ شَيْئاً، إِذْ كُنْتُ كَبَهِيمَةٍ أَمَامَكَ. | ٢٢ 22 |
২২আমি মূর্খ ও অজ্ঞান, আমি তোমার কাছে পশুর মত অসার ছিলাম।
غَيْرَ أَنِّي مَعَكَ دَائِماً، وَأَنْتَ قَدْ أَمْسَكْتَ بِيَدِي الْيُمْنَى. | ٢٣ 23 |
২৩কিন্তু আমি সব দিন তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; তুমি আমার ডান হাত ধরে রেখেছ।
تَهْدِينِي بِمَشُورَتِكَ، وَبَعْدَ ذَلِكَ تَأْخُذُنِي إِلَى الْمَجْدِ. | ٢٤ 24 |
২৪তুমি তোমার উপদেশে আমাকে পরিচালনা করবে এবং শেষে আমাকে মহিমায় গ্রহণ করবে।
مَنْ لِي فِي السَّمَاءِ غَيْرُكَ؟ وَلَسْتُ أَبْغِي فِي الأَرْضِ أَحَداً مَعَكَ. | ٢٥ 25 |
২৫কিন্তু তুমি ছাড়া স্বর্গে আমার আর কে আছে? পৃথিবীতে তোমাকে ছাড়া পৃথিবীতে আমি আর কোন কিছুর বাসনা করি না।
إِنَّ جَسَدِي وَقَلْبِي يَفْنَيَانِ، أَمَّا اللهُ فَهُوَ صَخْرَةُ قَلْبِي وَنَصِيبِي إِلَى الدَّهْرِ. | ٢٦ 26 |
২৬আমার দেহ ও আমার হৃদয় ক্ষয় হচ্ছে, কিন্তু ঈশ্বর চিরকালের জন্য আমার হৃদয়ের শক্তি ও আমার অধিকার।
هُوَذَا الْمُبْتَعِدُونَ عَنْكَ يَهْلِكُونَ وَأَنْتَ تُدَمِّرُ كُلَّ مَنْ يَخُونُكَ. | ٢٧ 27 |
২৭যারা তোমার থেকে দূরে থাকে, তারা ধ্বংস হবে; যারা তোমার প্রতি অবিশ্বস্ত তুমি তাদের ধ্বংস করবে।
أَمَّا أَنَا فَخَيْرٌ لِي أَنْ أَقْتَرِبَ إِلَى اللهِ، لأَنِّي عَلَى السَّيِّدِ تَوَكَّلْتُ، لأُحَدِّثَ بِجَمِيعِ عَجَائِبِكَ. | ٢٨ 28 |
২৮কিন্তু আমার যা করা উচিত তা হল ঈশ্বরের কাছে নিজেকে নিয়ে যাওয়া। আমি প্রভু সদাপ্রভুুকে আমার দূর্গ স্বরূপ বানিয়েছি, আমি তোমার সমস্ত কাজের বিষয়ে বর্ণনা করব।