< مَرْقُس 9 >
وَقَالَ لَهُمْ: «الْحَقَّ أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّ بَعْضاً مِنَ الْوَاقِفِينَ هُنَا، لَنْ يَذُوقُوا الْمَوْتَ إِلّا بَعْدَ أَنْ يَرَوْا مَلَكُوتَ اللهِ وَقَدْ أَتَى بِقُدْرَةٍ.» | ١ 1 |
১আর তিনি তাদের বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে এমন কয়েক জন আছে, যারা কোন মতে মৃত্যু দেখবে না, যে পর্যন্ত ঈশ্বরের রাজ্য পরাক্রমের সঙ্গে আসতে না দেখে।
وَبَعْدَ سِتَّةِ أَيَّامٍ، أَخَذَ يَسُوعُ بُطْرُسَ وَيَعْقُوبَ وَيُوحَنَّا وَحْدَهُمْ، وَصَعِدَ بِهِمْ عَلَى انْفِرَادٍ إِلَى جَبَلٍ عَالٍ، حَيْثُ تَجَلَّى أَمَامَهُمْ، | ٢ 2 |
২ছয় দিন পরে যীশু কেবল পিতর, যাকোব ও যোহনকে সঙ্গে করে চোখের আড়ালে এক উঁচু পাহাড়ের নির্জন জায়গায় নিয়ে গেলেন, পরে তিনি তাঁদের সামনে চেহারা পাল্টালেন।
وَصَارَتْ ثِيَابُهُ لَمَّاعَةً تَفُوقُ الثَّلْجَ بَيَاضاً، يَعْجِزُ أَيُّ مُبَيِّضٍ عَلَى الأَرْضِ أَنْ يُبَيِّضَ مَا يُمَاثِلُهَا. | ٣ 3 |
৩আর তাঁর জামাকাপড় চকচকে এবং অনেক বেশি সাদা হলো, পৃথিবীর কোন ধোপা সেই রকম সাদা করতে পারে না।
وَظَهَرَ لَهُمْ إِيلِيَّا وَمُوسَى يَتَحَدَّثَانِ مَعَ يَسُوعَ. | ٤ 4 |
৪আর এলিয় ও মোশি তাদেরকে দেখা দিলেন; তাঁরা যীশুর সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন।
فَبَدَأَ بُطْرُسُ يَقُولُ لِيَسُوعَ: «يَا سَيِّدُ، مَا أَحْسَنَ أَنْ نَبْقَى هُنَا. فَلْنَنْصُبْ ثَلاثَ خِيَامٍ: وَاحِدَةً لَكَ، وَوَاحِدَةً لِمُوسَى، وَوَاحِدَةً لإِيلِيَّا!» | ٥ 5 |
৫তখন পিতর যীশুকে বললেন, গুরু, এখানে আমাদের থাকা ভাল; আমরা তিনটি কুটির তৈরী করি, একটা আপনার জন্য, একটা মোশির জন্য এবং একটা এলিয়ের জন্য।
فَإِنَّهُ لَمْ يَكُنْ يَدْرِي مَا يَقُولُ، إِذْ كَانَ الْخَوْفُ قَدِ اسْتَوْلَى عَلَيْهِمْ. | ٦ 6 |
৬কারণ কি বলতে হবে, তা তিনি বুঝলেন না, কারণ তারা খুব ভয় পেয়েছিল।
وَجَاءَتْ سَحَابَةٌ فَخَيَّمَتْ عَلَيْهِمْ، وَانْطَلَقَ صَوْتٌ مِنَ السَّحَابَةِ يَقُولُ: «هَذَا هُوَ ابْنِي الْحَبِيبُ. لَهُ اسْمَعُوا!» | ٧ 7 |
৭পরে একটা মেঘ হাজির হয়ে তাদেরকে ছায়া করলো; আর সেই মেঘ থেকে এই বাণী হল, ইনি আমার প্রিয় সন্তান, এনার কথা শোন।
وَفَجْأَةً نَظَرُوا حَوْلَهُمْ فَلَمْ يَرَوْا أَحَداً مَعَهُمْ إِلّا يَسُوعَ وَحْدَهُ. | ٨ 8 |
৮পরে হঠাৎ তাঁরা চারিদিক দেখলেন কিন্তু আর কাউকে দেখতে পেলেন না, কেবল একা যীশু তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন।
وَفِيمَا هُمْ نَازِلُونَ مِنَ الْجَبَلِ، أَوْصَاهُمْ أَلّا يُخْبِرُوا أَحَداً بِمَا رَأَوْا، إِلّا بَعْدَ أَنْ يَكُونَ ابْنُ الإِنْسَانِ قَدْ قَامَ مِنْ بَيْنِ الأَمْوَاتِ. | ٩ 9 |
