< إشَعْياء 53 >

مَنْ آمَنَ بِكَلامِنَا، وَلِمَنْ ظَهَرَتْ يَدُ الرَّبِّ؟ ١ 1
আমাদের দেওয়া সংবাদ কে বিশ্বাস করেছে? সদাপ্রভুর শক্তি কার কাছেই বা প্রকাশিত হয়েছে?
نَمَا كَبُرْعُمٍ أَمَامَهُ، وَكَجِذْرٍ فِي أَرْضٍ يَابِسَةٍ، لَا صُورَةَ لَهُ وَلا جَمَالَ يَسْتَرْعِيَانِ نَظَرَنَا، وَلا مَنْظَرَ فَنَشْتَهِيَهُ. ٢ 2
তিনি তাঁর সামনে কোমল চারার মতো, শুকনো মাটিতে উৎপন্ন মূলের মতো বেড়ে উঠলেন। আমাদের আকৃষ্ট করার মতো তাঁর কোনো সৌন্দর্য বা রূপ ছিল না, আমরা কামনা করতে পারি, তাঁর চেহারায় এমন কিছুই ছিল না।
مُحْتَقَرٌ وَمَنْبُوذٌ مِنَ النَّاسِ، رَجُلُ آلامٍ وَمُخْتَبِرُ الْحُزْنِ، مَخْذُولٌ كَمَنْ حَجَبَ النَّاسُ عَنْهُ وُجُوهَهُمْ فَلَمْ نَأْبَهْ لَهُ. ٣ 3
তিনি অবজ্ঞাত, মানুষদের কাছে অগ্রাহ্য হলেন, তিনি দুঃখভোগকারী মানুষ ও কষ্টভোগকারীরূপে পরিচিত হলেন। মানুষ যা দেখে তাদের মুখ লুকায়, তার ন্যায় তিনি অবজ্ঞাত হলেন, আর আমরা তাঁর মর্যাদা তাঁকে দিইনি।
لَكِنَّهُ حَمَلَ أَحْزَانَنَا وَتَحَمَّلَ أَوْجَاعَنَا، وَنَحْنُ حَسِبْنَا أَنَّ الرَّبَّ قَدْ عَاقَبَهُ وَأَذَلَّهُ، ٤ 4
সত্যিই তিনি আমাদের দুর্বলতা সকল তুলে নিয়েছেন এবং আমাদের সকল দুঃখ বহন করেছেন, তবুও, আমরা মনে করলাম, ঈশ্বর তাঁকে শাস্তি দিয়েছেন, তিনি আহত ও নিপীড়িত হয়েছেন।
إِلّا أَنَّهُ كَانَ مَجْرُوحاً مِنْ أَجْلِ آثَامِنَا وَمَسْحُوقاً مِنْ أَجْلِ مَعَاصِينَا، حَلَّ بِهِ تَأْدِيبُ سَلامِنَا، وَبِجِرَاحِهِ بَرِئْنَا. ٥ 5
কিন্তু তিনি আমাদের অপরাধের জন্য বিদ্ধ, আমাদের অধর্ম সকলের জন্য চূর্ণ হয়েছেন; আমাদের শান্তিলাভের জন্য তাঁকে শাস্তি ভোগ করতে হল, আর তাঁর ক্ষতসকলের দ্বারা আমরা আরোগ্য লাভ করলাম।
كُلُّنَا كَغَنَمٍ شَرَدْنَا مِلْنَا كُلُّ وَاحِدٍ إِلَى سَبِيلِهِ، فَأَثْقَلَ الرَّبُّ كَاهِلَهُ بِإِثْمِ جَمِيعِنَا. ٦ 6
আমরা সবাই মেষদের মতো বিপথগামী হয়েছিলাম, প্রত্যেকেই নিজের নিজের পথে চলে গিয়েছিলাম; আর সদাপ্রভু আমাদের সকলের অপরাধ তাঁর উপরে অর্পণ করেছেন।
ظُلِمَ وَأُذِلَّ، وَلَكِنَّهُ لَمْ يَفْتَحْ فَاهُ، بَلْ كَشَاةٍ سِيقَ إِلَى الذَّبْحِ، وَكَنَعْجَةٍ صَامِتَةٍ أَمَامَ جَازِّيهَا لَمْ يَفْتَحْ فَاهُ. ٧ 7
তিনি অত্যাচারিত হয়ে কষ্টভোগ স্বীকার করলেন, তবুও, তিনি তাঁর মুখ খোলেননি; যেমন ঘাতকের কাছে নিয়ে যাওয়া মেষশাবককে, ও লোমচ্ছেদকদের কাছে নিয়ে যাওয়া মেষ নীরব থাকে, তেমনই তিনি তাঁর মুখ খোলেননি।
