< لُوقا 6 >
وَذَاتَ سَبْتٍ مَرَّ يَسُوعُ بَيْنَ الْحُقُولِ، فَأَخَذَ تَلامِيذُهُ يَقْطِفُونَ سَنَابِلَ الْقَمْحِ وَيَفْرُكُونَهَا بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَأْكُلُونَ. | ١ 1 |
এক বিশ্রামদিনে যীশু শস্যক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর শিষ্যেরা শস্যের শিষ ছিঁড়ে দু-হাতে ঘষে দানা বের করে খেতে লাগলেন।
فَقَالَ لَهُمْ بَعْضُ الْفَرِّيسِيِّينَ: «لِمَاذَا تَفْعَلُونَ مَا لَا يَحِلُّ فِعْلُهُ فِي السَّبْتِ؟» | ٢ 2 |
কয়েকজন ফরিশী জিজ্ঞাসা করল, “বিশ্রামদিনে যা করা বিধিসংগত নয়, এমন কাজ তোমরা করছ কেন?”
فَرَدَّ عَلَيْهِمْ يَسُوعُ قَائِلاً: «أَمَا قَرَأْتُمْ مَا فَعَلَهُ دَاوُدُ حِينَمَا جَاعَ مَعَ مُرَافِقِيهِ؟ | ٣ 3 |
যীশু তাদের উত্তর দিলেন, “দাউদ ও তাঁর সঙ্গীরা যখন ক্ষুধার্ত ছিলেন, তখন তাঁরা কী করেছিলেন, তা কি তোমরা কখনও পাঠ করোনি?
كَيْفَ دَخَلَ بَيْتَ اللهِ وَأَخَذَ خُبْزَ التَّقْدِمَةِ وَأَكَلَ مِنْهُ، وَأَعْطَى مُرَافِقِيهِ، مَعَ أَنَّ الأَكْلَ مِنْ هَذَا الْخُبْزِ لَا يَحِلُّ إِلّا لِلْكَهَنَةِ وَحْدَهُمْ؟» | ٤ 4 |
তিনি ঈশ্বরের গৃহে প্রবেশ করেছিলেন, এবং পবিত্র রুটি নিয়ে নিজে খেয়েছিলেন যা করা একমাত্র যাজকদের পক্ষেই বিধিসংগত ছিল। এমনকি তিনি তাঁর সঙ্গীদেরও দিয়েছিলেন।”
ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: «إِنَّ ابْنَ الإِنْسَانِ هُوَ رَبُّ السَّبْتِ!» | ٥ 5 |
তারপর যীশু তাদের বললেন, “মনুষ্যপুত্রই হলেন বিশ্রামদিনের প্রভু।”
وَفِي سَبْتٍ آخَرَ، دَخَلَ الْمَجْمَعَ وَأَخَذَ يُعَلِّمُ. وَكَانَ هُنَالِكَ رَجُلٌ يَدُهُ الْيُمْنَى يَابِسَةٌ. | ٦ 6 |
আর এক বিশ্রামদিনে তিনি সমাজভবনে গিয়ে শিক্ষাদান করছিলেন। সেখানে একটি লোক ছিল, তার ডান হাত শুকিয়ে গিয়েছিল।
فَأَخَذَ الْكَتَبَةُ وَالْفَرِّيسِيُّونَ يُرَاقِبُونَ يَسُوعَ: هَلْ يَشْفِي فِي السَّبْتِ، لِكَيْ يَجِدُوا مَا يَتَّهِمُونَهُ بِهِ. | ٧ 7 |
ফরিশী ও শাস্ত্রবিদরা যীশুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার জন্য কোনো সূত্রের সন্ধানে ছিল। সেইজন্য যীশু বিশ্রামদিনে সুস্থ করেন কি না, সেদিকে ছিল তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি।
إِلّا أَنَّهُ عَلِمَ نِيَّاتِهِمْ، وَقَالَ لِلرَّجُلِ الَّذِي يَدُهُ يَابِسَةٌ: «قُمْ، وَقِفْ فِي الْوَسَطِ!» فَقَامَ، وَوَقَفَ هُنَاكَ. | ٨ 8 |
কিন্তু যীশু তাদের চিন্তার কথা জেনে হাত শুকিয়ে যাওয়া লোকটিকে বললেন, “তুমি সকলের সামনে উঠে দাঁড়াও।” তাই সে সেখানে উঠে দাঁড়াল।
فَقَالَ لَهُمْ يَسُوعُ: «أَسْأَلُكُمْ سُؤَالاً: أَيَحِلُّ فِي السَّبْتِ فِعْلُ الْخَيْرِ أَمْ فِعْلُ الشَّرِّ؟ تَخْلِيصُ النَّفْسِ أَوْ إِهْلاكُهَا؟» | ٩ 9 |
যীশু তখন তাদের বললেন, “আমি তোমাদের জিজ্ঞাসা করি, বিশ্রামদিনে কী করা ন্যায়সংগত, ভালো কাজ করা, না মন্দ কাজ করা; জীবন রক্ষা করা, না তা ধ্বংস করা?”