৯পাহাড় থেকে নেমে আসার দিন তিনি তাদের কঠিন আদেশ দিয়ে বললেন, তোমরা যা যা দেখলে, তা কাউকে বলো না, যে পর্যন্ত মনুষ্যপুত্র মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত না হন।
فَعَمِلُوا بِهذِهِ الْوَصِيَّةِ، مُتَسَائِلِينَ فِيمَا بَيْنَهُمْ «مَاذَا يَعْنِي بِالْقِيَامَةِ مِنْ بَيْنِ الأَمْوَاتِ؟» | ١٠ 10 |
১০মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হওয়ার মানেটা কি এই বিষয় মৃতদের মধ্যে আলোচনা করতে লাগলো।
وَسَأَلُوهُ: «لِمَاذَا يَقُولُ الْكَتَبَةُ إِنَّ إِيلِيَّا لابُدَّ أَنْ يَأْتِيَ أَوَّلاً؟» | ١١ 11 |
১১পরে শিষ্যরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তবে ব্যবস্থার শিক্ষকেরা কেন বলেন যে, প্রথমে এলিয়কে আসতে হবে?
فَأَجَابَهُمْ: «حَقّاً، إِنَّ إِيلِيَّا يَأْتِي أَوَّلاً وَيُصْلِحُ كُلَّ شَيْءٍ. كَذلِكَ جَاءَ فِي الْكِتَابِ أَنَّ ابْنَ الإِنْسَانِ لابُدَّ أَنْ يَتَأَلَّمَ كَثِيراً وَيُهَانَ. | ١٢ 12 |
১২যীশু এর উত্তরে বললেন, “হ্যাঁ সত্যি, এলিয় আসবেন এবং সব কিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন আর মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে কিভাবে লেখা আছে যে, তাঁকে অনেক কষ্ট পেতে হবে ও লোকে তাঁকে ঘৃণা করবে।”
عَلَى أَنِّي أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّ إِيلِيَّا قَدْ أَتَى فِعْلاً، وَقَدْ عَمِلُوا بِهِ أَيْضاً كُلَّ مَا شَاءُوا، كَمَا جَاءَ عَنْهُ فِي الْكِتَابِ!» | ١٣ 13 |
১৩কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, “এলিয়ের বিষয়ে যেরকম লেখা আছে, সেইভাবে তিনি এসে গেছেন এবং লোকেরা তাঁর উপর যা ইচ্ছা, তাই করেছে। যীশুর নানারকম কাজ ও শিক্ষা অনুসারে।”
وَلَمَّا وَصَلُوا إِلَى بَاقِي التَّلامِيذِ، رَأَوْا جَمْعاً عَظِيماً حَوْلَهُمْ وَبَعْضَ الْكَتَبَةِ يُجَادِلُونَهُمْ. | ١٤ 14 |
১৪পরে তাঁরা শিষ্যদের কাছে এসে দেখলেন, তাঁদের চারিদিকে অনেক লোক, আর ধর্মশিক্ষকেরা তাঁদের সঙ্গে তর্ক করছে।
وَعِنْدَمَا رَآهُ الْجَمْعُ، ذُهِلُوا كُلُّهُمْ وَأَسْرَعُوا إِلَيْهِ يُسَلِّمُونَ عَلَيْهِ. | ١٥ 15 |
১৫তাঁকে দেখে সব লোক অনেক চমৎকৃত হলো ও তাঁর কাছে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালো।
فَسَأَلَهُمْ: «فِيمَ تُجَادِلُونَهُمْ؟» | ١٦ 16 |
১৬তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন কি বিষয়ে তোমরা তাদের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক করছো।
