< إشَعْياء 48 >
اسْمَعُوا هَذَا يَا بَيْتَ يَعْقُوبَ الْمَدْعُوِّينَ بِاسْمِ إِسْرَائِيلَ الْخَارِجِينَ مِنْ صُلْبِ يَهُوذَا، الْحَالِفِينَ بِاسْمِ الرَّبِّ، الْمُسْتَشْهِدِينَ بِإِلَهِ إِسْرَائِيلَ بَاطِلاً وَكَذِباً | ١ 1 |
“ওহে যাকোবের কুল, তোমরা একথা শোনো, তোমাদের ইস্রায়েল নামে ডাকা হয়, তোমাদের উদ্ভব যিহূদার বংশ থেকে, তোমরা সদাপ্রভুর নামে শপথ নিয়ে থাকো ও ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছে মিনতি করে থাকো, কিন্তু সত্যে বা ধার্মিকতায় তা করো না।
الَّذِينَ يَدْعُونَ أَنْفُسَهُمْ أَهْلَ الْمَدِينَةِ الْمُقَدَّسَةِ، وَيَعْتَمِدُونَ عَلَى إِلَهِ إِسْرَائِيلَ، الرَّبِّ الْقَدِيرِ: | ٢ 2 |
তোমরা নিজেদের সেই পবিত্র নগরের নাগরিক বলো এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরের উপরে নির্ভর করো, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু তাঁর নাম,
قَدْ أَنْبَأْتُ بِالأُمُورِ الْغَابِرَةِ مُنْذُ الْقِدَمِ، نَطَقْتُ بِها وَأَذَعْتُهَا، ثُمَّ فَجْأَةً صَنَعْتُهَا وَأَتْمَمْتُهَا | ٣ 3 |
আমি পূর্বকার বিষয়গুলি বহুপূর্বেই বলেছি, আমার মুখ সেগুলি ঘোষণা করেছে এবং আমি সেগুলি জানিয়ে দিয়েছি; তারপরে হঠাৎই আমি সক্রিয় হয়েছি এবং সেগুলি সংঘটিত হয়েছে।
لأَنِّي عَالِمٌ بِعِنَادِكَ، وَأَنَّ رَقَبَتَكَ ذَاتُ عَضَلٍ مِنْ حَدِيدٍ وَجَبْهَتَكَ مِنْ نُحَاسٍ. | ٤ 4 |
কারণ আমি জানতাম, তোমরা কেমন অনমনীয়; তোমাদের ঘাড়ের পেশিগুলি সব লোহার, তোমাদের কপাল ছিল পিতলের মতো।
لِهَذَا أَنْبَأْتُ بِها مُنْذُ الْقِدَمِ وَأَعْلَنْتُهَا لَكَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَتَحَقَّقَ، لِئَلَّا تَقُولَ: إِنَّ وَثَنِي قَدْ صَنَعَهَا، وَتِمْثَالِي الْمَنْحُوتَ وَإِلَهِي الْمَسْبُوكَ قَدَ قَضَى بِها. | ٥ 5 |
সেই কারণে এসব বিষয় আমি বহুপূর্বেই তোমাদের বলেছিলাম; সেগুলি ঘটার পূর্বেই আমি তোমাদের কাছে ঘোষণা করেছিলাম, যেন তোমরা বলতে না পারো, ‘আমার তৈরি প্রতিমারা সেগুলি করেছে; আমার কাঠের মূর্তি ও ধাতব দেবতা সেগুলি নির্ধারণ করেছে।’
قَدْ سَمِعْتَ، فَتَأَمَّلْ فِيهَا كُلِّهَا، أَلا تُقِرُّ بِها؟ مُنْذُ الآنَ وَصَاعِداً سَأُطْلِعُكَ عَلَى أُمُورٍ جَدِيدَةٍ، عَلَى أَسْرَارٍ لَمْ تَعْرِفْهَا مِنْ قَبْلُ. | ٦ 6 |
তোমরা এসব কথা শুনেছ; সেই সমস্তের দিকে তোমরা তাকাও। তোমরা কি সেগুলি স্বীকার করবে না? “এখন থেকে আমি তোমাদের নতুন সব বিষয় বলব, সেইসব গুপ্ত বিষয়, যেগুলি তোমাদের অজানা।
قَدْ خُلِقَتِ الآنَ وَلَيْسَ مُنْذُ زَمَنٍ بَعِيدٍ، لَمْ تَسْمَعْ بِها قَطُّ قَبْلَ هَذَا الْيَوْمِ، لِئَلَّا تَقُولَ: كُنْتُ أَعْرِفُهَا. | ٧ 7 |
