< المَزامِير 35 >
لِدَاوُدَ يَا رَبُّ كُنْ خَصْماً لِمَنْ يُخَاصِمُونَنِي، وَحَارِبِ الَّذِينَ يُحَارِبُونَنِي. | ١ 1 |
দাউদের গীত। হে সদাপ্রভু, যারা আমার সঙ্গে বিবাদ করে, তাদের সঙ্গে তুমি বিবাদ করো; যারা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তাদের বিরুদ্ধে তুমি যুদ্ধ করো।
تَقَلَّدِ التُّرْسَ وَالدِّرْعَ وَهُبَّ لِنَجْدَتِي. | ٢ 2 |
ঢাল ও বর্ম পরিধান করো; ওঠো, আর আমার সাহায্যের জন্য এসো।
جَرِّدْ رُمْحاً وَتَصَدَّ لِمُطَارِدِيَّ، وَقُلْ لِنَفْسِي: خَلاصُكِ أَنَا. | ٣ 3 |
যারা আমাকে ধাওয়া করে তাদের বিরুদ্ধে বর্শা ও বল্লম তুলে নাও। আমাকে বলো, “আমিই তোমার পরিত্রাণ।”
لِيَخْزَ وَلْيَخْجَلِ السَّاعُونَ إِلَى قَتْلِي. لِيَنْهَزِمْ وَيَخْجَلِ الْمُتَوَاطِئُونَ عَلَى أَذِيَّتِي. | ٤ 4 |
যারা আমার প্রাণনাশের চেষ্টা করে তারা অপমানিত হোক ও লজ্জায় নত হোক; যারা আমার ধ্বংসের চক্রান্ত করে তারা হতাশায় ফিরে যাক।
لِيَكُونُوا مِثْلَ ذَرَّاتِ التِّبْنِ فِي مَهَبِّ الرِّيحِ. وَلْيَدْحَرْهُمْ مَلاكُ الرَّبِّ. | ٥ 5 |
বাতাসে তুষের মতো ওদের অবস্থা হোক, সদাপ্রভুর দূত তাদের বিতাড়িত করুক;
لِتَكُنْ طَرِيقُهُمْ مُظْلِمَةً وَزَلِقَةً، وَلْيَتَعَقَّبْهُمْ مَلاكُ الرَّبِّ. | ٦ 6 |
তাদের চলার পথ অন্ধকারাচ্ছন্ন ও পিচ্ছিল হোক, আর সদাপ্রভুর দূত তাদের পিছনে ধাওয়া করুক।
فَإِنَّهُمْ مِنْ غَيْرِ سَبَبٍ أَخْفَوْا لِي شَبَكَةً فَوْقَ الْهُوَّةِ، وَمِنْ غَيْرِ عِلَّةٍ حَفَرُوا لِي حُفْرَةً. | ٧ 7 |
যেহেতু ওরা অকারণে আমার জন্য গোপন ফাঁদ পেতেছে, আর অকারণেই আমার জন্য গর্ত খুঁড়েছে,
لِيُطْبِقِ الْهَلاكُ فَجْأَةً عَلَى عَدُوِّي، وَلْتُمْسِكْ بِهِ الشَّبَكَةُ الَّتِي أَخْفَاهَا، فَيَهْلِكَ فِيهَا. | ٨ 8 |
অতর্কিতে তাদের উপর যেন ধ্বংস নেমে আসে— ওদের পাতা গোপন ফাঁদে যেন ওরা নিজেরাই ধরা পড়ে, ওদের খোঁড়া গর্তে যেন ওরা পড়ে আর ধ্বংস হয়।
أَمَّا نَفْسِي فَتَفْرَحُ بِالرَّبِّ وَتَبْتَهِجُ بِخَلاصِهِ. | ٩ 9 |
তখন সদাপ্রভুর উদ্দেশে আমার প্রাণ আনন্দিত হবে, আর তাঁর পরিত্রাণে উল্লসিত হবে।
جَمِيعُ عِظَامِي تَقُولُ: يَا رَبُّ مَنْ مِثْلُكَ، المُخَلِّصُ الْمِسْكِينَ مِمَّنْ هُوَ أَقْوَى مِنْهُ وَمُنْقِذُ الْفَقِيرِ وَالْبَائِسِ مِنْ يَدِ نَاهِبِهِ؟ | ١٠ 10 |
আমার সমগ্র সত্তা বলবে, “তোমার মতো কে আছে, হে সদাপ্রভু? তুমি শক্তিমানের হাত থেকে দুর্বলকে রক্ষা করো, লুণ্ঠনকারীদের হাত থেকে দুর্বল ও দরিদ্রদের রক্ষা করো।”