وَبَعْدَمَا أَدَارَ نَظَرَهُ فِيهِمْ جَمِيعاً، قَالَ لَهُ: «مُدَّ يَدَكَ!» فَمَدَّ يَدَهُ، فَعَادَتْ صَحِيحَةً. | ١٠ 10 |
তিনি তাদের সকলের প্রতি চারদিকে তাকালেন। তারপর লোকটিকে বললেন, “তোমার হাতটি বাড়িয়ে দাও।” সে তাই করল। তার হাত একেবারে সুস্থ হল।
وَلكِنَّ الْحَمَاقَةَ اسْتَوْلَتْ عَلَيْهِمْ حَتَّى أَخَذُوا يَتَشَاوَرُونَ فِي مَا بَيْنَهُمْ مَاذَا يَفْعَلُونَ بِيَسُوعَ. | ١١ 11 |
তারা কিন্তু ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল এবং যীশুর বিরুদ্ধে আর কী করা যায়, তা নিয়ে পরস্পর আলোচনা শুরু করল।
وَفِي تِلْكَ الأَيَّامِ، خَرَجَ إِلَى الْجَبَلِ لِيُصَلِّيَ، وَقَضَى اللَّيْلَ كُلَّهُ فِي الصَّلاةِ لِلهِ. | ١٢ 12 |
সেই সময়, একদিন যীশু প্রার্থনা করার জন্য একটি পাহাড়ের ধারে গেলেন। সেখানে তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে সারারাত কাটালেন।
وَلَمَّا طَلَعَ النَّهَارُ، اسْتَدْعَى تَلامِيذَهُ، وَاخْتَارَ مِنْهُمْ اثْنَيْ عَشَرَ سَمَّاهُمْ أَيْضاً رُسُلاً. | ١٣ 13 |
ভোরবেলায় তিনি তাঁর শিষ্যদের কাছে ডাকলেন এবং তাঁদের মধ্য থেকে বারোজনকে মনোনীত করলেন। তিনি তাঁদের প্রেরিতশিষ্য নামে অভিহিত করলেন:
وَهُمْ: سِمْعَانُ، وَقَدْ سَمَّاهُ أَيْضاً بُطْرُسَ، وَأَنْدَرَاوُسُ أَخُوهُ؛ يَعْقُوبُ، وَيُوحَنَّا؛ فِيلِبُّسُ، وَبَرْثُلَمَاوُسُ؛ | ١٤ 14 |
শিমোন (তিনি যাঁর নাম দিয়েছিলেন পিতর), তাঁর ভাই আন্দ্রিয়, যাকোব, যোহন, ফিলিপ, বর্থলময়,
مَتَّى، وَتُومَا؛ يَعْقُوبُ بْنُ حَلْفَى، وَسِمْعَانُ الْمَعْرُوفُ بِالْغَيُورِ؛ | ١٥ 15 |
মথি, থোমা, আলফেয়ের পুত্র যাকোব, জিলট নামে পরিচিত শিমোন,
يَهُوذَا أَخُو يَعْقُوبَ، وَيَهُوذَا الإِسْخَرْيُوطِيُّ الَّذِي خَانَهُ فِي مَا بَعْدُ. | ١٦ 16 |
যাকোবের পুত্র যিহূদা এবং যিহূদা ইষ্কারিয়োৎ, যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।
ثُمَّ نَزَلَ مَعَهُمْ، وَوَقَفَ فِي مَكَانٍ سَهْلٍ، هُوَ وَجَمَاعَةٌ مِنْ تَلامِيذِهِ، وَجُمْهُورٌ كَبِيرٌ مِنَ الشَّعْبِ، مِنْ جَمِيعِ الْيَهُودِيَّةِ وَأُورُشَلِيمَ وَسَاحِلِ صُورَ وَصَيْدَا، | ١٧ 17 |
