< إشَعْياء 58 >
نَادِ بِأَعْلَى صَوْتِكَ، لَا تَصْمُتْ. اهْتُفْ بِصَوْتِكَ كَنَفِيرِ بُوقٍ، وَأَخْبِرْ شَعْبِي بِإِثْمِهِمْ، وَذُرِّيَّةَ يَعْقُوبَ بِخَطَايَاهُمْ. | ١ 1 |
১জোরে চিৎকার কর, আওয়াজ সংযত কর না, তূরীর মত জোরে আওয়াজ কর; আমার লোকদের কাছে তাদের অন্যায়ের কথা আর যাকোবের বংশের কাছে তাদের পাপের কথা জানাও।
وَمَعَ ذَلِكَ، فَإِنَّهُمْ يَلْتَمِسُونَنِي يَوْمِيًّا، وَيُسَرُّونَ بِمَعْرِفَةِ طُرُقِي وَكَأَنَّهُمْ أُمَّةٌ تَصْنَعُ بِرّاً، وَكَأَنَّهُمْ لَمْ يُهْمِلُوا أَحْكَامَ إِلَهِهِمْ، يَطْلُبُونَ مِنِّي أَحْكَامَ بِرٍّ، وَيَغْتَبِطُونَ بِالتَّقَرُّبِ مِنَ اللهِ. | ٢ 2 |
২তারা তো দিন প্রতিদিন আমার খোঁজ করে, আমার পথ জানতে ভালবাসে; যে জাতি ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করে ও নিজের ঈশ্বরের আদেশ ত্যাগ করে না; এমন জাতির মত আমাকে ধর্মশাসন সবের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে, ঈশ্বরের কাছে আসতে ভালবাসে।
وَيَسْأَلُونَ: مَا بَالُنَا صُمْنَا وَأَنْتَ لَمْ تُلاحِظْ، وَتَذَلَّلْنَا وَلَمْ تَحْفِلْ بِذَلِكَ؟ إِنَّكُمْ فِي يَوْمِ صَوْمِكُمْ تَلْتَمِسُونَ مَسَرَّةَ أَنْفُسِكُمْ وَتُسَخِّرُونَ جَمِيعَ عُمَّالِكُمْ. | ٣ 3 |
৩“আমরা উপবাস কেন করেছি,” তারা বলল, “আমরা নিজেদের প্রাণকে দুঃখ দিয়েছি কিন্তু তুমি তা লক্ষ্য করলে না কেন?” দেখ, তোমাদের উপবাসের দিনের তোমরা তো নিজেদের সন্তুষ্ট করে থাক, আর তোমাদের সব কর্মচারীদের উপর অত্যাচার করে থাক।
وَهَا أَنْتُمْ تَصُومُونَ لِكَيْ تَتَخَاصَمُوا وَتَتَشَاجَرُوا فَقَطْ، وَتَتَضَارَبُوا بِكَلِمَاتٍ أَثِيمَةٍ. إِنَّ مِثْلَ صَوْمِكُمُ الْيَوْمَ لَا يَجْعَلُ أَصْوَاتَكُمْ مَسْمُوعَةً فِي الْعَلاءِ. | ٤ 4 |
৪দেখ, উপবাস করার ফলে তোমরা ঝগড়া আর মারামারি করে থাক এবং দুষ্টতার ঘুষি দিয়ে আঘাত করার জন্য উপবাস করে থাক; আজকের মত উপবাস করলে তোমরা ওপরে নিজেদের রব শুনতে পারবে না।
أَيَكُونُ الصَّوْمُ الَّذِي أَخْتَارُهُ فِي إِذْلالِ الْمَرْءِ نَفْسَهُ يَوْماً، أَوْ فِي إِحْنَاءِ رَأْسِهِ كَالْقَصَبَةِ، أَوِ افْتِرَاشِ الْمِسْحِ وَالرَّمَادِ؟ أَتَدْعُو هَذَا صَوْماً مَقْبُولاً لَدَى الرَّبِّ؟ | ٥ 5 |
৫আমার মনোনীত উপবাস কি এই রকম? মানুষের নিজের প্রাণকে দুঃখ দেবার দিন কি এই রকম? কারণ নল-খাগড়ার মত মাথা নত করে ও চট ও ছাইয়ের ওপর বসা। এটাকেই কি তুমি উপবাস আর সদাপ্রভুর দয়া দেখাবার দিন বল?