فَرَدَّ عَلَيْهِ وَاحِدٌ مِنَ الْجَمْعِ قَائِلاً: «يَا مُعَلِّمُ، أَحْضَرْتُ إِلَيْكَ ابْنِي وَبِهِ رُوحٌ أَخْرَسُ، | ١٧ 17 |
১৭তাদের লোকদের মধ্যে একজন উত্তর করলো, হে গুরুদেব, আমার ছেলেটিকে আপনার কাছে এনেছিলাম তাকে বোবা আত্মায় ধরেছে সে কথা বলতে পারছে না;
كُلَّمَا تَمَلَّكَهُ يَصْرَعُهُ، فَيُزْبِدُ وَيَصِرُّ بِأَسْنَانِهِ وَيَتَيَبَّسُ. وَقَدْ طَلَبْتُ مِنْ تَلامِيذِكَ أَنْ يَطْرُدُوهُ، فَلَمْ يَقْدِرُوا». | ١٨ 18 |
১৮সেই অপদেবতা যেখানে তাকে ধরে, সেখানে আছাড় মারে, আর তার মুখে ফেনা ওঠে এবং সে দাঁত কিড়মিড় করে, আর শক্ত কাঠ হয়ে যায়; আমি আপনার শিষ্যদের তা ছাড়াতে বলেছিলাম, কিন্তু তারা পারল না।
فَأَجَابَهُمْ قَائِلاً: «أَيُّهَا الْجِيلُ غَيْرُ الْمُؤْمِنِ! إِلَى مَتَى أَبْقَى مَعَكُمْ؟ إِلَى مَتَى أَحْتَمِلُكُمْ؟ أَحْضِرُوهُ إِلَيَّ!» | ١٩ 19 |
১৯যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, হে অবিশ্বাসীর বংশ, আমি কত দিন তোমাদের সঙ্গে থাকবো? কত দিন তোমাদের ভার বহন করব? ছেলেটিকে আমার কাছে আন।
فَأَحْضَرُوهُ إِلَى يَسُوعَ. فَمَا إِنْ رَآهُ الرُّوحُ، حَتَّى صَرَعَ الصَّبِيَّ، فَوَقَعَ عَلَى الأَرْضِ يَتَمَرَّغُ مُزْبِداً. | ٢٠ 20 |
২০শিষ্যরা ছেলেটিকে যীশুর কাছে আনলো তাঁকে দেখে সেই ভূত ছেলেটিকে জোরে মুচড়িয়ে ধরল, আর সে মাটিতে পড়ে গেলো এবং মুখ দিয়ে ফেনা বেরোতে লাগলো।
وَسَأَلَ أَبَاهُ: «مُنْذُ مَتَى يُصِيبُهُ هَذَا؟» فَأَجَابَ: «مُنْذُ طُفُولَتِهِ. | ٢١ 21 |
২১তখন যীশু তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ছেলেটি কত দিন ধরে এই অসুখে ভুগছে?
وَكَثِيراً مَا أَلْقَاهُ فِي النَّارِ وَفِي الْمَاءِ لِيُهْلِكَهُ. وَلكِنْ إِنْ كُنْتَ تَقْدِرُ عَلَى شَيْءٍ، فَأَشْفِقْ عَلَيْنَا وَأَعِنَّا!» | ٢٢ 22 |
২২ছেলেটির বাবা বললেন, ছোটোবেলা থেকে; এই আত্মা তাকে মেরে ফেলার জন্য অনেকবার আগুনে ও অনেকবার জলে ফেলে দিয়েছে; করুণা করে আপনি যদি ছেলেটিকে সুস্থ করতে পারেন, তবে আমাদের উপকার হয়।
فَقَالَ لَهُ يَسُوعُ: «بَلْ إِنْ كُنْتَ أَنْتَ تَقْدِرُ أَنْ تُؤْمِنَ، فَكُلُّ شَيْءٍ مُسْتَطَاعٌ لَدَى الْمُؤْمِنِ!» | ٢٣ 23 |
২৩যীশু তাকে বললেন, তোমার যদি বিশ্বাস থাকে তবে সবই হতে পারে।
فَصَرَخَ أَبُو الصَّبِيِّ فِي الْحَالِ: «أَنَا أُومِنُ، فَأَعِنْ عَدَمَ إِيمَانِي». | ٢٤ 24 |
২৪তখনই সেই ছেলেটির বাবা চিত্কার করে কেঁদে বলে উঠলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাকে অবিশ্বাস করবেন না।
فَلَمَّا رَأَى يَسُوعُ الْجَمْعَ يَرْكُضُونَ مَعاً، زَجَرَ الرُّوحَ النَّجِسَ قَائِلاً لَهُ: «أَيُّهَا الرُّوحُ الأَخْرَسُ الأَصَمُّ، إِنِّي آمُرُكَ، فَاخْرُجْ مِنْهُ وَلا تَعُدْ تَدْخُلُهُ بَعْدُ!» | ٢٥ 25 |
