< يَعقُوب 5 >
أَيُّهَا الأَغْنِيَاءُ، هَيَّا الآنَ ابْكُوا مُوَلْوِلِينَ بِسَبَبِ مَا يَنْتَظِرُكُمْ مِنْ أَهْوَالٍ وَشَقَاءٍ. | ١ 1 |
ওহে ধনী ব্যক্তিরা, তোমরা এখন শোনো, তোমাদের উপরে যে দুঃখদুর্দশা ঘনিয়ে আসছে, তার জন্য তোমরা কাঁদো ও বিলাপ করো।
إِنَّ ثَرْوَاتِكُمُ الْكَثِيرَةَ قَدْ فَسَدَتْ، وَثِيَابَكُمُ الْفَاخِرَةَ قَدْ أَكَلَهَا الْعُثُّ | ٢ 2 |
তোমাদের ধনসম্পদ পচে যাচ্ছে ও জামাকাপড় পোকায় খেয়ে নিচ্ছে।
ذَهَبُكُمْ وَفِضَّتُكُمْ قَدْ تَآكَلا، وَسَيَكُونُ تَآكُلُهُمَا شَاهِداً ضِدَّكُمْ، وَيَأْكُلُ لَحْمَكُمْ كَنَارٍ جَمَعْتُمُوهَا ثَرْوَةً لِلأَيَّامِ الأَخِيرَةِ؟ | ٣ 3 |
তোমাদের সোনা ও রুপো পচতে শুরু করেছে। সেই পচনই তোমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে ও আগুনের মতো তোমাদের শরীরকে গ্রাস করবে, কারণ শেষের দিনগুলির জন্য তোমরা ধন সঞ্চয় করছ।
وَهذِهِ أُجْرَةُ الْعُمَّالِ الَّذِينَ حَصَدُوا حُقُولَكُمْ، تِلْكَ الأُجْرَةُ الَّتِي مَازِلْتُمْ تَحْبِسُونَهَا عَنْهُمْ ظُلْماً، إِنَّهَا تَصْرُخُ، وَصُرَاخُ أُولئِكَ الْعُمَّالِ أَنْفُسِهِمْ قَدْ سَمِعَهُ رَبُّ الْجُنُودِ! | ٤ 4 |
দেখো! যে মজুরেরা তোমাদের জমিতে ফসল কেটেছে তাদের মজুরি তোমরা দাওনি, তারা তোমাদের বিরুদ্ধে চিৎকার করছে। যারা শস্য কাটে তাদের কান্না সর্বশক্তিমান প্রভুর কানে গিয়ে পৌঁছেছে।
أَنْتُمْ تَعِيشُونَ عَلَى الأَرْضِ عِيشَةَ رَفَاهِيَّةٍ وَانْصِرَافٍ إِلَى الْمَبَاهِجِ وَاللَّذَّاتِ؛ وَقَدْ أَصْبَحَتْ قُلُوبُكُمْ سَمِينَةً كَأَنَّهَا جَاهِزَةٌ لِيَوْمِ الذَّبْحِ. | ٥ 5 |
তোমরা পৃথিবীতে বিলাসিতায় ও আত্মসুখভোগে জীবন কাটিয়েছ। পশুহত্যার দিনে তোমরা নিজেদের হৃষ্টপুষ্ট করেছ।
وَالْبَرِيءُ حَكَمْتُمْ عَلَيْهِ وَقَتَلْتُمُوهُ، وَهُوَ لَا يُقَاوِمُكُمْ! | ٦ 6 |
যারা প্রতিরোধ করেনি সেইসব নির্দোষ মানুষকেও তোমরা অপরাধী সাব্যস্ত করে হত্যা করেছ।
وَأَمَّا أَنْتُمْ، يَا إِخْوَتِي، فَاصْبِرُوا مُنْتَظِرِينَ عَوْدَةَ الرَّبِّ. خُذُوا الْعِبْرَةَ مِنَ الْفَلّاحِ: فَهُوَ يَنْتَظِرُ أَنْ تُعْطِيَهُ الأَرْضُ غِلَالاً ثَمِينَةً، صَابِراً عَلَى الزَّرْعِ حَتَّى يَشْرَبَ مِنْ مَطَرِ الْخَرِيفِ وَمَطَرِ الرَّبِيعِ. | ٧ 7 |
তাই ভাইবোনেরা, তোমরা প্রভুর আগমন পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করো। দেখো, মূল্যবান ফসলের জন্য চাষি জমির দিকে তাকিয়ে কত প্রতীক্ষা করে, প্রথম ও শেষ বৃষ্টির জন্য সে কতই না সহিষ্ণুতা অবলম্বন করে।
