< المَزامِير 102 >

صَلاةُ الْمِسْكِينِ إِذَا أَعْيَا وَسَكَبَ شَكْوَاهُ أَمَامَ الرَّبِّ يَا رَبُّ اسْتَمِعْ صَلاتِي وَلْيَصِلْ إِلَيْكَ صُرَاخِي. ١ 1
এক পীড়িত ব্যক্তির প্রার্থনা যে দুর্বল হয়েছিল আর সদাপ্রভুর কাছে তার বিলাপের কথা মন খুলে বলেছিল। হে সদাপ্রভু, আমার প্রার্থনা শোনো; আমার সাহায্যের প্রার্থনা তোমার কাছে উপস্থিত হোক।
لَا تَحْجُبْ وَجْهَكَ عَنِّي فِي يَوْمِ ضِيقِي، بَلْ أَمِلْ نَحْوِي أُذُنَكَ. اسْتَجِبْ لِي سَرِيعاً يَوْمَ أَدْعُوكَ، ٢ 2
যখন আমি সংকটে আছি তোমার মুখ আমার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখো না। আমার দিকে কর্ণপাত করো; যখন আমি তোমাকে ডাকি, তাড়াতাড়ি আমাকে উত্তর দিয়ো।
لأَنَّ أَيَّامِي قَدْ تَبَدَّدَتْ كَالدُّخَانِ، وَعِظَامِي اضْطَرَمَتْ كَالْوَقِيدِ. ٣ 3
আমার দিনগুলি ধোঁয়ার মতো মিলিয়ে যায়; আমার হাড়গোড় কয়লার মতো জ্বলছে।
قَلْبِي مَنْكُوبٌ وَيَابِسٌ كَالْعُشْبِ الْجَافِّ، حَتَّى غَفِلْتُ عَنْ أَكْلِ طَعَامِي. ٤ 4
আমার হৃদয় ক্ষয় হয়েছে আর ঘাসের মতো শুকিয়ে গিয়েছে; আমি খাবার খেতে ভুলে যাই।
الْتَصَقَتْ عِظَامِي بِلَحْمِي مِنْ جَرَّاءِ أَنَّاتِي الْمُرْتَفِعَةِ. ٥ 5
আমার দুর্দশায় আমি আর্তনাদ করি আর আমি চামড়া ও হাড়ে পরিণত হয়েছি।
صِرْتُ أَشْبَهَ بِبَجْعِ الْبَرَارِي، وَمِثْلَ بُومَةِ الْخَرَائِبِ. ٦ 6
আমি মরুভূমির প্যাঁচার মতো, ধ্বংসের মাঝে প্যাঁচার মতো হয়েছি।
أَرِقْتُ، وَصِرْتُ كَالْعُصْفُورِ الْمُنْفَرِدِ عَلَى السَّطْحِ. ٧ 7
আমি সজাগ থাকি; ছাদের উপরে একা এক পাখির মতো হয়েছি।
عَيَّرَنِي أَعْدَائِي طُولَ النَّهَارِ، وَالسَّاخِرُونَ الْحَانِقُونَ عَلَيَّ، جَعَلُوا اسْمِي لَعْنَةً، ٨ 8
দিনের পর দিন আমার শত্রুরা আমাকে বিদ্রুপ করে; যারা আমার প্রতি ক্রুদ্ধ তারা আমার নামে অভিশাপ দেয়।
فَقَدْ أَكَلْتُ الرَّمَادَ كَالْخُبْزِ، وَمَزَجْتُ شَرَابِي بِالدُّمُوعِ، ٩ 9
কেননা আমি খাবারের পরিবর্তে ছাই খেয়েছি আর আমার পানীয়র সঙ্গে চোখের জল মিশিয়েছি
بِسَبَبِ غَضَبِكَ وَسَخَطِكَ لأَنَّكَ قَدْ رَفَعْتَنِي ثُمَّ طَرَحْتَنِي بِعُنْفٍ. ١٠ 10
তোমার মহা ক্রোধের কারণে, কেননা তুমি আমাকে তুলে ছুঁড়ে ফেলেছ।
عُمْرِي أَشْبَهُ بِظِلٍّ مُتَقَلِّصٍ، وَأَنَا مِثْلُ الْعُشْبِ أَذْوِي. ١١ 11
আমার দিন সন্ধ্যার ছায়ার মতো হয়েছে; আমি ঘাসের মতো শুকিয়ে যাই।
أَمَّا أَنْتَ يَا رَبُّ فَجَالِسٌ عَلَى عَرْشِكَ إِلَى الأَبَدِ، وَذِكْرُكَ بَاقٍ مَدَى الدَّهْرِ. ١٢ 12
কিন্তু তুমি, হে সদাপ্রভু, চিরকাল সিংহাসনে অধিষ্ঠিত; তোমার সুখ্যাতি বংশপরম্পরায় স্থায়ী।
أَنْتَ تَقُومُ وَتَرْحَمُ صِهْيَوْنَ لأَنَّهُ قَدْ أَزِفَ وَقْتُ إِظْهَارِ رِضَاكَ، ١٣ 13
তুমি জাগ্রত হবে আর জেরুশালেমের প্রতি করুণা করবে, কারণ এখন তার প্রতি অনুগ্রহ দেখানোর সময়; নির্ধারিত সময় উপস্থিত হয়েছে।
فَإِنَّ عَبِيدَكَ يُسَرُّونَ بِحِجَارَتِهَا، يَشْتَاقُونَ إِلَى ذَرَّاتِ تُرَابِهَا. ١٤ 14
কারণ তোমার সেবকেরা তার প্রাচীরের প্রত্যেকটি পাথর ভালোবাসে; এমনকি তার ধুলোর প্রতি যত্ন করে।