২৫পরে লোকেরা একসঙ্গে দৌড়ে আসছে দেখে যীশু সেই অশুচি আত্মাকে ধমক দিয়ে বললেন, হে বোবা আত্মা, আমি তোমাকে আদেশ করছি, এই ছেলের শরীর থেকে বেরিয়ে যাও, আর কখনও এর শরীরের মধ্যে আসবে না।
فَصَرَخَ الرُّوحُ وَصَرَعَ الصَّبِيَّ بِشِدَّةٍ، ثُمَّ خَرَجَ. وَصَارَ الصَّبِيُّ كَأَنَّهُ مَيْتٌ، حَتَّى قَالَ أَكْثَرُ الْجَمْعِ: «إِنَّهُ مَاتَ!» | ٢٦ 26 |
২৬তখন সে চেঁচিয়ে তাকে খুব জোরে মুচড়িয়ে দিয়ে তার শরীর থেকে বেরিয়ে গেল; তাতে ছেলেটি মরার মতো হয়ে পড়ল, এমনকি বেশিরভাগ লোক বলল, সে মরে গেছে।
وَلكِنْ لَمَّا أَمْسَكَهُ يَسُوعُ بِيَدِهِ وَأَنْهَضَهُ، نَهَضَ. | ٢٧ 27 |
২৭কিন্তু যীশু তার হাত ধরে তাকে তুললো ও সে উঠে দাঁড়ালো।
وَبَعْدَمَا دَخَلَ يَسُوعُ الْبَيْتَ، سَأَلَهُ تَلامِيذُهُ عَلَى انْفِرَادٍ: «لِمَاذَا لَمْ نَقْدِرْ نَحْنُ أَنْ نَطْرُدَ الرُّوحَ؟» | ٢٨ 28 |
২৮পরে যীশু ঘরে এলে তাঁর শিষ্যেরা গোপনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা কেন সেই বোবা আত্মাকে ছাড়াতে পারলাম না?
فَأَجَابَ: «هَذَا النَّوْعُ لَا يُطْرَدُ بِشَيْءٍ إِلّا بِالصَّلاةِ وَالصَّوْمِ!» | ٢٩ 29 |
২৯তিনি বললেন প্রার্থনা ছাড়া আর কোনো কিছুতে এটা হওয়া অসম্ভব।
ثُمَّ انْصَرَفُوا مِنْ هُنَاكَ وَاجْتَازُوا مِنْطَقَةَ الْجَلِيلِ، وَلَمْ يُرِدْ أَنْ يَعْلَمَ بِهِ أَحَدٌ، | ٣٠ 30 |
৩০সেই জায়গা থেকে যীশু গালীলের মধ্য দিয়ে চলে গেলেন, আর তাঁর ইচ্ছা ছিল না যে, কেউ তা জানতে পারে।
لأَنَّهُ كَانَ يُعَلِّمُ تَلامِيذَهُ فَيَقُولُ لَهُمْ: «إِنَّ ابْنَ الإِنْسَانِ سَيُسَلَّمُ إِلَى أَيْدِي النَّاسِ، فَيَقْتُلُونَهُ، وَبَعْدَ قَتْلِهِ يَقُومُ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ». | ٣١ 31 |
৩১কারণ তিনি নিজের শিষ্যদের উপদেশ দিচ্ছিলেন, তিনি তাঁদের বললেন, মনুষ্যপুত্র লোকদের হাতে সমর্পিত হবেন এবং তারা তাঁকে মেরে ফেলবে। আর তিনি মারা যাবার তিনদিন পর আবার বেঁচে উঠবেন।
وَلكِنَّهُمْ لَمْ يَفْهَمُوا هَذَا الْقَوْلَ، وَخَافُوا أَنْ يَسْأَلُوهُ. | ٣٢ 32 |
৩২কিন্তু তারা সে কথা বুঝতে পারল না এবং যীশুকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে শিষ্যরা ভয় পেল।
ثُمَّ جَاءَ إِلَى كَفْرَنَاحُومَ. وَبَيْنَمَا هُوَ فِي الْبَيْتِ، سَأَلَ تَلامِيذَهُ: «فِيمَ كُنْتُمْ تَتَجَادَلُونَ فِي الطَّرِيقِ؟». | ٣٣ 33 |
৩৩পরে যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা কফরনাহূমে এলেন; আর ঘরের ভিতরে এসে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, পথে তোমরা কোন বিষয়ে তর্ক বিতর্ক করেছিলে?