فَاصْبِرُوا أَنْتُمْ إِذَنْ، وَشَدِّدُوا قُلُوبَكُمْ لأَنَّ عَوْدَةَ الرَّبِّ قَدْ صَارَتْ قَرِيبَةً. | ٨ 8 |
তোমরাও তেমনই ধৈর্যধারণ করো ও অবিচল থাকো, কারণ প্রভুর আগমন সন্নিকট।
أَيُّهَا الإِخْوَةُ، لَا تَتَذَمَّرُوا بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ، لِكَيْ لَا يَصْدُرَ الْحُكْمُ ضِدَّكُمْ. تَذَكَّرُوا دَائِماً أَنَّ الدَّيَّانَ قَرِيبٌ جِدّاً، إِنَّهُ أَمَامَ الْبَابِ. | ٩ 9 |
ভাইবোনেরা, পরস্পরের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ কোরো না, নতুবা তোমাদের বিচার করা হবে। বিচারক দুয়ারেই দাঁড়িয়ে আছেন!
وَاقْتَدُوا، يَا إِخْوَتِي، فِي احْتِمَالِ الآلامِ وَالصَّبْرِ عَلَيْهَا، بِالأَنْبِيَاءِ الَّذِينَ تَكَلَّمُوا بِاسْمِ الرَّبِّ. | ١٠ 10 |
ভাইবোনেরা, কষ্টযন্ত্রণা ভোগের সময় সেইসব ভাববাদীর দীর্ঘসহিষ্ণুতার আদর্শ গ্রহণ করো, যাঁরা প্রভুর নামে কথা বলেছিলেন।
فَنَحْنُ نَقُولُ عَنِ الصَّابِرِينَ عَلَى الأَلَمِ: «طُوبَى لَهُمْ!» وَقَدْ سَمِعْتُمْ بِصَبْرِ أَيُّوبَ، وَرَأَيْتُمْ كَيْفَ عَامَلَهُ الرَّبُّ فِي النِّهَايَةِ. وَهَذَا يُبَيِّنُ أَنَّ الرَّبَّ كَثِيرُ الرَّحْمَةِ وَالشَّفَقَةِ. | ١١ 11 |
যেমন তোমরা জানো, যারা কষ্টভোগের সময় নিষ্ঠাবান ছিল তাদের আমরা ধন্য বলে মনে করি। তোমরা ইয়োবের নিষ্ঠার কথা শুনেছ এবং দেখেছ, শেষে প্রভু কী করলেন। প্রভু সহানুভূতিশীল ও করুণায় পূর্ণ।
وَلكِنْ قَبْلَ كُلِّ شَيْءٍ، يَا إِخْوَتِي، لَا تَحْلِفُوا، لَا بِالسَّمَاءِ، وَلا بِالأَرْضِ وَلا بِأَيِّ قَسَمٍ آخَرَ. وَإِنَّمَا لِيَكُنْ كَلامُكُمْ «نَعَمْ» إِنْ كَانَ نَعَمْ، وَ«لا» إِنْ كَانَ لا. وَذَلِكَ لِكَيْ لَا تَقَعُوا تَحْتَ الْحُكْمِ. | ١٢ 12 |
আমার ভাইবোনেরা, সবচেয়ে বড়ো কথা, তোমরা দিব্যি কোরো না—স্বর্গ বা মর্ত্য, বা অন্য কিছুরই নামে নয়। তোমাদের “হ্যাঁ,” হ্যাঁ হোক, আর “না,” না হোক, নইলে তোমরা দোষী সাব্যস্ত হবে।
هَلْ بَيْنَكُمْ مَنْ يَتَأَلَّمُ؟ فَلْيُصَلِّ! وَهَلْ بَيْنَكُمْ مَنْ هُوَ سَعِيدٌ؟ فَلْيُرَتِّلْ! | ١٣ 13 |
তোমাদের মধ্যে কেউ কি সমস্যায় ভুগছে? সে প্রার্থনা করুক। কেউ কি সুখে আছে? সে প্রশংসাগান করুক।
وَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضاً، فَلْيَسْتَدْعِ شُيُوخَ الْكَنِيسَةِ لِيُصَلُّوا مِنْ أَجْلِهِ وَيَدْهُنُوهُ بِزَيْتٍ بِاسْمِ الرَّبِّ. | ١٤ 14 |
