< إرْمِيا 10 >

أَنْصِتُوا إِلَى الْقَضَاءِ الَّذِي تَكَلَّمَ بِهِ الرَّبُّ عَلَيْكُمْ يَا ذُرِّيَّةَ إِسْرَائِيلَ. ١ 1
ওহে ইস্রায়েল কুলের লোকেরা, শোনো সদাপ্রভু তোমাদের কী কথা বলেন।
هَكَذَا قَالَ الرَّبُّ: «لا تَتَعَلَّمُوا طَرِيقَ الأُمَمِ، وَلا تَرْتَعِبُوا مِنْ آيَاتِ السَّمَاءِ الَّتِي تَرْتَعِبُ مِنْهَا الشُّعُوبُ. ٢ 2
সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “তোমরা জাতিগণের আচার-আচরণ শিখো না, কিংবা আকাশের বিভিন্ন চিহ্ন দেখে ভয় পেয়ো না, যদিও জাতিগুলি সেগুলির জন্য আতঙ্কগ্রস্ত হয়।
لأَنَّ عَادَاتِ الأُمَمِ بَاطِلَةٌ، إِذْ تُقْطَعُ الشَّجَرَةُ مِنَ الْغَابَةِ ثُمَّ تُشَذِّبُهَا وَتَنْحَتُهَا يَدَا صَانِعٍ بِفَأْسٍ. ٣ 3
কারণ সেই লোকদের ধর্মীয় প্রথা সব অসার; তারা বন থেকে একটি গাছ কেটে আনে, কারুশিল্পী তার বাটালি দিয়ে তাতে আকৃতি দেয়।
ثُمَّ يُزَيِّنُونَهَا بِالْفِضَّةِ وَالذَّهَبِ وَتُثَبَّتُ بِالْمَسَامِيرِ وَالْمَطَارِقِ لِئَلَّا تَتَحَرَّكَ. ٤ 4
তারা সোনা ও রুপো দিয়ে তা অলংকৃত করে, হাতুড়ি ও পেরেক দিয়ে তারা সুদৃঢ় করে, যেন তা নড়ে না যায়।
فَتَكُونُ كَفَزَّاعَةٍ فِي حَقْلِ قِثَّاءٍ لَا تَنْطِقُ، بَلْ تُحْمَلُ لأَنَّهَا عَاجِزَةٌ عَنِ الْمَشْيِ. فَلا تَخَافُوهَا لأَنَّهَا لَا تَضُرُّ وَلا تَنْفَعُ». ٥ 5
কোনো শসা ক্ষেতে যেমন কাকতাড়ুয়া, তাদের মূর্তিগুলিও তেমনই কথা বলতে পারে না; তাদের বহন করে নিয়ে যেতে হয়, কারণ তারা চলতে পারে না। তোমরা তাদের ভয় পেয়ো না; তারা কোনো ক্ষতি করতে পারবে না, ভালো কিছুও তারা করতে পারে না।”
أَنْتَ لَا نَظِيرَ لَكَ يَا رَبُّ. عَظِيمٌ أَنْتَ، وَاسْمُكَ عَظِيمٌ فِي الْجَبَرُوتِ. ٦ 6
হে সদাপ্রভু, তোমার তুল্য আর কেউ নেই; তুমি তো মহান, তোমার নামও পরাক্রমে শক্তিশালী।
مَنْ لَا يَتَّقِيكَ يَا مَلِكَ الأُمَمِ؟ فَالْخَوْفُ يَلِيقُ بِكَ، إِذْ لَا يُوْجَدُ بَيْنَ حُكَمَاءِ الشُّعُوبِ وَفِي جَمِيعِ مَمَالِكِهِمْ مَنْ هُوَ نَظِيرُكَ. ٧ 7
কে না তোমাকে সম্ভ্রম করবে, হে জাতিগণের রাজা? এ তো তোমার প্রাপ্য। সমস্ত জাতির জ্ঞানী লোকদের মধ্যে এবং তাদের সব রাজ্যে, তোমার সদৃশ আর কেউ নেই।
جَمِيعُهُمْ بُلَدَاءُ وَحَمْقَى، يَتَلَقَّفُونَ الْعِلْمَ مِنْ أَصْنَامٍ خَشَبِيَّةٍ. ٨ 8
তারা সবাই জ্ঞানহীন ও মূর্খ; অসার কাঠের মূর্তিগুলি তাদের শিক্ষা দেয়।
يُحْضِرُونَ لِصُنْعِهَا الْفِضَّةَ الْمُطَرَّقَةَ مِنْ تَرْشِيشَ، وَالذَّهَبَ مِنْ أُوفَازَ، فَهِيَ عَمَلُ صَانِعٍ مَاهِرٍ وَصَوْغُ يَدَيْ صَائِغٍ، وَتُكْسَى بِثِيَابٍ زَرْقَاءَ وَأُرْجُوَانِيَّةٍ. كُلُّهَا صَنْعَةُ صُنَّاعٍ مَهَرَةٍ. ٩ 9
তর্শীশ থেকে নিয়ে আসা হয় রুপোর পাত এবং উফস থেকে সোনা। কারুশিল্পী ও স্বর্ণকারেরা যখন কাজ সমাপ্ত করে, সেগুলিতে নীল ও বেগুনি কাপড় পরানো হয়, সেসবই নিপুণ শিল্পীদের কাজ।
