< إرْمِيا 12 >
أَنْتَ دَائِماً عَادِلٌ حِينَ أَعْرِضُ عَلَيْكَ دَعْوَايَ، وَلَكِنْ دَعْنِي أُحَدِّثُكَ بِشَأْنِ أَحْكَامِكَ: لِمَاذَا تُفْلِحُ طَرِيقُ الأَشْرَارِ؟ وَلِمَاذَا يَتَمَتَّعُ الْغَادِرُونَ بِالْعَيْشِ الرَّغِيدِ؟ | ١ 1 |
হে সদাপ্রভু, আমি যখন তোমার সামনে কোনো অভিযোগ নিয়ে আসি, তুমি সবসময়ই নির্দোষ প্রতিপন্ন হও। তবুও আমি তোমার ন্যায়বিচার সম্পর্কে কথা বলতে চাই: দুষ্ট লোকদের পথ কেন সমৃদ্ধ হয়? বিশ্বাসহীন সব লোক কেন স্বচ্ছন্দে জীবনযাপন করে?
أَنْتَ غَرَسْتَهُمْ فَتَأَصَّلُوا وَنَمَوْا وَأَثْمَرُوا. اسْمُكَ يَتَرَدَّدُ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ، وَلَكِنَّهُ بَعِيدٌ عَنْ قُلُوبِهِمْ. | ٢ 2 |
তুমি তাদের রোপণ করেছ, তাদের শিকড় ধরেছ, তারা বৃদ্ধি পেয়ে ফল উৎপন্ন করে। তুমি সবসময় তাদের ওষ্ঠাধরে থাকো, কিন্তু তাদের অন্তর তোমার থেকে অনেক দূরে থাকে।
أَنْتَ قَدْ عَرَفْتَنِي وَرَأَيْتَنِي وَامْتَحَنْتَ قَلْبِي مِنْ نَحْوِكَ. افْرِزْهُمْ كَغَنَمٍ لِلذَّبْحِ وَاعْزِلْهُمْ لِيَوْمِ النَّحْرِ. | ٣ 3 |
তবুও, হে সদাপ্রভু, তুমি তো আমাকে জানো; তুমি আমাকে দেখে থাকো এবং তোমার সম্পর্কে আমার চিন্তাধারা পরীক্ষা করে থাকো। মেষের মতো নিহত হওয়ার জন্য তুমি ওদের টেনে নাও! হত্যার দিনের জন্য তুমি তাদের পৃথক করে রাখো!
إِلَى مَتَى تَظَلُّ الأَرْضُ نَائِحَةً وَعُشْبُ كُلِّ حَقْلٍ ذَاوِياً؟ هَلَكَتِ الْبَهَائِمُ والطُّيُورُ مِنْ شَرِّ السَّاكِنِينَ فِيهَا الْقَائِلِينَ: «إِنَّهُ لَنْ يَرَى خَاتِمَةَ مَصِيرِنَا». | ٤ 4 |
এই দেশ কত দিন শোক করবে এবং মাঠের প্রতিটি তৃণ শুকনো হবে? কারণ এই দেশে বসবাসকারীরা দুষ্ট, পশুরা ও সব পাখি ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া, লোকেরা বলছে, “আমাদের প্রতি কী ঘটছে, তা তিনি দেখবেন না।”
«إِنْ كُنْتَ قَدْ بَارَيْتَ الْمُشَاةَ فَأَعْيَوْكَ، فَكَيْفَ إِذاً تُبَارِي الْخَيْلَ؟ وَإِنْ كُنْتَ تَتَعَثَّرُ فِي أَرْضٍ مُطْمَئِنَّةٍ، فَكَيْفَ تَفْعَلُ فِي أَجَمَاتِ نَهْرِ الأُرْدُنِّ؟ | ٥ 5 |
“যদি তুমি মানুষের সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নাও, আর তারা তোমাকে ক্লান্ত করে দেয়, তাহলে অশ্বদের সঙ্গে তুমি কীভাবে দৌড়াতে পারবে? তুমি যদি নিরাপদ ভূমিতে হোঁচট খাও, তাহলে জর্ডন নদীর তীরে, জঙ্গলে কী করবে?
