< إرْمِيا 38 >

وَبَلَغَ مَسَامِعَ شَفَطْيَا بْنِ مَتَّانَ، وَجَدَلْيَا بْنِ فَشْحُورَ، وَيُوخَلَ بْنِ شَلَمْيَا، وَفَشْحُورَ بْنِ مَلْكِيَّا، الْكَلامُ الَّذِي كَانَ إِرْمِيَا يُخَاطِبُ بِهِ كُلَّ الشَّعْبِ قَائِلاً: ١ 1
যিরমিয় সব লোকের কাছে যে কথা বলছিলেন, তা মত্তনের পুত্র শফটিয়, পশ্‌হূরের পুত্র গদলিয়, শেলেমিয়ের পুত্র যিহূখল ও মল্কিয়ের পুত্র পশ্‌হূর শুনল। তিনি বলছিলেন,
«هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ: إِنَّ كُلَّ مَنْ يَمْكُثُ فِي هَذِهِ الْمَدِينَةِ يَمُوتُ بِحَدِّ السَّيْفِ وَبِالْجُوعِ وَالْوَبَاءِ. أَمَّا مَنْ يَلْجَأْ إِلَى الْكَلْدَانِيِّينَ فَإِنَّهُ يَنْجُو بِنَفْسِهِ وَيُفْلِتُ بِحَيَاتِهِ وَيَحْيَا. ٢ 2
“সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘যে কেউ এই নগরে অবস্থান করবে, সে তরোয়াল, দুর্ভিক্ষ ও মহামারিতে মারা যাবে, কিন্তু যে কেউ ব্যাবিলনীয়দের কাছে যাবে, সে বেঁচে থাকবে। সে তার প্রাণ বাঁচাতে পারবে; সে বেঁচে থাকবে।’
سَتُسَلَّمُ هَذِهِ الْمَدِينَةُ حَتْماً إِلَى يَدِ جَيْشِ مَلِكِ بَابِلَ فَيَسْتَوْلِي عَلَيْهَا». ٣ 3
আর সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘এই নগর অবশ্য ব্যাবিলনের রাজার সৈন্যদের হাতে সমর্পিত হবে। তারা নগরটি অধিকার করবে।’”
فَقَالَ رُؤَسَاءُ الْبِلادِ لِلْمَلِكِ: «يَجِبُ إِعْدَامُ هَذَا الرَّجُلِ، لأَنَّهُ يُثَبِّطُ عَزِيمَةَ الْمُحَارِبِينَ الْبَاقِينَ فِي هَذِهِ الْمَدِينَةِ وَعَزِيمَةَ سَائِرِ الشَّعْبِ، لأَنَّهُ يُخَاطِبُهُمْ بِمِثْلِ هَذَا الْكَلامِ. فَهَذَا الرَّجُلُ لَا يَلْتَمِسُ لِهَذَا الشَّعْبِ خَيْراً بَلْ شَرّاً». ٤ 4
তখন রাজকর্মচারীরা রাজাকে বললেন, “এই লোকটিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। সে যেসব কথা বলছে, তার দ্বারা এ নগরে অবশিষ্ট সৈন্যদের ও সেই সঙ্গে সব প্রজাকেও নিরাশ করছে। এই লোকটি এদের কোনো মঙ্গল চায় না, বরং তাদের বিনাশ দেখতে চায়।”
فَأَجَابَ الْمَلِكُ صِدْقِيَّا: «هَا هُوَ بَيْنَ أَيْدِيكُمْ. افْعَلُوا بِهِ مَا تَشَاؤُونَ، لأَنَّ الْمَلِكَ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يُعَارِضَكُمْ». ٥ 5
রাজা সিদিকিয় উত্তর দিলেন, “সে তোমাদেরই হাতে আছে। তোমাদের বিরুদ্ধে রাজা কিছুই করতে পারেন না।”
