< إشَعْياء 45 >
هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ لِكُورَشَ مُخْتَارِهِ، الَّذِي أَخَذْتُ بِيَمِينِهِ حَتَّى أُخْضِعَ أَمَامَهُ أُمَماً وَأَكْسِرَ شَوْكَةَ مُلُوكٍ، لأَفْتَحَ أَمَامَهُ كُوَّاتٍ وَلا تُوْصَدُ فِي وَجْهِهِ مَصَارِيعُ. | ١ 1 |
“সদাপ্রভু তাঁর অভিষিক্ত জন কোরস সম্পর্কে এই কথা বলেন, আমি তার ডান হাত ধরে আছি, যেন সব জাতিকে তার সামনে নত করি এবং সব রাজার রণসাজ খুলে ফেলি, যেন তার সামনে সব দরজা উন্মুক্ত হয়, যেন কোনও দুয়ার বন্ধ না থাকে।
هَا أَنَا أَتَقَدَّمُكَ لأُسَوِّيَ الْجِبَالَ بِالأَرْضِ وَأُحَطِّمَ أَبْوَابَ النُّحَاسِ، وَأُكَسِّرَ مَغَالِيقَ الْحَدِيدِ، | ٢ 2 |
আমি তোমার আগে আগে যাব এবং সব পাহাড়-পর্বতকে সমভূমি করব; আমি পিতলের সব দুয়ার ভেঙে ফেলব ও লোহার সব অর্গল কেটে দেব।
وَأَهَبَكَ كُنُوزَ الأَقْبِيَةِ الْمُظْلِمَةِ وَذَخَائِرَ الْمَخَابِئِ، لِتَعْرِفَ أَنِّي أَنَا هُوَ الرَّبُّ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ الَّذِي دَعَاكَ بِاسْمِكَ. | ٣ 3 |
আমি অন্ধকারে রাখা সব ঐশ্বর্য তোমাকে দেব, দেব সেইসব সম্পদ, যেগুলি গুপ্ত স্থানে রাখা আছে, যেন তুমি জানতে পারো যে, আমিই সদাপ্রভু, আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বর, যিনি তোমার নাম ধরে ডাকেন।
لأَجْلِ عَبْدِي يَعْقُوبَ، وَإِسْرَائِيلَ مُخْتَارِي دَعَوْتُكَ بِاسْمِكَ، لَقَّبْتُكَ مِنْ غَيْرِ أَنْ تَعْرِفَنِي. | ٤ 4 |
আমার দাস যাকোব ও আমার মনোনীত ইস্রায়েলের কারণে, আমি তোমার নাম ধরে তোমাকে ডাকি ও তুমি আমাকে না জানলেও আমি তোমাকে সম্মানের উপাধি দিয়েছি।
أَنَا هُوَ الرَّبُّ وَلا إِلَهَ غَيْرِي. لَيْسَ هُنَاكَ آخَرُ، شَدَّدْتُكَ مَعَ أَنَّكَ لَمْ تَعْرِفْنِي. | ٥ 5 |
আমিই সদাপ্রভু, অন্য আর কেউ নয়; আমি ছাড়া আর কোনো ঈশ্বর নেই। তুমি আমাকে না জানা সত্ত্বেও আমি তোমাকে শক্তিশালী করব।
حَتَّى يُدْرِكَ النَّاسُ مِنْ مَشْرِقِ الشَّمْسِ وَمِنْ مَغْرِبِهَا أَنِّي أَنَا هُوَ الرَّبُّ وَلَيْسَ هُنَاكَ آخَرُ. | ٦ 6 |
যেন সূর্যোদয়ের স্থান থেকে তার অস্তস্থান পর্যন্ত, লোকেরা জানতে পারে যে, আমি ছাড়া আর কেউ নেই। আমিই সদাপ্রভু, আর কেউ নয়।
أَنَا مُبْدِعُ النُّورِ وَخَالِقُ الظُّلْمَةِ، أَنَا صَانِعُ الْخَيْرِ وَخَالِقُ الضُّرِّ، أَنَا هُوَ الرَّبُّ فَاعِلُ كُلِّ هَذِهِ. | ٧ 7 |
আমিই আলো গঠন ও অন্ধকার সৃষ্টি করি, আমি সমৃদ্ধি নিয়ে আসি ও বিপর্যয় সৃষ্টি করি; আমি সদাপ্রভুই এই সমস্ত কাজ করি।
