< مَلاخِي 3 >

«هَا أَنَا أُرْسِلُ رَسُولِي فَيُمَهِّدُ الطَّرِيقَ أَمَامِي وَيَأْتِي الرَّبُّ الَّذِي تَطْلُبُونَهُ فَجْأَةً إِلَى هَيْكَلِهِ وَيُقْبِلُ أَيْضاً مَلاكُ الْعَهْدِ الَّذِي تُسَرُّونَ بِهِ» يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ ١ 1
“দেখ, আমি নিজের দূতকে পাঠাব, সে আমার আগে পথ তৈরী করবে। তোমরা যে প্রভুর খোঁজ করছো তিনি হঠাৎ নিজের মন্দিরে আসবেন; নিয়মের সেই দূত, যাতে তোমাদের আনন্দ, তিনি আসছেন।” এটা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেছেন
وَلَكِنْ مَنْ يَحْتَمِلُ يَوْمَ مَجِيئِهِ؟ وَمَنْ يَثْبُتُ عِنْدَ ظُهُورِهِ؟ فَإِنَّهُ مِثْلُ نَارِ الْمُمَحِّصِ أَوْ أَشْنَانِ الْقَصَّارِينَ. ٢ 2
কিন্তু তাঁর আসবার দিন কে সহ্য করতে পারে? কে দাঁড়াতে পারে যখন তিনি প্রকাশিত হবেন? কারণ তিনি পরিশোধনের আগুনের মত অথবা ধোপার সাবানের মত।
فَيَجْلِسُ مُمَحِّصاً وَمُنَقِّياً لِلْفِضَّةِ لِيُطَهِّرَ أَبْنَاءَ لاوِي وَيُمَحِّصَهُمْ كَالْفِضَّةِ وَالذَّهَبِ، حَتَّى يُقَرِّبُوا لِلرَّبِّ تَقْدِمَاتٍ بِقُلُوبٍ طَاهِرَةٍ. ٣ 3
তিনি পরিশোধক ও রূপাকে খাঁটি করার জন্য বিচারক হিসাবে আসনে বসবেন। তিনি লেবীর ছেলেদের শুচি করবেন এবং সোনা ও রূপার মত করে খাঁটি করবেন, তাতে তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে ধার্মিকতার মধ্যে উৎসর্গ করবে।
عِنْدَئِذٍ تَكُونُ تَقْدِمَةُ يَهُوذَا وَشَعْبِ أُورُشَلِيمَ مَرْضِيَّةً عِنْدَ الرَّبِّ، كَالْعَهْدِ بِها فِي سَالِفِ الأَيَّامِ وَفِي السِّنِينَ الْغَابِرَةِ. ٤ 4
তখন যিহূদার ও যিরূশালেমের নৈবেদ্য সদাপ্রভুকে সন্তুষ্ট করবে। যেমন আগে করা হত ও আদিকালে করা হয়েছিল।
وَأَقْتَرِبُ مِنْكُمْ لأَكُونَ شَاهِداً سَرِيعاً ضِدَّ السَّحَرَةِ وَالزُّنَاةِ وَالْحَالِفِينَ بِالزُّورِ وَالْمُسْتَغِلِّينَ لأُجْرَةِ الْعَامِلِ وَمُضْطَهِدِي الأَرَامِلِ وَالأَيْتَامِ، وَالَّذِينَ يَظْلِمُونَ الْغُرَبَاءَ وَلا يَخَافُونَنِي. ٥ 5
বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, তখন আমি বিচার করবার জন্য তোমাদের কাছে আসব; সেই দিন যাদুকর, ব্যভিচারী, মিথ্যা সাক্ষীদের বিরুদ্ধে এবং যারা মজুরদের মজুরিতে ঠকায়, যারা বিধবা ও পিতৃহীনদের অত্যাচার করে আর বিদেশীদের ওপর অন্যায় করে, আমাকে যারা ভয় করে না, তাদের বিরুদ্ধে আমি খুব শীঘ্রই সাক্ষ্য দেব।
فَإِنِّي أَنَا الرَّبُّ لَا أَتَغَيَّرُ، لِذَلِكَ أَنْتُمْ أَيْضاً لَمْ تَفْنَوْا يَا أَبْنَاءَ يَعْقُوبَ. ٦ 6
“কারণ আমি সদাপ্রভু, আমার কোনো পরিবর্তন নেই। সেজন্য যাকোবের বংশধরেরা, তোমরা ধ্বংস হও নি।”