يَقُومُ عَلَيَّ شُهُودُ زُورٍ يَتَّهِمُونَنِي ظُلْماً بِمَا لَا أَعْلَمُ. | ١١ 11 |
দুষ্ট সাক্ষীর দল এগিয়ে আসছে; আমার অজানা বিষয় নিয়ে তারা আমাকে প্রশ্ন করে।
يُجَازُونَنِي عَنِ الْخَيْرِ شَرّاً إِتْعَاساً لِنَفْسِي. | ١٢ 12 |
উপকারের প্রতিদানে ওরা আমার অপকার করে, আমি শোকার্ত হয়ে রইলাম।
أَمَّا أَنَا فَقَدْ لَبِسْتُ الْمِسْحَ حُزْناً عَلَى مَرَضِهِمْ، وَأَذْلَلْتُ نَفْسِي بِالصَّوْمِ، وَلَكِنَّ صَلاتِي كَانَتْ تَرْتَدُّ إِلَى صَدْرِي مِنْ غَيْرِ اسْتِجَابَةٍ. | ١٣ 13 |
কিন্তু ওরা যখন পীড়িত ছিল, আমি দুঃখে তখন চট পরেছিলাম, উপবাস করে নিজেকে নম্র করেছিলাম, কিন্তু আমার প্রার্থনা নিরুত্তর হয়ে আমার কাছে ফিরে এল।
لَقَدْ عَامَلْتُ كُلًّا مِنْهُمْ كَأَنَّهُ صَدِيقِي وَأَخِي، وَأَطْرَقْتُ حُزْناً كَمَنْ يَنْدُبُ أُمَّهُ. | ١٤ 14 |
আমি শোকার্ত হয়ে রইলাম, যেন তারা আমার বন্ধু বা পরিবার ছিল, বিষাদে আমি মাথা নত করেছিলাম যেন আমি নিজের মায়ের শোকে বিলাপ করছিলাম।
وَأَمَّا هُمْ فَشَمِتُوا فَرَحاً عِنْدَ سَقْطَتِي، وَتَجَمَّعُوا عَلَيَّ شَاتِمِينَ، وَشَرَعَ غُرَبَاءُ لَا أَعْرِفُهُمْ يَضْرِبُونَنِي. مَزَّقُونِي وَلَمْ يَرْتَدِعُوا. | ١٥ 15 |
কিন্তু যখন আমি হোঁচট খেলাম, তখন ওরা আনন্দে সমবেত হল, আক্রমণকারীরা আমার অজান্তে আমার বিরুদ্ধে দলবদ্ধ হল। ক্ষান্ত না হয়ে তারা আমাকে বিদীর্ণ করল।
كَفُجَّارٍ مَاجِنِينَ مُجْتَمِعِينَ حَوْلَ وَلِيمَةٍ حَرَّقُوا عَلَيَّ أَسْنَانَهُمْ. | ١٦ 16 |
অধার্মিকের মতো তারা আমাকে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে, তারা আমার প্রতি দন্তঘর্ষণ করে।
يَا سَيِّدُ، حَتَّى مَتَى تَظَلُّ مُتَفَرِّجاً؟ نَجِّ نَفْسِي مِنْ مَهَالِكِهِمْ وَخَلِّصْ حَيَاتِي مِنْ بَيْنِ الأَشْبَالِ. | ١٧ 17 |
আর কত কাল, হে প্রভু, তুমি নীরবে দেখবে? ওদের হিংস্র আক্রমণ থেকে আমাকে রক্ষা করো, ওইসব সিংহের গ্রাস থেকে আমার জীবন বাঁচাও।
أَشْكُرُكَ فِي جَمَاعَةِ الْعَابِدِينَ، وَأَحْمَدُكَ فِي وَسَطِ حُشُودٍ كَثِيرَةٍ. | ١٨ 18 |
মহাসমাবেশে আমি তোমাকে ধন্যবাদ জানাব; অগণিত মানুষের মাঝে আমি তোমার প্রশংসা করব।
لَا يَشْمَتْ بِي أَعْدَائِي بِحُجَّةٍ بَاطِلَةٍ، وَلَا يَتَغَامَزْ مُبْغِضِيَّ عَلَيَّ، بِغَيْرِ عِلَّةٍ. | ١٩ 19 |
যারা অকারণে আমার শত্রু হয়েছে তারা যেন আমার পরাজয়ে উল্লসিত না হয়; যারা অকারণে আমায় ঘৃণা করে তারা যেন পরহিংসায় আমার প্রতি কটাক্ষ না করে।