حَتَّى إِخْوَتُكَ وَأَفْرَادُ أُسْرَتِكَ قَدْ تَنَكَّرُوا لَكَ، وَدَعَوْا عَلَيْكَ وَرَاءَكَ بِمِلْءِ أَفْوَاهِهِمْ. لَا تَأْتَمِنْهُمْ، وَإِنْ خَاطَبُوكَ بِأَلْفَاظٍ مَعْسُولَةٍ. | ٦ 6 |
তোমার ভাইয়েরা, তোমার নিজের পরিবার, এমনকি, তারাও তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে; তারা তোমার বিরুদ্ধে এক তীব্র শোরগোল তুলেছে। তুমি তাদের বিশ্বাস কোরো না, যদিও তারা তোমার সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলে।
قَدْ نَبَذْتُ هَيْكَلِي وَهَجَرْتُ مِيرَاثِي، وَسَلَّمْتُ حَبِيبَةَ نَفْسِي إِلَى أَيْدِي أَعْدَائِهَا. | ٧ 7 |
“আমি আমার গৃহ ত্যাগ করব, আমার উত্তরাধিকার ছেড়ে চলে যাব; আমার ভালোবাসার পাত্রীকে আমি শত্রুদের হাতে তুলে দেব।
قَدْ زَمْجَرَ عَلَيَّ شَعْبِي كَأَسَدٍ فِي غَابَةٍ. رَفَعَ عَلَيَّ صَوْتَهُ، لِهَذَا مَقَتُّهُ. | ٨ 8 |
আমার উত্তরাধিকার আমার কাছে জঙ্গলের এক সিংহের মতো হয়েছে। সে আমার প্রতি গর্জন করে; সেই কারণে, আমি তাকে ঘৃণা করি।
هَلْ صَارَ شَعْبِي لِي كَطَيْرٍ جَارِحٍ مُنْقَضٍّ؟ وَهَلْ تَجَمَّعَتْ عَلَيْهِ الْجَوَارِحُ مِنْ كُلِّ جِهَةٍ؟ هَلُمَّ احْشِدْ جَمِيعَ وُحُوشِ الْبَرِّ، وَادْعُهَا لِلأَكْلِ. | ٩ 9 |
আমার উত্তরাধিকার কি আমার কাছে এক বিচিত্র রংয়ের শিকারি পাখির মতো হয়নি যেন অন্যান্য শিকারি পাখিরা এসে তার চারপাশে জড়ো হয় ও আক্রমণ করে? যাও, গিয়ে সব বন্যপশুকে একত্র করো; গ্রাস করার জন্য তাদের নিয়ে এসো।
قَدْ أَتْلَفَ رُعَاةٌ كَثِيرُونَ كَرْمِي، وَدَاسُوا نَصِيبِي الشَّهِيَّ وَجَعَلُوهُ بَرِّيَّةً جَرْدَاءَ. | ١٠ 10 |
বহু পালরক্ষক আমার দ্রাক্ষাকুঞ্জকে ধ্বংস করবে, তারা আমার মাঠ পদদলিত করবে; তারা আমার মনোরম ক্ষেত্রকে জনশূন্য পরিত্যক্ত স্থানে পরিণত করবে।
جَعَلُوهُ خَرَاباً، وَفِي خَرَابِهِ يَنُوحُ عَلَيَّ. أَصْبَحَتِ الأَرْضُ كُلُّهَا قَفْراً، لأَنَّهُ لَا يُوْجَدُ إِنْسَانٌ وَاحِدٌ يَحْفِلُ بِها. | ١١ 11 |
এ হবে এক পরিত্যক্ত স্থান, আমার চোখের সামনে হবে শুকনো ও নির্জন; সমস্ত দেশই পড়ে থাকবে পরিত্যক্ত হয়ে, কারণ তা তত্ত্বাবধান করার জন্য কেউই নেই।
قَدْ أَقْبَلَ الْمُدَمِّرُونَ وَانْتَشَرُوا عَلَى جَمِيعِ الْمُرْتَفَعَاتِ فِي الْبَرِّيَّةِ، لأَنَّ سَيْفَ الرَّبِّ يَلْتَهِمُ مِنْ أَقْصَى الأَرْضِ إِلَى أَقْصَاهَا، فَلا يَنْعَمُ أَحَدٌ مِنَ الْبَشَرِ بِالسَّلامِ. | ١٢ 12 |
