< المَزامِير 102 >
صَلاةُ الْمِسْكِينِ إِذَا أَعْيَا وَسَكَبَ شَكْوَاهُ أَمَامَ الرَّبِّ يَا رَبُّ اسْتَمِعْ صَلاتِي وَلْيَصِلْ إِلَيْكَ صُرَاخِي. | ١ 1 |
১একজন দুঃখীর প্রার্থনা যখন সে অনুভুতি হয় এবং সদাপ্রভুুর সামনে তার বেদনার কথা ঢেলে দেয়। আমার প্রার্থনা শোন, সদাপ্রভুু; শোন আমার কান্না।
لَا تَحْجُبْ وَجْهَكَ عَنِّي فِي يَوْمِ ضِيقِي، بَلْ أَمِلْ نَحْوِي أُذُنَكَ. اسْتَجِبْ لِي سَرِيعاً يَوْمَ أَدْعُوكَ، | ٢ 2 |
২সঙ্কটের দিনের আমার থেকে তোমার মুখ লুকিও না আমার কষ্টের দিনের। আমার কথা শোন। যখন আমি তোমায় ডাকবো আমাকে তাড়াতাড়ি উত্তর দিও।
لأَنَّ أَيَّامِي قَدْ تَبَدَّدَتْ كَالدُّخَانِ، وَعِظَامِي اضْطَرَمَتْ كَالْوَقِيدِ. | ٣ 3 |
৩কারণ আমার দিন ধোঁয়ার মতো উড়ে গেছে এবং আমার হাড় আগুনের মতো পুড়ে গেছে।
قَلْبِي مَنْكُوبٌ وَيَابِسٌ كَالْعُشْبِ الْجَافِّ، حَتَّى غَفِلْتُ عَنْ أَكْلِ طَعَامِي. | ٤ 4 |
৪আমার হৃদয় ভেঙে গেছে এবং আমি ঘাসের মতো শুকিয়ে গেছি; আমি খেতে পারিনা।
الْتَصَقَتْ عِظَامِي بِلَحْمِي مِنْ جَرَّاءِ أَنَّاتِي الْمُرْتَفِعَةِ. | ٥ 5 |
৫আমার ক্রমাগত কান্নাতে, আমি রোগা হয়ে গেছি।
صِرْتُ أَشْبَهَ بِبَجْعِ الْبَرَارِي، وَمِثْلَ بُومَةِ الْخَرَائِبِ. | ٦ 6 |
৬আমি প্রান্তরের জলচর পাখির মতো ধ্বংসের মধ্যে আমি পেঁচার মতো হয়েছি।
أَرِقْتُ، وَصِرْتُ كَالْعُصْفُورِ الْمُنْفَرِدِ عَلَى السَّطْحِ. | ٧ 7 |
৭আমি শুয়ে জেগে থাকি একাকী পাখির মতো, বাড়ীর ছাদের উপরে একা আছি।
عَيَّرَنِي أَعْدَائِي طُولَ النَّهَارِ، وَالسَّاخِرُونَ الْحَانِقُونَ عَلَيَّ، جَعَلُوا اسْمِي لَعْنَةً، | ٨ 8 |
৮আমার শত্রুরা আমাকে সারা দিন উপহাস করে, তারা আমাকে পরিহাস করে আমার নাম নিয়ে শাপ দেয়।
فَقَدْ أَكَلْتُ الرَّمَادَ كَالْخُبْزِ، وَمَزَجْتُ شَرَابِي بِالدُّمُوعِ، | ٩ 9 |
৯আমি ছাই খাই রুটির মতো এবং আমার পানীয়তে চোখের জল মিশিয়ে পান করি।
بِسَبَبِ غَضَبِكَ وَسَخَطِكَ لأَنَّكَ قَدْ رَفَعْتَنِي ثُمَّ طَرَحْتَنِي بِعُنْفٍ. | ١٠ 10 |
১০কারণ তোমার রাগ গর্জন করে, তুমি আমাকে তুলে আছাড় মেরেছ।
عُمْرِي أَشْبَهُ بِظِلٍّ مُتَقَلِّصٍ، وَأَنَا مِثْلُ الْعُشْبِ أَذْوِي. | ١١ 11 |
১১আমার দিন হেলে পড়া ছায়ার মতো এবং আমি ঘাসের মতো শুকনো হয়েছি।
أَمَّا أَنْتَ يَا رَبُّ فَجَالِسٌ عَلَى عَرْشِكَ إِلَى الأَبَدِ، وَذِكْرُكَ بَاقٍ مَدَى الدَّهْرِ. | ١٢ 12 |
১২কিন্তু তুমি, সদাপ্রভুু, অনন্তকাল জীবিত এবং তোমার খ্যাতি বংশপরম্পরা।
أَنْتَ تَقُومُ وَتَرْحَمُ صِهْيَوْنَ لأَنَّهُ قَدْ أَزِفَ وَقْتُ إِظْهَارِ رِضَاكَ، | ١٣ 13 |
১৩তুমি উঠবে এবং সিয়োনের ওপর ক্ষমা করবে। এখন তার ওপর ক্ষমা করার দিন; নিরূপিত দিন এসেছে।
فَإِنَّ عَبِيدَكَ يُسَرُّونَ بِحِجَارَتِهَا، يَشْتَاقُونَ إِلَى ذَرَّاتِ تُرَابِهَا. | ١٤ 14 |
১৪কারণ তোমার দাসেরা তাঁর পাথরে প্রিয় এবং তাঁর ধ্বংসের ধূলোর জন্য সমবেদনা অনুভব করে।