فَأَخَذُوا إِرْمِيَا وَطَرَحُوهُ فِي جُبِّ مَلْكِيَّا ابْنِ الْمَلِكِ الْقَائِمِ فِي دَارِ الْحَرَسِ. وَدَلَّوْا إِرْمِيَا بِحِبَالٍ، وَلَمْ يَكُنْ فِي الْجُبِّ مَاءٌ بَلْ وَحْلٌ، فَغَاصَ فِيهِ إِرْمِيَا. ٦ 6
তাই তারা যিরমিয়কে নিয়ে রাজপুত্র মল্কিয়ের কুয়োতে রেখে দিল। সেই কুয়ো রক্ষীদের প্রাঙ্গণে ছিল। তারা দড়ি দিয়ে যিরমিয়কে নিচে নামিয়ে দিল। সেই কুয়োতে কোনো জল ছিল না, কেবলমাত্র কাদা ছিল। যিরমিয় সেই কাদায় প্রায় ডুবতে বসেছিলেন।
فَلَمَّا سَمِعَ عَبْدَ مَلِكُ الْخَصِيُّ الإِثْيُوبِيُّ الْمُقِيمُ فِي قَصْرِ الْمَلِكِ أَنَّهُمْ أَلْقَوْا بِإِرْمِيَا فِي الْجُبِّ، وَكَانَ الْمَلِكُ آنَئِذٍ جَالِساً فِي بَوَّابَةِ بِنْيَامِينَ، ٧ 7
কিন্তু কূশীয় এবদ-মেলক, একজন রাজপ্রাসাদের কর্মকর্তা, শুনতে পেলেন যে, তারা যিরমিয়কে সেই কুয়োর মধ্যে ফেলে দিয়েছে। রাজা যখন বিন্যামীন-দ্বারে বসেছিলেন,
غَادَرَ عَبْدَ مَلِكُ الْقَصْرَ، وَقَالَ لِلْمَلِكِ: ٨ 8
এবদ-মেলক প্রাসাদের বাইরে রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন,
«يَامَوْلايَ الْمَلِكَ، قَدْ أَسَاءَ هَؤُلاءِ الرِّجَالُ إِلَى إِرْمِيَا النَّبِيِّ بِمَا أَوْقَعُوهُ بِهِ مِنْ شَرٍّ حِينَ زَجُّوهُ فِي الْجُبِّ. فَإِنَّهُ لابُدَّ أَنْ يَتَعَرَّضَ لِلْمَوْتِ مِنْ جَرَّاءِ الْجُوعِ، إِذْ لَا خُبْزَ فِي الْمَدِينَةِ». ٩ 9
“হে আমার প্রভু মহারাজা, এই লোকেরা ভাববাদী যিরমিয়ের প্রতি যা করেছে, তা দুষ্টতার কাজ। তারা তাঁকে কুয়োর মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সেখানে তিনি অনাহারে মারা যাবেন, যখন নগরে কোনো রুটি থাকবে না।”
فَأَمَرَ الْمَلِكُ عَبْدَمَلِكَ الإِثْيُوبِيَّ: «اصْطَحِبْ مَعَكَ مِنْ هُنَا ثَلاثِينَ رَجُلاً، وَاسْحَبْ إِرْمِيَا مِنَ الْجُبِّ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ». ١٠ 10
রাজা তখন কূশীয় এবদ-মেলককে আদেশ দিলেন, “এখান থেকে তোমার সঙ্গে ত্রিশজন লোককে নিয়ে যাও এবং ভাববাদী যিরমিয়কে, তাঁর মৃত্যুর পূর্বেই কুয়ো থেকে তুলে বের করো।”
فَاصْطَحَبَ عَبْدَ مَلِكُ الرِّجَالَ مَعَهَ، وَمَضَى إِلَى قَصْرِ الْمَلِكِ إِلَى قَبْوِ الْمُسْتَوْدَعِ، وَأَخَذَ مِنْ هُنَاكَ ثِيَاباً رَثَّةً، وَخِرَقاً بَالِيَةً، وَدَلّاهَا إِلَى إِرْمِيَا إِلَى الْجُبِّ بِحِبَالٍ، ١١ 11
তাই এবদ-মেলক সেই লোকদের সঙ্গে নিয়ে প্রাসাদের ভাণ্ডারগৃহের নিচে একটি কক্ষে গেলেন। তিনি সেখান থেকে কিছু পুরোনো ন্যাক্‌ড়া ও ছেঁড়া কাপড় নিলেন এবং দড়ির সাহায্যে সেগুলি কুয়োর মধ্যে যিরমিয়ের কাছে নামিয়ে দিলেন।
