< إشَعْياء 43 >
أَمَّا الآنَ، فَهَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ خَالِقُكَ يَا يَعْقُوبُ وَجَابِلُكَ يَا إِسْرَائِيلُ: «لا تَجْزَعْ لأَنِّي افْتَدَيْتُكَ، دَعَوْتُكَ بِاسْمِكَ. أَنْتَ لِي. | ١ 1 |
কিন্তু এখন, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ওহে যাকোব, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, ওহে ইস্রায়েল, যিনি তোমাকে গঠন করেছেন, “তুমি ভয় পেয়ো না, কারণ আমি তোমাকে মুক্ত করেছি; আমি নাম ধরে তোমাকে ডেকেছি; তুমি আমার।
إِذَا اجْتَزْتَ فِي وَسَطِ الْمِيَاهِ أَكُونُ مَعَكَ، وَإِنْ خُضْتَ الأَنْهَارَ لَا تَغْمُرُكَ. إِنْ عَبَرْتَ فِي النَّارِ لَا تَلْذَعُكَ. وَاللهِيبُ لَا يُحْرِقُكَ. | ٢ 2 |
তুমি যখন জলরাশির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করবে, আমি তোমার সঙ্গে থাকব; তুমি যখন নদনদীর মধ্য দিয়ে যাবে, সেগুলি তোমাকে মগ্ন করতে পারবে না। যখন তুমি আগুনের মধ্য দিয়ে যাবে, তুমি দগ্ধ হবে না; সেই আগুনের শিখা তোমাকে পুড়িয়ে ফেলবে না।
لأَنِّي أَنَا هُوَ الرَّبُّ إِلَهُكَ، قُدُّوسُ إِسْرَائِيلَ مُخَلِّصُكَ، قَدْ جَعَلْتُ مِصْرَ فِدْيَةً عَنْكَ وَكُوشَ وَسَبَأَ عِوَضاً عَنْكَ. | ٣ 3 |
কারণ আমি সদাপ্রভু, তোমার ঈশ্বর, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতম জন, তোমার পরিত্রাতা; তোমার মুক্তিমূল্যরূপে আমি মিশরকে, তোমার পরিবর্তে আমি কূশ ও সবাকে দিয়েছি।
إِذْ أَصْبَحْتَ كَرِيماً فِي عَيْنَيَّ، وَعَزِيزاً وَمَحْبُوباً، فَقَدْ بَادَلْتُ أُنَاساً بِكَ، وَقَايَضْتُ أُمَماً عِوَضاً عَنْ حَيَاتِكَ. | ٤ 4 |
তুমি যেহেতু আমার দৃষ্টিতে বহুমূল্য ও মর্যাদার পাত্র, আর আমি যেহেতু তোমাকে ভালোবাসি, আমি তোমার পরিবর্তে অপর মানুষজনকে দেব, তোমার জীবনের পরিবর্তে বিভিন্ন জাতিকে দেব।
لَا تَجْزَعْ لأَنِّي مَعَكَ. سَأَلِمُّ شَتَاتَ ذُرِّيَّتِكَ مِنَ الْمَشْرِقِ، وَأَجْمَعُكَ مِنَ الْمَغْرِبِ. | ٥ 5 |
তুমি ভয় পেয়ো না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে আছি; আমি পূর্বদিক থেকে তোমার সন্তানদের নিয়ে আসব এবং পশ্চিমদিক থেকে তোমাকে সংগ্রহ করব।
أَقُولُ لِلشِّمَالِ: أَطْلِقْهُمْ مِنْ عِقَالِكَ، وَللْجَنُوبِ لَا تَحْجِزْهُمْ. اجْمَعْ أَبْنَائِي مِنْ بَعِيدٍ وَبَنَاتِي مِنْ أَقَاصِي الأَرْضِ، | ٦ 6 |
আমি উত্তর দিককে বলব, ‘ওদের ছেড়ে দাও!’ দক্ষিণ দিককে বলব, ওদের আটকে রেখো না। দূর থেকে আমার পুত্রদের এবং পৃথিবীর প্রান্তসীমা থেকে আমার কন্যাদের নিয়ে এসো,
كُلَّ مَنْ يُدْعَى بِاسْمِي مِمَّنْ خَلَقْتُهُ لِمَجْدِي وَجَبَلْتُهُ وَصَنَعْتُهُ». | ٧ 7 |