فَتَخْشَى الأُمَمُ اسْمَ الرَّبِّ، وَيَهَابُ جَمِيعُ مُلُوكِ الأَرْضِ مَجْدَكَ. | ١٥ 15 |
১৫জাতিরা তোমার নাম শ্রদ্ধা করবে, সদাপ্রভুু, পৃথিবীর সব রাজা তোমার গৌরবের সম্মান করবে।
لأَنَّ الرَّبَّ بَنَى صِهْيَوْنَ وَتَجَلَّى فِي مَجْدِهِ. | ١٦ 16 |
১৬সদাপ্রভুু সিয়োনকে পুনরায় নির্মাণ করবেন এবং তাঁর মহিমা প্রকাশ করবেন।
الْتَفَتَ إِلَى صَلاةِ الْبَائِسِينَ وَلَمْ يَرْفُضْ دُعَاءَ الْمُتَضَايِقِينَ. | ١٧ 17 |
১৭ঐ দিন তিনি দীনহীনদের প্রার্থনার উত্তর দেবেন; তিনি তাদের প্রার্থনা বাতিল করবেন না।
يُكْتَبُ هَذَا لِلْجِيلِ الآتِي الَّذِي سَيُخْلَقُ فَيُسَبِّحُ الرَّبَّ. | ١٨ 18 |
১৮এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য লেখা থাকবে এবং যে মানুষ এখনও জন্মায়নি সেও সদাপ্রভুুর প্রশংসা করবে।
تَطَلَّعَ الرَّبُّ مِنْ عَلْيَاءِ مَقْدِسِهِ، مِنَ السَّمَاوَاتِ نَظَرَ إِلَى الأَرْضِ، | ١٩ 19 |
১৯কারণ তিনি পবিত্র উচ্চ থেকে নিচে দেখেছেন সদাপ্রভুু স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে লক্ষ্য করেছেন;
لِيَسْمَعَ أَنِينَ شَعْبِهِ الأَسِيرِ وَيُحَرِّرَ الْمَقْضِيَّ عَلَيْهِمْ بِالْمَوْتِ. | ٢٠ 20 |
২০বন্দিদের কান্না শুনতে, নিন্দিতদের মৃত্যু থেকে মুক্ত করতে।
لِكَيْ يُذَاعَ اسْمُ الرَّبِّ فِي صِهْيَوْنَ، وَيُسَبَّحَ أَيْضاً فِي أُورُشَلِيمَ، | ٢١ 21 |
২১তারপর লোকেরা সিয়োনে সদাপ্রভুুর নাম প্রচার করব এবং যিরুশালেমে তাঁর প্রশংসা হবে।
عِنْدَمَا تَجْتَمِعُ الشُّعُوبُ وَالْمَمَالِكُ جَمِيعاً لِيَعْبُدُوا الرَّبَّ. | ٢٢ 22 |
২২তখন লোকেরা এবং রাজ্যগুলো একসঙ্গে জড় হবে সদাপ্রভুুর সেবা করতে।
الرَّبُّ أَضْعَفَنِي وَأَنَا فِي رَيْعَانِ قُوَّتِي وَقَصَّرَ أَيَّامِي. | ٢٣ 23 |
২৩তিনি আমার শক্তি নিয়ে নিয়েছেন আমার যৌবনে। তিনি আমার আয়ু কমিয়ে দিয়েছেন।
حَتَّى قُلْتُ: «يَا رَبُّ أَنْتَ حَيٌّ إِلَى الأَبَدِ. لَا تَقْصِفْنِي فِي مُنْتَصَفِ عُمْرِي، قَبْلَ أَنْ أَبْلُغَ الشَّيْخُوخَةَ. | ٢٤ 24 |
২৪আমি বললাম, “আমার ঈশ্বর, জীবনের মাঝ পথে আমাকে তুলে নিও না; তুমি আছো সব পুরুষে পুরুষে স্থায়ী।
مِنْ قِدَمٍ أَسَّسْتَ الأَرْضَ، وَالسَّمَاوَاتُ هِيَ صُنْعُ يَدَيْكَ. | ٢٥ 25 |
২৫অতীতে তুমি পৃথিবীর মূল স্থাপন করেছ, আকাশমণ্ডলও তোমার হাতের কাজ।
هِيَ زَائِلَةٌ أَمَّا أَنْتَ فَبَاقٍ. تَبْلَى كُلُّهَا كَالثَّوْبِ. وَتَسْتَبْدِلُهَا كَمَا يُسْتَبْدَلُ الرِّدَاءُ القَدِيمُ بِالجَدِيدِ. | ٢٦ 26 |
২৬সে সব ধ্বংস হবে, কিন্তু তুমি থাকবে; তারা কাপড়ের মতো পুরোনো হয়ে যাবে, যেমন কাপড় পোশাকের মতো সেগুলো খুলে ফেলবে এবং তারা অদৃশ্য হবে।
لَكِنَّكَ أَنْتَ الدَّائِمُ الْخَالِدُ، وَسِنُوكَ لَنْ تَنْتَهِيَ. | ٢٧ 27 |
২৭কিন্তু তুমি একই আছ এবং তোমার বছর কখনও শেষ হবে না।
أَبْنَاءُ عَبِيدِكَ يَدُومُونَ، وَنَسْلُهُمْ يَظَلُّ ثَابِتاً أَمَامَكَ». | ٢٨ 28 |
২৮তোমার দাসদের সন্তানরা বেঁচে থাকবে এবং তাদের বংশধরেরা তোমার সামনে বেঁচে থাকবে।”