اهْطِلِي أَيَّتُهَا السَّمَاوَاتُ مِنْ فَوْقُ، وَأَمْطِرِي يَا غُيُومُ بِرّاً، لِتَنْفَتِحِ الأَرضُ حَتَّى يُثْمِرَ الْخَلاصُ، وَيَنْبُتَ الْبِرُّ. أَنَا خَلَقْتُهُ. | ٨ 8 |
“ঊর্ধ্বাকাশ, তুমি ধার্মিকতা বর্ষণ করো; মেঘমালা তা নিচে বর্ষণ করুক। পৃথিবীর ভূমি উন্মুক্ত হোক, অঙ্কুরিত হোক পরিত্রাণ, তার সঙ্গে ধার্মিকতা বৃদ্ধি পাক; আমি সদাপ্রভু তা সৃষ্টি করেছি।
وَيْلٌ لِمَنْ يُخَاصِمُ صَانِعَهُ وَهُوَ لَيْسَ سِوَى قِطْعَةِ خَزَفٍ مِنْ خَزَفِ الأَرْضِ. أَيَقُولُ الطِّينُ لِجَابِلِهِ: مَاذَا تَصْنَعُ؟ أَوْ إِنَّ مَا عَمِلْتَهُ تَنْقُصُهُ يَدَانِ؟ | ٩ 9 |
“ধিক্ সেই লোককে যে তার নির্মাতার সঙ্গে বিবাদ করে, যার কাছে সে মাটির খাপরাগুলির মধ্যে একটি খাপরা মাত্র। মাটি কি কুমোরকে বলতে পারে, ‘তুমি কী তৈরি করছ?’ তোমার কর্ম কি বলতে পারে, ‘তোমার কোনো হাত নেই?’
وَيْلٌ لِمَنْ يَقُولُ لِوَالِدٍ: مَاذَا أَنْجَبْتَ؟ أَوْ لأُمٍّ: بِمَاذَا تَتَمَخَّضِينَ؟ | ١٠ 10 |
ধিক্ সেই মানুষ, যে তার বাবাকে বলে, ‘তুমি কী জন্ম দিয়েছ?’ কিংবা তার মাকে বলে, ‘তুমি কী প্রসব করেছ?’
هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ قُدُّوسُ إِسْرَائِيلَ وَصَانِعُهُ: أَتَسْأَلُونَنِي فِي سِيَاقِ الأَحْدَاثِ الآتِيَةِ عَنْ أَبْنَائِي، أَمْ تُوصُونَنِي بِعَمَلِ يَدِي؟ | ١١ 11 |
“সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতম জন, যিনি তার স্রষ্টা, তিনি এই কথা বলেন, ভাবীকালে যা ঘটবে, আমার সন্তানদের প্রসঙ্গে তোমরা কি প্রশ্ন করছ, অথবা, আমার হাতের কাজ সম্পর্কে তোমরা আমাকে আদেশ দিচ্ছ?
لَقَدْ صَنَعْتُ الأَرْضَ وَخَلَقْتُ الإِنْسَانَ عَلَيْهَا، وَيَدَايَ هُمَا اللَّتَانِ بَسَطَتَا السَّمَاوَاتِ، وَأَنَا أَمَرْتُ كَوَاكِبَهَا. | ١٢ 12 |
আমি পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছি, তার উপরে সৃষ্টি করেছি সমস্ত মানুষ। আমার নিজের হাত আকাশমণ্ডলকে প্রসারিত করেছে, আমি তাদের নক্ষত্রবাহিনীকে বিন্যস্ত করেছি।
أَنَا أَقَمْتُ كُورُشَ لِيُجْرِيَ الْعَدْلَ، وَأَنَا أُمَهِّدُ طُرُقَهُ كُلَّهَا، فَيَبْنِي مَدِينَتِي وَيُطْلِقُ سَرَاحَ أَسْرَاي، لَا بِثَمَنٍ وَلا لِقَاءَ مُكَافَأَةٍ، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ. | ١٣ 13 |
আমি আমার ধার্মিকতায় সাইরাসকে তুলে ধরব: আমি তার সব পথ সরল করব। সে আমার নগর পুনর্নির্মাণ করবে এবং আমার নির্বাসিতদের মুক্ত করে দেবে, কিন্তু কোনো মূল্য বা পুরস্কারের জন্য নয়, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন।”