فَسَكَتُوا، إِذْ كَانُوا فِي الطَّرِيقِ قَدْ تَجَادَلُوا فِي مَنْ هُوَ الأَعْظَمُ بَيْنَهُمْ. | ٣٤ 34 |
৩৪শিষ্যরা চুপ করে থাকলো কারণ কে মহান? পথে নিজেদের ভিতরে এই বিষয়ে তর্ক করছিল।
فَجَلَسَ، وَدَعَا الاِثْنَيْ عَشَرَ تِلْمِيذاً، وَقَالَ لَهُمْ: «إِنْ أَرَادَ أَحَدٌ أَنْ يَكُونَ الأَوَّلَ، فَلْيَجْعَلْ نَفْسَهُ آخِرَ الْجَمِيعِ وَخَادِماً لِلْجَمِيعِ!» | ٣٥ 35 |
৩৫তখন যীশু বসে সেই বারো জনকে ডেকে বললেন, কেউ যদি প্রথম হতে ইচ্ছা করো, তবে সে সকলের শেষে থাকবে ও সকলের সেবক হতে হবে।
ثُمَّ أَخَذَ وَلَداً صَغِيراً وَأَوْقَفَهُ فِي وَسَطِهِمْ، وَضَمَّهُ بِذِرَاعَيْهِ، وَقَالَ لَهُمْ: | ٣٦ 36 |
৩৬পরে তিনি একটি শিশুকে নিয়ে তাদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে দিলেন এবং তাকে কোলে করে তাদেরকে বললেন,
«أَيُّ مَنْ قَبِلَ بِاسْمِي وَاحِداً مِثْلَ هَذَا مِنَ الأَوْلادِ الصِّغَارِ، فَقَدْ قَبِلَنِي. وَمَنْ قَبِلَنِي، فَلا يَقْبَلُنِي أَنَا، بَلْ ذَاكَ الَّذِي أَرْسَلَنِي». | ٣٧ 37 |
৩৭যে আমার নামে এই রকম কোন শিশুকে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে; আর যে আমাকে গ্রহণ করে, সে আমাকে না, কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁকেই গ্রহণ করে।
فَتَكَلَّمَ يُوحَنَّا قَائِلاً: «يَا مُعَلِّمُ، رَأَيْنَا وَاحِداً يَطْرُدُ شَيَاطِينَ بِاسْمِكَ، وَهُوَ لَا يَتْبَعُنَا، فَمَنَعْنَاهُ لأَنَّهُ لَا يَتْبَعُنَا!» | ٣٨ 38 |
৩৮যোহন তাঁকে বললেন, হে গুরুদেব, আমরা একজন লোককে আপনার নামে ভূত ছাড়াতে দেখেছিলাম, আর তাকে বারণ করেছিলাম, কারণ সে আমাদের অনুসরণ করে না।
فَقَالَ يَسُوعُ: «لا تَمْنَعُوهُ! فَمَا مِنْ أَحَدٍ يَعْمَلُ مُعْجِزَةً بِاسْمِي وَيُمْكِنُهُ أَنْ يَتَكَلَّمَ عَلَيَّ بِالسُّوءِ سَرِيعاً بَعْدَ ذلِكَ. | ٣٩ 39 |
৩৯কিন্তু যীশু বললেন, তাকে বারণ করো না, কারণ এমন কেউ নেই যে, আমার নামে আশ্চর্য্য কাজ করে আমার বদনাম করতে পারে।
فَإِنَّ مَنْ لَيْسَ ضِدَّنَا فَهُوَ مَعَنَا. | ٤٠ 40 |
৪০কারণ যে আমাদের বিরুদ্ধে নয়, সে আমাদেরই পক্ষে।
فَإِنَّ مَنْ سَقَاكُمْ كَأْسَ مَاءٍ بِاسْمِي لأَنَّكُمْ خَاصَّةُ الْمَسِيحِ، فَالْحَقَّ أَقُولُ لَكُمْ إِنَّ مُكَافَأَتَهُ لَنْ تَضِيعَ! | ٤١ 41 |
৪১যে কেউ তোমাদেরকে খ্রীষ্টের লোক মনে করে এক কাপ জল পান করতে দেয়, আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, সে কোনো ভাবে নিজের পুরষ্কার হারাবে না।
وَمَنْ كَانَ عَثْرَةً لأَحَدِ الصِّغَارِ الْمُؤْمِنِينَ بِي، فَأَفْضَلُ لَهُ لَوْ عُلِّقَ فِي عُنُقِهِ حَجَرُ الرَّحَى وَطُرِحَ فِي الْبَحْرِ. | ٤٢ 42 |