أَمَّا الرَّبُّ فَهُوَ الإِلَهُ الْحَقُّ، الإِلَهُ الْحَيُّ وَالْمَلِكُ السَّرْمَدِيُّ. تَرْتَعِدُ الأَرْضُ أَمَامَ غَضَبِهِ وَلا تَتَحَمَّلُ الأُمَمُ فَرْطَ سُخْطِهِ. ١٠ 10
কিন্তু সদাপ্রভুই হলেন প্রকৃত ঈশ্বর, তিনি জীবন্ত ঈশ্বর, চিরকালীন রাজা। তিনি যখন ক্রুদ্ধ হন, সমস্ত পৃথিবী ভয়ে কাঁপে; জাতিসমূহ তাঁর ক্রোধ সহ্য করতে পারে না।
«وَهَذَا مَا تَقُولُونَهُ لَهُمْ: إِنَّ الآلِهَةَ الَّتِي لَمْ تَصْنَعِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ يَجِبُ أَنْ تُسْتَأْصَلَ مِنَ الأَرْضِ وَمِنْ تَحْتِ السَّمَاءِ». ١١ 11
“তাদের একথা বলো, ‘এসব দেবতা, যারা আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করেনি, তারা পৃথিবী থেকে ও আকাশমণ্ডলের নিচে সব স্থান থেকে বিলুপ্ত হবে।’”
فَالرَّبُّ هُوَ الَّذِي صَنَعَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ بِقُدْرَتِهِ، وَأَسَّسَ الدُّنْيَا بِحِكْمَتِهِ وَمَدَّ السَّمَاوَاتِ بِفِطْنَتِهِ. ١٢ 12
কিন্তু ঈশ্বর নিজের পরাক্রমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন; তিনি নিজের প্রজ্ঞায় জগৎ স্থাপন করেছেন এবং তাঁরই বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল প্রসারিত করেছেন।
مَا إِنْ يَنْطِقُ بِصَوْتِهِ حَتَّى تَتَجَمَّعَ غِمَارُ الْمِيَاهِ فِي السَّمَاوَاتِ، وَتَصْعَدَ السُّحُبُ مِنْ أَقَاصِي الأَرْضِ. يَجْعَلُ لِلْمَطَرِ بُرُوقاً، وَيُطْلِقُ الرِّيحَ مِنْ خَزَائِنِهِ. ١٣ 13
তিনি যখন বজ্রনাদ করেন, আকাশমণ্ডলের জলরাশি গর্জন করে; পৃথিবীর প্রান্তসীমা থেকে তিনি মেঘমালাকে উত্থিত করেন। তিনি বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ গঠন করেন এবং তাঁর ভাণ্ডার-কক্ষ থেকে বাতাস বের করে আনেন।
كُلُّ إِنْسَانٍ خَامِلٌ وَعَدِيمُ الْمَعْرِفَةِ، وَكُلُّ صَائِغٍ أَخْزَاهُ تِمْثَالُهُ لأَنَّ صَنَمَهُ الْمَسْبُوكَ كَاذِبٌ وَلا حَيَاةَ فِيهِ. ١٤ 14
সব মানুষই জ্ঞানহীন ও বুদ্ধিরহিত; সব স্বর্ণকার তার প্রতিমাগুলির জন্য লজ্জিত হয়। তাদের মূর্তিগুলি তো প্রতারণা মাত্র; সেগুলির মধ্যে কোনো শ্বাসবায়ু নেই।
جَمِيعُ الأَصْنَامِ بَاطِلَةٌ، صَنْعَةُ ضَلالٍ، وَفِي زَمَنِ عِقَابِهَا تَبِيدُ. ١٥ 15
সেগুলি মূল্যহীন, বিদ্রুপের পাত্র; বিচারের সময় সেগুলি বিনষ্ট হবে।
أَمَّا نَصِيبُ يَعْقُوبَ فَلَيْسَ مِثْلَ هَذِهِ الأَوْثَانِ، بَلْ هُوَ جَابِلُ كُلِّ الأَشْيَاءِ، وَشَعْبُ إِسْرَائِيلَ هُوَ شَعْبُ مِيرَاثِهِ، وَاسْمُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ. ١٦ 16
যিনি যাকোবের অধিকারস্বরূপ, তিনি এরকম নন, কারণ তিনিই সব বিষয়ের স্রষ্টা, যার অন্তর্ভুক্ত হল ইস্রায়েল ও তাঁর প্রজাবৃন্দ, তাঁর নিজস্ব বিশেষ অধিকার— সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু তাঁর নাম।
اجْمَعِي مِنَ الأَرْضِ حِزَمَكِ أَيَّتُهَا الْمُقِيمَةُ تَحْتَ الْحِصَارِ. ١٧ 17
তোমরা যারা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছ, দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য নিজেদের সব জিনিস গুছিয়ে নাও।
