< أيُّوب 9 >
১তারপর ইয়োব উত্তর দিলেন এবং বললেন,
«قَدْ عَلِمْتُ يَقِيناً أَنَّ الأَمْرَ كَذَلِكَ، وَلَكِنْ كَيْفَ يَتَبَرَّرُ الإِنْسَانُ أَمَامَ اللهِ؟ | ٢ 2 |
২বাস্তবিক, আমি জানি যে এটাই সত্যি। কিন্তু কি করে একজন লোক ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক হতে পারে?
إِنْ شَاءَ الْمَرْءُ أَنْ يَتَحَاجَّ مَعَهُ، فَإِنَّهُ يَعْجِزُ عَنِ الإِجَابَةِ عَنْ حُجَّةٍ مِنْ أَلْفٍ. | ٣ 3 |
৩যদি সে ঈশ্বরের সঙ্গে তর্ক করতে চায়, সে তাঁকে হাজার বারেও একবার উত্তর দিতে পারে না।
هُوَ حَكِيمُ الْقَلْبِ وَعَظِيمُ الْقُوَّةِ، فَمَنْ تَصَلَّبَ أَمَامَهُ وَسَلِمَ؟ | ٤ 4 |
৪ঈশ্বর হৃদয়ে জ্ঞানী এবং বলশালী শক্তিতে; কে কবে তাঁর বিরুদ্ধে নিজেকে কঠিন করছে এবং সফল হয়েছে?
هُوَ الَّذِي يُزَحْزِحُ الْجِبَالَ، فَلا تَدْرِي حِينَ يَقْلِبُهَا فِي غَضَبِهِ. | ٥ 5 |
৫তিনি যিনি পাহাড় সরিয়ে দেন কাউকে সাবধান না করেই, যখন তিনি তাঁর রাগে তাদের উল্টিয়ে ফেলেন,
هُوَ الَّذِي يُزَعْزِعُ الأَرْضَ مِنْ مُسْتَقَرِّهَا فَتَتَزَلْزَلُ أَعْمِدَتُهَا. | ٦ 6 |
৬তিনি যিনি পৃথিবীকে তার জায়গা থেকে নাড়ান এবং তার ভিত গুলো কাঁপান।
هُوَ الَّذِي يُصْدِرُ أَمْرَهُ إِلَى الشَّمْسِ فَلا تُشْرِقُ، وَيَخْتِمُ عَلَى النُّجُومِ. | ٧ 7 |
৭ইনি সেই একই ঈশ্বর যিনি সূর্যকে উঠতে বারণ করেন এবং তা ওঠেনি এবং যিনি তারাদের ঢেকে দিয়েছেন,
يَبْسُطُ وَحْدَهُ السَّمَاوَاتِ، وَيَمْشِي عَلَى أَعَالِي الْبَحْرِ. | ٨ 8 |
৮যিনি নিজেই আকাশকে প্রসারিত করেন এবং যিনি সমুদ্রের ঢেউয়ের উপর হাঁটেন এবং তাদের শান্ত করেন,
هُوَ الَّذِي صَنَعَ النَّعْشَ وَالْجَبَّارَ وَالثُّرَيَّا وَمَخَادِعَ الْجَنُوبِ، | ٩ 9 |
৯যিনি সপ্তর্ষিমণ্ডল, কালপুরুষ, কৃত্তিকা (নক্ষত্র বিশেষ) এবং দক্ষিণে নক্ষত্রপুঞ্জ বানিয়েছেন।
صَانِعُ عَظَائِمَ لَا تُسْتَقْصَى وَعَجَائِبَ لَا تُحْصَى. | ١٠ 10 |
১০ইনি সেই একই ঈশ্বর যিনি মহান কার্য ও ধারণাতীত কাজ করেছেন, সত্যিই, অসংখ্য আশ্চর্য্য কাজ করেছেন।
اللهُ يَمُرُّ بِي فَلا أَرَاهُ وَيَجْتَازُ فَلا أَشْعُرُ بِهِ. | ١١ 11 |
১১দেখ, তিনি আমার কাছ থেকে যান এবং আমি তাঁকে দেখতে পাই না; তিনি পাশ দিয়ে চলে যান, কিন্তু আমি উপলদ্ধি করতে পারি না।
إِذَا خَطَفَ مَنْ يَرُدُّهُ، أَوْ يَقُولُ لَهُ: مَاذَا تَفْعَلُ؟ | ١٢ 12 |
১২যদি তিনি কোন ক্ষতিগ্রস্ত লোককে ধরেন, কে তাঁকে বারণ করবে? কে তাঁকে বলতে পারে, আপনি কি করছেন?