وَقَالَ لإِرْمِيَا: «ضَعِ الثِّيَابَ الرَّثَّةَ وَالْخِرَقَ الْبَالِيَةَ بَيْنَ إِبْطَيْكَ وَالْحِبَالِ». فَفَعَلَ إِرْمِيَا كَذَلِكَ. ١٢ 12
কূশীয় এবদ-মেলক যিরমিয়কে বললেন, “এসব পুরোনো ন্যাকড়া ও ছেঁড়া কাপড় আপনার বগলে দিন, তা দড়ির যন্ত্রণা থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।” যিরমিয় তাই করলেন,
فَسَحَبُوا إِرْمِيَا بِالْحِبَالِ وَأَخْرَجُوهُ مِنَ الْجُبِّ. وَمَكَثَ إِرْمِيَا فِي دَارِ الْحَرَسِ. ١٣ 13
আর তারা সেই দড়ির সাহায্যে যিরমিয়কে টেনে কুয়োর বাইরে তুলে আনলেন। যিরমিয় রক্ষীদের প্রাঙ্গণে থেকে গেলেন।
ثُمَّ بَعَثَ الْمَلِكُ صِدْقِيَّا وَاسْتَدْعَى إِلَيْهِ إِرْمِيَا النَّبِيَّ، وَاسْتَقْبَلَهُ فِي الْمَدْخَلِ الثَّالِثِ لِهَيْكَلِ الرَّبِّ. وَقَالَ الْمَلِكُ لإِرْمِيَا: «أَسَأَلُكَ عَنْ أَمْرٍ فَلا تَكْتُمْ عَنِّي شَيْئاً». ١٤ 14
তারপর রাজা সিদিকিয়, ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে লোক পাঠালেন এবং তাঁকে সদাপ্রভুর মন্দিরের তৃতীয় প্রবেশপথে ডেকে আনলেন। রাজা যিরমিয়কে বললেন, “আমি আপনার কাছে কিছু জিজ্ঞাসা করতে চাই। আমার কাছ থেকে কোনো কিছু লুকাবেন না।”
فَأَجَابَ إِرْمِيَا صِدْقِيَّا: «إِنْ أَنْبَأْتُكَ، أَلا تَقْتُلُنِي حَتْماً؟ وَإِنْ أَشَرْتُ عَلَيْكَ فَأَنْتَ لَا تَقْبَلُ مَشُورَتِي». ١٥ 15
যিরমিয় সিদিকিয়কে বললেন, “আমি যদি আপনাকে উত্তর দিই, আপনি কি আমাকে হত্যা করবেন না? আমি যদিও আপনাকে পরামর্শ দিই, আপনি আমার কথা শুনবেন না।”
فَحَلَفَ الْمَلِكُ صِدْقِيَّا لإِرْمِيَا سِرّاً قَائِلاً: «حَيٌّ هُوَ الرَّبُّ الَّذِي صَنَعَ لَنَا أَنْفُسَنَا، أَنِّي لَا أَقْتُلُكَ وَلا أُسَلِّمُكَ إِلَى يَدِ أَعْدَائِكَ طَالِبِي نَفْسِكَ». ١٦ 16
কিন্তু রাজা সিদিকিয় গোপনে যিরমিয়ের কাছে এই শপথ করলেন, “যিনি আমাদের শ্বাসবায়ু দিয়েছেন, সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমি আপনাকে হত্যা করব না বা যারা আপনার প্রাণনাশ করতে চায়, তাদের হাতেও আপনাকে সমর্পণ করব না।”
عِنْدَئِذٍ قَالَ إِرْمِيَا لِصِدْقِيَّا: «هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: إِنِ اسْتَسْلَمْتَ إِلَى قُوَّادِ مَلِكِ بَابِلَ تَنْجُو بِنَفْسِكَ مِنَ الْمَوْتِ، وَلا تُحْرَقُ هَذِهِ الْمَدِينَةُ بِالنَّارِ بَلْ تَحْيَا أَنْتَ وَأَهْلُ بَيْتِكَ. ١٧ 17