لأَنَّ هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ: «هَا أَنَا أَقْذِفُ بِمِقْلاعٍ سُكَّانَ الأَرْضِ فِي هَذِهِ الْمَرَّةِ، وَأُعَرِّضُهُمْ لِلضِّيقِ حَتَّى يَعْرِفُوا مُعَانَاتَهُ». ١٨ 18
কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এই সময়ে যারা এখানে থেকে যাবে, আমি তাদের ছুঁড়ে ফেলে দেব; আমি তাদের উপরে বিপর্যয় নিয়ে আসব যেন তারা ধৃত হয়ে বন্দি হয়।”
وَيْلٌ لِي مِنْ أَجْلِ انْسِحَاقِي، فَجُرْحِي لَا شِفَاءَ مِنْهُ، وَلَكِنِّي قُلْتُ: «حَقّاً هَذِهِ بَلِيَّةٌ وَعَلَيَّ أَنْ أَتَحَمَّلَهَا». ١٩ 19
আমার ক্ষতের কারণে আমাকে ধিক্! আমার ক্ষত নিরাময়ের অযোগ্য! তবুও আমি মনে মনে বলেছি, “এ আমার অসুস্থতা, আমাকে অবশ্যই সহ্য করতে হবে।”
قَدْ تَهَدَّمَ خِبَائِي وَتَقَطَّعَتْ حِبَالِي، وَهَجَرَنِي أَبْنَائِي وَلَمْ يَعُدْ لَهُمْ وُجُودٌ. لَيْسَ مَنْ يُقِيمُ خِبَائِي ثَانِيَةً وَيَبْسُطُ سُجُوفِي. ٢٠ 20
আমার তাঁবু ধ্বংস হয়েছে, এর সব দড়ি ছিঁড়ে গেছে। আমার ছেলেরা আমার কাছ থেকে চলে গেছে, তারা আর নেই; আমার তাঁবু স্থাপন করার জন্য বা আমার আশ্রয়স্থান প্রতিষ্ঠা করার জন্য কেউই আর নেই।
فَرُعَاةُ شَعْبِي بُلَدَاءُ لَمْ يَلْتَمِسُوا الرَّبَّ، لِذَلِكَ لَمْ يُفْلِحُوا وَتَشَتَّتَتْ جَمِيعُ رَعِيَّتِهِمْ. ٢١ 21
পালকেরা সব বুদ্ধিহীন, তারা সদাপ্রভুর কাছে অনুসন্ধান করে না। তাই তাদের উন্নতি নেই এবং তাদের সমস্ত পাল ছিন্নভিন্ন হয়েছে।
اسْمَعُوا، هَا أَخْبَارٌ تَتَوَاتَرُ عَنْ جَيْشٍ عَظِيمٍ مُقْبِلٍ مِنَ الشِّمَالِ لِيُحَوِّلَ مُدُنَ يَهُوذَا إِلَى خَرَائِبَ وَمَأْوَى لِبَنَاتِ آوَى. ٢٢ 22
শোনো! সংবাদ আসছে— উত্তর দিক থেকে শোনা যাচ্ছে এক ভীষণ কলরব! এ যিহূদার গ্রামগুলিকে নির্জন স্থান করবে, তা হবে শিয়ালদের বাসস্থান।
أَدْرَكْتُ يَا رَبُّ أَنَّ الإِنْسَانَ لَا يَمْلِكُ زِمَامَ طَرِيقِهِ، وَلَيْسَ فِي وُسْعِ الإِنْسَانِ أَنْ يُوَجِّهَ خُطَى نَفْسِهِ. ٢٣ 23
হে সদাপ্রভু, আমি জানি মানুষের জীবন তার নিজের নয়; মানুষ তার পাদবিক্ষেপ স্থির করতে পারে না।
قَوِّمْنِي يَا رَبُّ بِحَقِّكَ لَا بِغَضَبِكَ، لِئَلَّا تُلاشِيَنِي. ٢٤ 24
হে সদাপ্রভু, তুমি আমাকে সংশোধন করো, কেবলমাত্র ন্যায়বিচার অনুসারে করো, তোমার ক্রোধে নয়, তা না হলে তুমি আমাকে নিঃস্ব করে ফেলবে।
لِيَنْصَبَّ سُخْطُكَ عَلَى الأُمَمِ الَّتِي لَمْ تَعْرِفْكَ، وَعَلَى الشُّعُوبِ الَّتِي لَا تَدْعُو بِاسْمِكَ، لأَنَّهُمْ قَدِ افْتَرَسُوا ذُرِّيَّةَ يَعْقُوبَ وَالْتَهَمُوهَا وَخَرَّبُوا مَسْكَنَهَا. ٢٥ 25
তোমার ক্রোধ জাতিসমূহের উপরে ঢেলে দাও, যারা তোমাকে স্বীকার করে না; সেইসব জাতির উপরে, যারা তোমার নামে ডাকে না। কারণ তারা যাকোবের বংশধরদের গ্রাস করেছে; তারা তাদের সম্পূর্ণরূপে গ্রাস করেছে, এবং তাদের জন্মভূমি ধ্বংস করেছে।

< إرْمِيا 10 >