أَلَيْسَ الصَّوْمُ الَّذِي أَخْتَارُهُ يَكُونُ فِي فَكِّ قُيُودِ الشَّرِّ، وَحَلِّ عُقَدِ النِّيرِ، وَإِطْلاقِ سَرَاحِ الْمُتَضَايِقِينَ، وَتَحْطِيمِ كُلِّ نِيرٍ؟ | ٦ 6 |
৬দুষ্টতার গাঁট সব খুলে দেওয়া, যোঁয়ালির দড়ি খুলে দাও, অত্যাচারিতদের মুক্তি দাও আর প্রত্যেকটি যোঁয়ালী ভেঙে ফেল,
أَلا يَكُونُ فِي مُشَاطَرَةِ خُبْزِكَ مَعَ الْجَائِعِ، وَإِيْوَاءِ الْفَقِيرِ الْمُتَشَرِّدِ فِي بَيْتِكَ، وَكُسْوَةِ الْعُرْيَانِ الَّذِي تَلْتَقِيهِ، وَعَدَمِ التَّغَاضِي عَنْ قَرِيبِكَ الْبَائِسِ؟ | ٧ 7 |
৭ক্ষুধিত লোককে তোমার খাবার ভাগ করে দেওয়া, ঘুরে বেড়ানো গরিব লোককে নিজের ঘরে আশ্রয় দাও, যখন উলঙ্গকে দেখলে তাকে কাপড় পরাও, আর নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের দিক থেকে মুখ লুকিয় না।
عِنْدَئِذٍ يَشِعُّ نُورُكَ كَالصَّبَاحِ، وَتُزْهِرُ عَافِيَتُكَ سَرِيعاً، وَيَتَقَدَّمُكَ بِرُّكَ، وَيَحْرُسُ مَجْدُ الرَّبِّ مُؤَخَّرَةَ سَاقَتِكَ. | ٨ 8 |
৮তাহলে তোমাদের আলো ভোরের মত প্রকাশ পাবে আর শীঘ্রই তোমরা সুস্থতা লাভ করবে; তোমাদের ধার্ম্মিকতা তোমাদের আগে আগে যাবে আর আমার গৌরব তোমাদের পিছন দিকের রক্ষক হবে।
عِنْدَئِذٍ تَدْعُو فَيَسْتَجِيبُ الرَّبُّ. تَسْتَغِيثُ فَيَقُولُ هَا أَنَا. إِنْ أَزَلْتَ مِنْ وَسَطِ بَيْتِكَ النِّيرَ، وَالإِيمَاءَ بِالأُصْبُعِ احْتِقَاراً، وَالنُّطْقَ بِالشَّرِّ، | ٩ 9 |
৯তখন তোমরা ডাকবে সদাপ্রভু উত্তর দেবেন; তুমি আর্তনাদ করবে ও তিনি বলবেন, “এই যে আমি।” যদি নিজের মধ্যে থেকে যোঁয়ালী, অভিযোগের আঙ্গুল এবং দুষ্টতার কথা ত্যাগ কর,
إِن بَذَلْتَ نَفْسَكَ لِلْجَائِعِ، وَأَشْبَعْتَ حَاجَةَ الذَّلِيلِ، فَإِنَّ نُورَكَ يُشْرِقُ فِي الظُّلْمَةِ، وَلَيْلَكَ الدَّامِسَ يُصْبِحُ كَالظُّهْرِ، | ١٠ 10 |
১০যদি ক্ষুধিত লোককে তোমার খাবার দাও, দুঃখিতকে সন্তুষ্ট কর, তাহলে অন্ধকারেও তোমাদের আলো জ্বলে উঠবে আর তোমাদের অন্ধকার হবে দুপুরবেলার মত।
