< إرْمِيا 49 >

نُبُوءَةٌ عَنْ بَنِي عَمُّونَ، هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ: «أَلَيْسَ لإِسْرَائِيلَ أَبْنَاءُ؟ أَلَيْسَ لَهُ وَارِثٌ؟ فَمَا بَالُ مَلِكِ الْعَمُّونِيِّينَ قَدِ اسْتَوْلَى عَلَى مِيرَاثِ سِبْطِ جَادٍ وَسَكَنَ شَعْبُهُ فِي مُدُنِهِ؟ ١ 1
অম্মোনীয়দের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ইস্রায়েলের কি কোন ছেলে নেই? ইস্রায়েলের উত্তরাধিকারী কি কেউ নেই? তাহলে মিলকম মূর্তির উপাসকরা কেন গাদের জায়গা অধিকার করে এবং মিলকমের লোকেরা সেখানকার শহরগুলিতে বাস করে?
لِذَلِكَ هَا أَيَّامٌ مُقْبِلَةٌ، يَقُولُ الرَّبُّ، أَجْعَلُ فِيهَا هُتَافَ الْقِتَالِ يَتَرَدَّدُ فِي رَبَّةِ الْعَمُّونِيِّينَ، فَتَصِيرُ تَلَّةَ أَطْلالٍ، وَتُحْرَقُ قُرَاهَا بِالنَّارِ فَيُجْلِي الإِسْرَائِيلِيُّونَ الَّذِينَ أَجْلَوْهُمْ، يَقُولُ الرَّبُّ. ٢ 2
তাই দেখ, সেই দিন আসছে” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমি অম্মোনীয়দের রব্বা শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হাঁক দেব; তখন তা ধ্বংসস্তূপ হবে, আর তার মেয়েরা আগুনে পুড়ে যাবে। কারণ ইস্রায়েল তাদের দখল করবে, যারা তাকে দখল করে ছিল।” সদাপ্রভু বলেন।
أَعْوِلِي يَا حَشْبُونُ لأَنَّ عَايَ قَدْ خَرِبَتْ. ابْكِينَ يَا بَنَاتِ رَبَّةَ وَتَمَنْطَقْنَ بِالْمُسُوحِ. انْدُبْنَ وَاذْرَعْنَ الأَرْضَ بَيْنَ السِّيَاجَاتِ فَإِنَّ مَلِكَكُنَّ سَيَذْهَبُ إِلَى السَّبْيِ مَعَ كَهَنَتِهِ وَرُؤَسَائِهِ جَمِيعاً. ٣ 3
“হে হিশবোন, বিলাপ কর, কারণ অয় শহর ধ্বংস হবে! হে রব্বা শহরের মেয়েরা, চিত্কার কর! চট পর। বিলাপ কর এবং দেয়ালগুলির মধ্যে দৌড়াদৌড়ি কর, কারণ মিলকম ও তার সঙ্গে তার যাজকরা ও নেতারা বন্দীদশায় যাবে।
مَا بَالُكِ تُبَاهِينَ بِالأَوْدِيَةِ أَيَّتُهَا الابْنَةُ الْمُخَادِعَةُ الَّتِي اتَّكَلَتْ عَلَى نَفَائِسِهَا قَائِلَةً: مَنْ يُهَاجِمُنِي؟ ٤ 4
কেন তুমি তোমার শক্তি নিয়ে গর্ব করছ? তোমার শক্তি বিলীন হয়ে যাবে, অবিশ্বস্ত মেয়ে; তুমি তোমার সম্পত্তির উপর নির্ভর কর। তুমি বল, ‘কে আমার বিরুদ্ধে আসবে?’
