< إرْمِيا 39 >
وَفِي الشَّهْرِ الْعَاشِرِ مِنَ السَّنَةِ التَّاسِعَةِ مِنْ حُكْمِ صِدْقِيَّا مَلِكِ يَهُوذَا، زَحَفَ الْمَلِكُ نَبُوخَذْنَصَّرُ وَكُلُّ جَيْشِهِ عَلَى أُورُشَلِيمَ وَحَاصَرَهَا. | ١ 1 |
যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের রাজত্বের নবম বছরের দশম মাসে, ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার তাঁর সমস্ত সৈন্য নিয়ে জেরুশালেমের বিরুদ্ধে সমরাভিযান করেন ও তা অবরোধ করেন।
وَفِي الْيَوْمِ التَّاسِعِ مِنَ الشَّهْرِ الرَّابِعِ مِنَ السَّنَةِ الْحَادِيَةِ عَشَرَةَ مِنْ حُكْمِ صِدْقِيَّا فُتِحَتْ ثُغْرَةٌ فِي سُورِ الْمَدِينَةِ. | ٢ 2 |
সিদিকিয়ের রাজত্বের এগারোতম বছরের চতুর্থ মাসের নবম দিনে, নগরের প্রাচীর ভেঙে ফেলা হল।
وَمَا لَبِثَ أَنْ دَخَلَ كُلُّ رُؤَسَاءِ مَلِكِ بَابِلَ وَجَلَسُوا فِي الْبَابِ الأَوْسَطِ وَهُمْ: نَرْجَلَ شَرَاصَرُ، وَسَمْجَرَ نَبُو، وَسَرْسَخِيمُ رَئِيسُ الْخِصْيَانِ، وَنَرْجَلَ شَرَاصَرُ رَئِيسُ الْمَجُوسِ، وَسَائِرُ قُوَّادِ مَلِكِ بَابِلَ. | ٣ 3 |
তারপর ব্যাবিলনের রাজার সমস্ত কর্মকর্তা এসে মধ্যম-দ্বারে আসন গ্রহণ করল। তারা ছিল সমগরের নের্গল-শরেৎসর, একজন প্রধান আধিকারিক নেবো-সার্সেকিম, একজন উচ্চ পদাধিকারী নের্গল-শরেৎসর এবং ব্যাবিলনের রাজার অন্যান্য সমস্ত কর্মচারী।
وَعِنْدَمَا شَاهَدَهُمْ صِدْقِيَّا مَلِكُ يَهُوذَا وَكُلُّ الْمُحَارِبِينَ فَرُّوا هَارِبِينَ مِنَ الْمَدِينَةِ لَيْلاً عَنْ طَرِيقِ جَنَّةِ الْمَلِكِ، مِنَ الْبَابِ الْقَائِمِ بَيْنَ السُّورَيْنِ، وَاتَّجَهُوا نَحْوَ الْعَرَبَةِ. | ٤ 4 |
যখন যিহূদার রাজা সিদিকিয় ও সমস্ত সৈন্য তাদের দেখলেন, তারা পলায়ন করলেন। রাজার উদ্যানের পথ দিয়ে তারা রাত্রিবেলা নগর ত্যাগ করলেন। সেই ফটকটি ছিল দুটি প্রাচীরের মাঝখানে এবং পথ ছিল অরাবা অভিমুখী।
فَتَعَقَّبَهُمْ جَيْشُ الْكَلْدَانِيِّينَ، فَأَدْرَكُوا صِدْقِيَّا فِي سَهْلِ أَرِيحَا، فَقَبَضُوا عَلَيْهِ وَقَادُوهُ إِلَى نَبُوخَذْنَصَّرَ مَلِكِ بَابِلَ فِي رَبْلَةَ فِي أَرْضِ حَمَاةَ، فَأَصْدَرَ عَلَيْهِ حُكْمَهُ. | ٥ 5 |
কিন্তু ব্যাবিলনীয় সৈন্যেরা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল এবং যিরীহোর সমভূমিতে সিদিকিয়ের নাগাল পেল। তারা তাঁকে বন্দি করল এবং হমাৎ দেশের রিব্লাতে ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজারের কাছে তাঁকে নিয়ে গেল। সেখানে তিনি তাঁর দণ্ডাদেশ ঘোষণা করলেন।
