< إشَعْياء 51 >
اسْمَعُوا لِي يَا مُلْتَمِسِي الْبِرِّ، السَّاعِينَ وَرَاءَ الرَّبِّ: تَلَفَّتُوا إِلَى الصَّخْرِ الَّذِي مِنْهُ نُحِتُّمْ، وَإِلَى الْمَحْجَرِ الَّذِي مِنْهُ اقْتُلِعْتُمْ. | ١ 1 |
১তোমরা যারা ধার্মিকতার অনুগামী, যারা সদাপ্রভুর খোঁজ করছ, তোমরা শোন। যে পাথর থেকে তোমরা খোদিত হয়েছে এবং যে খাদ থেকে তোমাদেরকে খোঁড়া হয়েছে তার দিকে তাকিয়ে দেখ।
انْظُرُوا إِلَى إِبْرَاهِيمَ أَبِيكُمْ وَإِلَى سَارَةَ الَّتِي أَنْجَبَتْكُمْ، فَقَدْ دَعَوْتُهُ حِينَ كَانَ فَرْداً وَاحِداً وَبَارَكْتُهُ وَأَكْثَرْتُهُ. | ٢ 2 |
২তোমাদের পূর্বপুরুষ এবং তোমাদের যে জন্ম দিয়েছে সেই সারার দিকে তাকিয়ে দেখ; কারণ যখন সে একাকী ছিল তখন তাকে ডেকেছিলাম। আমি তাকে আশীর্বাদ করলাম এবং সংখ্যায় অনেক করলাম।
الرَّبُّ يُعَزِّي صِهْيَوْنَ وَيُعَزِّي خَرَائِبَهَا، وَيُحَوِّلُ قَفْرَهَا إِلَى عَدْنٍ وَصَحْرَاءَهَا إِلَى جَنَّةٍ رَائِعَةٍ، فَتَفِيضُ بِالْفَرَحِ وَالْغِبْطَةِ وَالشُّكْرِ وَهُتَافِ تَرْنِيمٍ. | ٣ 3 |
৩হ্যাঁ, সদাপ্রভু সিয়োনকে সান্ত্বনা দেবেন; তিনি তার সব ধ্বংসস্থানগুলিকে সান্ত্বনা দেবেন; তার মরুভূমিকে তিনি এদোন বাগানের মত করবেন এবং তার শুকনো ভূমিকে যর্দ্দন নদীর উপত্যকার পাশে সদাপ্রভুর বাগানের মত করবেন। তার মধ্যে আনন্দ, সুখ, ধন্যবাদ ও গানের আওয়াজ পাওয়া যাবে।
اسْمَعُوا لِي يَا شَعْبِي، وَأَصْغِي إِلَيَّ يَا أُمَّتِي، فَإِنَّ الشَّرِيعَةَ تَصْدُرُ مِنِّي، وَعَدْلِي يُصْبِحُ نُوراً لِلشُّعُوبِ. | ٤ 4 |
৪“হে আমার লোকেরা, আমার প্রতি মনোযোগী হও এবং হে আমার লোকেরা, আমার কথায় শোন! কারণ আমি এক নির্দেশ জারি করব এবং আমি আমার জাতিদের জন্য ন্যায়বিচারকে আলোর মত করব।
بِرِّي بَاتَ قَرِيباً، وَتَجَلَّى خَلاصِي، وَذِرَاعَايَ تَقْضِيَانِ لِلشُّعُوبِ، وَإِيَّايَ تَرْتَقِبُ الْجَزَائِرُ، وَتَنْتَظِرُ بِرَجَاءٍ ذِرَاعِي. | ٥ 5 |
৫আমার ধার্ম্মিকতা কাছাকাছি; আমার পরিত্রান বের হয়ে আসবে এবং আমার হাত জাতিদের বিচার করবে; উপকূলগুলি আমার জন্য অপেক্ষা করবে; আমার হাতের জন্য তারা সাগ্রহে অপেক্ষা করবে।