তখন যিরমিয় সিদিকিয়কে বললেন, “বাহিনীগণের ঈশ্বর সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘তুমি যদি ব্যাবিলনের রাজার কর্মাধ্যক্ষদের কাছে আত্মসমর্পণ করো, তোমার জীবন রক্ষা পাবে ও এই নগর অগ্নিদগ্ধ হবে না; তুমি ও তোমার পরিবার বেঁচে থাকবে।
وَلَكِنْ إِنْ لَمْ تَسْتَسْلِمْ لِقُوَّادِ مَلِكِ بَابِلَ فَإِنَّ هَذِهِ الْمَدِينَةَ تَقَعُ فِي قَبْضَةِ الْكَلْدَانِيِّينَ، فَيُحْرِقُونَهَا بِالنَّارِ، وَأَنْتَ لَا تُفْلِتُ مِنْ أَيْدِيهِمْ». ١٨ 18
কিন্তু যদি তুমি ব্যাবিলনের রাজার কর্মাধ্যক্ষদের কাছে আত্মসমর্পণ না করো, এই নগর ব্যাবিলনীয়দের হাতে সমর্পিত হবে ও তারা এই নগর আগুনে পুড়িয়ে দেবে। আপনি নিজেও তাদের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন না।’”
فَأَجَابَ الْمَلِكُ: «أَخْشَى أَنْ أَقَعَ فِي يَدِ الْيَهُودِ الَّذِينَ لَجَأُوا إِلَى الْكَلْدَانِيِّينَ فَيَسْخَرُوا مِنِّي». ١٩ 19
রাজা সিদিকিয় যিরমিয়কে বললেন, “আমি সেই ইহুদিদের ভয় পাই, যারা ব্যাবিলনীয়দের পক্ষে যোগ দিয়েছে, কারণ ব্যাবিলনীয়েরা হয়তো আমাকে তাদের হাতে সমর্পণ করবে ও তারা আমার প্রতি দুর্ব্যবহার করবে।”
فَقَالَ إِرْمِيَا: «إِنَّكَ لَنْ تُسَلَّمَ إِلَيْهِمْ. اسْمَعْ لِصَوْتِ الرَّبِّ فِي كُلِّ مَا أَقُولُهُ لَكَ، فَتَنْعَمَ بِالْخَيْرِ وَتَنْجُوَ نَفْسُكَ. ٢٠ 20
উত্তরে যিরমিয় বললেন, “তারা আপনাকে সমর্পণ করবে না। আমি আপনাকে যা বলি, তা পালন করে আপনি সদাপ্রভুর আদেশ মান্য করুন। তাহলে আপনার মঙ্গল হবে ও আপনার প্রাণরক্ষা পাবে।
لَكِنْ إِنْ أَبَيْتَ الاسْتِسْلامَ، فَإِلَيْكَ الرُّؤْيَا الَّتِي أَعْلَنَهَا لِيَ الرَّبُّ: ٢١ 21
কিন্তু যদি আপনি আত্মসমর্পণ করা অগ্রাহ্য করেন, তাহলে শুনুন, সদাপ্রভু আমার কাছে কী প্রকাশ করেছেন:
هَا جَمِيعُ النِّسَاءِ اللَّوَاتِي مَابَرِحْنَ فِي قَصْرِ مَلِكِ يَهُوذَا يُؤْسَرْنَ وَيُحْمَلْنَ إِلَى قُوَّادِ مَلِكِ بَابِلَ، وَهُنَّ قَائِلاتٍ: قَدْ خَدَعَكَ أَصْدِقَاؤُكَ مَوْضِعُ ثِقَتِكَ وَتَغَلَّبُوا عَلَى رَأْيِكَ. وَحَالَمَا غَرِقَتْ رِجْلاكَ فِي الْحَمْأَةِ تَخَلَّوْا عَنْكَ. ٢٢ 22
যিহূদার রাজার প্রাসাদে অবশিষ্ট যে সমস্ত স্ত্রীলোক আছে, তাদের ব্যাবিলনের রাজার কর্মকর্তাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই স্ত্রীলোকেরা আপনার সম্বন্ধে বলবে, “‘তোমার নির্ভরযোগ্য সব বন্ধু, তোমাকে বিপথে চালিত করে পরাস্ত করেছে, তোমার পা কাদায় নিমজ্জিত হয়েছে; তোমার বন্ধুরা তোমাকে ত্যাগ করেছে।’