إِنَّ شَأْنَكُمْ كَشَأْنِ آبَائِكُمْ. ابْتَعَدْتُمْ عَنْ فَرَائِضِي وَلَمْ تُطِيعُوهَا. ارْجِعُوا إِلَيَّ فَأَرْجِعَ إِلَيْكُمْ، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ، وَلَكِنَّكُمْ تَسْأَلُونَ كَيْفَ نَرْجِعُ؟ ٧ 7
তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিন থেকেই তোমরা আমার নিয়ম কানুন থেকে সরে গেছ সেগুলো পালন কর নি। আমার কাছে ফিরে এস, আর আমিও তোমাদের কাছে ফিরে আসব, বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন। “কিন্তু তোমরা বলছ, ‘আমরা কেমন করে ফিরে আসব?’
أَيَسْلُبُ الإِنْسَانُ اللهَ؟ لَقَدْ سَلَبْتُمُونِي! وَتَسْأَلُونَ: بِمَاذَا سَلَبْنَاكَ؟ فِي الْعُشُورِ وَالْقَرَابِينِ. ٨ 8
মানুষ কি ঈশ্বরকে লুট করবে? কিন্তু তোমরা তো আমাকে লুট করে থাক। কিন্তু তোমরা বল, ‘কিভাবে আমরা তোমাকে লুট করেছি?’ দশমাংশ ও উপহারের বিষয়ে লুট করেছ।
أَنْتُمْ، بَلِ الأُمَّةُ كُلُّهَا، تَحْتَ اللَّعْنَةِ لأَنَّكُمْ سَلَبْتُمُونِي. ٩ 9
তোমরা অভিশাপে শাপগ্রস্ত, তোমাদের সব জাতি আমাকে ঠকাচ্ছে।
هَاتُوا الْعُشُورَ جَمِيعَهَا إِلَى بَيْتِ الْخَزِينَةِ لِيَتَوافَرَ فِي هَيْكَلِي طَعَامٌ، وَاخْتَبِرُونِي لِتَرَوْا إِنْ كُنْتُ لَا أَفْتَحُ كُوَى السَّمَاءِ وَأَفِيضُ عَلَيْكُمْ بَرَكَةً وَفِيرَةً، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ. ١٠ 10
১০তোমরা তোমাদের সব দশমাংশ ভান্ডারে আন, যাতে আমার ঘরে খাবার থাকে। এই বিষয়ে তোমরা আমাকে পরীক্ষা করে দেখ,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “আমি আকাশের সব জানালা খুলে তোমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত আশীর্বাদ ঢেলে দিই কি না।
وَأَكُفُّ عَنْكُمْ أَذَى الْجَرَادِ الْمُلْتَهِمِ، فَلا يُتْلِفُ لَكُمْ غَلّاتِ الأَرْضِ، وَلا تُصَابُ كُرُومُكُمْ بِالْعُقْمِ، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ. ١١ 11
১১আমি গ্রাসকারীকে তিরস্কার করব, যাতে সেগুলো তোমাদের ফসল ধ্বংস করতে না পারে; তোমাদের ক্ষেতে আঙ্গুর লতার ফল দিনের র আগে ঝরে পড়বে না,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
عِنْدَئِذٍ تَدْعُوكُمْ جَمِيعُ الشُّعُوبِ «بِالأُمَّةِ الْمُبَارَكَةِ» لأَنَّ أَرْضَكُمْ تَكُونُ أَرْضَ بَهْجَةٍ، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ. ١٢ 12
১২“সব জাতি তোমাদেরকে ধন্য বলবে, কারণ তোমাদের দেশ আনন্দদায়ক হবে,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
لَقَدْ قَسَوْتُمْ فِي كَلامِكُمْ عَلَيَّ يَقُولُ الرَّبُّ، وَمَعَ ذَلِكَ تَقُولُونَ: بِمَاذَا تَكَلَّمْنَا ضِدَّكَ؟ ١٣ 13
১৩“তোমরা আমার বিরুদ্ধে কঠিন কথা বলেছ,” সদাপ্রভু বলেন “কিন্তু তোমরা বলছো, ‘আমরা তোমার বিরুদ্ধে কি বলেছি?’