ارْفَعُوا عُيُونَكُمْ إِلَى السَّمَاوَاتِ وَتَفَرَّسُوا فِي الأَرْضِ مِنْ تَحْتُ، فَإِنَّ السَمَاوَاتِ كَدُخَانٍ تَضْمَحِلُّ، وَالأَرْضَ كَثَوْبٍ تَبْلَى، وَيَبِيدُ سُكَّانُهَا كَالذُّبَابِ. أَمَّا خَلاصِي فَيَبْقَى إِلَى الأَبَدِ، وِبِرِّي يَثْبُتُ مَدَى الدَّهْرِ. | ٦ 6 |
৬তোমরা আকাশের দিকে চোখ তোল এবং নীচে পৃথিবীর দিকে তাকাও। কারণ আকাশ ধোঁয়ার মত অদৃশ্য হয়ে যাবে, পৃথিবী কাপড়ের মত পুরানো হয়ে যাবে এবং তার বাসিন্দারা পতঙ্গের মত মারা যাবে। কিন্তু আমার পরিত্রান অনন্তকাল থাকবে এবং আমার ধার্ম্মিকতা কাজ থামাবে না।
اسْتَمِعُوا إِلَيَّ يَا عَارِفِي الْبِرِّ، أَيُّهَا الشَّعْبُ الَّذِي شَرِيعَتِي فِي قُلُوبِكُمْ. لَا تَخْشَوْا تَعْيِيرَ النَّاسِ وَلا تَرْتَعِبُوا مِنْ شَتَائِمِهِمْ، | ٧ 7 |
৭তোমরা যারা ধার্ম্মিকতা জান, তোমরা যারা যাদের হৃদয়ে আমার নিয়ম আছে, তোমরা শোন। তোমরা মানুষের অপমানকে ভয় কর না, তাদের অপব্যবহারের দ্বারা হতাশ হয়ো না,
لأَنَّ الْعُثَّ يَأْكُلُهُمْ كَثَوْبٍ، وَيَقْرِضُهُمُ السُّوسُ كَالصُّوفِ، أَمَّا بِرِّي فَيَبْقَى إِلَى الأَبَدِ، وَخَلاصِي يَثْبُتُ مَدَى الدَّهْرِ. | ٨ 8 |
৮কারণ কীট কাপড়ের মত তাদেরকে খেয়ে ফেলবে এবং পোকা তাদেরকে পশমের মত খয়ে ফেলবে; কিন্তু আমার ধার্ম্মিকতা চিরকাল থাকবে এবং আমার পরিত্রান বংশের পর বংশ ধরে চিরকাল থাকবে।”
اسْتَيْقِظِي، اسْتَيْقِظِي، تَسَرْبَلِي بِالْقُوَّةِ يَا ذِرَاعَ الرَّبِّ، اسْتَيْقِظِي كَالْعَهْدِ بِكِ فِي الأَيَّامِ الْقَدِيمَةِ، وَفِي الأَجْيَالِ الْغَابِرَةِ. أَلَسْتِ أَنْتِ الَّتِي مَزَّقْتِ رَهَبَ إِرْباً إِرْباً، وَطَعَنْتِ التِّنِّينَ؟ | ٩ 9 |
৯জাগো, জাগো, নিজেকে শক্তির সঙ্গে পরিধান কর, হে সদাপ্রভুর শক্তিশালী হাত। যেমন তুমি আগেকার দিনের উঠেছিলে, পুরানো দিনের বংশের পর বংশ ধরে উঠেছিলে। তুমি কি রহবকে টুকরো টুকরো করে কাটনি? সমুদ্রের দৈত্যকে কি তুমি চূর্ণ করনি?
أَلَسْتِ أَنْتِ الَّتِي جَفَّفْتِ الْبَحْرَ، وَمِيَاهَ اللُّجَجِ الْعَمِيقَةِ، وَجَعَلْتِ أَعْمَاقَ الْبَحْرِ طَرِيقاً يَعْبُرُ فَوْقَهُ الْمَفْدِيُّونَ؟ | ١٠ 10 |
১০তুমি কি সমুদ্রের, বিশাল গভীরের জল শুকিয়ে ফেলনি এবং তুমি কি সমুদ্রের গভীর জায়গাকে রাস্তা তৈরী করনি যাতে তোমার মুক্তিপ্রাপ্ত লোকেরা পার হয়ে যায়?