তিনি তাঁদের সঙ্গে নেমে এসে এক সমভূমিতে দাঁড়ালেন। সেখানে তাঁর অনেক শিষ্য এবং যিহূদিয়া, জেরুশালেম, টায়ার ও সীদোনের উপকূল অঞ্চল থেকে আগত অনেক লোক সমবেত হয়েছিল।
جَاءُوا لِيَسْمَعُوهُ وَيَنَالُوا الشِّفَاءَ مِنْ أَمْرَاضِهِمْ. وَالَّذِينَ كَانَتْ تُعَذِّبُهُمُ الأَرْوَاحُ النَّجِسَةُ كَانُوا يُشْفَوْنَ. | ١٨ 18 |
তারা তাঁর শিক্ষা শুনতে ও তাদের সব রোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এসেছিল। মন্দ-আত্মার দ্বারা উৎপীড়িতেরা সুস্থ হল।
وَكَانَ الْجَمْعُ كُلُّهُ يَسْعَوْنَ إِلَى لَمْسِهِ، لأَنَّ قُوَّةً كَانَتْ تَخْرُجُ مِنْهُ وَتَشْفِيهِمْ جَمِيعاً. | ١٩ 19 |
লোকেরা তাঁকে স্পর্শ করার চেষ্টা করল, কারণ তাঁর ভিতর থেকে শক্তি নির্গত হয়ে সবাইকে রোগমুক্ত করছিল।
ثُمَّ رَفَعَ عَيْنَيْهِ إِلَى تَلامِيذِهِ وَقَالَ: «طُوبَى لَكُمْ أَيُّهَا الْمَسَاكِينُ، فَإِنَّ لَكُمْ مَلَكُوتَ اللهِ! | ٢٠ 20 |
যীশু তাঁর শিষ্যদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “ধন্য তোমরা, যারা দীনহীন কারণ ঈশ্বরের রাজ্য তোমাদেরই।
طُوبَى لَكُمْ أَيُّهَا الْجَائِعُونَ الآنَ، فَإِنَّكُمْ سَوْفَ تُشْبَعُونَ. طُوبَى لَكُمْ أَيُّهَا الْبَاكُونَ الآنَ، فَإِنَّكُمْ سَوْفَ تَضْحَكُونَ. | ٢١ 21 |
ধন্য তোমরা, যারা এখন ক্ষুধার্ত, কারণ তোমরা পরিতৃপ্ত হবে। ধন্য তোমরা, যারা এখন কান্নাকাটি করছ, কারণ তোমাদের মুখে হাসি ফুটবে।
طُوبَى لَكُمْ مَتَى أَبْغَضَكُمُ النَّاسُ، وَعَزَلُوكُمْ، وَأَهَانُوا اسْمَكُمْ وَنَبَذُوهُ كَأَنَّهُ شِرِّيرٌ، مِنْ أَجْلِ ابْنِ الإِنْسَانِ. | ٢٢ 22 |
ধন্য তোমরা, যখন মনুষ্যপুত্রের জন্য মানুষ তোমাদের ঘৃণা করে, তোমাদের বহিষ্কার করে ও তোমাদের অপমান করে, আবার মন্দ অপবাদ দিয়ে তোমাদের নাম অগ্রাহ্য করে।
افْرَحُوا فِي ذلِكَ الْيَوْمِ وَتَهَلَّلُوا، فَهَا إِنَّ مُكَافَأَتَكُمْ فِي السَّمَاءِ عَظِيمَةٌ: لأَنَّهُ هكَذَا عَامَلَ آبَاؤُهُمُ الأَنْبِيَاءَ. | ٢٣ 23 |
“তখন তোমরা উল্লসিত হোয়ো, আনন্দে নাচ কোরো, কারণ স্বর্গে তোমাদের জন্য আছে প্রচুর পুরস্কার। তাদের পূর্বপুরুষেরা ভাববাদীদের সঙ্গেও এরকম আচরণ করেছিল।
وَلكِنِ الْوَيْلُ لَكُمْ أَنْتُمُ الأَغْنِيَاءُ، فَإِنَّكُمْ قَدْ نِلْتُمْ عَزَاءَكُمْ! | ٢٤ 24 |