هَا أَنَا أُوْقِعُ بِكِ الرُّعْبَ مِنْ جَمِيعِ الْمُحِيطِينَ بِكِ، فَيَتَشَرَّدُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْكُمْ مَطْرُوداً، وَلَيْسَ مَنْ يَجْمَعُ شَتَاتَ الْهَارِبِينَ. ٥ 5
দেখ, আমি তোমার উপরে বিপদ আনব” এটা প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভুর ঘোষণা। “তোমার চারদিকের সবার কাছ থেকে বিপদ আসবে। তোমাদের প্রত্যেককে তার সামনে ছড়িয়ে পড়বে, পালিয়ে যাওয়া লোকদের কেউ তোমাদের জড়ো করার জন্য থাকবে না।
ثُمَّ أَعُودُ فَأَرُدُّ سَبْيَ الْعَمُّونِيِّينَ، يَقُولُ الرَّبُّ». ٦ 6
কিন্তু পরে আমি অম্মোনীয়দের অবস্থা ফেরাব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
نُبُوءَةٌ عَنِ الأَدُومِيِّينَ: هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ: «أَلَمْ تَبْقَ فِي تِيمَانَ حِكْمَةٌ بَعْدُ؟ هَلْ بَادَتِ الْمَشُورَةُ مِنْ ذَوِي الْفَهْمِ؟ هَلْ تَلاشَتْ حِكْمَتُهُمْ؟ ٧ 7
ইদোমের বিষয়ে বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তৈমনে কি জ্ঞান নেই? বুদ্ধিমানদের কাছে কি উপদেশ শেষ হয়ে গেছে? তাদের জ্ঞান কি চলে গেছে?
اهْرُبُوا: أَدْبِرُوا، اخْتَبِئُوا فِي الأَعْمَاقِ يَا سُكَّانَ دَدَانَ، لأَنِّي سَأُوْقِعُ الْبَلِيَّةَ بِذُرِّيَّةِ عِيسُو فِي أَوَانِ عِقَابِهَا. ٨ 8
পালাও! ফিরে যাও! হে দদানের বাসিন্দারা, ভূমির গভীরে গিয়ে বাস কর। কারণ আমি এষৌর উপর তার বিপদ, তাকে শাস্তি দেবার দিন উপস্থিত করব।
لَوْ أَقْبَلَ قَاطِفُو الْعِنَبِ إِلَيْكَ، أَلا يُبْقُونَ خُصَاصَةً؟ وَلَوِ انْسَلَّ اللُّصُوصُ لَيْلاً، أَلا يَقْنَعُونَ بِسَلْبِ مَا يَكْفِيهِمْ؟ ٩ 9
যদি যারা আঙ্গুর তোলে, তারা তোমার কাছে আসে, তারা কি কিছু ফল অবশিষ্ট রাখবে না? চোরেরা যদি রাতে আসে, তবে তারা কি তাদের দরকার মত চুরি করবে না?
أَمَّا أَنَا فَقَدْ جَرَّدْتُ ذُرِّيَّةَ عِيسُو، وَكَشَفْتُ عَنْ مَخَابِئِهَا السِّرِّيَّةِ، وَلَيْسَ فِي وُسْعِهَا الاخْتِفَاءُ. هَلَكَ أَبْنَاءُ عِيسُو وَإخْوَتُهُ وَجِيرَانُهُ وَلَمْ يَبْقَ لَهُ أَثَرٌ بَعْدُ. ١٠ 10
১০কিন্তু আমি এষৌকে জনশূন্য করেছি। আমি তার গোপন জায়গাগুলি প্রকাশ করেছি, যাতে সে লুকাতে না পারে। তার বংশের লোকেরা, তার ভাইয়েরা ও তার প্রতিবেশীরা ধ্বংস হল, সেও চলে গেছে।
اتْرُكْ أَيْتَامَكَ فَإِنِّي أُحْيِيهِمْ، وَلْتَتَّكِلْ أَرَامِلُكَ عَلَيَّ». ١١ 11
১১তুমি তোমার অনাথ ছেলে মেয়েদের ত্যাগ কর; আমি তাদের জীবন রক্ষা করব। তোমার বিধবারাও আমার উপর বিশ্বাস করুক।”
لأَنَّ هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ: «إِنْ كَانَ الَّذِينَ لَا يَسْتَحِقُّونَ تَجَرُّعَ كَأْسِ الْعِقَابِ قَدْ تَجَرَّعُوهُ، أَتُفْلِتُ أَنْتَ مِنَ الْعِقَابِ؟ إِنَّكَ لَنْ تُفْلِتَ مِنَ الْعِقَابِ، بَلْ عَلَيْكَ أَنْ تَجْرَعَهُ حَتْماً. ١٢ 12
১২কারণ সদাপ্রভু বলেন, “দেখ, সেই পাত্রে পান করার যাদের নিয়ম ছিল না, তাদের সেই পাত্রে পান করতে হবে, তাদের তুমি কি শাস্তি না পেয়েই চলে যাবে? তুমি শাস্তিভোগ না করে যাবে না, অবশ্যই পান করবে।”
