< يوحنَّا 18 >
بَعْدَمَا انْتَهَى يَسُوعُ مِنْ صَلاتِهِ هذِهِ، خَرَجَ مَعَ تَلامِيذِهِ وَعَبَرُوا وَادِي قِدْرُونَ. وَكَانَ هُنَالِكَ بُسْتَانٌ، فَدَخَلَهُ هُوَ وَتَلامِيذُهُ. | ١ 1 |
প্রার্থনা শেষ করে যীশু শিষ্যদের সঙ্গে সেই স্থান ত্যাগ করলেন এবং কিদ্রোণ উপত্যকা পার হয়ে গেলেন। অন্য পারে একটি বাগান ছিল। যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা সেখানে প্রবেশ করলেন।
وَكَانَ يَهُوذَا الَّذِي خَانَهُ يَعْرِفُ ذلِكَ الْمَكَانَ لأَنَّ يَسُوعَ كَانَ يَجْتَمِعُ فِيهِ كَثِيراً مَعَ تَلامِيذِهِ. | ٢ 2 |
যিহূদা, যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সেই স্থানটি সম্বন্ধে জানত, কারণ যীশু প্রায়ই সেখানে তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে মিলিত হতেন।
فَذَهَبَ يَهُوذَا إِلَى هُنَاكَ آخِذاً مَعَهُ فِرْقَةَ الْجُنُودِ وَحَرَسَ الْهَيْكَلِ، الَّذِينَ أَرْسَلَهُمْ رُؤَسَاءُ الْكَهَنَةِ وَالْفَرِّيسِيُّونَ، وَهُمْ يَحْمِلُونَ الْمَشَاعِلَ وَالْمَصَابِيحَ وَالسِّلاحَ. | ٣ 3 |
তাই যিহূদা সৈন্যদল, প্রধান যাজকদের ও ফরিশীদের প্রেরিত কিছু কর্মচারীকে পথ দেখিয়ে সেই বাগানে প্রবেশ করল। তাদের সঙ্গে ছিল মশাল, লণ্ঠন এবং অস্ত্রশস্ত্র।
وَكَانَ يَسُوعُ يَعْرِفُ كُلَّ مَا سَيَحْدُثُ لَهُ، فَتَقَدَّمَ نَحْوَهُمْ وَقَالَ: «مَنْ تُرِيدُونَ؟» | ٤ 4 |
তাঁর প্রতি যা কিছু ঘটতে চলেছে জানতে পেরে, যীশু এগিয়ে এসে তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কাকে খুঁজছ?”
فَأَجَابُوهُ: «يَسُوعَ النَّاصِرِيَّ». فَقَالَ لَهُمْ: «أَنَا هُوَ». وَكَانَ يَهُوذَا الَّذِي خَانَهُ وَاقِفاً مَعَهُمْ. | ٥ 5 |
তারা উত্তর দিল, “নাসরতের যীশুকে।” যীশু বললেন, “আমিই তিনি।” বিশ্বাসঘাতক যিহূদাও তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল।
فَلَمَّا قَالَ لَهُمْ: «أَنَا هُوَ»، تَرَاجَعُوا وَسَقَطُوا عَلَى الأَرْضِ! | ٦ 6 |
“আমিই তিনি,” যীশুর এই কথা শুনে তারা পিছিয়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে গেল।
فَعَادَ يَسُوعُ يَسْأَلُهُمْ: «مَنْ تُرِيدُونَ؟» أَجَابُوهُ: «يَسُوعَ النَّاصِرِيَّ». | ٧ 7 |
তিনি তাদের আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কাকে চাও?” তারা বলল, “নাসরতের যীশুকে।”
فَقَالَ: «قُلْتُ لَكُمْ: أَنَا هُوَ، فَإِنْ كُنْتُمْ تُرِيدُونَنِي أَنَا، فَدَعُوا هؤُلاءِ يَذْهَبُونَ». | ٨ 8 |
যীশু উত্তর দিলেন, “আমি তো তোমাদের বললাম, আমিই তিনি। যদি তোমরা আমারই সন্ধান করছ, তাহলে এদের যেতে দাও।”
وَذلِكَ لِتَتِمَّ الْكَلِمَةُ الَّتِي قَالَهَا: «إِنَّ الَّذِينَ وَهَبْتَهُمْ لِي لَمْ يَهْلِكْ مِنْهُمْ أَحَدٌ!» | ٩ 9 |