لَقَدْ قُلْتُمْ: مِنَ الْعَبَثِ عِبَادَةُ اللهِ، وَأَيُّ جَدْوَى مِنْ حِفْظِنَا شَعَائِرَهُ، وَالنُّواحِ أَمَامَ حَضْرَةِ الرَّبِّ الْقَدِيرِ؟ ١٤ 14
১৪তোমরা বলেছ, ‘ঈশ্বরের সেবা করা বৃথা। তাঁর আইন-কানুন অনুসারে কাজ করাতে এবং শোক প্রকাশ করে বাহিনীগণের সদাপ্রভুর সামনে চলাফেরা করাতে আমাদের কি লাভ হল?
وَهَا نَحْنُ الآنَ نَغْبِطُ الْمُسْتَكْبِرِينَ، وَنَرَى فَاعِلِي الشَّرِّ يَزْدَهِرُونَ، بَلْ إِنَّهُمْ تَحَدُّوا اللهَ وَنَجَوْا. ١٥ 15
১৫এখন আমরা অহঙ্কারী লোকদের ধন্য বলছি; হ্যাঁ, দুষ্টলোকেরা শুধু উন্নতিই করছে না, তারা ঈশ্বরের পরীক্ষা করেও রক্ষা পাচ্ছে’।”
ثُمَّ حَدَّثَ خَائِفُو الرَّبِّ بَعْضُهُمْ بَعْضاً. فَأَصْغَى الرَّبُّ إِلَى كَلامِهِمْ وَسَمِعَهُمْ، فَتَمَّ تَدْوِينُ أَسْمَاءِ مُتَّقِيِّ الرَّبِّ وَالْمُتَأَمِّلِينَ بِاسْمِهِ أَمَامَهُ فِي كِتَابِ تَذْكِرَةٍ، وَرَدَ فِيهِ: ١٦ 16
১৬তখন যারা সদাপ্রভুকে ভয় করত, তারা একে অন্যের সঙ্গে আলাপ করল এবং সদাপ্রভু মনোযোগ দিলেন ও তা শুনলেন। যারা সদাপ্রভুকে ভয় করত ও সম্মান করত, তাদের মনে করবার জন্য একটা বই লেখা হল।
«سَيَكُونُونَ لِي»، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ، «فِي الْيَوْمِ الَّذِي أَصْنَعُ فِيهِ نَفَائِسِي، وَأُحَافِظُ عَلَيْهِمْ كَمَا يُحَافِظُ الْوَالِدُ عَلَى ابْنِهِ الَّذِي يَخْدُمُهُ. ١٧ 17
১৭বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “আমার অধিকারের সম্পদ,” আমার কাজ করার দিনের তারা আমার নিজের হবে; কোনো মানুষ যেমন নিজের সেবাকারী ছেলেকে মমতা করে, আমি তাদের তেমনি মমতা করবো।
فَتَشْرَعُونَ ثَانِيَةً فِي التَّمْيِيزِ بَيْنَ الصَّالِحِ وَالطَّالِحِ، بَيْنَ مَنْ يَعْبُدُ اللهَ وَمَنْ لَا يَعْبُدُهُ». ١٨ 18
১৮এবং আবার তোমরা, ধার্মিক ও অধার্মিকদের মধ্যে এবং যে ঈশ্বরের সেবা করে ও যে তাঁর সেবা করে না তাদের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাবে।

< مَلاخِي 3 >