সেগুলির সৃষ্টি এখনই হয়েছে, বেশি দিন আগে নয়; আজকের পূর্বে সেগুলির কথা তোমরা শোনোনি। তাই তোমরা বলতে পারো না, ‘হ্যাঁ, আমরা সেগুলির কথা জানতাম।’
أَنْتَ لَمْ تَسْمَعْ قَطُّ وَلَمْ تَعْرِفْ أَبَداً، فَمُنْذُ الْقِدَمِ لَمْ تَنْفَتِحْ أُذُنَاكَ، لأَنِّي عَرَفْتُ أَنَّكَ تَتَصَرَّفُ بِغَدْرٍ، وَمُنْذُ مَوْلِدِكَ دُعِيتَ مُتَمَرِّداً | ٨ 8 |
তোমরা কিছুই শোনোনি, বোঝোওনি; প্রাচীনকাল থেকেই তোমাদের কান খোলা থাকেনি। তোমরা যে কেমন বিশ্বাসঘাতক, তা আমি ভালোভাবেই জানি; জন্ম থেকেই তোমরা বিদ্রোহী নামে আখ্যাত।
وَلَكِنْ مِنْ أَجْلِ اسْمِي أُبَطِّئُ غَضَبِي، وَأَكْبَحُهُ عَنْكَ مِنْ أَجْلِ حَمْدِي حَتَّى لَا أَسْتَأْصِلَكَ. | ٩ 9 |
আমার নিজেরই নামের অনুরোধে আমি আমার ক্রোধ চরিতার্থ করায় বিলম্ব করেছি; আমার নামের প্রশংসার জন্য আমি তা মুলতুবি রেখেছি, যেন তোমাদের উচ্ছেদসাধন না করি।
نَقَّيْتُكَ وَلَيْسَ كَالْفِضَّةِ وَامْتَحَنْتُكَ فِي كُورِ الأَلَمِ. | ١٠ 10 |
দেখো, আমি তোমাদের আগুনে বিশুদ্ধ করেছি, যদিও রুপোর মতো নয়; আমি তোমাদের কষ্টের চুল্লিতে পরখ করেছি।
قَدْ فَعَلْتُ هَذَا مِنْ أَجْلِ ذَاتِي، نَعَمْ مِنْ أَجْلِ ذَاتِي إِذْ كَيْفَ يُدَنَّسُ اسْمِي؟ أَنَا لَا أُعْطِي مَجْدِي لِآخَرَ. | ١١ 11 |
আমার নিজের জন্য, হ্যাঁ, আমার নিজেরই জন্য, আমি এরকম করি। কেমন করে আমি আমার নামের অপমান হতে দিতে পারি? আমার মহিমা আমি আর অন্য কাউকে দিতে পারি না।
اسْمَعْ لِي يَا يَعْقُوبُ، وَيَا إِسْرَائِيلُ الَّذِي دَعَوْتُهُ. أَنَا هُوَ الأَوَّلُ وَالآخِرُ. | ١٢ 12 |
“ওহে যাকোব, আমার কথা শোনো, শোনো ইস্রায়েল, যাকে আমি আহ্বান করেছি: আমিই তিনি; আমিই প্রথম ও আমিই শেষ।
قَدْ أَرْسَتْ يَدِي قَوَاعِدَ الأَرْضِ، وَبَسَطَتْ يَمِينِي السَّمَاوَاتِ، أَدْعُوهُنَّ فَيَمْثُلْنَ مَعاً. | ١٣ 13 |
আমার নিজের হাত পৃথিবীর ভিত্তিমূলগুলি স্থাপন করেছে, আমার ডান হাত আকাশমণ্ডলকে প্রসারিত করেছে; যখন আমি তাদের তলব করি, তারা একসঙ্গে উঠে দাঁড়ায়।
اجْتَمِعُوا كُلُّكُمْ وَأَنْصِتُوا: مَنْ مِنْ بَيْنِ الأَصْنَامِ أَنْبَأَ بِهَذِهِ؟ إِنَّ الرَّبَّ أَحَبَّ كُورَشَ، وَهُوَ يُنَفِّذُ قَضَاءَهُ عَلَى بَابِلَ وَيَكُونُ ذِرَاعُهُ عَلَى الْكَلْدَانِيِّينَ. | ١٤ 14 |
“তোমরা সকলে একসঙ্গে এসো ও শোনো, প্রতিমাগুলির মধ্যে কে আগাম এসব বিষয়ের কথা বলেছে? সদাপ্রভুর মনোনীত সহায়ক, ব্যাবিলনের বিরুদ্ধে তাঁর ইচ্ছা পূর্ণ করবে; তাঁর বাহু ব্যাবিলনীয়দের বিরুদ্ধে উঠবে।
لَقَدْ دَعَوْتُ أَنَا بِذَاتِي كُورُشَ وَعَهِدْتُ إِلَيْهِ بِمَا أُرِيدُ، وَسَأُكَلِّلُ أَعْمَالَهُ بِالْنَّجَاحِ | ١٥ 15 |
আমি, হ্যাঁ আমিই, একথা বলেছি, হ্যাঁ, আমিই তাকে আহ্বান করেছি। আমি তাকে নিয়ে আসব, আর সে তার লক্ষ্যে সফল হবে।
