< إرْمِيا 15 >
ثُمَّ قَالَ لِيَ الرَّبُّ: «وحَتَّى لَوْ مَثَلَ مُوسَى وَصَمُوئِيلُ أَمَامِي، مِنْ أَجْلِ الشَّعْبِ فَإِنَّ قَلْبِي لَنْ يَلْتَفِتَ إِلَى هَذَا الشَّعْبِ. اطْرَحْهُمْ مِنْ مَحْضَرِي فَيَخْرُجُوا. | ١ 1 |
১তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এমনকি মোশি ও শমূয়েলও যদি আমার সামনে এসে দাঁড়াত, তবুও আমি এই লোকদের প্রতি দয়া দেখাতাম না। আমার সামনে থেকে তাদের বিদায় কর; তারা চলে যাক।
وَعِنْدَمَا يَسْأَلُونَكَ: إِلَى أَيْنَ نَذْهَبُ؟ أَجِبْهُمْ: هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ: مَنْ هُوَ لِلْوَبَأِ فَبِالْوَبَأِ يَمُوتُ، وَمَنْ هُوَ لِلسَّيْفِ فَبِالسَّيْفِ يُقْتَلُ، وَمَنْ هُوَ لِلْمَجَاعَةِ فَبِالْمَجَاعَةِ يَفْنَى، وَمَنْ هُوَ لِلسَّبْيِ فَإِلَى السَّبْيِ يَذْهَبُ. | ٢ 2 |
২এটা ঘটবে যে, তারা তোমাকে বলবে, ‘আমরা কোথায় যাব?’ তখন তুমি তাদের অবশ্যই বলবে, ‘সদাপ্রভু এই কথা বলেন, মৃত্যুর জন্য যারা নির্দিষ্ট হয়ে আছে, মৃত্যুর স্থানে যাক; তরোয়ালের জন্য যারা নির্দিষ্ট হয়ে আছে, তরোয়ালের কাছে যাক; দূর্ভিক্ষের জন্য যারা নির্দিষ্ট হয়ে আছে, দূর্ভিক্ষের স্থানে যাক এবং বন্দীদশার জন্য যারা নির্দিষ্ট হয়ে আছে, বন্দীদশায় যাক।’
وَأَعْهَدُ بِهِمْ إِلَى أَرْبَعَةِ أَصْنَافٍ مِنَ الْخَرَابِ يَقُولُ الرَّبُّ: السَّيْفِ لِلذَّبْحِ، وَالْكِلابِ لِلتَّمْزِيقِ، وَطُيُورِ السَّمَاءِ وَوُحُوشِ الأَرْضِ لِلاِفْتِرَاسِ وَالإِهْلاكِ. | ٣ 3 |
৩এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘কারণ আমি তাদের উপরে চারটি দল নিযুক্ত করব; হত্যা করার জন্য তরোয়াল, টেনে নিয়ে যাবার জন্য কুকুরদের, গিলে ফেলার জন্য ও ধ্বংস করার জন্য আকাশের পাখী ও ভূমির পশুদের।
وَأَجْعَلُهُمْ مَثَارَ رُعْبِ أُمَمِ الأَرْضِ نَتِيجَةً لِمَا ارْتَكَبَهُ مَنَسَّى بْنُ حَزَقِيَّا فِي أُورُشَلِيمُ. | ٤ 4 |
৪আমি পৃথিবীর সব রাজ্যের কাছে তাদের আতঙ্কিত করে তুলব, যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের ছেলে মনঃশি, যিরূশালেমে যা করেছে তার জন্য।’
فَمَنْ يَعْطِفُ عَلَيْكِ يَا أُورُشَلِيمُ، وَمَنْ يَرْثِي لَكِ؟ مَنْ يَتَوَقَّفُ لِيَسْأَلَ عَنْ سَلامَتِكِ؟ | ٥ 5 |
৫যিরূশালেম! কে তোমার উপর দয়া করবে? কে তোমার জন্য শোক করবে? কে তোমার খবর জিজ্ঞাসা করতে আসবে?
