< الأمثال 22 >
الصِّيتُ مُفَضَّلٌ عَلَى الْغِنَى الطَّائِلِ، وَنِعْمَةُ الْمَعْرُوفِ خَيْرٌ مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ. | ١ 1 |
১প্রচুর ধনের থেকে সুখ্যাতি ভালো; রৌপ্য ও সুবর্ণ অপেক্ষা প্রসন্নতা ভাল।
الْغَنِيُّ وَالْفَقِيرُ مُتَمَاثِلانِ إِذْ إِنَّ الرَّبَّ هُوَ صَانِعُهُمَا. | ٢ 2 |
২ধনী ও গরিব এই বিষয়ে সমান; সদাপ্রভু তাদের সবার নির্মাতা
يَرَى العَاقِلُ الشَّرَّ فَيَتَوَارَى، أَمَّا الْجَاهِلُ فَيُقْبِلُ إِلَيْهِ وَيُعَاقَبُ. | ٣ 3 |
৩সতর্ক লোক বিপদ দেখে নিজেকে লুকায়, কিন্তু অবোধেরা আগে যায় এবং তারা এর জন্য শাস্তি পায়।
ثَوَابُ التَّوَاضُعِ وَتَقْوَى الرَّبِّ هُوَ الْغِنَى وَالْكَرَامَةُ وَالْحَيَاةُ. | ٤ 4 |
৪সদাপ্রভুর ভয় নম্রতা ও ধন, সম্মান ও জীবন আনে।
فِي طَرِيقِ الْمُلْتَوِي شَوْكٌ وَأَشْرَاكٌ، وَمَنْ يَصُونُ نَفْسَهُ يَتَفَادَاهَا. | ٥ 5 |
৫বিপথগামীর পথে কাঁটা ও ফাঁদ থাকে; যে কেউ নিজের প্রাণ রক্ষা করে সে তাদের থেকে দূরে থাকবে।
دَرِّبِ الْوَلَدَ بِمُقْتَضَى مَوَاهِبِهِ وَطَبِيعَتِهِ، فَمَتَى شَاخَ لَا يَمِيلُ عَنْهَا. | ٦ 6 |
৬শিশু যে পথে যেতে চায় তাকে সেই বিষয়ে শিক্ষা দাও, সে বয়ষ্ক হলেও তা ছাড়বে না।
الْغَنِيُّ يَسُودُ عَلَى الْفَقِيرِ، وَالْمُقْتَرِضُ مُسْتَعْبَدٌ لِلْمُقْرِضِ. | ٧ 7 |
৭ধনী গরিবদের উপরে কর্তৃত্ব করে এবং ঋণী যে ধার দেয় তার দাস হয়।
مَنْ زَرَعَ ظُلْماً يَحْصُدُ بَلِيَّةً، وَيَفْقِدُ مَالَهُ مِنْ سُلْطَانٍ. | ٨ 8 |
৮যে দুষ্টতা বপন করে, সে বিপদের শস্য কাটবে, আর তার প্রকোপের দন্ড ব্যবহৃত হবে না।
الْكَرِيمُ يَتَمَتَّعُ بِالْبَرَكَةِ لأَنَّهُ يَقْتَسِمُ خُبْزَهُ مَعَ الْفَقِيرِ. | ٩ 9 |
৯যার উদার চোখ আছে সে আশীর্বাদিত হবে; কারণ সে গরিবের জন্য তার খাবারের অংশ ভাগ করে।
اطْرُدِ الْمُسْتَهْزِئَ، فَيَخْرُجَ الْخِصَامُ، وَيَتَوَقَّفَ الشِّجَارُ وَالإِسَاءَةُ. | ١٠ 10 |
১০উপহাসককে নিক্ষেপ কর বিবাদ বাইরে যাবে এবং বিরোধ ও অপমানও শেষ হবে।