“কিন্তু তোমরা যারা ধনী, ধিক্ তোমাদের কারণ স্বাচ্ছন্দ্য তোমরা ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছ।
الْوَيْلُ لَكُمْ أَيُّهَا الْمُشْبَعُونَ الآنَ، فَإِنَّكُمْ سَوْفَ تَجُوعُونَ. الْوَيْلُ لَكُمْ أَيُّهَا الضَّاحِكُونَ الآنَ، فَإِنَّكُمْ سَوْفَ تَنُوحُونَ وَتَبْكُونَ. | ٢٥ 25 |
খাদ্য প্রাচুর্যে পরিতৃপ্ত যারা, ধিক্ তোমাদের, কারণ তোমরা ক্ষুধার্ত হবে। যারা এখন হাসছ, ধিক্ তোমাদের, কারণ তোমরা বিলাপ ও কান্নাকাটি করবে।
الْوَيْلُ لَكُمْ إِذَا امْتَدَحَكُمْ جَمِيعُ النَّاسِ، فَإِنَّهُ هكَذَا عَامَلَ آبَاؤُهُمُ الأَنْبِيَاءَ الدَّجَّالِينَ. | ٢٦ 26 |
যখন মানুষ তোমাদের প্রশংসা করে, ধিক্ তোমাদের, কারণ তাদের পূর্বপুরুষেরা ভণ্ড ভাববাদীদের সঙ্গে এরকমই আচরণ করত।
وَأَمَّا لَكُمْ أَيُّهَا السَّامِعُونَ، فَأَقُولُ: أَحِبُّوا أَعْدَاءَكُمْ؛ أَحْسِنُوا مُعَامَلَةَ الَّذِينَ يُبْغِضُونَكُمْ؛ | ٢٧ 27 |
“কিন্তু তোমরা, যারা আমার কথা শুনছ, তাদের আমি বলছি, তোমরা শত্রুদের ভালোবেসো; যারা তোমাদের ঘৃণা করে, তাদের মঙ্গল কোরো।
بَارِكُوا لاعِنِيكُمْ؛ صَلُّوا لأَجْلِ الَّذِينَ يُسِيئُونَ إِلَيْكُمْ. | ٢٨ 28 |
যারা তোমাদের অভিশাপ দেয়, তাদের আশীর্বাদ দিয়ো; যারা তোমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, তাদের জন্য প্রার্থনা কোরো।
وَمَنْ ضَرَبَكَ عَلَى خَدِّكَ، فَاعْرِضْ لَهُ الْخَدَّ الآخَرَ أَيْضاً. وَمَنِ انْتَزَعَ رِدَاءَكَ، فَلا تَمْنَعْ عَنْهُ ثَوْبَكَ أَيْضاً. | ٢٩ 29 |
কেউ যদি তোমার এক গালে চড় মারে, অন্য গালও তার দিকে ফিরিয়ে দিয়ো। কেউ যদি তোমার গায়ের চাদর নিয়ে নেয়, তাকে তোমার জামাও নিতে বাধা দিয়ো না।
أَيُّ مَنْ طَلَبَ مِنْكَ شَيْئاً فَأَعْطِهِ؛ وَمَنِ اغْتَصَبَ مَالَكَ، فَلا تُطَالِبْهُ. | ٣٠ 30 |
যারা তোমার কাছে চায়, তাদের তুমি দাও। আর কেউ যদি তোমার কাছ থেকে তোমার কোনো জিনিস নিয়ে নেয়, তা ফেরত চেয়ো না।
وَبِمِثْلِ مَا تُرِيدُونَ أَنْ يُعَامِلَكُمُ النَّاسُ عَامِلُوهُمْ أَنْتُمْ أَيْضاً. | ٣١ 31 |
তোমরা অপরের কাছ থেকে যেরূপ ব্যবহার পেতে চাও, তাদের প্রতি তোমরাও সেরূপ ব্যবহার কোরো।
فَإِنْ أَحْبَبْتُمُ الَّذِينَ يُحِبُّونَكُمْ، فَأَيُّ فَضْلٍ لَكُمْ؟ فَإِنَّ الْخَاطِئِينَ أَيْضاً يُحِبُّونَ الَّذِينَ يُحِبُّونَهُمْ! | ٣٢ 32 |