এরকম ঘটল, যেন তিনি যে কথা বলেছিলেন, তা পূর্ণ হয়, “যাদের তুমি আমাকে দান করেছ, তাদের একজনকেও আমি হারাইনি।”
وَكَانَ مَعَ سِمْعَانَ بُطْرُسَ سَيْفٌ فَاسْتَلَّهُ وَضَرَبَ بِهِ عَبْدَ رَئِيسِ الْكَهَنَةِ، فَقَطَعَ أُذُنَهُ الْيُمْنَى. وَكَانَ اسْمُ الْعَبْدِ مَلْخُسَ. | ١٠ 10 |
তখন শিমোন পিতর তার তরোয়াল বের করে মহাযাজকের দাসকে আঘাত করলেন এবং তার ডানদিকের কান কেটে ফেললেন। সেই দাসের নাম ছিল মল্ক।
فَقَالَ يَسُوعُ لِبُطْرُسَ: «أَعِدِ السَّيْفَ إِلَى غِمْدِهِ! الْكَأْسُ الَّتِي أَعْطَانِي الآبُ، أَلا أَشْرَبُهَا؟» | ١١ 11 |
যীশু পিতরকে আদেশ দিলেন, “তোমার তরোয়াল কোষে রেখে দাও। পিতা আমাকে যে পানপাত্র দিয়েছেন, আমি কি তা থেকে পান করব না?”
فَقَبَضَتِ الْفِرْقَةُ وَالْقَائِدُ وَحَرَسُ الْهَيْكَلِ عَلَى يَسُوعَ وَقَيَّدُوهُ. | ١٢ 12 |
তখন সৈন্যদল, সেনাপতি এবং ইহুদি কর্মচারীরা যীশুকে গ্রেপ্তার করে বেঁধে ফেলল।
وَسَاقُوهُ أَوَّلاً إِلَى حَنَّانَ وَهُوَ حَمُو قَيَافَا رَئِيسِ الْكَهَنَةِ فِي تِلْكَ السَّنَةِ. | ١٣ 13 |
প্রথমে তারা তাঁকে হাননের কাছে নিয়ে এল। তিনি ছিলেন সেই বছরের মহাযাজক, কায়াফার শ্বশুর।
وَقَيَافَا هُوَ الَّذِي أَشَارَ عَلَى الْيَهُودِ بِأَنَّهُ مِنَ الأَفْضَلِ أَنْ يَمُوتَ رَجُلٌ وَاحِدٌ فِدَى الأُمَّةِ. | ١٤ 14 |
এই কায়াফাই ইহুদিদের পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, সমগ্র জাতির জন্য বরং একজনের মৃত্যুই ভালো।
وَتَبِعَ يَسُوعَ سِمْعَانُ بُطْرُسُ وَتِلْمِيذٌ آخَرُ كَانَ رَئِيسُ الْكَهَنَةِ يَعْرِفُهُ. فَدَخَلَ ذَلِكَ التِّلْمِيذُ مَعَ يَسُوعَ إِلَى دَارِ رَئِيسِ الْكَهَنَةِ. | ١٥ 15 |
শিমোন পিতর এবং আর এক শিষ্য যীশুকে অনুসরণ করছিলেন। সেই শিষ্য মহাযাজকের পরিচিত ছিলেন। তাই তিনি যীশুর সঙ্গে মহাযাজকের উঠানে প্রবেশ করলেন।
أَمَّا بُطْرُسُ فَوَقَفَ بِالْبَابِ خَارِجاً. فَخَرَجَ التِّلْمِيذُ الآخَرُ الَّذِي كَانَ رَئِيسُ الْكَهَنَةِ يَعْرِفُهُ، وَكَلَّمَ الْبَوَّابَةَ فَأَدْخَلَ بُطْرُسَ. | ١٦ 16 |
কিন্তু পিতরকে দরজার বাইরে অপেক্ষা করতে হল। মহাযাজকের পরিচিত অপর শিষ্যটি ফিরে এলেন এবং সেখানে কর্তব্যরত দাসীকে বলে পিতরকে ভিতরে নিয়ে গেলেন।
فَسَأَلَتِ الْخَادِمَةُ الْبَوَّابَةُ بُطْرُسَ: «أَلَسْتَ أَنْتَ أَحَدَ تَلامِيذِ هَذَا الرَّجُلِ؟» أَجَابَهَا: «لا، لَسْتُ مِنْهُمْ!» | ١٧ 17 |
দ্বাররক্ষী সেই দাসী পিতরকে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কি তাঁর শিষ্যদেরই একজন নও?” তিনি উত্তর দিলেন, “না, আমি নই।”
وَكَانَ الطَّقْسُ بَارِداً، وَقَدْ أَوْقَدَ الْعَبِيدُ وَالْحُرَّاسُ نَاراً وَوَقَفُوا يَسْتَدْفِئُونَ حَوْلَهَا، فَوَقَفَ بُطْرُسُ يَسْتَدْفِئُ مَعَهُمْ. | ١٨ 18 |
