< أيُّوب 35 >
وَقَالَ أَلِيهُو أَيْضاً: | ١ 1 |
পরে ইলীহূ বললেন:
«أَتَحْسِبُ هَذَا عَدْلاً؟ ثُمَّ تَقُولُ: إِنَّ هَذَا حَقِّي أَمَامَ اللهِ، | ٢ 2 |
“আপনার কি মনে হয় এটি যথাযথ? আপনি বলছেন, ‘ঈশ্বর নন, আমিই ঠিক।’
وَتَسْأَلُ: أَيَّةُ مَنْفَعَةٍ لِي؟ هَلْ أَكُونُ فِي حَالٍ أَفْضَلَ لَوْ لَمْ أُخْطِئْ؟ | ٣ 3 |
তাও আপনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করছেন, ‘এতে আমার কী লাভ হবে, ও পাপ না করেই বা আমি কী পাব?’
سَأُجِيبُكَ أَنْتَ وَأَصْدِقَاءَكَ مَعَكَ: | ٤ 4 |
“আমি আপনাকে এবং আপনার সঙ্গে থাকা বন্ধুদের উত্তর দিতে চাই।
انْظُرْ إِلَى السَّمَاوَاتِ وَتَأَمَّلْ: تَفَرَّسْ فِي السُّحُبِ الشَّامِخَةِ فَوْقَكَ. | ٥ 5 |
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখুন; আপনার এত উপরে অবস্থিত মেঘরাশির দিকে একদৃষ্টিতে তাকান।
إِنْ أَثِمْتَ فَمَاذَا يُؤَثِّرُ هَذَا فِيهِ؟ وَإِنْ كَثَّرْتَ خَطَايَاكَ فَأَيُّ شَيْءٍ يَلْحَقُ بِهِ؟ | ٦ 6 |
আপনি যদি পাপ করেন, তবে তা কীভাবে তাঁকে প্রভাবিত করে? আপনার পাপ যদি অসংখ্যও হয় তাতেও বা তাঁর কী আসে-যায়?
وَإِنْ كُنْتَ بَارّاً فَمَاذَا تُعْطِيهِ؟ أَوْ مَاذَا يَأْخُذُ مِنْ يَدِكَ؟ | ٧ 7 |
আপনি ধার্মিক হয়ে তাঁকে কী দিতে পারবেন, অথবা আপনার হাত থেকে তিনি কী গ্রহণ করবেন?
إِنَّ شَرَّكَ يُؤَثِّرُ فِي إِنْسَانٍ نَظِيرِكَ، وَبِرَّكَ يَفِيدُ فَقَطْ أَبْنَاءَ النَّاسِ. | ٨ 8 |
আপনার দুষ্টতা শুধু আপনার মতো মানুষদেরই প্রভাবিত করে, ও আপনার ধার্মিকতাও শুধু অন্যান্য লোকজনকেই প্রভাবিত করে।
لأَنَّ مِنْ كَثْرَةِ الْجَوْرِ يَسْتَغِيثُ الْمَظْلُومُونَ طَلَباً لِلْخَلاصِ مِنْ قَبْضَةِ الْعُتَاةِ، | ٩ 9 |
“অত্যাচারের ভার দুঃসহ হলে লোকজন আর্তনাদ করে; শক্তিশালীর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তারা সনির্বন্ধ মিনতি জানায়।
وَلَكِنْ لَا أَحَدَ يَقُولُ: أَيْنَ اللهُ صَانِعِي، الْوَاهِبُ تَرْنِيماً فِي اللَّيْلِ، | ١٠ 10 |
কিন্তু কেউ বলে না, ‘আমার সৃষ্টিকর্তা সেই ঈশ্বর কোথায়, যিনি রাতের বেলায় গান দান করেন,
الَّذِي عَلَّمَنَا أَكْثَرَ مِنْ وُحُوشِ الأَرْضِ، وَجَعَلَنَا أَعْظَمَ حِكْمَةً مِنْ طُيُورِ السَّمَاءِ. | ١١ 11 |
যিনি পার্থিব পশুদের যত না শিক্ষা দেন, তার চেয়েও বেশি আমাদের শিক্ষা দেন ও আকাশের পাখিদের চেয়েও আমাদের বেশি জ্ঞানী করে তোলেন?’
يَسْتَغِيثُونَ بِهِ فَلا يُجِيبُ مِنْ جَرَّاءِ تَشَامُخِ الأَشْرَارِ | ١٢ 12 |
দুষ্টদের দাম্ভিকতার কারণে লোকজন যখন আর্তনাদ করে তখন তিনি উত্তর দেন না।
فَإِنْ كَانَ اللهُ لَا يَسْمَعُ لِصُرَاخِهِمِ الفَارِغِ، وَلا يَأْبَهُ القَدِيرُ لَهُ | ١٣ 13 |
বাস্তবিক, ঈশ্বর তাদের শূন্যগর্ভ অজুহাত শোনেন না; সর্বশক্তিমান তাতে মনোযোগ দেন না।
فَكَمْ بِالأَحْرَى لَا يَسْمَعُ لَكَ عِنْدَمَا تَقُولُ إِنَّكَ لَا تَرَاهُ! لَكِنِ اصْبِرْ، فَدَعْوَاكَ أَمَامَهُ | ١٤ 14 |
তাঁর পক্ষে কি শোনা সম্ভব যখন আপনি বলছেন যে আপনি তাঁকে দেখতে পাচ্ছেন না, এই যে আপনার মামলাটি তাঁর সামনে আছে ও আপনাকে তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে হবে,
وَالآنَ، لأَنَّهُ لَمْ يُجَازِ فِي غَضَبِهِ وَلَمْ يُبَالِ بِمُعَاقَبَةِ الإِثْمِ، | ١٥ 15 |
আর এছাড়াও, এই যে তাঁর ক্রোধ কখনও শাস্তি দেয় না ও তিনি আদৌ দুষ্টতার প্রতি মনোযোগ দেন না।
فَغَرَ أَيُّوبُ فَاهُ بِالْبَاطِلِ، وَأَكْثَرَ مِنَ الْكَلامِ بِجَهْلٍ!» | ١٦ 16 |
তাই ইয়োব শূন্যগর্ভ কথায় তাঁর মুখ খুলেছেন; জ্ঞান ছাড়াই তিনি অনেক কথা বলেছেন।”