لَا يَرُدُّ اللهُ غَضَبَهُ؛ تَخْضَعُ لَهُ كِبْرِيَاءُ الأَشْرَار | ١٣ 13 |
১৩ঈশ্বর তাঁর রাগ ফিরিয়ে নেবেন না; রাহাবের সাহায্যকারীরা তাঁর সামনে নত হয়।
فَكَيْفَ إِذاً يُمْكِنُنِي أَنْ أُجِيبَهُ، وَأَتَخَيَّرَ كَلِمَاتِي فِي مُخَاطَبَتِهِ؟ | ١٤ 14 |
১৪আমি তাঁকে কত কম উত্তর দিতে পারি, আমি কেমন করে কথা বাছব তাঁর সঙ্গে তর্ক বিতর্ক করার জন্য?
لأَنِّي عَلَى الرَّغْمِ مِنْ بَرَاءَتِي لَا أَقْدِرُ أَنْ أُجِيبَهُ، إِنَّمَا أَسْتَرْحِمُ دَيَّانِي. | ١٥ 15 |
১৫এমনকি যদিও আমি ধার্মিক হই, আমি তাঁকে উত্তর দিতে পারব না; আমি শুধু আমার বিচারকের কাছে দয়ার জন্য বিনতি করতে পারি।
حَتَّى لَوْ دَعَوْتُ وَاسْتَجَابَ لِي، فَإِنِّي لَا أُصَدِّقُ أَنَّهُ قَدِ اسْتَمَعَ لِي. | ١٦ 16 |
১৬এমনকি যদিও আমি ডাকি এবং তিনি আমায় উত্তর দেন, আমি বিশ্বাস করতে পারব না যে তিনি আমার কথা শুনছিলেন।
يَسْحَقُنِي بِالْعَاصِفَةِ وَيُكْثِرُ جُرُوحِي مِنْ غَيْرِ سَبَبٍ. | ١٧ 17 |
১৭কারণ তিনি আমায় প্রচণ্ড ঝড়ে ভেঙে ফেলেন এবং অকারণে আমার ক্ষত বৃদ্ধি করেন।
لَا يَدَعُنِي أَلْتَقِطُ أَنْفَاسِي بَلْ يُشْبِعُنِي مَرَائِرَ. | ١٨ 18 |
১৮তিনি এমনকি আমায় শ্বাস নেওয়ারও অনুমতি দেননি; পরিবর্তে, তিনি আমায় তিক্ততায় পূর্ণ করেছেন।
إِنْ كَانَتِ الْقَضِيَّةُ قَضِيَّةَ قُوَّةٍ، فَهُوَ يَقُولُ مُتَحَدِّياً: هَأَنَذَا. وَإِنْ كَانَتِ الْقَضِيَّةُ قَضِيَّةَ الْقَضَاءِ، فَمَنْ يُحَاكِمُهُ؟ | ١٩ 19 |
১৯যদি আমরা শক্তির কথা বলি, কেন, তিনি ক্ষমতাশালী! এবং যদি আমরা ন্যায়বিচারের কথা বলি তিনি বলেন, কে আমায় প্রশ্ন করবে?
إِنْ ظَنَنْتُ نَفْسِي بَرِيئاً، فَإِنَّ فَمِي يَحْكُمُ عَلَيَّ، وَإِنْ كُنْتُ كَامِلاً، فَإِنَّهُ يُجَرِّمُنِي. | ٢٠ 20 |
২০এমনকি যদিও আমি ধার্মিক হই, আমার নিজের মুখ আমায় দোষী করবে; এমনকি যদিও আমি নিখুঁত হই, তবুও এটা আমায় অপরাধী প্রমাণ করবে।
أَنَا كَامِلٌ، لِذَا لَا أُبَالِي بِنَفْسِي، أَمَّا حَيَاتِي فَقَدْ كَرِهْتُهَا. | ٢١ 21 |
২১আমি সিদ্ধ, কিন্তু আমি আর আমার নিজের পরোয়া করি না; আমি নিজে আমার জীবনকে ঘৃণা করি।
وَلَكِنَّ الأَمْرَ سِيَّانِ، لِذَلِكَ قُلْتُ: إِنَّهُ يُفْنِي الْكَامِلَ والشِّرِّيرَ عَلَى حَدٍّ سَواءٍ! | ٢٢ 22 |
২২সবই ত এক, এটা আমি কেন বলছি যে তিনি ধার্ম্মিককে এবং পাপীকে একসঙ্গে ধ্বংস করবেন।
عِنْدَمَا تُؤَدِّي ضَرَبَاتُ السَّوْطِ إِلَى الْمَوْتِ الْمُفَاجِئِ يَسْخَرُ مِنْ بُؤْسِ الأَبْرِيَاءِ | ٢٣ 23 |
২৩যদি চাবুক হঠাৎ হত্যা করে, তিনি নির্দোষের কষ্টে হাঁসবেন।
فَقَدْ عَهِدَ بِالأَرْضِ إِلَى يَدِ الشِّرِّيرِ، وَأَعْمَى عُيُونَ قُضَاتِهَا. إِنْ لَمْ يَكُنْ هُوَ الْفَاعِلُ، إِذاً مَنْ هُوَ؟ | ٢٤ 24 |
২৪পৃথিবী পাপীদের হাতে দেওয়া হয়েছে; ঈশ্বর এর বিচারকদের মুখ ঢেকে দিয়েছেন। যদি তা না হয় তবে কে এটা করেছে, তাহলে তিনি কে?