وَقَتَلَ مَلِكُ بَابِلَ أَبْنَاءَ صِدْقِيَّا فِي رَبْلَةَ عَلَى مَرْأَى مِنْهُ كَمَا قَتَلَ سَائِرَ أَشْرَافِ يَهُوذَا. | ٦ 6 |
সেখানে ব্যাবিলনের রাজা রিব্লায়, সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর পুত্রদের হত্যা করলেন এবং যিহূদার সমস্ত সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকেও হত্যা করলেন।
وَفَقَأَ عَيْنَيْ صِدْقِيَّا وَقَيَّدَهُ بِسَلاسِلَ مِنْ نُحَاسٍ لِيَأْخُذَهُ أَسِيراً إِلَى بَابِلَ. | ٧ 7 |
তারপর তিনি সিদিকিয়ের দুই চোখ উপড়ে নিলেন এবং তাঁকে ব্যাবিলনে নিয়ে যাওয়ার জন্য পিতলের শিকল দিয়ে বাঁধলেন।
وَأَحْرَقَ الْكَلْدَانِيُّونَ قَصْرَ الْمَلِكِ وَبُيُوتَ الشَّعْبِ وَنَقَضُوا أَسْوَارَ أُورُشَلِيمَ. | ٨ 8 |
ব্যাবিলনীয়েরা রাজপ্রাসাদে ও লোকদের সমস্ত গৃহে আগুন লাগিয়ে দিল এবং জেরুশালেমের প্রাচীরগুলি ভেঙে ফেলল।
وَسَبَى نَبُوزَرَادَانُ رَئِيسُ شُرْطَةِ بَابِلَ بَقِيَّةَ الشَّعْبِ الَّذِي بَقِيَ فِي الْمَدِينَةِ، وَكُلَّ مَنْ لَجَأَ إِلَيْهِ. | ٩ 9 |
রাজরক্ষীবাহিনীর সেনাপতি নবূষরদন নগরের অবশিষ্ট লোকেদের এবং যারা তাদের পক্ষ অবলম্বন করেছিল তাদের ও অবশিষ্ট অন্য সব লোককে ব্যাবিলনে নির্বাসিত করলেন।
أَمَّا الْفُقَرَاءُ مِمَّنْ لَمْ يَكُنْ لَدَيْهِمْ شَيْءٌ فَتَرَكَهُمْ نَبُوزَرَادَانُ رَئِيسُ الشُّرْطَةِ فِي أَرْضِ يَهُوذَا، وَوَزَّعَ عَلَيْهِمْ كُرُوماً وَحُقُولاً فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ. | ١٠ 10 |
কিন্তু রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন যিহূদায় কিছু দীনদরিদ্র ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেন, তাদের কাছে কিছুই ছিল না। সেই সময় তিনি তাদের দ্রাক্ষাকুঞ্জ ও কৃষিজমি দান করলেন।
وَأَوْصَى نَبُوخَذْنَصَّرُ مَلِكُ بَابِلَ نَبُوزَرَادَانَ رَئِيسَ الشُّرْطَةِ بِإِرْمِيَا قَائِلاً: | ١١ 11 |
এরপর, ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার তাঁর রাজরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদনের মাধ্যমে যিরমিয়ের জন্য এই আদেশ দিলেন,
«خُذْهُ وَاعْتَنِ بِهِ أَشَدَّ عِنَايَةٍ وَلا تُؤْذِهِ، بَلِ اسْتَجِبْ لِكُلِّ مَا يَطْلُبُهُ مِنْكَ». | ١٢ 12 |
“তাঁকে গ্রহণ করো ও তাঁর তত্ত্বাবধান করো। তাঁর কোনো ক্ষতি করবে না, বরং তিনি যা চান, তাঁর প্রতি তাই করবে।”