فَتَخْشَى الأُمَمُ اسْمَ الرَّبِّ، وَيَهَابُ جَمِيعُ مُلُوكِ الأَرْضِ مَجْدَكَ. ١٥ 15
সমস্ত জাতি সদাপ্রভুর নামে সম্ভ্রম করবে, জগতের রাজারা সবাই তোমার মহিমায় গভীর শ্রদ্ধা করবে।
لأَنَّ الرَّبَّ بَنَى صِهْيَوْنَ وَتَجَلَّى فِي مَجْدِهِ. ١٦ 16
কারণ সদাপ্রভু আবার জেরুশালেম নির্মাণ করবেন এবং তাঁর মহিমায় আবির্ভূত হবেন।
الْتَفَتَ إِلَى صَلاةِ الْبَائِسِينَ وَلَمْ يَرْفُضْ دُعَاءَ الْمُتَضَايِقِينَ. ١٧ 17
যে নিঃস্ব তার প্রার্থনায় সদাপ্রভু উত্তর দেবেন; তাদের নিবেদন তিনি অবজ্ঞা করবেন না।
يُكْتَبُ هَذَا لِلْجِيلِ الآتِي الَّذِي سَيُخْلَقُ فَيُسَبِّحُ الرَّبَّ. ١٨ 18
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এসব লেখা হোক, যারা সৃষ্ট হবে তারা সদাপ্রভুর প্রশংসা করবে:
تَطَلَّعَ الرَّبُّ مِنْ عَلْيَاءِ مَقْدِسِهِ، مِنَ السَّمَاوَاتِ نَظَرَ إِلَى الأَرْضِ، ١٩ 19
“সদাপ্রভু উচ্চ পবিত্রস্থান থেকে নিচে দেখলেন, স্বর্গ থেকে তিনি জগতের প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন,
لِيَسْمَعَ أَنِينَ شَعْبِهِ الأَسِيرِ وَيُحَرِّرَ الْمَقْضِيَّ عَلَيْهِمْ بِالْمَوْتِ. ٢٠ 20
বন্দিদের আর্তনাদ শোনার জন্য, আর যারা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত তাদের মুক্ত করার জন্য।”
لِكَيْ يُذَاعَ اسْمُ الرَّبِّ فِي صِهْيَوْنَ، وَيُسَبَّحَ أَيْضاً فِي أُورُشَلِيمَ، ٢١ 21
তাই সদাপ্রভুর নাম সিয়োনে এবং তাঁর প্রশংসা জেরুশালেমে প্রচার করা হবে,
عِنْدَمَا تَجْتَمِعُ الشُّعُوبُ وَالْمَمَالِكُ جَمِيعاً لِيَعْبُدُوا الرَّبَّ. ٢٢ 22
যখন সব লোকজন আর সব দেশ সদাপ্রভুর আরাধনা করতে একত্রিত হয়।
الرَّبُّ أَضْعَفَنِي وَأَنَا فِي رَيْعَانِ قُوَّتِي وَقَصَّرَ أَيَّامِي. ٢٣ 23
জীবনে চলার পথে তিনি আমার শক্তি ক্ষয় করেছেন; তিনি আমার আয়ু কমিয়েছেন।
حَتَّى قُلْتُ: «يَا رَبُّ أَنْتَ حَيٌّ إِلَى الأَبَدِ. لَا تَقْصِفْنِي فِي مُنْتَصَفِ عُمْرِي، قَبْلَ أَنْ أَبْلُغَ الشَّيْخُوخَةَ. ٢٤ 24
তাই আমি বলেছি: “হে ঈশ্বর, আমার যৌবনকালে আমাকে তুলে নিয়ো না; তোমার বছরগুলি বংশপরম্পরায় স্থায়ী।
مِنْ قِدَمٍ أَسَّسْتَ الأَرْضَ، وَالسَّمَاوَاتُ هِيَ صُنْعُ يَدَيْكَ. ٢٥ 25
আদিকালে তুমি এই পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছ, আর আকাশমণ্ডলও তোমারই হাতের রচনা
هِيَ زَائِلَةٌ أَمَّا أَنْتَ فَبَاقٍ. تَبْلَى كُلُّهَا كَالثَّوْبِ. وَتَسْتَبْدِلُهَا كَمَا يُسْتَبْدَلُ الرِّدَاءُ القَدِيمُ بِالجَدِيدِ. ٢٦ 26
সেসব বিনষ্ট হবে, কিন্তু তুমি স্থায়ী হবে; ছেঁড়া কাপড়ের মতো সেসব শেষ হয়ে যাবে। পোশাকের মতো তুমি তাদের পরিবর্তন করবে আর তাদের পরিত্যাগ করা হবে।
لَكِنَّكَ أَنْتَ الدَّائِمُ الْخَالِدُ، وَسِنُوكَ لَنْ تَنْتَهِيَ. ٢٧ 27
কিন্তু তোমার পরিবর্তন নেই, আর তোমার বছরগুলি কখনও শেষ হবে না।
أَبْنَاءُ عَبِيدِكَ يَدُومُونَ، وَنَسْلُهُمْ يَظَلُّ ثَابِتاً أَمَامَكَ». ٢٨ 28
তোমার দাসদের সন্তানসন্ততিরা তোমার সান্নিধ্যে বসবাস করবে; তাদের বংশধরেরা তোমার সামনে প্রতিষ্ঠিত হবে।”

< المَزامِير 102 >