هَا أَنَا قَدْ أَقْسَمْتُ بِنَفْسِي»، يَقُولُ الرَّبُّ، «أَنْ تُصْبِحَ بُصْرَةُ عُرْضَةً لِلرُّعْبِ وَالْعَارِ وَالْخَرَابِ وَاللَّعْنَةِ، وَتَغْدُو مُدُنُهَا خَرَائِبَ دَائِمَةً». ١٣ 13
১৩কারণ সদাপ্রভু বলেন, “আমি নিজের নামে এই শপথ করছি যে, বস্রা আতঙ্ক, মর্যাদাহীন, ধ্বংস ও অভিশাপের পাত্র হবে। তার সমস্ত শহর চিরকালের জন্য ধ্বংস হয়ে থাকবে।”
تَبَلَّغْتُ رِسَالَةً مِنْ لَدُنِ الرَّبِّ، أَنَّ سَفِيراً قَدْ بُعِثَ إِلَى الأُمَمِ قَائِلاً: «احْشِدُوا أَنْفُسَكُمْ لِمُهَاجَمَتِهَا. هُبُّوا لِلْقِتَالِ. ١٤ 14
১৪আমি সদাপ্রভুর কাছ থেকে এই খবর শুনেছি এবং একজন দূতকে জাতিদের কাছে পাঠানো হয়েছে, “জড়ো হও ও তাকে আক্রমণ কর। যুদ্ধ করার জন্য তৈরী হও।
قَدْ جَعَلْتُكَ صَغِيراً فِي الأُمَمِ، حَقِيراً بَيْنَ النَّاسِ. ١٥ 15
১৫কারণ দেখ, আমি জাতিদের মধ্যে তোমাকে সবচেয়ে ছোট করব এবং লোকদের মধ্যে ঘৃণার পাত্র করব।
قَدْ خَدَعَكَ مَا تُثِيرُهُ مِنْ رُعْبٍ، وَأَغْوَتْكَ كِبْرِيَاءُ قَلْبِكَ، يَا مَنْ تُقِيمُ فِي شُقُوقِ الصَّخْرِ وَتَعْتَصِمُ بِقِمَّةِ التَّلِّ. وَلَكِنَّنِي سَأَطْرَحُكَ مِنْ هُنَاكَ وَلَوْ بَنَيْتَ عُشَّكَ عَالِياً كَعُشِّ النَّسْرِ، يَقُولُ الرَّبُّ. ١٦ 16
১৬তোমার আতঙ্কের জন্য, তোমার অন্তরের গর্ব তোমাকে ছলনা করেছে; হে শিলার বাসিন্দা, যদিও তুমি ঈগলের মত উঁচু জায়গায় বাস কর, তবুও সেখান থেকে আমি তোমাকে নীচে নামিয়ে আনব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
سَتُصْبِحُ أَدُومُ مَثَارَ رُعْبٍ، وَكُلُّ مَنْ يَمُرُّ بِها تَعْتَرِيهِ رِعْدَةٌ، وَيَصْفَرُ مِنْ جَرَّاءِ كُلِّ نَكْبَاتِهَا، ١٧ 17
১৭“ইদোমের প্রত্যেকের কাছে বিস্ময়ের পাত্র হবে, যারা তার পাশ দিয়ে যাবে তারা সবাই ভীষণ কাঁপবে এবং তার সব আঘাতের জন্য তাকে শিশ ধ্বনি দেবে।
وَيُصِيبُهَا مَا أَصَابَ سَدُومَ وَعَمُورَةَ وَمَا جَاوَرَهُمَا، مِنِ انْقِلابٍ، يَقُولُ الرَّبُّ، فَلا يَسْكُنُ هُنَاكَ إِنْسَانٌ وَلا يَتَغَرَّبُ فِيهَا أَحَدٌ. ١٨ 18
১৮তাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে যেমন সদোম ও ঘমোরাকে ধ্বংস করা হয়েছিল” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “তেমনি ইদোমে কেউ বাস করবে না; তার মধ্যে কোন মানুষ থাকবে না।
هَا هُوَ يَنْقَضُّ عَلَى الأَدُومِيِّينَ فِي مَوَاطِنِ صُخُورِهِمْ كَمَا يَنْقَضُّ فَجْأَةً أَسَدٌ مِنْ أَجَمَاتِ نَهْرِ الأُرْدُنِّ؛ وَفِي لَحْظَةٍ أَطْرُدُهُمْ مِنْهَا وَأُقِيمُ عَلَيْهَا مَنْ أَخْتَارُهُ، لأَنَّهُ مَنْ هُوَ مِثْلِي؟ وَمَنْ يُحَاكِمُنِي؟ وَأَيُّ رَاعٍ يَقْوَى عَلَى مُوَاجَهَتِي؟ ١٩ 19
১৯দেখ, সিংহের মত যর্দ্দনের জঙ্গল থেকে উঠে এসে ভাল চারণ ভূমিতে শিকার করবে। তেমনি করে আমি মুহূর্তের মধ্যে ইদোমকে তার দেশ থেকে তাড়া করব। আমি তার উপর আমার মনোনীত লোককে নিযুক্ত করব। কে আমার মত ও কে আমাকে ডাকতে পারে? কোন পালক আমার বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারে?”