“যারা তোমাদের ভালোবাসে, তোমরা যদি তাদেরই ভালোবাসো, তাহলে তোমাদের কৃতিত্ব কোথায়? এমনকি, পাপীদের যারা ভালোবাসে, পাপীরা তাদেরই ভালোবাসে।
وَإِنْ أَحْسَنْتُمْ مُعَامَلَةَ الَّذِينَ يُحْسِنُونَ مُعَامَلَتَكُمْ، فَأَيُّ فَضْلٍ لَكُمْ؟ فَإِنَّ الْخَاطِئِينَ أَيْضاً يَفْعَلُونَ هكَذَا! | ٣٣ 33 |
যারা তোমাদের উপকার করে, তোমরা যদি তাদেরই উপকার করো, তাহলে তোমাদের কৃতিত্ব কোথায়? পাপীরাও তো তাই করে।
وَإِنْ أَقْرَضْتُمُ الَّذِينَ تَأْمُلُونَ أَنْ تَسْتَوْفُوا مِنْهُمْ، فَأَيُّ فَضْلٍ لَكُمْ؟ فَإِنَّ الْخَاطِئِينَ أَيْضاً يُقْرِضُونَ الْخَاطِئِينَ لِكَيْ يَسْتَوْفُوا مِنْهُمْ مَا يُسَاوِي قَرْضَهُمْ. | ٣٤ 34 |
যাদের কাছে ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা আছে, শুধুমাত্র তাদেরই যদি তোমরা ঋণ দাও, তাহলে তোমাদের কৃতিত্ব কোথায়? পাপীরাও তো তাদের সমস্ত ঋণ ফেরত পাওয়ার আশায় পাপীদের ঋণ দেয়।
وَلكِنْ، أَحِبُّوا أَعْدَاءَكُمْ، وَأَحْسِنُوا الْمُعَامَلَةَ، وَأَقْرِضُوا دُونَ أَنْ تَأْمُلُوا اسْتِيفَاءَ الْقَرْضِ، فَتَكُونَ مُكَافَأَتُكُمْ عَظِيمَةً، وَتَكُونُوا أَبْنَاءَ الْعَلِيِّ، لأَنَّهُ يُنْعِمُ عَلَى نَاكِرِي الْجَمِيلِ وَالأَشْرَارِ. | ٣٥ 35 |
কিন্তু তোমরা শত্রুদেরও ভালোবেসো, তাদের মঙ্গল কোরো এবং কোনো কিছু ফেরত পাওয়ার প্রত্যাশা না করে, তাদের ঋণ দিয়ো। তাহলে তোমাদের পুরস্কার হবে প্রচুর। আর তোমরা হবে পরাৎপরের সন্তান, কারণ তিনি অকৃতজ্ঞ ও দুর্জনদের প্রতিও কৃপাবান।
فَكُونُوا أَنْتُمْ رُحَمَاءَ، كَمَا أَنَّ أَبَاكُمْ رَحِيمٌ. | ٣٦ 36 |
অতএব, তোমাদের পিতা যেমন দয়ালু, তোমরাও তেমনই দয়ালু হও।
وَلا تَدِينُوا، فَلا تُدَانُوا. لَا تَحْكُمُوا عَلَى أَحَدٍ، فَلا يُحْكَمَ عَلَيْكُمْ. اغْفِرُوا، يُغْفَرْ لَكُمْ. | ٣٧ 37 |
“বিচার কোরো না, তাহলে তোমাদের বিচার করা হবে না। কাউকে দোষী কোরো না, তাহলে তোমাদেরও দোষী সাব্যস্ত করা হবে না। ক্ষমা কোরো, তাহলে তোমাদেরও ক্ষমা করা হবে।
أَعْطُوا، تُعْطَوْا: فَإِنَّكُمْ تُعْطَوْنَ فِي أَحْضَانِكُمْ كَيْلاً جَيِّداً مُلَبَّداً مَهْزُوزاً فَائِضاً، لأَنَّهُ بِالْكَيْلِ الَّذِي بِهِ تَكِيلُونَ، يُكَالُ لَكُمْ». | ٣٨ 38 |