يَقُولُ الرَّبُّ: يَأْتِي إِلَيْكُمُ الْمِصْرِيُّونَ وَالْكُوشِيُّونَ وَالسَّبَئِيُّونَ بِكُلِّ مَا يَمْلِكُونَهُ مِنْ ثَرْوَاتٍ، وَيَضَعُونَهَا عِنْدَ أَقْدَامِكُمْ، وَيَصِيرُونَ رَعَايَاكُمْ، يَمْشُونَ خَلْفَكُمْ مُصَفَّدِينَ بِالأَغْلالِ، وَيَخُرُّونَ سَاجِدِينَ أَمَامَكُمْ قَائِلِينَ: حَقّاً إنَّ الرَّبَّ مَعَكُمْ ولا إِلَهَ سِوَى إِلَهِكُمْ. هُوَ وَحْدَهُ الإِلَهُ لَا غَيْرَهُ. | ١٤ 14 |
সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “মিশরের সমস্ত উৎপন্ন দ্রব্য ও কূশের পণ্যসামগ্রী, আর সেই দীর্ঘকায় সবায়িয়েরা, তারা তোমার কাছে আসবে এবং তারা তোমারই হবে; তারা তোমার পিছনে ক্লান্ত পায়ে আসবে, শৃঙ্খলিত অবস্থায় তোমার কাছে আসবে। তারা তোমার সামনে প্রণত হবে এবং এই কথা বলে তোমার কাছে অনুনয় করবে, ‘ঈশ্বর নিশ্চয়ই তোমার সঙ্গে আছেন, তিনি ছাড়া আর কোনো ঈশ্বর নেই।’”
حَقّاً أَنْتَ هُوَ إِلَهٌ يَحْجِبُ نَفْسَهُ، إِلَهُ إِسْرَائِيلَ الْمُخَلِّصُ. | ١٥ 15 |
ও ঈশ্বর এবং ইস্রায়েলের পরিত্রাতা, সত্যিই তুমি নিজেকে লুকিয়ে রাখো।
لَقَدْ خَزُوا وَخَجِلُوا جَمِيعُهُمْ، وَمَضَى صَانِعُو الأَصْنَامِ وَهُمْ يَجُرُّونَ أَذْيَالَ الْعَارِ. | ١٦ 16 |
যারা প্রতিমা নির্মাণকারী, তারা সকলেই লজ্জিত ও অপমানিত হবে, তারা একসঙ্গে অপমানিত হয়ে বিদায় নেবে।
أَمَّا إِسْرَائِيلُ فَقَدْ خَلَّصَهُ الرَّبُّ بِخَلاصٍ أَبَدِيٍّ، وَلَنْ يَلْحَقَكُمْ عَارٌ أَوْ خِزْيٌ مَدَى الدُّهُورِ، | ١٧ 17 |
কিন্তু সদাপ্রভু চিরস্থায়ী পরিত্রাণের দ্বারা ইস্রায়েলের পরিত্রাণ করবেন; তোমরা অনন্তকালেও আর কখনও লজ্জিত বা অপমানিত হবে না।
لأَنَّ هَكَذَا يَقُولُ الرَّبُّ خَالِقُ السَّمَاوَاتِ، إِنَّهُ اللهُ مَكَوِّنُ الأَرْضِ وَصَانِعُهَا، وَمُرْسِي قَوَاعِدِهَا: لَمْ يَخْلُقْهَا لِتَكُونَ خَوَاءً، بَلْ لِتُصْبِحَ آهِلَةً بِسُكَّانِهَا. أَنَا هُوَ الرَّبُّ وَلَيْسَ هُنَاكَ آخَرُ. | ١٨ 18 |
কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যিনি আকাশমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনি ঈশ্বর; যিনি পৃথিবীকে আকার দিয়ে নির্মাণ করেছেন, তিনি তার প্রতিষ্ঠা করেছেন; তিনি তা শূন্য রাখার জন্য সৃষ্টি করেননি, কিন্তু তা বসতিস্থান হওয়ার জন্যই গঠন করেছেন। তিনি বলেন, “আমি সদাপ্রভু, আর অন্য কেউই নয়।
لَمْ أَتَكَلَّمْ خِفْيَةً بِكَلامِي فِي أَرْضِ الْظُّلْمَةِ، وَلَمْ أَطْلُبْ مِنْ ذُرِّيَّةِ يَعْقُوبَ أَنْ يَلْتَمِسُونِي بَاطِلاً. أَنَا الرَّبُّ النَّاطِقُ بِالْحَقِّ، أُعْلِنُ مَا هُوَ صِدْقٌ. | ١٩ 19 |
