< عَدَد 12 >
وَانْتَقَدَتْ مَرْيَمُ وَهروُنُ مُوسَى لِزَوَاجِهِ مِنِ امْرَأَةٍ كُوشِيَّةٍ، | ١ 1 |
মরিয়ম ও হারোণ, মোশির কূশীয়া স্ত্রীর জন্য, তাঁর বিপক্ষে কথা বলা শুরু করলেন, কারণ তিনি এক কূশীয়া নারীকে বিয়ে করেছিলেন।
وَقَالا: «هَلْ كَلَّمَ الرَّبُّ مُوسَى وَحْدَهُ؟ أَلَمْ يُكَلِّمْنَا نَحْنُ أَيْضاً؟» فَسَمِعَ الرَّبُّ. | ٢ 2 |
তাঁরা প্রশ্ন করলেন, “সদাপ্রভু কি শুধু মোশির মাধ্যমেই কথা বলেছেন? তিনি কি আমাদের মাধ্যমেও কথা বলেননি?” সদাপ্রভু সেই কথা শুনলেন।
أَمَّا مُوسَى فَقَدْ كَانَ أَكْثَرَ حِلْماً مِنْ جَمِيعِ النَّاسِ الَّذِينَ عَلَى وَجْهِ الأَرْضِ. | ٣ 3 |
(এদিকে মোশি, একজন অত্যন্ত নম্র, ভূপৃষ্ঠ নিবাসী যে কোনো ব্যক্তি অপেক্ষা অধিকতর নম্র ছিলেন।)
فَقَالَ الرَّبُّ حَالاً لِمُوسَى وَهَرُونَ وَمَرْيَمَ: «اذْهَبُوا أَنْتُمُ الثَّلاثَةُ إِلَى خَيْمَةِ الاجْتِمَاعِ». فَمَضَى ثَلاثَتُهُمْ. | ٤ 4 |
সদাপ্রভু অনতিবিলম্বে মোশি, হারোণ ও মরিয়মকে বললেন, “তোমরা তিনজনই বেরিয়ে সমাগম তাঁবুর কাছে এসো।” তাঁরা তিনজনই বেরিয়ে এলেন।
فَنَزَلَ الرَّبُّ فِي عَمُودِ سَحَابٍ وَحَلَّ عِنْدَ بَابِ الْخَيْمَةِ، وَنَادَى هَرُونَ وَمَرْيَمَ، فَتَقَدَّمَا وَحْدَهُمَا، | ٥ 5 |
তখন সদাপ্রভু এক মেঘস্তম্ভে অবতরণ করলেন; তিনি তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে হারোণ ও মরিয়মকে ডাকলেন। তাঁরা উভয়েই যখন সামনে এগিয়ে গেলেন,
فَقَالَ: «اسْمَعَا كَلامِي: إِنْ كَانَ بَيْنَكُمْ نَبِيٌّ لِلرَّبِّ فَإِنِّي أَسْتَعْلِنُ لَهُ بِالرُّؤْيَا، وَأُكَلِّمُهُ بِالْحُلْمِ، | ٦ 6 |
তিনি বললেন, “আমার কথা শোনো, “তোমাদের মধ্যে থেকে যখন কোনো ভাববাদীর কাছে, আমি, সদাপ্রভু, দর্শনের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করি, আমি স্বপ্নে তাঁর সঙ্গে আলাপ করি।
أَمَّا عَبْدِي مُوسَى فَلَسْتُ أُعَامِلُهُ هَكَذَا، بَلْ هُوَ أَمِينٌ فِي بَيْتِي، | ٧ 7 |
কিন্তু আমার দাস মোশি সেরকম নয়, সে আমার সমস্ত গৃহের মধ্যে বিশ্বাসভাজন।
لِذَلِكَ أُكَلِّمُهُ وَجْهاً لِوَجْهٍ، وَبِوُضُوحٍ مِنْ غَيْرِ أَلْغَازٍ، وَيُعَايِنُ صُورَةَ الرَّبِّ. فَلِمَاذَا جَرُؤْتُمَا عَلَى انْتِقَادِ عَبْدِي مُوسَى؟» | ٨ 8 |
আমি তাঁর সঙ্গে সরাসরি আলাপ করি, স্পষ্টভাষায় বলি, হেঁয়ালি করে নয়, সে সদাপ্রভুর অবয়ব প্রত্যক্ষ করে। তাহলে তোমরা ভীত হলে না কেন, আমার সেবক মোশির বিপক্ষে কথা বলতে?”