فَإِنَّهُمْ لَا يَتَكَلَّمُونَ بِالسَّلامِ، وَلَكِنَّهُمْ يَتَآمَرُونَ بِمَكْرٍ لِلإِيقَاعِ بِالْمُسَالِمِينَ السَّاكِنِينَ فِي الأَرْضِ. | ٢٠ 20 |
তারা শান্তির কথা বলে না; কিন্তু যারা জগতে শান্তিতে বসবাস করে তাদেরই বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ রচনা করে।
فَغَرُوا علَيَّ أَفْوَاهَهُمْ عَلَى وِسْعِهَا، وَقَالُوا: «هَهْ! هَهْ! قَدْ رَأَيْنَا بِأَعْيُنِنَا (مَا فَعَلْتَ).» | ٢١ 21 |
তারা আমার প্রতি অবজ্ঞা করে আর বলে, “হা! হা! আমরা নিজেদের চোখে এসব দেখেছি।”
قَدْ رَأَيْتَ يَا رَبُّ ذَلِكَ. لَا تَسْكُتْ وَلَا تَبْتَعِدْ عَنِّي. | ٢٢ 22 |
হে সদাপ্রভু, তুমি সবই দেখেছ, তুমি নীরব থেকো না। হে প্রভু, তুমি আমার কাছ থেকে দূরে থেকো না।
انْهَضْ يَا إِلَهِي وَسَيِّدِي وَاسْتَيْقِظْ لإِحْقَاقِ حَقِّي وَإِنْصَافِ دَعْوَايَ. | ٢٣ 23 |
জেগে ওঠো এবং আমায় সমর্থন করো! আমার পক্ষে দাঁড়াও, হে আমার ঈশ্বর ও প্রভু।
احْكُمْ بِبَرَاءَتِي يَا رَبُّ يَا إِلَهِي حَسَبَ عَدْلِكَ، وَلَا تَدَعْهُمْ يَشْمَتُونَ بِي. | ٢٤ 24 |
তোমার ধার্মিকতায় আমাকে নির্দোষ ঘোষণা করো, হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর; আমাকে নিয়ে তাদের উল্লাস করতে দিয়ো না।
لِئَلّا يَقُولُوا فِي أَنْفُسِهِمْ: «هَهْ! قَدْ ظَفِرْنَا بِهِ» أَوْ يَقُولُوا: «قَدِ ابْتَلَعْنَاهُ!» | ٢٥ 25 |
তাদের ভাবতে দিয়ো না, “আহা! আমরা যা চেয়েছি, তাই ঘটেছে!” অথবা না বলে, “আমরা ওকে গ্রাস করেছি।”
لِيَخْزَ وَيَخْجَلْ جَمِيعُ الشَّامِتِينَ بِي فِي مُصِيبَتِي. لِيَرْتَدِ الْمُتَعَظِّمُونَ عَلَيَّ لِبَاسَ الْخِزْيِ وَالْعَارِ. | ٢٦ 26 |
যারা আমার দুর্দশায় উল্লসিত হয় তারা যেন লজ্জিত ও অপমানিত হয়; যারা আমার উপরে নিজেদের উন্নত করে তারা সবাই যেন লজ্জায় ও অসম্মানে আবৃত হয়।
وَلْيَهْتِفِ الْمَسْرُورُونَ بِبِرِّي بِهُتَافِ الْفَرَحِ وَالابْتِهَاجِ، قَائِلِينَ فِي كُلِّ حِينٍ: «لِيَتَمَجَّدِ الرَّبُّ الَّذِي يَبْتَهِجُ بِنَجَاحِ عَبْدِهِ». | ٢٧ 27 |
যারা আমার নির্দোষিতা প্রমাণে আনন্দ পায়, তারা আনন্দধ্বনি করুক, আহ্লাদিত হোক; তারা সর্বক্ষণ বলুক, “সদাপ্রভু মহিমান্বিত হোন, যিনি তাঁর দাসের কল্যাণে নিত্য আনন্দিত।”
فَيُذِيعَ لِسَانِي عَدْلَكَ، وَيَتَرَنَّمَ بِحَمْدِكَ النَّهَارَ كُلَّهُ. | ٢٨ 28 |
আমার জিভ তোমার ধার্মিকতা প্রচার করবে, সারাদিন তোমার প্রশংসাগান গাইবে।