مَنْ يُحِبُّ طَهَارَةَ الْقَلْبِ، وَيَتَحَلَّى بِجَمَالِ الْحَدِيثِ، يَضْحَى الْمَلِكُ صَدِيقاً لَهُ. | ١١ 11 |
১১যে বিশুদ্ধ হৃদয় ভালবাসে এবং যার কথায় অনুগ্রহ থাকে, সে রাজার বন্ধু হন।
عَيْنَا الرَّبِّ تَرْعَيَانِ الْمَعْرِفَةَ، وَهُوَ يُخَرِّبُ كَلامَ الْغَادِرِينَ. | ١٢ 12 |
১২সদাপ্রভুর চোখ জ্ঞানবানকে রক্ষা করে; কিন্তু তিনি বিশ্বাসঘাতকের কথা ফেলে দেন।
قَالَ الْكَسُولُ: فِي الْخَارِجِ أَسَدٌ يَفْتَرِسُنِي إِنْ خَرَجْتُ إِلَى الشَّوَارِعِ. | ١٣ 13 |
১৩অলস বলে, “রাস্তায় সিংহ আছে! খোলা জায়গায় গেলে আমি মারা যাব।”
فَمُ الْعَاهِرَةِ حُفْرَةٌ عَمِيقَةٌ فَمَنْ سَخَطَ الرَّبُّ عَلَيْهِ يَهْوِي فِيهَا. | ١٤ 14 |
১৪ব্যভিচারিণীদের মুখ গভীর গর্ত; সদাপ্রভুর ক্রোধ তাদের ওপরে পড়বে।
الْحَمَاقَةُ مُتَأَصِّلَةٌ فِي قَلْبِ الْوَلَدِ، وَعَصَا التَّأْدِيبِ تَطْرُدُهَا مِنْهُ. | ١٥ 15 |
১৫বালকের হৃদয়ে নির্বুদ্ধিতা বাঁধা থাকে, কিন্তু শাসন দন্ড তা দূরে তাড়িয়ে দেবে।
مَنْ يَظْلِمُ الْفَقِيرَ لِيَثْرَى ظُلْماً، وَمَنْ يُهْدِي الْغَنِيَّ (عَلَى حِسَابِ الْفَقِيرِ) يَنْتَهِي بِهِ الأَمْرُ إِلَى الْعَوَزِ. | ١٦ 16 |
১৬নিজের সম্পত্তি বাড়ানোর জন্য যে দরিদ্রদের প্রতি অত্যাচার করে অথবা যে ধনীকে দান করে, উভয়েরই দারিদ্রতা ঘটে।
أَرْهِفْ أُذُنَكَ وَاسْتَمِعْ لِكَلامِ الْحُكَمَاءِ، وَلْيَعْزِمْ قَلْبُكَ عَلَى إِدْرَاكِ مَعْرِفَتِي، | ١٧ 17 |
১৭তুমি মনোযোগ দিয়ে জ্ঞানবানদের কথা শোনো এবং তোমার হৃদয়ে আমার জ্ঞান প্রয়োগ কর।
فَتَطِيبَ إِنْ حَفِظْتَهَا فِي قَرَارَةِ نَفْسِكَ، وَثَبَّتَّهَا دَائِماً عَلَى شَفَتَيْكَ. | ١٨ 18 |
১৮কারণ এটা তোমাকে আনন্দদায়ক করবে যদি তুমি সে সব তোমার মধ্যে রাখো, যদি সে সব তোমার ঠোঁটে প্রস্তুত থাকে।
إِيَّاهَا قَدْ لَقَّنْتُكَ أَنْتَ الْيَوْمَ لِيَكُونَ اتِّكَالُكَ عَلَى الرَّبِّ. | ١٩ 19 |
১৯সদাপ্রভু যেন তোমার আশ্রয় হন, আমি আজ তোমাকে, তোমাকেই শিক্ষা দিলাম।
أَلَمْ أَكْتُبْ لَكَ ثَلاثِينَ قَوْلاً مِنْ مَأْثُورِ الْمَشُورَةِ وَالْحِكَمِ؟ | ٢٠ 20 |