দান কোরো, তোমাদেরও দেওয়া হবে। প্রচুর পরিমাণে, ঠেসে, ঝাঁকিয়ে তোমাদের পাত্র এমনভাবে তোমাদের কোলে ভরিয়ে দেওয়া হবে, যেন তা উপচে পড়ে। কারণ যে মানদণ্ডে তোমরা পরিমাপ করবে, সেই একই মানদণ্ডে পরিমাপ করে তোমাদের ফেরত দেওয়া হবে।”
وَأَخَذَ يَضْرِبُ لَهُمُ الْمَثَلَ، فَقَالَ: «هَلْ يَقْدِرُ الأَعْمَى أَنْ يَقُودَ أَعْمَى؟ أَلا يَسْقُطَانِ مَعاً فِي حُفْرَةٍ؟ | ٣٩ 39 |
পরে তিনি তাদের এই রূপকটি বললেন, “একজন অন্ধ কি আর একজন অন্ধকে পথ দেখাতে পারে? তারা দুজনেই কি কোনো গর্তে পড়বে না?
لَيْسَ التِّلْمِيذُ أَفْضَلَ مِنْ مُعَلِّمِهِ، بَلْ كُلُّ مَنْ يَتَكَمَّلُ يَصِيرُ مِثْلَ مُعَلِّمِهِ! | ٤٠ 40 |
শিষ্য তার গুরুর ঊর্ধ্বে নয়, কিন্তু সম্পূর্ণ শিক্ষালাভ করলে প্রত্যেক শিষ্যও তার গুরুর সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারে।
وَلِمَاذَا تُلاحِظُ الْقَشَّةَ فِي عَيْنِ أَخِيكَ، وَلكِنَّكَ لَا تَتَنَبَّهُ إِلَى الْخَشَبَةِ الْكَبِيرَةِ فِي عَيْنِكَ؟ | ٤١ 41 |
“তোমার ভাইয়ের চোখে যে কাঠের গুঁড়ো রয়েছে, কেবলমাত্র সেটিই দেখছ? অথচ তোমার নিজের চোখে যে কড়িকাঠ রয়েছে, তার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছ না কেন?
أَوْ كَيْفَ تَقْدِرُ أَنْ تَقُولَ لأَخِيكَ: يَا أَخِي، دَعْنِي أُخْرِجُ الْقَشَّةَ الَّتِي فِي عَيْنِكَ! وَأَنْتَ لَا تُلاحِظُ الخَشَبَةَ الَّتِي في عَيْنِكَ أَنْتَ. يَا مُنَافِقَ، أَخْرِجْ أَوَّلاً الْخَشَبَةَ مِنْ عَيْنِكَ، وَعِنْدَئِذٍ تُبْصِرُ جَيِّداً لِتُخْرِجَ الْقَشَّةَ الَّتِي فِي عَيْنِ أَخِيكَ. | ٤٢ 42 |
তুমি কী করে তোমার ভাইকে বলতে পারো, ‘এসো, তোমার চোখ থেকে কাঠের গুঁড়োটি বের করে দিই,’ যখন তোমার নিজের চোখের কড়িকাঠ দেখতে পাচ্ছ না? ওহে ভণ্ড, প্রথমে নিজের চোখ থেকে কড়িকাঠটি বের করো, তাহলেই তোমার ভাইয়ের চোখ থেকে কাঠের গুঁড়োটি বের করার জন্য স্পষ্ট দেখতে পাবে।
فَإِنَّهُ مَا مِنْ شَجَرَةٍ جَيِّدَةٍ تُنْتِجُ ثَمَراً رَدِيئاً، وَلا شَجَرَةٍ رَدِيئَةٍ تُنْتِجُ ثَمَراً جَيِّداً: | ٤٣ 43 |
“কোনো ভালো গাছে মন্দ ফল ধরে না, আবার মন্দ গাছেও ভালো ফল ধরে না।
لأَنَّ كُلَّ شَجَرَةٍ تُعْرَفُ مِنْ ثَمَرِهَا. فَلا يُجْنَى مِنَ الشَّوْكِ تِينٌ، وَلا يُقْطَفُ مِنَ الْعُلَّيْقِ عِنَبٌ. | ٤٤ 44 |