وَاحْتَدَّ غَضَبُ الرَّبِّ عَلَيْهِمَا، ثُمَّ مَضَى عَنْهُمَا. | ٩ 9 |
সদাপ্রভুর রোষ তাঁদের প্রতি বহ্নিমান হল এবং তিনি তাঁদের ত্যাগ করে চলে গেলেন।
فَلَمَّا ارْتَفَعَتِ السَّحَابَةُ عَنْ خَيْمَةِ الاجْتِمَاعِ، إِذَا مَرْيَمُ بَرْصَاءُ كَالثَّلْجِ فَالْتَفَتَ هَرُونُ وَمُوسَى نَحْوَ مَرْيَمَ، وَإذَا هِيَ مُصَابَةٌ بِالْبَرَصِ. | ١٠ 10 |
যখন সেই মেঘ, তাঁবুর উপর থেকে প্রস্থান করল, মরিয়ম হিমের মতো কুষ্ঠরোগাক্রান্ত হয়ে সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন। হারোণ তাঁর দিকে ফিরে দৃষ্টিপাত করলেন, দেখলেন তাঁর কুষ্ঠ হয়েছে।
فَقَالَ هَروُنُ لِمُوسَى: «أَرْجُوكَ يَا سَيِّدِي، لَا تُحَمِّلْنَا الْخَطِيئَةَ الَّتِي ارْتَكَبْنَاهَا كَالْحَمْقَى، وَأَسَأْنَا بِها إِلَيْكَ. | ١١ 11 |
তিনি মোশিকে বললেন, “আমার প্রভু, নির্বোধের মতো করে ফেলা আমাদের পাপ, দয়া করে আমাদের বিপক্ষে ধরে রাখবেন না।
وَلا تَجْعَلْ مَرْيَمَ كَالْجَنِينِ الْمَيْتِ الْخَارِجِ مِنْ رَحِمِ أُمِّهِ وَقَدْ تَهَرَّأَ نِصْفُ لَحْمِهِ». | ١٢ 12 |
সে মাতৃগর্ভ থেকে নিঃসৃত, অর্ধ-ক্ষয়িষ্ণু, মৃতজাত শিশুর মতো না হোক।”
فَصَرَخَ مُوسَى إِلَى الرَّبِّ قَائِلاً: «اللهُمَّ اشْفِهَا». | ١٣ 13 |
মোশি তাই সদাপ্রভুর কাছে কেঁদে বললেন, “হে ঈশ্বর, কৃপাবশত তাকে সুস্থ করো!”
فَأَجَابَهُ الرَّبُّ: «لَوْ أَنَّ أَبَاهَا بَصَقَ فِي وَجْهِهَا، أَمَا كَانَتْ تَمْكُثُ خَجِلَةً سَبْعَةَ أَيَّامٍ؟ فَلْتُحْجَزْ خَارِجَ الْمُخَيَّمِ سَبْعَةَ أَيَّامٍ وَبَعْدَ ذَلِكَ تَرْجِعُ». | ١٤ 14 |
সদাপ্রভু মোশিকে উত্তর দিলেন, “যদি তাঁর বাবা, তাঁর মুখে থুতু দিত, তাহলে সাত দিন সে কি লজ্জিত হত না? ছাউনির বাইরে তাঁকে সাত দিন আবদ্ধ রাখো; তারপর ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।”
فَحُجِزَتْ مَرْيَمُ سَبْعَةَ أَيَّامٍ خَارِجَ الْمُخَيَّمِ، وَلَمْ يَرْتَحِلِ الشَّعْبُ حَتَّى عَادَتْ مَرْيَمُ، | ١٥ 15 |
অতএব, মরিয়ম সাত দিন, ছাউনির বাইরে আবদ্ধ রইলেন এবং তাঁর ফিরে না আসা অবধি, লোকেরা যাত্রায় অগ্রসর হল না।
وَبَعْدَ ذَلِكَ ارْتَحَلَ الشَّعْبُ مِنْ حَضَيْرُوتَ وَنَزَلُوا فِي صَحْرَاءِ فَارَانَ. | ١٦ 16 |
তারপর সেই লোকেরা হৎসেরোৎ ত্যাগ করে পারণ মরুভূমিতে গিয়ে ছাউনি স্থাপন করল।