وَتُحْمَلُ جَمِيعُ نِسَائِكَ وَأَبْنَائِكَ إِلَى الْكَلْدَانِيِّينَ، وَأَنْتَ لَا تُفْلِتُ مِنْ أَيْدِيهِمْ، بَلْ يَأْسِرُكَ مَلِكُ بَابِلَ، وَتُحْرَقُ هَذِهِ الْمَدِينَةُ بِالنَّارِ». ٢٣ 23
“তোমার সব স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের ব্যাবিলনীয়দের কাছে নিয়ে আসা হবে। তুমি নিজেও তাদের হাত থেকে রক্ষা পাবে না, কিন্তু ব্যাবিলনের রাজার হাতে ধৃত হবে; আর এই নগরকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হবে।”
فَقَالَ صِدْقِيَّا لإِرْمِيَا: «اكْتُمْ هَذَا الْحَدِيثَ فَلا يَعْلَمُ بِهِ أَحَدٌ لِئَلَّا تَمُوتَ. ٢٤ 24
তারপর সিদিকিয় যিরমিয়কে বললেন, “আমাদের এই বার্তালাপের কথা কেউ যেন জানতে না পারে, তা না হলে আপনার মৃত্যু হবে।
فَإِذَا سَمِعَ الرُّؤَسَاءُ أَنِّي تَحَدَّثْتُ إِلَيْكَ وَسَأَلُوكَ: بِمَاذَا خَاطَبْتَ الْمَلِكَ، وَمَاذَا قَالَ الْمَلِكُ؟ لَا تَكْتُمْ عَنَّا شَيْئاً، وَنَحْنُ لَنْ نَقْتُلَكَ. ٢٥ 25
যদি কর্মচারীরা শোনে যে, আমি আপনার সঙ্গে কথা বলেছি, আর তারা আপনার কাছে এসে বলে, ‘আমাদের বলুন, আপনি রাজাকে কী বলেছেন এবং রাজা আপনাকে কী বলেছেন; কোনো কথা আমাদের কাছে গোপন করবেন না, নইলে আমরা আপনাকে হত্যা করব,’
فَأَجِبْهُمْ: إِنِّي تَوَسَّلْتُ إِلَى الْمَلِكِ أَنْ لَا يَرُدَّنِي إِلَى بَيْتِ يُونَاثَانَ لأَمُوتَ هُنَاكَ». ٢٦ 26
তাহলে তাদের বলবেন, ‘আমি রাজার কাছে মিনতি করছিলাম, তিনি যেন আমাকে পুনরায় যোনাথনের গৃহে মরবার জন্য না পাঠান।’”
فَأَقْبَلَ كُلُّ الرُّؤَسَاءِ إِلَى إِرْمِيَا وَاسْتَجْوَبُوهُ، فَأَخْبَرَهُمْ بِمُقْتَضَى مَا أَوْصَاهُ بِهِ الْمَلِكُ مِنْ كَلامٍ. فَكَفُّوا عَنْهُ لأَنَّ الْحَدِيثَ الَّذِي دَارَ بَيْنَهُمَا لَمْ يَشِعْ. ٢٧ 27
সমস্ত কর্মচারী যিরমিয়ের কাছে এল ও তাঁকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করল। রাজা যিরমিয়কে যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, তিনি তাদের সে সমস্তই বললেন। তাই তারা তাঁকে আর কিছু বলল না, কারণ রাজার সঙ্গে তাঁর কথোপকথন আর কেউই শুনতে পায়নি।
فَأَقَامَ إِرْمِيَا فِي دَارِ الْحَرَسِ إِلَى الْيَوْمِ الَّذِي سَقَطَتْ فِيهِ أُورُشَلِيمُ. ٢٨ 28
আর জেরুশালেম অধিকৃত না হওয়া পর্যন্ত যিরমিয় রক্ষীদের প্রাঙ্গণে থেকে গেলেন। এভাবেই জেরুশালেমকে অধিকার করা হয়।

< إرْمِيا 38 >