سَيَرْجِعُ الَّذِينَ افْتَدَاهُمُ الرَّبُّ وَيَأْتُونَ إِلَى صِهْيَوْنَ بِتَرَنُّمٍ، يُكَلِّلُ رُؤُوسَهُمْ فَرَحٌ أَبَدِيٌّ، فَتَطْغَى عَلَيْهِمْ بَهْجَةٌ وَغِبْطَةٌ، أَمَّا الْحُزْنُ وَالتَّنَهُّدُ فَيَهْرُبَانِ بَعِيداً. | ١١ 11 |
১১সদাপ্রভুর মুক্তি পাওয়া লোকেরা ফিরে আসবে এবং আনন্দের চিত্কারের সঙ্গে সিয়োনে আসবে এবং চিরকাল স্থায়ী আনন্দ তাদের মাথায় থাকবে এবং সুখ ও আনন্দ তাদের অতিক্রম করবে এবং দুঃখ ও শোক পালিয়ে যাবে।
أَنَا، أَنَا هُوَ مُعَزِّيكُمْ، فَمَنْ أَنْتِ حَتَّى تَخْشَيْ إِنْسَاناً فَانِياً أَوْ بَشَراً يَبِيدُونَ كَالْعُشْبِ؟ | ١٢ 12 |
১২আমি, আমিই তোমাদের সান্ত্বনা করি। তোমরা কেন মানুষকে ভয় করছ? যারা মারা যাবে, মানুষের সন্তানেরা, যারা ঘাসের মতই তৈরী।
وَنَسِيتِ الرَّبَّ صَانِعَكِ، بَاسِطَ السَّمَاوَاتِ وَمُرْسِي قَوَاعِدِ الأَرْضِ فَتَظَلِّينَ فِي رُعْبٍ دَائِمٍ مِنْ غَضَبِ الْمُضَايِقِ حِينَ يُوَطِّدُ الْعَزْمَ عَلَى التَّدْمِيرِ؟ أَيْنَ هُوَ غَضَبُ الْمُضَايِقِ؟ | ١٣ 13 |
১৩তোমাদের যিনি তৈরী করেছেন তাঁকে কেন তোমরা ভুলে গেছ? যিনি আকাশকে ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছেন? তুমি অত্যাচারীদের প্রচণ্ড ক্রোধের কারণে প্রতিদিন ত্রাসে আছ যখন সে ধ্বংস করার জন্য সিদ্ধান্ত করেছে? অত্যাচারীদের ক্রোধ কোথায়?
عَمَّا قَرِيبٍ يُطْلَقُ سَرَاحُ الْمُنْحَنِي فَلا يَمُوتُ فِي أَعْمَاقِ الْجُبِّ وَلا يَفْتَقِرُ إِلَى الْخُبْزِ. | ١٤ 14 |
১৪যারা নত হয়, সদাপ্রভু তাদের শীঘ্রই ছেড়ে দেবেন; সে মারা যাবে না এবং গর্তে নেমে যাবে না, তার খাবারের অভাব হবে না।
لأَنِّي أَنَا هُوَ الرَّبُّ إِلَهُكِ الَّذِي يُهَيِّجُ الْبَحْرَ فَتَصْطَخِبُ أَمْوَاجُهُ، الرَّبُّ الْقَدِيرُ اسْمُهُ. | ١٥ 15 |
১৫কারণ আমিই সদাপ্রভু, তোমার ঈশ্বর, যিনি সমুদ্রকে মন্থন করলে তার ঢেউ গর্জন করে। তার নাম বাহিনীদের সদাপ্রভু।
قَدْ وَضَعْتُ كَلامِي فِي فَمِكَ، وَوَارَيْتُكَ فِي ظِلِّ يَدِي، لأُقِرَّ السَّمَاوَاتِ فِي مَوْضِعِهَا وَأُرْسِي قَوَاعِدَ الأَرْضِ، وَأَقُولَ لِصِهْيَوْنَ: أَنْتِ شَعْبِي. | ١٦ 16 |
১৬আমি তোমার মুখে আমার বাক্য রাখলাম আর আমার হাতের ছায়ায় তোমাকে ঢেকে রাখলাম। যে আমি আকাশমণ্ডল রোপণ করি, পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করি এবং সিয়োনকে বলি, তুমি আমার লোক।
اسْتَيْقِظِي، اسْتَيْقِظِي، انْهَضِي يَا أُورُشَلِيمُ، يَا مَنْ تَجَرَّعَتْ مِنْ يَدِ الرَّبِّ كَأْسَ غَضَبِهِ، يَا مَنْ شَرِبَتْ ثُمَالَةَ كَأْسِ التَّرَنُّحِ. | ١٧ 17 |