اقْتَرِبُوا مِنِّي وَاسْمَعُوا: مُنْذُ الْبَدْءِ لَمْ أَتَكَلَّمْ خُفْيَةً، وَلَدَى حُدُوثِهَا كُنْتُ حَاضِراً هُنَاكَ. وَالآنَ، قَدْ أَرْسَلَنِي السَّيِّدُ الرَّبُّ وَرُوحُهُ بِهَذِهِ الرِّسَالَةِ: | ١٦ 16 |
“তোমরা আমার কাছে এসো ও একথা শোনো: “আদি থেকে আমি কোনো কথা গোপনে বলিনি; যখন তা ঘটে, আমি সেখানে উপস্থিত থাকি।” আর এখন সার্বভৌম সদাপ্রভু তাঁর আত্মা সহ আমাকে প্রেরণ করেছেন।
هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ فَادِيكَ قُدُّوسُ إِسْرَائِيلَ: أَنَا هُوَ الرَّبُّ إِلَهُكَ الَّذِي يُعَلِّمُكَ مَا فِيهِ نَفْعٌ لَكَ، وَيَهْدِيكَ فِي النَّهْجِ الَّذِي عَلَيْكَ أَنْ تَسْلُكَهُ. | ١٧ 17 |
সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যিনি তোমাদের মুক্তিদাতা, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতম জন, “আমি সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের পক্ষে যা সর্বোৎকৃষ্ট, তিনি তাই তোমাদের শেখান, যে পথে তোমাদের চলা উচিত, তিনি তোমাদের সেই পথ প্রদর্শন করেন।
لَيْتَكَ أَطَعْتَ وَصَايَايَ لَكَانَ سَلامُكَ كَالنَّهْرِ، وَبِرُّكَ كَأَمْوَاجِ الْبَحْرِ، | ١٨ 18 |
কেবলমাত্র যদি তোমরা আমার আদেশগুলির প্রতি মনোযোগ দিতে, তোমাদের শান্তি হত নদীর প্রবাহিত স্রোতের মতো, তোমাদের ধার্মিকতা হত সমুদ্রতরঙ্গের মতো।
وَلَكَانَتْ ذُرِّيَّتُكَ كَالرَّمْلِ، وَنَسْلُ أَحْشَائِكَ كَعَدَدِ حَبَّاتِهِ، فَلا يُسْتَأْصَلُ أَوْ يَنْقَرِضُ اسْمُهُ مِنْ أَمَامِي. | ١٩ 19 |
তোমাদের বংশধরেরা হত বালুকার মতো, তোমাদের সন্তানেরা হত বালুকণার মতো অসংখ্য; তাদের নাম কখনও মুছে ফেলা হত না, কিংবা আমার সামনে থেকে তারা কখনও বিলুপ্ত হত না।”
اكْسِرُوا أَغْلالَ الأَسْرِ. ارْحَلُوا عَنْ بَابِلَ. ارْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ بِالْغِنَاءِ حَتَّى يَذِيعَ فِي أَرْجَاءِ الدُّنْيَا أَنَّ الرَّبَّ قَدْ فَدَى عَبْدَهُ يَعْقُوبَ. | ٢٠ 20 |
তোমরা ব্যাবিলন ত্যাগ করো, ব্যাবিলনীয়দের কাছ থেকে পলায়ন করো! আনন্দরবের সঙ্গে একথা প্রচার করো, ঘোষণা করো সেই বার্তা। পৃথিবীর প্রান্তসীমা পর্যন্ত তা পৌঁছে দাও; বলো, “সদাপ্রভু তাঁর দাস যাকোবকে মুক্ত করেছেন।”
لَمْ يَعْطَشُوا عِنْدَمَا اجْتَازَ بِهِمْ عَبْرَ الصَّحْرَاءِ. فَجَّرَ لَهُمُ الْمِيَاهَ مِنَ الصَّخْرِ. شَقَّهُ فَتَدَفَّقَتْ مِنْهُ الْمِيَاهُ. | ٢١ 21 |
মরুভূমির মধ্য দিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় তারা পিপাসিত হয়নি; তাদের জন্য তিনি শিলাপ্রস্তর বিদীর্ণ করে জল প্রবাহিত করেছিলেন; তিনি শিলা বিদীর্ণ করেছিলেন আর জল প্রবাহিত হয়েছিল।
أَمَّا الأَشْرَارُ فَلا سَلامَ لَهُمْ يَقُولُ الرَّبُّ. | ٢٢ 22 |
সদাপ্রভু বলেন, “দুষ্ট লোকেদের কোনো শান্তি নেই।”