لِذَلِكَ اسْمَعُوا مَا خَطَّطَهُ الرَّبُّ ضِدَّ أَدُومَ، وَمَا دَبَّرَهُ ضِدَّ سَاكِنِي تِيمَانَ: هَا صِغَارُ الْقَوْمِ يُجَرُّونَ، وَتَنْهَدِمُ مَسَاكِنُهُمْ عَلَيْهِمْ. ٢٠ 20
২০তাই ইদোমের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তৈমনের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে তিনি কি পরিকল্পনা করেছেন তা শোনো। লোকেরা অবশ্যই তাদের টেনে নিয়ে, এমনকি পালের বাচ্চাদেরও। তাদের কাজের জন্য তাদের চারণ ভূমি তিনি একেবারে ধ্বংস করে দেবেন।
مِنْ صَوْتِ سُقُوطِهِمْ تَرْجُفُ الأَرْضُ، وَأَصْدَاءُ صُرَاخِهِمْ تَبْلُغُ الْبَحْرَ الأَحْمَرَ. ٢١ 21
২১তাদের পতনের শব্দে পৃথিবী কাঁপে; তাদের কান্না লোহিত সাগর পর্যন্ত শোনা যায়।
هَا هُوَ يُحَلِّقُ كَالنَّسْرِ، وَيَنْشُرُ جَنَاحَيْهِ عَلَى بُصْرَةَ، فَتُصْبِحُ قُلُوبُ جَبَابِرَةِ أَدُومَ كَقَلْبِ امْرَأَةٍ مَاخِضٍ». ٢٢ 22
২২দেখ, কোনো একজন ঈগলের মত আক্রমণ করবে, ছোঁ মারবে এবং বস্রার উপরে তার ডানা মেলে দেবে। সেই দিন ইদোমের সৈনিকদের অন্তর প্রসবযন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীলোকের অন্তরের মত হবে।
نُبُوءةٌ عَنْ دِمَشْقَ: «قَدْ لَحِقَ الْخِزْيُ بِحَمَاةَ وَأَرْفَادَ إِذْ بَلَغَتْهُمَا الأَنْبَاءُ الْمُزْعِجَةُ، ذَابَتَا خَوْفاً وَاضْطَرَبَتَا كَالْبَحْرِ الْهَائِجِ. ٢٣ 23
২৩দম্মেশকের বিষয়: “হমাৎ ও অর্পদ লজ্জিত হবে, কারণ তারা বিপদের খবর শুনেছে। তারা নরম হল! তারা অস্থির সাগরের মত, যা শান্ত হতে পারে না।
خَارَتْ قُوَى دِمَشْقَ وَأَدْبَرَتْ لِتَهْرُبَ، وَاسْتَوْلَى عَلَيْهَا الرُّعْبُ، وَأَدْرَكَهَا الْكَرْبُ وَالأَلَمُ كَامْرَأَةٍ مَاخِضٍ. ٢٤ 24
২৪দম্মেশক দুর্বল হয়েছে, সে পালাবার জন্য ফিরেছে এবং ভয় তাকে আঁকড়ে ধরেছে। প্রসব যন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীলোকের মত যন্ত্রণা ও ব্যথা তাকে গ্রাস করেছে।
كَيْفَ لَمْ يُبْقِ عَلَى الْمَدِينَةِ الشَّهِيرَةِ، مَدِينَةِ مَسَرَّتِي؟ ٢٥ 25
২৫যার লোকেরা বলে, ‘কেমন সেই বিখ্যাত শহর! যাকে নিয়ে আমি আনন্দ করেছি, কেন পরিত্যক্ত হয়নি’?”
