< أيُّوب 23 >
১তখন ইয়োব উত্তর দিলেন এবং বললেন,
«إِنَّ شَكْوَايَ الْيَوْمَ مُرَّةٌ، وَلَكِنَّ الْيَدَ الَّتِي عَلَيَّ أَثْقَلُ مِنْ أَنِينِي. | ٢ 2 |
২“এমনকি আজও আমার অভিযোগ তিক্ত; আমার আর্তনাদের চেয়ে আমার যন্ত্রণা অনেক বেশি।
أَيْنَ لِي أَنْ أَجِدَهُ فَأَمْثُلَ أَمَامَ كُرْسِيِّهِ، | ٣ 3 |
৩আহা, যদি আমি জানতাম কোথায় আমি তাঁকে পেতে পারি! আহা, আমি যদি তাঁর গৃহে যেতে পারি!
وَأَعْرِضَ عَلَيْهِ قَضِيَّتِي وَأَمْلأَ فَمِي حُجَجاً، | ٤ 4 |
৪আমি আমার অভিযোগ তাঁর সামনে সাজিয়ে রাখব এবং তর্কবিতর্কে আমার মুখ পূর্ণ রাখব।
فَأَطَّلِعَ عَلَى جَوَابِهِ وَأَفْهَمَ مَا يَقُولُهُ لِي؟ | ٥ 5 |
৫তিনি আমায় যা উত্তর দেবেন তা আমি জানব এবং যা তিনি আমায় বলবেন বুঝতে পারব।
أَيُخَاصِمُنِي بِعَظَمَةِ قُوَّتِهِ؟ لا! بَلْ يَلْتَفِتُ مُتَرَئِّفاً عَلَيَّ. | ٦ 6 |
৬তাঁর মহা শক্তিতে কি তিনি আমার বিরুদ্ধে তর্ক বিতর্ক করবেন? না, তিনি আমার প্রতি মনোযোগ দেবেন।
هُنَاكَ يُمْكِنُ لِلْمُسْتَقِيمِ أَنْ يُحَاجَّهُ، وَأُبْرِئُ سَاحَتِي إِلَى الأَبَدِ مِنْ قَاضِيَّ. | ٧ 7 |
৭সেখানে সরল লোক হয়ত তাঁর সঙ্গে বিচার করতে পারে। এই ভাবে আমি হয়ত আমার বিচারকের থেকে চিরকালের মত মুক্তি পেতে পারি।
وَلَكِنْ هَا أَنَا أَتَّجِهُ شَرْقاً فَلا أَجِدُهُ، وَإِنْ قَصَدْتُ غَرْباً لَا أَشْعُرُ بِهِ، | ٨ 8 |
৮দেখ, আমি সামনে যাই, কিন্তু তিনি সেখানে নেই এবং পিছনে যাই, কিন্তু আমি তাঁকে দেখতে পাই না
أَطْلُبُهُ عَنْ شِمَالِي فَلا أَرَاهُ وَأَلْتَفِتُ إِلَى يَمِينِي فَلا أُبْصِرُهُ. | ٩ 9 |
৯বামদিকে, যেখানে তিনি কাজ করেন, কিন্তু আমি তাঁকে দেখতে পাই না এবং ডানদিকে, যেখানে তিনি নিজেকে লুকিয়েছেন যাতে আমি তাঁকে দেখতে না পাই।
وَلَكِنَّهُ يَعْرِفُ الطَّرِيقَ الَّتِي أَسْلُكُهَا، وَإذَا امْتَحَنَنِي أَخْرُجُ كَالذَّهَبِ | ١٠ 10 |
১০কিন্তু তিনি জানেন আমি কোন পথ নিয়েছি; যখন তিনি আমায় পরীক্ষা করবেন, আমি সোনার মত বার হয়ে আসব।
اقْتَفَتْ قَدَمَايَ إِثْرَ خُطَاهُ، وَسَلَكْتُ بِحِرْصٍ فِي سُبُلِهِ وَلَمْ أَحِدْ. | ١١ 11 |
১১আমার পা তাঁর পায়ের চিহ্ন ধরে চলে; আমি তাঁর পথ ধরে রেখেছি এবং তার থেকে অন্য কোনদিকে ফিরি না।
لَمْ أَتَعَدَّ عَلَى وَصَايَاهُ، وَذَخَرْتُ فِي قَلْبِي كَلِمَاتِهِ. | ١٢ 12 |
১২তাঁর ঠোঁটের আদেশ থেকে আমি ফিরে যাই নি; তাঁর মুখের কথা আমি আমার হৃদয়ে সঞ্চয় করে রেখেছি, আমার প্রয়োজনীয় বিষয়েরও অধিক।
وَلَكِنَّهُ مُتَفَرِّدٌ وَحْدَهُ فَمَنْ يَرُدُّهُ؟ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ، | ١٣ 13 |
১৩কিন্তু তিনি অপরিবর্তনীয়; কে তাঁকে পরিবর্তন করতে পারে? তাঁর প্রাণ যা চায়, তিনি তাই করেন।
لأَنَّهُ يُتَمِّمُ مَا رَسَمَهُ لِي، وَمَازَالَ لَدَيْهِ وَفْرَةٌ مِنْهَا. | ١٤ 14 |
১৪কারণ তিনি তা সফল করবেন যা আমার জন্য নিরূপিত করেছেন; এবং এরকম অনেক কিছু তাঁর মনে আছে।
لِذَلِكَ أَرْتَعِبُ فِي حَضْرَتِهِ، وَعِنْدَمَا أَتَأَمَّلُ، يُخَامِرُنِي الْخَوْفُ مِنْهُ. | ١٥ 15 |
১৫এই জন্য, আমি তাঁর উপস্থিতিতে আতঙ্কিত হই; যখন আমি তাঁর বিষয়ে ভাবি, আমি তাঁকে ভয় করি।
فَقَدْ أَضْعَفَ اللهُ قَلْبِي، وَرَوَّعَنِي الْقَدِيرُ. | ١٦ 16 |
১৬কারণ ঈশ্বর আমার হৃদয় দুর্বল করে বানিয়েছে; সর্বশক্তিমান আমায় আতঙ্কিত করেছেন।
وَمَعَ ذَلِكَ لَمْ تَسْكُنْنِي الظُّلْمَةُ، وَلا الدُّجَى غَشَّى وَجْهِي. | ١٧ 17 |
১৭এমন নয় যে আমি অন্ধকারের দ্বারা নীরব হয়ে আছি, না ঘন অন্ধকার আমার মুখ ঢেকে দিয়েছে।