আমি গোপনে কথা বলিনি, কোনো অন্ধকারময় দেশের কোনো প্রান্ত থেকে; আমি যাকোবের বংশধরদের বলিনি, ‘বৃথাই আমার অন্বেষণ করো।’ আমি সদাপ্রভু, আমি সত্যিকথা বলি; যা ন্যায়সংগত, সেকথাই ঘোষণা করি।
اجْتَمِعُوا وَتَعَالَوْا. اقْتَرِبُوا مَعاً أَيُّهَا النَّاجُونَ مِنَ الأُمَمِ، فَإِنَّ الْجُهَّالَ وَحْدَهُمْ هُمُ الَّذِينَ يَحْمِلُونَ الأَصْنَامَ الْخَشَبِيَّةَ وَيُوَاظِبُونَ عَلَى الصَّلاةِ لإِلَهٍ لَا يُخَلِّصُ. | ٢٠ 20 |
“তোমরা একসঙ্গে জড়ো হও ও এসো; বিভিন্ন দেশ থেকে পলাতকেরা, তোমরা সমবেত হও। তারা অজ্ঞ, যারা কাঠের মূর্তি বয়ে নিয়ে বেড়ায়, যারা সেই দেবতাদের কাছে প্রার্থনা করে, যারা রক্ষা করতে পারে না।
أَعْلِنُوا، وَاعْرِضُوا دَعْوَاكُمْ. لِيَتَشَاوَرُوا مَعاً. مَنْ أَنْبَأَ بِهَذَا مُنْذُ الْقِدَمِ، وَمَنْ أَخْبَرَ بِهِ مِنْ زَمَنٍ بَعِيدٍ؟ أَلَسْتُ أَنَا الرَّبُّ وَلا إِلَهَ غَيْرِي؟ بَارٌّ وَمُخَلِّصٌ، وَلَيْسَ هُنَاكَ آخَرُ. | ٢١ 21 |
কী ঘটবে তা ঘোষণা করো, উপস্থাপিত করো— তারা সবাই একসঙ্গে মন্ত্রণা করুক। কে পূর্ব থেকে একথা বলেছে, কে সুদূর অতীতকালে তা ঘোষণা করেছে? আমি সদাপ্রভু, তা কি করিনি? আর আমি ছাড়া অন্য কোনো ঈশ্বর নেই, আমিই ধর্মময় ঈশ্বর ও পরিত্রাতা; আমি ছাড়া আর কেউ নেই।
الْتَفِتُوا إِلَيَّ وَاخْلُصُوا يَا جَمِيعَ أَقَاصِي الأَرْضِ، لأَنِّي أَنَا اللهُ وَلَيسَ هُنَاكَ آخَرُ. | ٢٢ 22 |
“ওহে পৃথিবীর প্রান্তনিবাসী সকলে, আমার দিকে ফেরো ও পরিত্রাণ পাও; কারণ আমিই ঈশ্বর, আর কেউ নয়।
لَقَدْ أَقْسَمْتُ بِذَاتِي، وَخَرَجَتْ مِنْ فَمِي، بِكُلِّ صِدْقٍ، كَلِمَةٌ لَا تُنْقَضُ: إِنَّهُ سَتَجْثُو لِي كُلُّ رُكْبَةٍ وَيُقْسِمُ بِي كُلُّ لِسَانٍ. | ٢٣ 23 |
আমি নিজেই শপথ নিয়েছি, সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে আমার মুখ তা উচ্চারণ করেছে, এমন এক বাণী যা প্রত্যাহৃত হবে না: প্রত্যেকের জানু আমার সামনে পাতিত হবে; আমার নামে সমস্ত জিভ শপথ করবে।
وَيَقُولُونَ عَنِّي: إِنَّمَا بِالرَّبِّ وَحْدَهُ الْبِرُّ وَالْقُوَّةُ، وَكُلُّ مَنْ يَغْتَاظُ مِنْه يَأْتِي إِلَى الرَّبِّ وَيَخْزَى. | ٢٤ 24 |
তারা আমার বিষয়ে বলবে, ‘কেবলমাত্র সদাপ্রভুতেই আছে ধার্মিকতা ও শক্তি।’” যারাই তাঁর বিরুদ্ধে ক্রুদ্ধ হয়েছে, তারা তাঁর কাছে এসে লজ্জিত হবে।
أَمَّا ذُرِّيَّةُ إِسْرَائِيلَ فَبِالرَّبِّ يَتَبَرَّرُونَ وَبِهِ يَزْهُونَ. | ٢٥ 25 |
কিন্তু সদাপ্রভুতে ইস্রায়েলের সমস্ত বংশধর ধার্মিক গণিত হবে ও গৌরব লাভ করবে।