لِذَلِكَ سَيَتَسَاقَطُ شَبَابُهَا فِي سَاحَاتِهَا، وَيَبِيدُ جَمِيعُ جُنُودِهَا فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ. ٢٦ 26
২৬বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এই জন্য তার যুবকেরা তার চকে পতিত হবে এবং সেই দিন সমস্ত সৈন্যরা বিনষ্ট হবে।
سَأُضْرِمُ النَّارَ فِي سُورِ دِمَشْقَ فَتَلْتَهِمُ قُصُورَ بَنْهَدَدَ». ٢٧ 27
২৭দম্মেশকের দেয়ালগুলিতে আমি আগুন লাগিয়ে দেব; তা বিনহদদের দুর্গগুলি পুড়িয়ে ফেলবে।”
نُبُوءَةٌ عَنْ قِيدَارَ وَمَمَالِكِ حَاصُورَ الَّتِي هَاجَمَهَا نَبُوخَذْنَصَّرُ: «هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ: هُبُّوا وَازْحَفُوا عَلَى قِيدَارَ. دَمِّرُوا أُمَمَ الْمَشْرِقِ. ٢٨ 28
২৮কেদর ও হাৎসোর সম্মন্ধে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরকে সদাপ্রভু এই কথা বলেন (এখন বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর সেই স্থানকে আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন): “ওঠো, কেদর আক্রমণ কর এবং পূর্বদেশের লোকদের ধ্বংস কর।
فَإِنَّ خِيَامَهُمْ وَقُطْعَانَ أَغْنَامِهِمْ يُسْتَوْلَى عَلَيْهَا، وَتُؤْخَذُ أَسْتَارُهُمْ وَأَمْتِعَتُهُمْ، وَتُنْهَبُ جِمَالُهُمْ مِنْهُمْ، وَيَهْتِفُ بِهِمِ الرِّجَالُ: الرُّعْبُ يُحْدِقُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ. ٢٩ 29
২৯লোকে তাদের তাঁবুগুলি ও পশুপাল, তাঁবুর পর্দা ও তাদের সমস্ত জিনিস নিয়ে যাবে। তারা কেদরের লোকেদের থেকে উট নিয়ে যাবে এবং চিৎকার করে তাদের বলবে, ‘চারদিকে আতঙ্ক!’
اهْرُبُوا سَرِيعاً. تَفَرَّقُوا. تَوَارَوْا فِي الأَعْمَاقِ يَا أَهْلَ حَاصُورَ، يَقُولُ الرَّبُّ، لأَنَّ نَبُوخَذْنَصَّرَ مَلِكَ بَابِلَ تَآمَرَ عَلَيْكُمْ وَدَبَّرَ خُطَّتَهُ ضِدَّكُمْ. ٣٠ 30
৩০পালাও! দূরে চলে যাও! হে হাৎসোরের বাসিন্দারা, ভূমির গর্তে বাস কর” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “কারণ বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর তোমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। পালাও! ফিরে যাও!