أَيَّامِي أَسْرَعُ مِنْ عَدَّاءٍ، تَفِرُّ مِنْ غَيْرِ أَنْ تُصِيبَ خَيْراً | ٢٥ 25 |
২৫পত্রবাহকের থেকেও আমার দিন গুলো দ্রুতগামী; আমার দিন গুলো উড়ে যায়; তারা কোথাও মঙ্গল দেখতে পায় না।
تَمُرُّ كَسُفُنِ الْبَرْدِيِّ، وَكَنَسْرٍ يَنْقَضُّ عَلَى صَيْدِهِ. | ٢٦ 26 |
২৬তারা নলখাগড়ার নৌকার মত দ্রুত এবং তারা ঈগল পাখির মত দ্রুত যা হঠাৎ আক্রমণ করে শিকারের ওপর পড়ে।
إِنْ قُلْتُ: أَنْسَى ضِيقَتِي، وَأُطْلِقُ أَسَارِيرِي، وَأَبْتَسِمُ وَأُبْدِي بِشْراً، | ٢٧ 27 |
২৭যদি আমি বলি যে আমি আমার অভিযোগের বিষয় ভুলে যাব, যে আমি আমার মুখের বিষন্নতা দূর করব এবং খুশি হব,
فَإِنِّي أَظَلُّ أَخْشَى أَوْجَاعِي، عَالِماً أَنَّكَ لَنْ تُبْرِئَنِي. | ٢٨ 28 |
২৮আমি আমার সব দুঃখের জন্য ভয় পাব কারণ আমি জানি যে তুমি আমায় নির্দোষ মনে করবে না।
أَنَا مُسْتَذْنَبٌ، فَلِمَاذَا أُجَاهِدُ عَبَثاً؟ | ٢٩ 29 |
২৯আমি দোষী হব; তাহলে কেন, আমি বৃথাই চেষ্টা করব?
وَحَتَّى لَوِ اغْتَسَلْتُ بِالثَّلْجِ وَنَظَّفْتُ يَدَيَّ بِالْمُنَظِّفَاتِ، | ٣٠ 30 |
৩০যদি আমি নিজেকে বরফ জলে ধুই এবং আমার হাতকে চিরকালের মত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করি।
فَإِنَّكَ تَطْرَحُنِي فِي مُسْتَنْقَعٍ نَتِنٍ حَتَّى تَكْرَهَنِي ثِيَابِي | ٣١ 31 |
৩১ঈশ্বর আমায় ডোবায় ডুবিয়ে দেবেন এবং আমার নিজের কাপড় আমাকে ঘৃণা করবে।
لأَنَّهُ لَيْسَ إِنْسَاناً مِثْلِي فَأُجَاوِبَهُ، وَنَمْثُلَ مَعاً لِلْمُحَاكَمَةِ. | ٣٢ 32 |
৩২কারণ ঈশ্বর মানুষ নন, যেমন আমি, যে আমি তাঁকে উত্তর দিতে পারি, যে আমরা একসঙ্গে তাঁর বিচারস্থানে আসতে পারি।
وَلَيْسَ مِنْ حَكَمٍ بَيْنَنَا يَضَعُ يَدَهُ عَلَى كِلَيْنَا. | ٣٣ 33 |
৩৩আমাদের মধ্যে কোন বিচারক নেই যে আমাদের দুজনের উপর হাত রাখবেন।
لِيَكُفَّ عَنِّي عَصَاهُ فَلا يُرَوِّعَنِي رُعْبُهُ، | ٣٤ 34 |
৩৪অন্য কোন বিচারক নেই যে ঈশ্বরের লাঠি আমার ওপর থেকে সরাতে পারে, যে তাঁর ভয়ানক ভীতি থেকে আমাকে সরিয়ে রাখে।
عِنْدَئِذٍ أَتَكَلَّمُ مِنْ غَيْرِ أَنْ أَخْشَاهُ، لأَنَّ نَفْسِي بَرِيئَةٌ مِمَّا أُتَّهَمُ بِهِ. | ٣٥ 35 |
৩৫তারপর আমি কি কথা বলব এবং তাঁকে ভয় করব না। কিন্তু এখন যা অবস্থা, আমি এটা করতে পারব না।