قَدْ رَفَضْتِنِي» يَقُولُ الرَّبُّ، «وَوَاظَبْتِ عَلَى الارْتِدَادِ، لِذَلِكَ مَدَدْتُ يَدِي ضِدَّكِ وَدَمَّرْتُكِ، إِذْ سَئِمْتُ مِنْ كَثْرَةِ الصَّفْحِ عَنْكِ. | ٦ 6 |
৬সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তুমি আমাকে ত্যাগ করেছ, তুমি আমার কাছ থেকে ফিরে গেছ। সেইজন্য আমি তোমাকে নিজের হাতে আঘাত করব এবং তোমাকে ধ্বংস করব। আমি তোমার উপরে দয়া করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পরেছি।
وَأُذَرِّيهِمْ بِالْمِذْرَاةِ فِي أَبْوَابِ مُدُنِ الأَرْضِ؛ وَأُثْكِلُ وَأُهْلِكُ شَعْبِي لأَنَّهُمْ لَمْ يَرْجِعُوا عَنْ طُرُقِهِمِ الأَثِيمَةِ. | ٧ 7 |
৭তাই দেশের ফটকের কাছে আমি কুলোয় করে তাদের ঝেড়ে ফেলব। আমি তাদের ছিন্নভিন্ন করব। আমি আমার প্রজাদের ধ্বংস করব যদি তারা তাদের পথ থেকে না ফেরে।
وَأَجْعَلُ عَدَدَ أَرَامِلِهِمْ أَكْثَرَ مِنْ عَدَدِ رَمْلِ الْبَحْرِ، وَأَجْلِبُ فِي الظَّهِيرَةِ مُهْلِكاً عَلَى أُمَّهَاتِ الشُّبَّانِ، وَأُوْقِعُ عَلَيْهِمِ الرُّعْبَ وَالْهَوْلَ بَغْتَةً. | ٨ 8 |
৮আমি তাদের বিধবাদের সংখ্যা সমুদ্রের তীরের বালির থেকে বেশী করব। যুবকের মায়েদের বিরুদ্ধে আমি দুপুরবেলা ধ্বংসকারীকে পাঠাব। আমি তাদের উপর হঠাৎ আঘাত ও ভয় নিয়ে আসব।
ذَبُلَتْ وَالِدَةُ السَّبْعَةِ الأَبْنَاءِ. أَسْلَمَتْ رُوحَهَا وَغَرَبَتْ شَمْسُ حَيَاتِهَا وَالنَّهَارُ لَمْ يَغِبْ بَعْدُ. لَحِقَ بِها الْخِزْيُ وَالْعَارُ. أَمَّا بَقِيَّتُهُمْ فَأَدْفَعُهُمْ إِلَى حَدِّ السَّيْفِ أَمَامَ أَعْدَائِهِمْ»، يَقُولُ الرَّبُّ. | ٩ 9 |
৯সেই মা যে সাত সন্তানের জন্ম দিয়েছে, দুর্বল হবে। সে হাঁপাবে। দিনের র বেলাতেই তার সূর্য্য ডুবে যাবে। সে লজ্জিত ও বিভ্রান্ত হবে, কারণ আমি তাদের যারা অবশিষ্ট আছে, তাদের শত্রুদের তরোয়ালের সামনে দেব,’ সদাপ্রভু এই কথা বলেন।”
وَيْلٌ لِي يَا أُمِّي لأَنَّكِ أَنْجَبْتِنِي لأَكُونَ إِنْسَانَ خِصَامٍ وَرَجُلَ نِزَاعٍ لِكُلِّ الأَرْضِ. لَمْ أَقْرِضْ وَلَمْ أَقْتَرِضْ. وَمَعَ ذَلِكَ كُلُّ وَاحِدٍ يَلْعَنُنِي. | ١٠ 10 |
১০মা আমার, ধিক আমাকে! তুমি আমাকে জন্ম দিয়েছ; আমি, যার সঙ্গে সমস্ত দেশ বিবাদ ও বিতর্ক করে। আমি ধার নেয়নি, আর নেই যে কেউ আমাকে ধার দিয়েছে, কিন্তু তারা সবাই আমাকে অভিশাপ দেয়।