তখন ছিল শীতকাল। নিজেদের উষ্ণ করার জন্য পরিচারক এবং কর্মচারীরা আগুন জ্বালিয়ে তার চারপাশে দাঁড়িয়েছিল। পিতরও তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন।
وَسَأَلَ رَئِيسُ الْكَهَنَةِ يَسُوعَ عَنْ تَلامِيذِهِ، وَعَنْ تَعْلِيمِهِ. | ١٩ 19 |
মহাযাজক ইতিমধ্যে যীশুকে তাঁর শিষ্যদের এবং তাঁর শিক্ষা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন।
فَأَجَابَهُ يَسُوعُ: «عَلَناً تَكَلَّمْتُ إِلَى الْعَالَمِ، وَدَائِماً عَلَّمْتُ فِي الْمَجْمَعِ وَالْهَيْكَلِ حَيْثُ يَجْتَمِعُ الْيَهُودُ كُلُّهُمْ، وَلَمْ أَقُلْ شَيْئاً فِي السِّرِّ. | ٢٠ 20 |
যীশু উত্তর দিলেন, “জগতের সামনে আমি প্রকাশ্যে প্রচার করেছি। ইহুদিরা সকলে যেখানে সমবেত হয়, সেই সমাজভবনে, অথবা মন্দিরে, আমি সবসময়ই শিক্ষা দিয়েছি, গোপনে কিছুই বলিনি।
فَلِمَاذَا تَسْأَلُنِي أَنَا؟ اسْأَلِ الَّذِينَ سَمِعُوا مَا تَكَلَّمْتُ بِهِ إِلَيْهِمْ، فَهُمْ يَعْرِفُونَ مَا قُلْتُهُ!» | ٢١ 21 |
আমাকে প্রশ্ন করছ কেন? আমার শিক্ষা যারা শুনেছে, তাদের জিজ্ঞাসা করো। আমি যা বলেছি, তারা নিশ্চয়ই তা জানে।”
فَلَمَّا قَالَ يَسُوعُ هَذَا لَطَمَهُ أَحَدُ الْحُرَّاسِ وَقَالَ لَهُ: «أَهكَذَا تُجِيبُ رَئِيسَ الْكَهَنَةِ؟» | ٢٢ 22 |
যীশুর একথা শুনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক কর্মচারী তাঁর মুখে চড় মারল। সে বলল, “মহাযাজকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কি এই রীতি?”
أَجَابَهُ يَسُوعُ: «إِنْ كُنْتُ أَسَأْتُ الْكَلامَ فَاشْهَدْ عَلَى الإِسَاءَةِ، أَمَّا إِذَا كُنْتُ أَحْسَنْتُ، فَلِمَاذَا تَضْرِبُنِي؟» | ٢٣ 23 |
যীশু উত্তর দিলেন, “আমি যদি অন্যায় কিছু বলে থাকি, তাহলে সেই অন্যায়ের বিপক্ষে সাক্ষ্য দাও। কিন্তু যদি আমি সত্যিকথা বলে থাকি, তাহলে তুমি আমাকে কেন আঘাত করলে?”
ثُمَّ أَرْسَلَهُ حَنَّانُ مُقَيَّداً إِلَى قَيَافَا رَئِيسِ الْكَهَنةِ. | ٢٤ 24 |
হানন তখনই তাঁকে বাঁধন সমেত মহাযাজক কায়াফার কাছে পাঠালেন।
وَكَانَ بُطْرُسُ وَاقِفاً هُنَاكَ يَسْتَدْفِئُ، فَسَأَلُوهُ: «أَلَسْتَ أَنْتَ أَيْضاً مِنْ تَلامِيذِهِ؟» فَأَنْكَرَ وَقَالَ: «لَسْتُ أَنَا». | ٢٥ 25 |
শিমোন পিতর যখন দাঁড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন, একজন তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “তুমিও কি তাঁর শিষ্যদের একজন নও?” তিনি অস্বীকার করলেন, বললেন, “আমি নই।”
فَقَالَ وَاحِدٌ مِنْ عَبِيدِ رَئِيسِ الْكَهَنَةِ، وَهُوَ نَسِيبُ الْعَبْدِ الَّذِي قَطَعَ بُطْرُسُ أُذُنَهُ: «أَمَا رَأَيْتُكَ مَعَهُ فِي الْبُسْتَانِ؟» | ٢٦ 26 |
মহাযাজকের দাসেদের মধ্যে একজন, পিতর যার কান কেটে দিয়েছিলেন, তার এক আত্মীয় দৃঢ়তার সঙ্গে বলল, “আমি কি বাগানে তোমাকে তাঁর সঙ্গে দেখিনি?”