فَبَعَثَ نَبُوزَرَادَانُ رَئِيسُ الشُّرْطَةِ وَنَبُوشَزْبَانُ رَئِيسُ الْخِصْيَانِ وَنَرْجَلَ شَرَاصَرُ رَئِيسُ الْمَجُوسِ وَجَمِيعُ قُوَّادِ مَلِكِ بَابِلَ، | ١٣ 13 |
তাই রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন, একজন প্রধান আধিকারিক নবুশাস্বন, একজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী নের্গল-শরেৎসর ও ব্যাবিলনের রাজার অন্যান্য সমস্ত কর্মচারীকে
وَأَخْرَجُوا إِرْمِيَا مِنْ دَارِ الْحَرَسِ، وَعَهَدُوا بِهِ إِلَى جَدَلْيَا بْنِ أَخِيقَامَ بْنِ شَافَانَ لِيَأْخُذَهُ إِلَى بَيْتِهِ. فَأَقَامَ بَيْنَ الشَّعْبِ. | ١٤ 14 |
যিরমিয়ের কাছে প্রেরণ করে, তাঁকে রক্ষীদের প্রাঙ্গণ থেকে মুক্ত করে আনলেন। তারা তাঁকে শাফনের পুত্র অহীকামের পুত্র গদলিয়ের হাতে সমর্পণ করলেন, যেন তিনি তাঁকে তাঁর গৃহে ফেরত নিয়ে যান। এভাবেই তিনি তাঁর আপনজনদের কাছে থেকে গেলেন।
وَهَذِهِ هِيَ النُّبُوءَةُ الَّتِي أَوْحَى بِها الرَّبُّ إِلَى إِرْمِيَا بَيْنَمَا كَانَ مُعْتَقَلاً فِي دَارِ الْحَرَسِ: | ١٥ 15 |
যখন যিরমিয় রক্ষীদের প্রাঙ্গণে অবরুদ্ধ ছিলেন, সদাপ্রভুর বাক্য তাঁর কাছে উপস্থিত হল:
«اذْهَبْ وَقُلْ لِعَبْدَمَلِكَ الإِثْيُوبِيِّ: هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: هَا أَنَا أُتَمِّمُ قَضَائِي عَلَى هَذِهِ الْمَدِينَةِ، فَأُوْقِعُ بِها الشَّرَّ لَا الْخَيْرَ، فَيَتَحَقَّقُ كُلُّ شَيْءٍ عَلَى مَرْأَى مِنْكَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ. | ١٦ 16 |
“তুমি যাও ও গিয়ে কূশীয় এবদ-মেলককে বলো, ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, আমি এই নগরের বিরুদ্ধে আমার বচন, সমৃদ্ধির নয়, কিন্তু বিপর্যয়ের মাধ্যমে পূর্ণ করতে চলেছি। সেই সময়, সেগুলি তোমার চোখের সামনে পূর্ণ হবে।
أَمَّا أَنْتَ فَأُنْقِذُكَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ، يَقُولُ الرَّبُّ، فَلا تَقَعُ فِي يَدِ النَّاسِ الَّذِينَ تَخْشَاهُمْ. | ١٧ 17 |
কিন্তু সেদিন, আমি তোমাকে উদ্ধার করব, সদাপ্রভু এই কথা বলেন; তুমি যাদের ভয় করো, তাদের হাতে তোমাকে সমর্পণ করা হবে না।
إِنَّمَا أُنَجِّيكَ فَلا تَسْقُطُ بِالسَّيْفِ، بَلْ تَسْلَمُ بِحَيَاتِكَ، فَتَكُونُ لَكَ غَنِيمَةً، لأَنَّكَ اتَّكَلْتَ عَلَيَّ، يَقُولُ الرَّبُّ». | ١٨ 18 |
আমি তোমাকে রক্ষা করব; তুমি তরোয়ালের আঘাতে পতিত হবে না, কিন্তু তোমার প্রাণরক্ষা পাবে, কারণ তুমি আমাকে বিশ্বাস করেছ, সদাপ্রভু এই কথা বলেন।’”