بِالضِّيقِ وَالْقَضَاءِ قُبِضَ عَلَيْهِ، وَفِي جِيلِهِ مَنْ كَانَ يَظُنُّ أَنَّهُ اسْتُؤْصِلَ مِنْ أَرْضِ الأَحْيَاءِ، وَضُرِبَ مِنْ أَجْلِ إِثْمِ شَعْبِي؟ ٨ 8
অত্যাচার ও অন্যায় বিচার করে তাঁকে দূর করা হল। তাঁর বংশধরদের মধ্যে কে এরকম বিবেচনা করল, যে তিনি জীবিতদের দেশ থেকে উচ্ছিন্ন হলেন; কারণ আমার জাতির অধর্ম প্রযুক্তই তিনি যন্ত্রণাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
جَعَلُوا قَبْرَهُ مَعَ الأَشْرَارِ، وَمَعَ ثَرِيٍّ عِنْدَ مَوْتِهِ. مَعَ أَنَّهُ لَمْ يَرْتَكِبْ جَوْراً، وَلَمْ يَكُنْ فِي فَمِهِ غِشٌّ. ٩ 9
তাঁকে দুষ্টজনেদের সঙ্গে সমাধি দেওয়া হল, মৃত্যুতে তিনি ধনী ব্যক্তির সঙ্গী হলেন, যদিও তিনি কোনও অপকর্ম করেননি, তাঁর মুখে ছলনার কথাও পাওয়া যায়নি।
وَمَعَ ذَلِكَ فَقَدْ سُرَّ اللهُ أَنْ يَسْحَقَهُ بِالْحَزَنِ. وَحِينَ يُقَدِّمُ نَفْسَهُ ذَبِيحَةَ إِثْمٍ فَإِنَّهُ يَرَى نَسْلَهُ وَتَطُولُ أَيَّامُهُ، وَتُفْلِحُ مَسَرَّةُ الرَّبِّ عَلَى يَدِهِ. ١٠ 10
তবুও, তাঁকে চূর্ণ করা সদাপ্রভুরই ইচ্ছা ছিল, তিনি তাঁকে যন্ত্রণাগ্রস্ত হতে দিলেন, আর যদিও তাঁর প্রাণ দোষার্থক-নৈবেদ্যরূপে উৎসর্গীকৃত হল, তিনি তাঁর বংশ দেখবেন এবং দীর্ঘায়ু হবেন, আর তাঁরই হাতে সদাপ্রভুর ইচ্ছা সফলকাম হবে।
وَيَرَى ثِمَارَ تَعَبِ نَفْسِهِ وَيَشْبَعُ، وَعَبْدِي الْبَارُّ يُبَرِّرُ بِمَعْرِفَتِهِ كَثِيرِينَ وَيَحْمِلُ آثَامَهُمْ. ١١ 11
তাঁর প্রাণের কষ্টভোগের পরিণামে, তিনি জীবনের জ্যোতি দেখবেন ও পরিতৃপ্ত হবেন; আমার ধার্মিক দাস তাঁর সম্পর্কিত জ্ঞানের দ্বারা অনেককে নির্দোষ গণ্য করবেন, কারণ তিনিই তাদের অপরাধসকল বহন করেছেন।
لِذَلِكَ أَهَبُهُ نَصِيباً بَيْنَ الْعُظَمَاءِ، فَيَقْسِمُ غَنِيمَةً مَعَ الأَعِزَّاءِ، لأَنَّهُ سَكَبَ لِلْمَوْتِ نَفْسَهُ، وَأُحْصِيَ مَعَ أَثَمَةٍ. وَهُوَ حَمَلَ خَطِيئَةَ كَثِيرِينَ، وَشَفَعَ فِي الْمُذْنِبِينَ. ١٢ 12
সেই কারণে আমি মহৎ ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁকে একটি অংশ দেব, তিনি শক্তিশালী লোকেদের সঙ্গে লুট বিভাগ করবেন, কারণ তিনি মৃত্যুর জন্য নিজের প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন, এবং অধর্মীদের সঙ্গে গণিত হয়েছেন। কারণ তিনি অনেকের পাপ বহন করেছেন এবং অধর্মীদের জন্য অনুরোধ করে চলেছেন।

< إشَعْياء 53 >