তোমাদের মধ্যে কেউ কি অসুস্থ আছে? সে মণ্ডলীর প্রাচীনদের আহ্বান করুক, তাঁরা তার জন্য প্রার্থনা করবেন ও প্রভুর নামে তাকে তেল দিয়ে অভিষেক করবেন।
فَالصَّلاةُ الْمَرْفُوعَةُ بِإِيمَانٍ تَشْفِي الْمَرِيضَ، إِذْ يُعِيدُ الرَّبُّ إِلَيْهِ الصِّحَّةَ. وَإِنْ كَانَ مَرَضُهُ بِسَبَبِ خَطِيئَةٍ مَا، يَغْفِرُهَا الرَّبُّ لَهُ. | ١٥ 15 |
আর বিশ্বাসের সঙ্গে নিবেদিত প্রার্থনা, সেই অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ করবে। প্রভু তাকে তুলে ধরবেন। যদি সে পাপ করে থাকে, সে ক্ষমা লাভ করবে।
لِيَعْتَرِفْ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْكُمْ لأَخِيهِ بِزَلّاتِهِ، وَصَلُّوا بَعْضُكُمْ لأَجْلِ بَعْضٍ، حَتَّى تُشْفَوْا. إِنَّ الصَّلاةَ الْحَارَّةَ الَّتِي يَرْفَعُهَا الْبَارُّ لَهَا فَعَّالِيَّةٌ عَظِيمَةٌ. | ١٦ 16 |
সেই কারণে, তোমরা পরস্পরের কাছে পাপস্বীকার করো ও পরস্পরের জন্য প্রার্থনা করো, যেন তোমরা আরোগ্য লাভ করতে পারো। ধার্মিকদের প্রার্থনা শক্তিশালী ও কার্যকরী।
فَقَدْ كَانَ إِيلِيَّا بَشَراً مِثْلَنَا، وَطَلَبَ مِنَ اللهِ بِالصَّلاةِ أَنْ يَحْبِسَ الْمَطَرَ. وَهكَذَا كَانَ، فَلَمْ تَنْزِلْ عَلَى الأَرْضِ قَطْرَةُ مَطَرٍ لِمُدَّةِ ثَلاثِ سِنِينَ وَسِتَّةِ أَشْهُرٍ. | ١٧ 17 |
এলিয় আমাদের মতোই একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন। দেশে বৃষ্টি না হওয়ার জন্য তিনি একান্তভাবে প্রার্থনা করেছিলেন, আর সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি।
ثُمَّ صَلَّى صَلاةً ثَانِيَةً، فَأَمْطَرَتِ السَّمَاءُ وَأَنْتَجَتِ الأَرْضُ ثِمَارَهَا! | ١٨ 18 |
আবার তিনি প্রার্থনা করলেন, আকাশমণ্ডল থেকে বৃষ্টি এল ও পৃথিবী শস্য উৎপন্ন করল।
أَيُّهَا الإِخْوَةُ، إِنْ ضَلَّ أَحَدٌ بَيْنَكُمْ عَنِ الْحَقِّ، وَرَدَّهُ آخَرُ، | ١٩ 19 |
আমার ভাইবোনেরা, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি সত্য থেকে দূরে চলে যায় ও অপর কেউ তাকে ফিরিয়ে আনে,
فَلْيَتَأَكَّدْ أَنَّ الَّذِي يَرُدُّ خَاطِئاً عَنْ ضَلالِ مَسْلَكِهِ، فَإِنَّمَا يُنْقِذُ نَفْساً مِنَ الْمَوْتِ، وَيَسْتُرُ خَطَايَا كَثِيرَةً! | ٢٠ 20 |
তাহলে, একথা মনে রেখো: পাপীকে যে কেউ তার ভুল পথ থেকে ফেরায়, সে তাকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করে ও তার সব পাপ ঢেকে দেয়।