১৭হে যিরূশালেম, জাগো, জাগো; উঠে দাঁড়াও। তুমি তো সদাপ্রভুর হাত থেকে তাঁর ক্রোধের বাটিতে পান করেছ; মত্ততাজনক বাটিতে পান করেছ, তুমি নিঃশেষ করেছ।
لَمْ يَكُنْ بَيْنَ أَبْنَائِهَا الَّذِينَ أَنْجَبَتْهُمْ مَنْ يَهْدِيهَا، وَلا مَنْ يَأْخُذُ بِيَدِهَا مِنْ كُلِّ الْبَنِينَ الَّذِينَ رَبَّتْهُمْ. | ١٨ 18 |
১৮তুমি যে সব ছেলেদের জন্ম দিয়েছ তাদের মধ্যে তার পথপ্রদর্শক কেউ নেই; যে সব ছেলেদের তুমি পালন করেছ তাদের মধ্যে তার হাত ধরবার মত কেউ নেই।
لَقَدِ ابْتُلِيتِ بِهَاتَيْنِ الْمِحْنَتَيْنِ، فَمَنْ يَرْثِي لَكِ: التَّدْمِيرِ وَالْخَرَابِ، وَالْمَجَاعَةِ وَالسَّيْفِ، فَمَنْ يُعَزِّيكِ؟ | ١٩ 19 |
১৯এই দুই তোমার প্রতি ঘটেছে; কে তোমার জন্য বিলাপ করবে? নির্জনতা এবং ধ্বংস এবং দূর্ভিক্ষ এবং তরোয়াল। কে তোমাকে সান্ত্বনা দেবে?
قَدْ أَعْيَا أَبْنَاؤُكِ وَانْطَرَحُوا عِنْدَ رَأْسِ كُلِّ شَارِعٍ كَوَعْلٍ وَقَعَ فِي شَبَكَةٍ. امْتَلَأُوا مِنْ غَضَبِ الرَّبِّ وَمِنْ زَجْرِ إِلَهِكِ. | ٢٠ 20 |
২০তোমার ছেলেরা দুর্বল হয়েছে; তারা জালে পড়া হরিণের মত প্রতিটি রাস্তার মাথায় শুয়ে আছে। তারা সদাপ্রভুর ক্রোধে, তোমার ঈশ্বরের তিরস্কারে পরিপূর্ণ।
لِذَلِكَ اسْمَعِي هَذَا أَيَّتُهَا الْمَنْكُوبَةُ، وَالسَّكْرَى وَلَكِنْ مِنْ غَيْرِ خَمْرٍ. | ٢١ 21 |
২১কিন্তু এখন এই কথা শোন, হে অত্যাচারকারী এবং তুমি মাতাল, কিন্তু দ্রাক্ষারসে মত্ত না।
هَذَا مَا يَقُولُهُ سَيِّدُكِ الرَّبُّ، إِلَهُكِ الَّذِي يُدَافِعُ عَنْ دَعْوَى شَعْبِهِ: هَا أَنَا قَدْ أَخَذْتُ مِنْ يَدِكِ كَأْسَ التَّرَنُّحِ، وَلَنْ تَجْرَعِي مِنْ كَأْسِ غَضَبِي بَعْدُ. | ٢٢ 22 |
২২তোমার প্রভু সদাপ্রভু, তোমার ঈশ্বর, যিনি তাঁর লোকদের পক্ষে থাকেন তিনি এই কথা বলছেন, “দেখ, মত্ততাজনক পানপাত্র, আমার ক্রোধরূপ পানপাত্র, তোমার হাত থেকে নিলাম; সেই পানপাত্রে তুমি আর পান করবে না।
وَأَضَعُهَا فِي يَدِ مُعَذِّبِيكِ الَّذِينَ قَالُوا لَكِ: انْحَنِي حَتَّى نَدُوسَ عَلَيْكِ عَابِرِينَ. فَجَعَلْتِ ظَهْرَكِ لَهُمْ أَرْضاً، وَطَرِيقاً لَهُمْ يَمُرُّونَ عَلَيْهِ. | ٢٣ 23 |
২৩আমি তোমার উত্পীড়কদের হাতে তা তুলে দেব, যারা তোমাকে বলত, ‘শুয়ে পড়, যাতে আমরা তোমার ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে পারি।’ তুমি মাটির মত ও রাস্তার মত লোকদের কাছে নিজের পিঠ পেতে দিতে পার।”