وَيَهْدِيكَ الرَّبُّ دَائِماً وَيَسُدُّ حَاجَتَكَ حَتَّى فِي زَمَنِ الْقَحْطِ وَالأَرْضِ الْمُجْدِبَةِ، فَيُقَوِّي عِظَامَكَ فَتُصْبِحُ كَرَوْضَةٍ مَرْوِيَّةٍ، وَكَجَدْوَلِ مَاءٍ لَا يَنْقَطِعُ، | ١١ 11 |
১১তখন সদাপ্রভুই তোমাদের সব দিন পরিচালনা করবেন এবং শুকিয়ে যাওয়া দেশে তোমাদের প্রয়োজন মিটাবেন এবং তোমাদের হাড়কে শক্তিশালী করবেন। তাতে তুমি জলসিক্ত বাগানের মত হবে এবং এমন জলের ঝরনার মত হবে, যার জল শুকায় না।
وَيَبْنِي أَوْلادُكَ الْخَرَائِبَ الْقَدِيمَةَ وَيُقِيمُونَ أَسَاسَاتِهَا، وَيُسَمُّونَ بَعْدَ ذَلِكَ الشَّعْبَ الَّذِي بَنَى أَسْوَارَهُ وَرَمَّمَ أَحْيَاءَ مُدُنِهِ. | ١٢ 12 |
১২তোমাদের বংশের লোকেরা আগেকার ধ্বংস হওয়া জায়গাগুলো আবার তৈরী করবে আর অনেক কাল আগেকার ভিত্তিগুলোর উপরে আবার গাঁথবে; তোমাদের বলা হবে “দেয়ালের মেরামতকারী এবং বসতিস্থানের রাস্তাগুলোর উদ্ধারক।”
إِنْ كَفَفْتَ قَدَمَكَ عَنْ نَقْضِ يَوْمِ السَّبْتِ، وَعَنِ السَّعْيِ وَرَاءَ مَرَامِكَ فِي يَوْمِي الْمُقَدَّسِ، وَدَعَوْتَ يَوْمَ السَّبْتِ يَوْمَ مَسَرَّةٍ لِلرَّبِّ، وَجَعَلْتَهُ يَوْماً مُكَرَّماً لِلهِ. إِنْ أَكْرَمْتَهُ وَلَمْ تَسْلُكْ حَسَبَ أَهْوَائِكَ أَوْ تَلْتَمِسْ قَضَاءَ مَصَالِحِكَ، أَوْ تُنْفِقْهُ فِي لَغْوِ الْكَلامِ، | ١٣ 13 |
১৩যদি তুমি বিশ্রামবার লঙ্ঘন থেকে নিজের পা ফেরাও, যদি আমার পবিত্র দিনের নিজ অভিলাষের চেষ্টা না কর, যদি বিশ্রামবারকে আনন্দদায়ক আর সদাপ্রভুর দিন কে মহিমান্বিত বল এবং তোমার নিজের কাজ সম্পন্ন না করে, নিজে কথা না বলে, যদি তা গৌরবান্বিত কর।
عِنْدَئِذٍ تَبْتَهِجُ بِالرَّبِّ، وَأَجْعَلُكَ تَمْتَطِي مُرْتَفَعَاتِ الأَرْضِ، وَأُنْعِمُ عَلَيْكَ بِمِيرَاثِ يَعْقُوبَ أَبِيكَ، لأَنَّ فَمَ الرَّبِّ قَدْ تَكَلَّمَ. | ١٤ 14 |
১৪তবে তুমি সদাপ্রভুতে আনন্দিত হবে এবং আমি পৃথিবীর সব উঁচু জায়গার ওপর দিয়ে আরোহণ করাব এবং তোমার বাবা যাকোবের অধিকার ভোগ করাব। কারণ সদাপ্রভুর মুখ এটা বলেছে।