دَعْهُمْ يَشْتِمُونَ يَا رَبُّ. أَلَمْ أَتَضَرَّعْ إِلَيْكَ مِنْ أَجْلِ خَيْرِهِمْ؟ إِنِّي أَبْتَهِلُ إِلَيْكَ الآنَ مِنْ أَجْلِ أَعْدَائِي فِي وَقْتِ الضِّيقِ وَالْمِحْنَةِ. | ١١ 11 |
১১সদাপ্রভু বললেন, “আমি কি মঙ্গলের জন্য তোমাকে উদ্ধার করব না? আমি অবশ্যই বিপদ ও দুর্দশার দিনের তোমার শত্রুদেরকে সাহায্যের জন্য মিনতি করব।
«أَيُمْكِنُ لِلْمَرْءِ أَنْ يَكْسِرَ حَدِيداً وَنُحَاساً مِنَ الشِّمَالِ؟ | ١٢ 12 |
১২লোহাকে কি কেউ সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে পারে? বিশেষ করে উত্তরের ব্রোঞ্জ মেশানো লোহা?
سَأَجْعَلُ ثَرْوَتَكَ وَكُنُوزَكَ نَهْباً بِلا ثَمَنٍ بِسَبَبِ كُلِّ خَطَايَاكَ فِي جَمِيعِ أَرْضِكَ. | ١٣ 13 |
১৩আমি লুটের মাল হিসাবে তোমার সম্পত্তি ও ধনদৌলত তোমার শত্রুদের দিয়ে দেব। এটা হবে তোমার সমস্ত সীমানার সাথে করা তোমার সমস্ত পাপের মূল্য।
وَأُصَيِّرُكَ عَبْداً لأَعْدَائِكَ فِي أَرْضٍ لَا تَعْرِفُهَا، لأَنَّ نَاراً قَدِ اضْطَرَمَتْ فِي احْتِدَامِ غَضَبِي، سَوْفَ تُحْرِقُكُمْ». | ١٤ 14 |
১৪তখন আমি তোমার শত্রুদের দিয়ে তোমায় এমন দেশে নিয়ে যাব, যা তোমার অজানা, কারণ আমার রোষের আগুন তোমার উপর জ্বলতে থাকবে।”
يَا رَبُّ، أَنْتَ عَرَفْتَ. اذْكُرْنِي وَارْعَنِي وَانْتَقِمْ لِي مِنْ مُضْطَهِدِيَّ. لَا تَتَمَهَّلْ طَوِيلاً فِي الانْتِقَامِ لِي، فَأَنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي مِنْ أَجْلِكَ احْتَمَلْتُ التَّعْيِيرَ. | ١٥ 15 |
১৫তুমি নিজেই জানো, সদাপ্রভু! আমাকে স্মরণ কর ও আমাকে সাহায্য কর। আমার জন্য আমার অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নাও। তোমার সহনশীলতায় আমাকে দূরে সরিয়ে রেখ না। আমি তোমার জন্য ভর্ত্সনা স্বীকার করি।
حَالَمَا بَلَغَتْنِي كَلِمَاتُكَ أَكَلْتُهَا فَأَصْبَحَتْ لِي بَهْجَةً وَمَسَرَّةً لِقَلْبِي، لأَنِّي دُعِيتُ بِاسْمِكَ أَيُّهَا الرَّبُّ الإِلَهُ الْقَدِيرُ. | ١٦ 16 |
১৬তোমার বাক্য খুঁজে পেলাম এবং আমি তাদের ভোজন করলাম। তোমার বাক্য ছিল আমার আনন্দ, আমার অন্তরের আনন্দ, কারণ বাহিনীগনের ঈশ্বর সদাপ্রভু, কারণ আমার উপর তোমার নাম ঘোষিত হয়।