২০আমি কি তোমাকে ত্রিশটি নির্দেশের কথা এবং জ্ঞানের কথা বলিনি,
لأُعَلِّمَكَ قَوْلَ الْحَقِّ الْيَقِينِ لِتَرُدَّ جَوَابَ صِدْقٍ لِلَّذِينَ أَرْسَلُوكَ. | ٢١ 21 |
২১যাতে তুমি সত্য বাক্যের নির্ভরযোগ্যতা শিখতে পার, যেন কেউ তোমাকে পাঠালে তুমি তাকে সত্য উত্তর দিতে পার।
لَا تَسْلُبِ الْفَقِيرَ لأَنَّهُ فَقِيرٌ، وَلا تَسْحَقِ الْبَائِسَ الْمَاثِلَ عِنْدَ الْبَابِ، | ٢٢ 22 |
২২গরিব লোকের জিনিস চুরি কোরো না, কারণ সে গরিব অথবা অভাবগ্রস্তকে দরজায় ভেঙ্গো না,
لأَنَّ الرَّبَّ يُدَافِعُ عَنْ دَعْوَاهُمْ، وَيُهْلِكُ نَاهِبِيهِمْ. | ٢٣ 23 |
২৩কারণ সদাপ্রভু তাদের পক্ষ সমর্থন করবেন এবং তিনি তাদের প্রাণকে ছিনিয়ে নেবেন, যারা তাদের জিনিস চুরি করে।
لَا تُصَادِقْ رَجُلاً غَضُوباً، وَلا تُرَافِقْ رَجُلاً سَاخِطاً، | ٢٤ 24 |
২৪যে কেউ রাগের সঙ্গে শাসন করে তার সঙ্গে বন্ধুতা কর না, যে ক্রোধ করে তার সঙ্গে যেও না;
لِئَلّا تَأْلَفَ تَصَرُّفَاتِهِ، وَتُوْقِعَ نَفْسَكَ فِي الشَّرَكِ. | ٢٥ 25 |
২৫অথবা তুমি তার পথের বিষয়ে শেখো এবং তুমি নিজের জন্য ফাঁদ তৈরী কর।
لَا تَكُنْ مِنَ الَّذِينَ يَضْمَنُونَ غَيْرَهُمْ بِصَفْقِ الْكَفِّ، وَلا مِنْ كَافِلِي الدُّيُونِ، | ٢٦ 26 |
২৬কোনো এক জনের মতো হয়ো না যারা টাকার সম্পর্কে অঙ্গীকারে বদ্ধ হয় এবং তুমি অন্যের ঋণের জন্যে দায়ী হয়ো না।
إِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَكَ مَا يَفِي الدَّيْنَ، فَلِمَاذَا يُصَادِرُونَ فِرَاشَكَ الَّذِي تَنَامُ عَلَيْهِ؟ | ٢٧ 27 |
২৭যদি তোমার পরিশোধ করতে অভাব থাকে, তবে গায়ের নীচ থেকে তোমার শয্যা নিয়ে নেওয়া হবে কেন?
لَا تَنْقُلْ مَعَالِمَ التُّخْمِ الْقَدِيمِ الَّذِي أَقَامَهُ آبَاؤُكَ. | ٢٨ 28 |
২৮সীমার পুরাতন পাথর সরিও না, যা তোমার পিতৃপুরুষরা স্থাপন করেছেন।
أَرَأَيْتَ الإِنْسَانَ الْمُجِدَّ فِي عَمَلِهِ؟ إِنَّهُ يَمْثُلُ أَمَامَ الْمُلُوكِ لَا أَمَامَ الرَّعَاعِ! | ٢٩ 29 |
২৯তুমি কি কোনো লোককে তার কাজে দক্ষ দেখছ? সে রাজাদের সামনে দাঁড়াবে, সে সাধারণ লোকেদের সামনে দাঁড়াবে না।