فَأَنْكَرَ بُطْرُسُ مَرَّةً أُخْرَى. وَفِي الْحَالِ صَاحَ الدِّيكُ! | ٢٧ 27 |
পিতর আবার সেকথা অস্বীকার করলেন, আর সেই মুহূর্তে একটি মোরগ ডাকতে শুরু করল।
ثُمَّ أَخَذُوا يَسُوعَ مِنْ دَارِ قَيَافَا إِلَى قَصْرِ الْحَاكِمِ الرُّومَانِيِّ، وَكَانَ ذلِكَ فِي الصَّبَاحِ الْبَاكِرِ. وَلَمْ يَدْخُلِ الْيَهُودُ إِلَى الْقَصْرِ لِئَلّا يَتَنَجَّسُوا فَلا يَتَمَكَّنُوا مِنَ الأَكْلِ مِنْ خَرُوفِ الْفِصْحِ. | ٢٨ 28 |
পরে ইহুদি নেতারা যীশুকে কায়াফার কাছ থেকে নিয়ে রোমীয় প্রদেশপালের প্রাসাদে গেল। তখন ভোর হয়ে আসছিল। ইহুদি নেতারা নিজেদের কলুষিত করতে চায়নি। তারা যেন নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণ করতে পারে, এজন্য তারা প্রাসাদে প্রবেশ করল না।
فَخَرَجَ بِيلاطُسُ إِلَيْهِمْ وَسَأَلَهُمْ: «بِمَاذَا تَتَّهِمُونَ هَذَا الرَّجُلَ؟» | ٢٩ 29 |
তাই পীলাত তাদের কাছে বেরিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “এই মানুষটির বিরুদ্ধে তোমাদের অভিযোগ কী?”
أَجَابُوهُ: «لَوْ لَمْ يَكُنْ مُذْنِباً، لَمَا سَلَّمْنَاهُ إِلَيْكَ!» | ٣٠ 30 |
তারা উত্তর দিল, “সে অপরাধী না হলে, আমরা তাকে আপনার হাতে তুলে দিতাম না।”
فَقَالَ بِيلاطُسُ: «خُذُوهُ أَنْتُمْ وَحَاكِمُوهُ حَسَبَ شَرِيعَتِكُمْ». فَأَجَابُوهُ: «لا يَحِقُّ لَنَا أَنْ نَقْتُلَ أَحَداً!» | ٣١ 31 |
পীলাত বললেন, “তোমরা নিজেরাই ওকে নিয়ে গিয়ে তোমাদের নিজস্ব বিধান অনুসারে ওর বিচার করো।” ইহুদিরা আপত্তি জানিয়ে বলল, “কিন্তু কাউকে প্রাণদণ্ড দেওয়ার অধিকার আমাদের নেই।”
وَقَدْ حَدَثَ هَذَا لِتَتِمَّ الْكَلِمَةُ الَّتِي قَالَهَا يَسُوعُ إِشَارَةً إِلَى الْمِيتَةِ الَّتِي سَيَمُوتُهَا. | ٣٢ 32 |
তাঁর কীভাবে মৃত্যু হবে, সে সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়ে যীশু যে কথা বলেছিলেন, তা সফল হয়ে ওঠার জন্যই এরকম ঘটল।
فَدَخَلَ بِيلاطُسُ قَصْرَهُ وَاسْتَدْعَى يَسُوعَ وَسَأَلَهُ: «أَأَنْتَ مَلِكُ الْيَهُودِ؟» | ٣٣ 33 |
পীলাত তখন প্রাসাদের অভ্যন্তরে ফিরে গিয়ে যীশুকে ডেকে পাঠালেন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমিই কি ইহুদিদের রাজা?”