তার ফলের দ্বারাই প্রত্যেক গাছের পরিচয় পাওয়া যায়। লোকে কাঁটাঝোপ থেকে ডুমুর বা শেয়ালকাঁটা থেকে আঙুর সংগ্রহ করে না।
إِنَّ الإِنْسَانَ الصَّالِحَ، مِنْ كَنْزِهِ الصَّالِحِ فِي قَلْبِهِ يُطْلِعُ مَا هُوَ صَالِحٌ. أَمَّا الشِّرِّيرُ، فَمِنْ كَنْزِهِ الشِّرِّيرِ يُطْلِعُ مَا هُوَ شِرِّيرٌ: لأَنَّهُ مِنْ فَيْضِ الْقَلْبِ يَتَكَلَّمُ فَمُهُ. | ٤٥ 45 |
ভালো মানুষ তার অন্তরের সঞ্চিত ভালো ভাণ্ডার থেকে ভালো বিষয়ই বের করে, এবং মন্দ মানুষ তার অন্তরের সঞ্চিত মন্দ ভাণ্ডার থেকে মন্দ বিষয়ই বের করে। কারণ হৃদয় থেকে যা উপচে পড়ে মুখ সেকথাই ব্যক্ত করে।
وَلِمَاذَا تَدْعُونَنِي:’يَا رَبُّ، يَا رَبُّ‘وَلا تَعْمَلُونَ بِمَا أَقُولُهُ؟ | ٤٦ 46 |
“কেন তোমরা আমাকে ‘প্রভু, প্রভু,’ বলে সম্বোধন করো, অথচ আমি যা বলি, তা তোমরা করো না?
كُلُّ مَنْ يَأْتِي إِلَيَّ، فَيَسْمَعُ كَلامِي وَيَعْمَلُ بِهِ، أُرِيكُمْ مَنْ يُشْبِهُ. | ٤٧ 47 |
যে আমার কাছে এসে আমার কথা শুনে কাজ করে, সে যে কেমন লোক, তা আমি তোমাদের বলি।
إِنَّهُ يُشْبِهُ إِنْسَاناً يَبْنِي بَيْتاً، فَحَفَرَ وَعَمَّقَ وَوَضَعَ الأَسَاسَ عَلَى الصَّخْرِ. ثُمَّ هَطَلَ مَطَرٌ غَزِيرٌ وَصَدَمَ السَّيْلُ ذلِكَ الْبَيْتَ، فَلَمْ يَقْدِرْ أَنْ يُزَعْزِعَهُ، لأَنَّهُ كَانَ مُؤَسَّساً عَلَى الصَّخْرِ. | ٤٨ 48 |
সে এমন একজন লোক, যে বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে গভীর গর্ত খুঁড়ে শক্ত পাথরের উপর তার ভিত্তিমূল স্থাপন করল। যখন বন্যা এল, প্রবল স্রোত বাড়িতে এসে আঘাত করল, তাকে টলাতে পারল না, কারণ তা দৃঢ়ভাবে নির্মিত হয়েছিল।
وَأَمَّا مَنْ سَمِعَ وَلَمْ يَعْمَلْ، فَهُوَ يُشْبِهُ إِنْسَاناً بَنَى بَيْتاً عَلَى الأَرْضِ دُونَ أَسَاسٍ. فَلَمَّا صَدَمَهُ السَّيْلُ، انْهَارَ فِي الْحَالِ؛ وَكَانَ خَرَابُ ذلِكَ الْبَيْتِ جَسِيماً!» | ٤٩ 49 |
কিন্তু যে আমার কথা শুনেও সেই অনুযায়ী কাজ করে না, সে এমন একজনের মতো, যে ভিত ছাড়াই জমিতে বাড়ি নির্মাণ করল। প্রবল স্রোত যে মুহূর্তে সেই বাড়িতে আঘাত হানল, বাড়িটি পড়ে গেল, আর সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেল।”