هُبُّوا، وَازْحَفُوا عَلَى أُمَّةٍ مُتْرَفَةٍ تَسْكُنُ فِي طُمَأْنِينَةٍ، يَقُولُ الرَّبُّ. لَا بَوَّابَاتِ لَهَا وَلا مَزَالِيجَ بَلْ تَسْكُنُ مُنْفَرِدَةً. ٣١ 31
৩১জেগে ওঠো! সেই নিরাপদে থাকা জাতিকে আক্রমণ কর” সদাপ্রভু ঘোষণা করেন। “তাদের কোনো ফটকও নেই, খিলও নেই; তারা একা বাস করে।
سَتُصْبِحُ إِبِلُهُمْ غَنِيمَةً وَمَاشِيَتُهُمْ سَلْباً، وَأُذَرِّي لِكُلِّ رِيحٍ كُلَّ مَقْصُوصِي زَوَايَا الشَّعْرِ، وَأُوْقِعُ بِهِمِ الْبَلِيَّةَ مِنْ كُلِّ جَوَانِبِهِمْ، يَقُولُ الرَّبُّ. ٣٢ 32
৩২কারণ তাদের উটগুলি লুটিত মাল হবে এবং তাদের অনেক পশুপাল লুট হবে। যারা চুলের কোন কাটে, তাদের আমি সমস্ত বায়ুর দিকে ছড়িয়ে দেব এবং সব দিক থেকেই তাদের উপর বিপদ আনব” সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।
فَتُصْبِحُ حَاصُورُ مَأْوَى لِبَنَاتِ آوَى، وَخَرَاباً إِلَى الأَبَدِ. لَا يُقِيمُ هُنَاكَ أَحَدٌ، وَلا يَتَغَرَّبُ فِيهَا إِنْسَانٌ». ٣٣ 33
৩৩“হাৎসোর হবে শিয়ালদের বাসস্থান ও চিরস্থায়ী জনশূন্য জায়গা। কেউ সেখানে বাস করবে না, তার মধ্যে কোন মানুষ থাকবে না।”
النُّبُوءَةُ الَّتِي أَوْحَى بِها الرَّبُّ إِلَى إِرْمِيَا عَنْ عِيلامَ فِي مُسْتَهَلِّ حُكْمِ صِدْقِيَّا مَلِكِ يَهُوذَا: ٣٤ 34
৩৪এলম সম্বন্ধে সদাপ্রভুর এই বাক্য ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে এল। এটা ঘটেছে, যখন যিহূদার রাজা সিদিকিয় রাজত্ব শুরু করেন। এটা হল,
هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ: «هَا أَنَا أُحَطِّمُ قَوْسَ عِيلامَ، عِمَادَ قُوَّتِهِمْ. ٣٥ 35
৩৫“বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি এলমের ধনুক, তাদের শক্তির প্রধান খুঁটি ভেঙে ফেলব।
وَأُرْسِلُ عَلَى عِيلامَ الرِّيَاحَ الأَرْبَعَ مِنْ أَطْرَافِ السَّمَاءِ الأَرْبَعَةِ، وَأُذَرِّيهِمْ لِكُلِّ تِلْكَ الرِّيَاحِ، فَلا تَبْقَى أُمَّةٌ لَا يُسْبَى إِلَيْهَا الْعِيلامِيُّونَ. ٣٦ 36
৩৬কারণ আমি আকাশের চার কোন থেকে এলমের বিরুদ্ধে বাতাস আনব এবং সেই বাতাসে আমি এলমের লোকেদের ছড়িয়ে দেব; এমন কোন জাতি নেই, যেখান এলমের দূর করে দেওয়া লোকেরা যাবে।
وَأُفْزِعُ عِيلامَ أَمَامَ أَعْدَائِهِمْ وَأَمَامَ طَالِبِي نُفُوسِهِمْ، وَأُعَاقِبُهُمْ بِالشَّرِّ وَبِغَضَبِي اللّاهِبِ، وَأَجْعَلُ السَّيْفَ يَتَعَقَّبُهُمْ حَتَّى أُفْنِيَهُمْ. ٣٧ 37
৩৭তাই আমি এলমকে তাদের শত্রুদের সামনে ও যারা তাদের প্রাণের খোঁজ করে তাদের সামনে ছড়িয়ে দেব। কারণ আমি তাদের বিরুদ্ধে বিপদ, আমার জ্বলন্ত রোষ নিয়ে আসব’ এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। ‘আমি তাদের বিরুদ্ধে তরোয়াল পাঠাব, যতক্ষণ না আমি তাদের বিলুপ্ত করি।
وَأَنْصِبُ عَرْشِي فِي عِيلامَ، وَأَقْضِي عَلَى مَلِكِهِمْ وَعَلَى عُظَمَائِهِمْ. ٣٨ 38
৩৮তখন আমি এলমে আমার সিংহাসন স্থাপন করব এবং তার রাজা ও নেতাদের ধ্বংস করব’ এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
وَلَكِنْ أَرُدُّ سَبْيَ عِيلامَ فِي الأَيَّامِ الآتِيَةِ يَقُولُ الرَّبُّ». ٣٩ 39
৩৯‘এটা আগামীদিনের ঘটবে, আমি এলমের অবস্থা ফিরিয়ে আনব’ এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।”

< إرْمِيا 49 >