৪২আর যেসব শিশুরা আমাকে বিশ্বাস করে, যদি কেউ তাদের বিশ্বাসে বাধা দেয়, তার গলায় বড় যাঁতা বেঁধে তাকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া তার পক্ষে ভাল।
فَإِنْ كَانَتْ يَدُكَ فَخّاً لَكَ، فَاقْطَعْهَا: أَفْضَلُ لَكَ أَنْ تَدْخُلَ الْحَيَاةَ وَيَدُكَ مَقْطُوعَةٌ مِنْ أَنْ تَكُونَ لَكَ يَدَانِ وَتَذْهَبَ إِلَى جَهَنَّمَ، إِلَى النَّارِ الَّتِي لَا تُطْفَأُ (Geenna ) | ٤٣ 43 |
৪৩তোমার হাত যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেল; দুই হাত নিয়ে নরকের আগুনে পোড়ার থেকে, পঙ্গু হয়ে ভালোভাবে জীবন কাটানো অনেক ভালো। (Geenna )
حَيْثُ دُودُهُمْ لَا يَمُوتُ، وَالنَّارُ لَا تُطْفَأُ | ٤٤ 44 |
৪৪
وَإِنْ كَانَتْ رِجْلُكَ فَخّاً لَكَ، فَاقْطَعْهَا: أَفْضَلُ لَكَ أَنْ تَدْخُلَ الْحَيَاةَ وَرِجْلُكَ مَقْطُوعَةٌ مِنْ أَنْ تَكُونَ لَكَ رِجْلانِ وَتُطْرَحَ فِي جَهَنَّمَ، فِي النَّارِ الَّتِي لَا تُطْفَأُ. (Geenna ) | ٤٥ 45 |
৪৫আর তোমার পা যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেল; দুই পা নিয়ে নরকে যাওয়ার থেকে খোঁড়া হয়ে ভালোভাবে জীবন কাটানো অনেক ভালো। (Geenna )
حَيْثُ دُودُهُمْ لَا يَمُوتُ، وَالنَّارُ لَا تُطْفَأُ. | ٤٦ 46 |
৪৬
وَإِنْ كَانَتْ عَيْنُكَ فَخّاً لَكَ، فَاقْلَعْهَا: أَفْضَلُ لَكَ أَنْ تَدْخُلَ مَلَكُوتَ اللهِ وَعَيْنُكَ مَقْلُوعَةٌ مِنْ أَنْ تَكُونَ لَكَ عَيْنَانِ وَتُطْرَحَ فِي جَهَنَّمِ النَّارِ. (Geenna ) | ٤٧ 47 |
৪৭আর তোমার চোখ যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায় তবে তা উপড়িয়ে ফেল; দুই চোখ নিয়ে অগ্নিময় নরকের যাওয়ার থেকে একচোখ নিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা অনেক ভালো; (Geenna )
حَيْثُ دُودُهُمْ لَا يَمُوتُ، وَالنَّارُ لَا تُطْفَأُ. | ٤٨ 48 |
৪৮নরকের পোকা যেমন মরে না, তেমন আগুনও কখনো নেভে না।
فَإِنَّ كُلَّ وَاحِدٍ سَوْفَ تُمَلِّحُهُ النَّارُ. | ٤٩ 49 |
৪৯প্রত্যেক ব্যক্তিকে লবণযুক্ত নরকের আগুন পোড়ানো যাবে।
الْمِلْحُ جَيِّدٌ، وَلكِنْ إِذَا فَقَدَ الْمِلْحُ مُلُوحَتَهُ، فَبِمَاذَا تُعِيدُونَ إِلَيْهِ طَعْمَهُ؟ فَلْيَكُنْ لَكُمْ مِلْحٌ فِي أَنْفُسِكُمْ، وَكُونُوا مُسَالِمِينَ بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ!» | ٥٠ 50 |
৫০লবণ সব জিনিসকে স্বাদযুক্ত করে কিন্তু, লবণ যদি তার নোনতা স্বাদ হারায়, তবে সেই লবণকে কিভাবে স্বাদযুক্ত করা যাবে? তোমরা লবণের মতো হও নিজেদের মনে ভালবাসা রাখো এবং নিজেরা শান্তিতে থাক।