لَمْ أَجْلِسْ فِي مَجَالِسِ الْعَابِثِينَ، وَلَمْ أَشْتَرِكْ فِي لَهْوِهِمْ. اعْتَزَلْتُ وَحْدِي لأَنَّ يَدَكَ كَانَتْ عَلَيَّ، وَقَدْ مَلأْتَنِي سُخْطاً. | ١٧ 17 |
১৭আমি তাদের সভাতে বসতাম না, যারা উল্লাস ও ফুর্তি করে। তোমার শক্তিশালী হাতের জন্য আমি একা বসে থাকতাম, কারণ তুমি আমাকে ধিক্কারে পরিপূর্ণ করেছ।
لِمَاذَا لَا يَنْقَطِعُ أَلَمِي، وَجُرْحِي لَا يُشْفَى، وَيَأْبَى الالْتِئَامَ؟ أَتَكُونُ لِي كَجَدْوَلٍ كَاذِبٍ أَوْ مِيَاهٍ سَرِيعَةِ النُّضُوبِ؟ | ١٨ 18 |
১৮কেন আমার ব্যথার স্থায়ী এবং আমার ক্ষত দুরারোগ্য, সুস্থ হতে অস্বীকার করে? তুমি কি আমার কাছে মিথ্যা জলের মত, জল যা শুকিয়ে যায়?
لِذَلِكَ، هَكَذَا قَالَ الرَّبُّ: «إِنْ رَجَعْتَ أَسْتَرِدَّكَ فَتَمْثُلَ أَمَامِي. إِنْ نَطَقْتَ بِالْقَوْلِ السَّدِيدِ وَنَبَذْتَ الْكَلامَ الْغَثَّ، أَجْعَلْكَ الْمُتَحَدِّثَ بِفَمِي، فَيُقْبِلُونَ إِلَيْكَ مُسْتَرْشِدِينَ، وَأَنْتَ لَا تَلْجَأُ إِلَيْهِمْ طَالِباً نَصِيحَةً. | ١٩ 19 |
১৯অতএব সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যিরমিয়, যদি তুমি অনুতাপ কর, তাহলে আমি তোমাকে পুনরুদ্ধার করব এবং তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমার সেবা করবে। কারণ যদি তুমি বাজে জিনিসকে দামী জিনিস থেকে আলাদা কর, তুমি আমার মুখের মত হবে। এই লোকেরা তোমার দিকে ফিরে আসবে, কিন্তু তুমি নিজে তাদের কাছে ফিরে যাবে না।
وَأَجْعَلُكَ سُوراً نُحَاسِيًّا مَنِيعاً لِهَذَا الشَّعْبِ، فَيُحَارِبُونَكَ وَلَكِنَّهُمْ يُخْفِقُونَ، لأَنِّي أَنَا مَعَكَ لأُنْقِذَكَ وَأُخَلِّصَكَ. | ٢٠ 20 |
২০আমি তোমাকে এই লোকেদের কাছে পিতলের শক্তিশালী একটি দেয়ালের মত করব এবং তারা তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। কিন্তু তোমাকে হারাতে পারবে না, কারণ আমি তোমাকে রক্ষা করব ও উদ্ধার করব, সদাপ্রভু বলেন।
أُنْقِذُكَ مِنْ قَبْضَةِ الأَشْرَارِ، وَأَفْدِيكَ مِنْ أَكُفِّ الْعُتَاةِ». | ٢١ 21 |
২১আমি তোমাকে দুষ্টদের হাত থেকে উদ্ধার করব এবং অত্যাচারীদের হাত থেকে মুক্ত করব।”