فَرَدَّ يَسُوعُ: «أَتَقُولُ لِي هَذَا مِنْ عِنْدِكَ، أَمْ قَالَهُ لَكَ عَنِّي آخَرُونَ؟» | ٣٤ 34 |
উত্তরে যীশু বললেন, “এ কি তোমার নিজের ধারণা, না অন্যেরা আমার সম্পর্কে তোমাকে বলেছে?”
فَقَالَ بِيلاطُسُ: «وَهَلْ أَنَا يَهُودِيٌّ؟ إِنَّ أُمَّتَكَ وَرُؤَسَاءَ الْكَهَنَةِ سَلَّمُوكَ إِلَيَّ. مَاذَا فَعَلْتَ؟» | ٣٥ 35 |
পীলাত উত্তর দিলেন, “আমি কি ইহুদি? তোমারই স্বজাতিয়েরা এবং প্রধান যাজকেরা তোমাকে আমার হাতে তুলে দিয়েছে। কী করেছ তুমি?”
أَجَابَ يَسُوعُ: «لَيْسَتْ مَمْلَكَتِي مِنْ هَذَا الْعَالَمِ. وَلَوْ كَانَتْ مَمْلَكَتِي مِنْ هَذَا الْعَالَمِ، لَكَانَ حُرَّاسِي يُجَاهِدُونَ لِكَيْ لَا أُسَلَّمَ إِلَى الْيَهُودِ. أَمَّا الآنَ فَمَمْلَكَتِي لَيْسَتْ مِنْ هُنَا». | ٣٦ 36 |
যীশু বললেন, “আমার রাজ্য এ জগতের নয়। তা যদি হত, ইহুদিদের দ্বারা আমার গ্রেপ্তার আটকানোর জন্য আমার অনুচররা প্রাণপণ সংগ্রাম করত। কিন্তু আমার রাজ্য তো এখানকার নয়।”
فَسَأَلَهُ بِيلاطُسُ: «فَهَلْ أَنْتَ مَلِكٌ إِذَنْ؟» أَجَابَهُ: «أَنْتَ قُلْتَ، إِنِّي مَلِكٌ. وَلِهَذَا وُلِدْتُ وَجِئْتُ إِلَى الْعَالَمِ: لأَشْهَدَ لِلْحَقِّ، وَكُلُّ مَنْ هُوَ مِنَ الْحَقِّ يُصْغِي لِصَوْتِي». | ٣٧ 37 |
পীলাত বললেন, “তাহলে, তুমি তো একজন রাজাই!” যীশু উত্তর দিলেন, “তুমি সংগত কথাই বলছ যে, আমি একজন রাজা। প্রকৃতপক্ষে, এজন্যই আমি জন্মগ্রহণ করেছি, আর এই কারণেই, সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে আমি জগতে এসেছি। যে সত্যের পক্ষে, সে আমার কথা শোনে।”
فَقَالَ لَهُ بِيلاطُسُ: «مَا هُوَ الْحَقُّ!» ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْيَهُودِ وَقَالَ: «إِنِّي لَا أَجِدُ فِيهِ ذَنْباً! | ٣٨ 38 |
পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, “সত্য কী?” একথা বলে তিনি বাইরে ইহুদিদের কাছে আবার গেলেন। তিনি বললেন, “ওকে অভিযুক্ত করার মতো কোনো কারণই আমি খুঁজে পাচ্ছি না।
وَقَدْ جَرَتِ الْعَادَةُ عِنْدَكُمْ أَنْ أُطْلِقَ لَكُمْ أَحَدَ السُّجَنَاءِ فِي عِيدِ الْفِصْحِ. فَهَلْ تُرِيدُونَ أَنْ أُطْلِقَ لَكُمْ مَلِكَ الْيَهُودِ؟» | ٣٩ 39 |
কিন্তু তোমাদের প্রথা অনুসারে নিস্তারপর্বের সময় একজন বন্দিকে আমি কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে থাকি। তোমরা কি চাও যে, ‘ইহুদিদের রাজাকে’ আমি তোমাদের জন্য মুক্ত করে দিই?”
فَصَرَخُوا جَمِيعاً قَائِلِينَ: «لا تُطْلِقْ هَذَا، بَلْ بَارَابَاسَ». وَكَانَ بَارَابَاسُ لِصّاً! | ٤٠ 40 |
তারা চিৎকার করে উঠল, “না, ওকে নয়! বারাব্বাকে আমাদের দিন।” সেই বারাব্বা এক বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিল।