< يُونان 4 >
فَأَثَارَ ذَلِكَ غَيْظَ يُونَانَ وَغَضَبَهُ الشَّدِيدَيْنِ. | ١ 1 |
১কিন্তু এতে যোনা খুব বিরক্ত ও রেগে গেলেন।
وَصَلَّى إِلَى الرَّبِّ قَائِلاً: «أَيُّهَا الرَّبُّ، أَلَيْسَ هَذَا مَا قُلْتُهُ عِنْدَمَا كُنْتُ فِي بِلادِي؟ لِهَذَا أَسْرَعْتُ إِلَى الْهَرَبِ إِلَى تَرْشِيشَ، لأَنِّي عَرَفْتُ أَنَّكَ إِلَهٌ رَحِيمٌ رَؤُوفٌ بَطِيءُ الْغَضَبِ كَثِيرُ الإِحْسَانِ، تَرْجِعُ عَنِ الْعِقَابِ. | ٢ 2 |
২তিনি সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করে বললেন, “হে সদাপ্রভু, অনুরোধ করি, আমি নিজের দেশে যখন ছিলাম এই কথা কি বলিনি? সেই জন্য তাড়াতাড়ি করে তর্শীশে পালাতে গিয়েছিলাম; কারণ আমি জানতাম, তুমি কৃপাময় ও স্নেহশীল ঈশ্বর, রাগে ধীর ও দয়াতে মহান এবং অমঙ্গলের বিষয়ে অনুশোচনকারী।
وَالآنَ دَعْنِي أَيُّهَا الرَّبُّ أَلْفَظُ أَنْفَاسِي لأَنَّهُ خَيْرٌ لِي أَنْ أَمُوتَ مِنْ أَنْ أَحْيَا». | ٣ 3 |
৩অতএব এখন, হে সদাপ্রভু, অনুরোধ করি, আমার থেকে আমার প্রাণ নিয়ে যাও, কারণ আমার জীবনের থেকে মৃত্যু ভালো।”
فَقَالَ الرَّبُّ: «أَأَنْتَ مُحِقٌّ فِي غَضَبِكَ؟» | ٤ 4 |
৪সদাপ্রভু বললেন, “তুমি রাগ করে কি ভালো করছ?”
وَخَرَجَ يُونَانُ مِنْ نِينَوَى وَجَلَسَ شَرْقِيَّ الْمَدِينَةِ، بَعْدَ أَنْ نَصَبَ لِنَفْسِهِ مَظَلَّةً جَلَسَ تَحْتَ ظِلِّهَا يَرْقُبُ مَا يَجْرِي عَلَى الْمَدِينَةِ. | ٥ 5 |
৫তখন যোনা নগরের বাইরে গিয়ে নগরের পূর্ব দিকে বসে থাকলেন; সেখানে তিনি নিজের জন্য একটি ঘর তৈরী করে তার নীচে ছায়াতে বসলেন, নগরের কি অবস্থা হয় দেখবার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন।
فَأَعَدَّ الرَّبُّ الإِلَهُ يَقْطِينَةً نَمَتْ وَارْتَفَعَتْ حَتَّى ظَلَّلَتْ رَأْسَ يُونَانَ لِتَقِيَهُ مِنْ شِدَّةِ الْحَرِّ فَلا يُؤْذِيَهُ. فَابْتَهَجَ يُونَانُ بِالْيَقْطِينَةِ ابْتِهَاجاً عَظِيماً. | ٦ 6 |
৬তখন সদাপ্রভু ঈশ্বর এক এরণ্ড গাছ তৈরী করলেন; আর সেই গাছটি বৃদ্ধি করে যোনার উপরে আনলেন, যেন তার মাথার ওপরে ছায়া হয়, যেন তার মন্দ চিন্তা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। আর যোনা সেই এরণ্ড গাছটির জন্য বড় আনন্দিত হলেন।
وَلَكِنْ فِي فَجْرِ الْيَوْمِ التَّالِي أَعَدَّ اللهُ دُودَةً قَرَضَتِ الْيَقْطِينَةَ فَجَفَّتْ. | ٧ 7 |
৭কিন্তু পরদিন সূর্য্য ওঠার দিনের ঈশ্বর এক পোকা তৈরী করলেন, সে ঐ এরণ্ড গাছটিকে দংশন করলে তা শুষ্ক হয়ে পড়ল।
فَلَمَّا أَشْرَقَتِ الشَّمْسُ، أَرْسَلَ اللهُ رِيحاً شَرْقِيَّةً حَارَّةً لَفَحَتْ رَأْسَ يُونَانَ، فَأَصَابَهُ الإِعْيَاءُ وَتَمَنَّى لِنَفْسِهِ الْمَوْتَ قَائِلاً: «خَيْرٌ لِي أَنْ أَمُوتَ مِنْ أَنْ أَظَلَّ حَيًّا». | ٨ 8 |
৮পরে যখন সূর্য্য উঠল, ঈশ্বর পূর্ব দিক থেকে গরম হাওয়া পাঠালেন, তাতে যোনার মাথায় এমন রোদ লাগল যে, তিনি ক্লান্ত হয়ে নিজের মৃত্যুর প্রার্থনা করে বললেন, “আমার জীবন অপেক্ষা মৃত্যু ভালো।”
فَقَالَ اللهُ لِيُونَانَ: «أَأَنْتَ مُحِقٌّ فِي غَضَبِكَ مِنْ أَجْلِ الْيَقْطِينَةِ؟» فَأَجَابَ: «أَنَا مُحِقٌّ فِي غَضَبِي حَتَّى الْمَوْتِ». | ٩ 9 |
৯তখন ঈশ্বর যোনাকে বললেন, “তুমি এরণ্ড গাছটির জন্য রাগ করে কি ভালো করছ?” তিনি বললেন, “মৃত্যু পর্যন্ত আমার রাগ করাই ভালো।”
فَقَالَ الرَّبُّ: «لَقَدْ أَشْفَقْتَ أَنْتَ عَلَى الْيَقْطِينَةِ الَّتِي لَمْ تَتْعَبْ فِي تَنْمِيَتِهَا وَتَرْبِيَتِهَا. هَذِهِ الْيَقْطِينَةُ الَّتِي تَرَعْرَعَتْ فِي لَيْلَةٍ وَذَوَتْ فِي لَيْلَةٍ. | ١٠ 10 |
১০সদাপ্রভু বললেন, “তুমি এরণ্ড গাছের জন্য কোনো পরিশ্রম করনি এবং এটা বড়ও করনি; এটা এক রাতে সৃষ্টি ও এক রাতে বিনষ্ট হল, তবুও তুমি এর প্রতি দয়াশীল হয়েছ।
أَفَلا أُشْفِقُ أَنَا عَلَى نِينَوَى الْمَدِينَةِ الْعَظِيمَةِ الَّتِي يُقِيمُ فِيهَا أَكْثَرُ مِنْ مِئَةٍ وَعِشْرِينَ أَلْفَ شَخْصٍ مِمَّنْ لَا يُفَرِّقُونَ بَيْنَ يَمِينِهِمْ وَشِمَالِهِمْ، فَضْلاً عَمَّا فِيهَا مِنْ بَهَائِمَ كَثِيرَةٍ؟». | ١١ 11 |
১১তবে আমি কি নীনবীর প্রতি, ঐ মহানগরের প্রতি, দয়াশীল হব না? সেখানে এমন এক লক্ষ কুড়ি হাজারের বেশি মানুষ আছে, যারা ডান হাত থেকে বাম হাতের প্রভেদ জানে না; আর অনেক পশুও আছে।”