মরুপ্রান্তরে বৃক্ষহীন উঁচু ভুমিগুলির উপরে, ধ্বংসকারী সৈন্যেরা গিজগিজ করবে, কারণ দেশে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত সদাপ্রভুর তরোয়াল সবাইকে গ্রাস করবে; নিরাপদ কেউই থাকবে না।
زَرَعَ شَعْبِي حِنْطَةً وَحَصَدَ شَوْكاً. أَعْيَوْا أَنْفُسَهُمْ وَلَكِنْ مِنْ غَيْرِ جَدْوَى، لِذَلِكَ يَعْتَرِيهِمِ الْخِزْيُ مِنْ قِلَّةِ غَلّاتِ مَحْصُولِهِمْ لِفَرْطِ احْتِدَامِ غَضَبِ الرَّبِّ». | ١٣ 13 |
তারা গম রোপণ করবে কিন্তু কাটবে কাঁটাগাছ, তারা কঠোর পরিশ্রম করবে কিন্তু লাভ হবে না কিছুই। তাই, সদাপ্রভুর প্রচণ্ড ক্রোধের কারণে তোমাদের ফসল কাটার লজ্জা বহন করো।”
وَهَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ عَنْ جَمِيعِ جِيرَانِي الأَشْرَارِ الَّذِينَ يَمَسُّونَ الْمِيرَاثَ الَّذِي وَرَّثْتُهُ لِشَعْبِي إِسْرَائِيلَ: «هَا أَنَا أَقْتَلِعُهُمْ مِنْ أَرْضِهِمْ كَمَا أَقْتَلِعُ أَيْضاً شَعْبَ يَهُوذَا مِنْ وَسَطِهِمْ. | ١٤ 14 |
সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “আমার প্রজা ইস্রায়েলকে আমি অধিকাররূপে যে দেশ দিয়েছি, আমার দুষ্ট প্রতিবেশীরা তা অবরুদ্ধ করেছে। তাদের ভূমি থেকে আমি সেই শত্রুদের উৎখাত করব এবং তার মধ্য থেকে যিহূদা কুলের লোকদেরও আমি উৎপাটন করব।
وَلَكِنْ بَعْدَ أَنْ أَسْتَأْصِلَهُمْ، أَتَرأَّفُ عَلَيْهِمْ، وَأُعِيدُهُمْ كُلَّ وَاحِدٍ إِلَى مِيرَاثِهِ وَإِلَى أَرْضِهِ. | ١٥ 15 |
কিন্তু উৎপাটন করার পর, আমি ফিরে তাদের প্রতি মমতা করব, আর তাদের প্রত্যেকজনকে তাদের স্বদেশে, নিজস্ব অধিকারে ফিরিয়ে আনব।
فَإِنْ تَلَقَّنَتِ الأُمَمُ طُرُقَ شَعْبِي بِاسْمِي، قَائِلِينَ:’حَيٌّ هُوَ الرَّبُّ‘، كَمَا عَلَّمُوا شَعْبِي أَنْ يَحْلِفُوا بِالْبَعْلِ، فَإِنَّهُمْ يَنْمُونَ وَسَطَ شَعْبِي. | ١٦ 16 |
তারা যদি ভালোভাবে আমার প্রজাদের জীবনাচরণ শেখে এবং আমার নামে এই কথা বলে শপথ করে, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি,’ যেভাবে একদিন তারা বায়াল-দেবতার নামে আমার প্রজাদের শপথ করতে শিখিয়েছিল, তাহলে তখন তারা আমার প্রজাদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হবে।
وَلَكِنْ إِنْ رَفَضَتْ أَيَّةُ أُمَّةٍ الاسْتِمَاعَ، فَإِنِّي أَسْتَأْصِلُهَا وَأَقْتَلِعُهَا وَأُدَمِّرُهَا»، يَقُولُ الرَّبُّ. | ١٧ 17 |
কিন্তু কোনো জাতি যদি তা না শেখে, আমি তাদের সম্পূর্ণরূপে উৎপাটন করে তাদের ধ্বংস করব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।