যারা আমার নামে আখ্যাত, যাদের আমি আমার গৌরবের জন্য সৃষ্টি করেছি, যাদের আমি গঠন করে তৈরি করেছি, তাদের নিয়ে এসো।”
أَخْرِجِ الشَّعْبَ الأَعْمَى وَإِنْ كَانَتْ لَهُ عُيُونٌ، وَالأَصَمَّ وَإِنْ كَانَتْ لَهُ آذَانٌ. | ٨ 8 |
তাদের বের করে আনো, যারা চোখ থাকতেও অন্ধ, কান থাকতেও বধির।
لِتَجْتَمِعِ الأُمَمُ بِأَسْرِهَا، وَلْتَحْتَشِدِ الشُّعُوبُ. مَنْ مِنْهُمْ يُنْبِئُ بِهَذَا، وَيُخْبِرُنَا بِالأُمُورِ السَّالِفَةِ؟ لِيُقَدِّمُوا شُهُودَهُمْ إِثْبَاتاً لِصِدْقِهِمْ، أَوْ لِيَسْمَعُوا وَيَقُولُوا: هَذَا صِدْقٌ. | ٩ 9 |
সব দেশ এক জায়গায় সমবেত হও এবং জাতিসমূহ জড়ো হও এক স্থানে। তাদের মধ্যে কে পূর্ব থেকে একথা বলেছিল এবং পূর্বেকার বিষয়গুলি আমাদের কাছে ঘোষণা করেছিল? নিজেদের সঠিক প্রমাণ করার জন্য তারা সাক্ষীদের নিয়ে আসুক, যেন অন্যেরা তা শুনে বলতে পারে, “একথা সত্যি।”
أَنْتُمْ شُهُودِي يَقُولُ الرَّبُّ، وَعَبْدِي الَّذِي اصْطَفَيْتُهُ، لِتَعْلَمُوا وَتُؤْمِنُوا بِي، وَتُدْرِكُوا أَنِّي أَنَا أَنَا هُوَ اللهُ، لَمْ يُوْجَدْ إِلَهٌ قَبْلِي وَلا يَكُونُ إِلَهٌ بَعْدِي. | ١٠ 10 |
সদাপ্রভু বলেন, “তোমরা আমার সাক্ষী এবং আমার দাস, যাদের আমি মনোনীত করেছি, যেন তোমরা আমাকে জানতে ও বিশ্বাস করতে পারো ও বুঝতে পারো যে, আমিই তিনি। আমার পূর্বে কোনো দেবতা গঠিত হয়নি, আমার পরেও কেউ আর হবে না।
أَنَا هُوَ الرَّبُّ، وَلا مُخَلِّصَ غَيْرِي. | ١١ 11 |
আমি, হ্যাঁ আমিই সদাপ্রভু, আমি ছাড়া আর কোনো পরিত্রাতা নেই।
إِنِّي أَنْبَأْتُ وَخَلَّصْتُ وَأَعْلَنْتُ أَنَا، وَلَيْسَ إِلَهٌ غَرِيبٌ بَيْنَكُمْ. أَنْتُمْ شُهُودِي أَنِّي أَنَا اللهُ، يَقُولُ الرَّبُّ. | ١٢ 12 |
আমিই প্রকাশ করেছি, উদ্ধার করেছি ও ঘোষণা করেছি— হ্যাঁ, আমিই করেছি, তোমাদের মধ্যে স্থিত কোনো বিজাতীয় দেবতা নয়।” সদাপ্রভু বলেন, “তোমরাই আমার সাক্ষী, যে আমি ঈশ্বর।
مُنْذُ الْبَدْءِ أَنَا هُوَ اللهُ وَلَيْسَ مُنْقِذٌ مِنْ يَدِي. أَفْعَلُ وَمَنْ يُبْطِلُ عَمَلِي؟ | ١٣ 13 |
হ্যাঁ তাই, পুরাকাল থেকে আমিই তিনি। আমার হাত থেকে কেউ নিস্তার করতে পারে না। যখন আমি সক্রিয় হই, তখন কে তা অন্যথা করবে?”
هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ فَادِيكُمْ قُدُّوسُ إِسْرَائِيلَ، هَا أَنَا مِنْ أَجْلِكُمْ أَرْسَلْتُ إِلَى بَابِلَ لأُحَطِّمَ الْمَغَالِيقَ، فَيُصْبِحُ الْبَابِلِيُّونَ فِي سُفُنِهِمِ الَّتِي يُبَاهُونَ بِها مَطْرُودِينَ هَارِبِينَ. | ١٤ 14 |
সদাপ্রভু, যিনি তোমার মুক্তিদাতা, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতম জন এই কথা বলেন: “তোমাদের জন্য আমি ব্যাবিলনে সৈন্যদল প্রেরণ করব এবং যে জাহাজগুলির জন্য ব্যাবিলনিয়েরা গর্ব করত, আমি সেগুলিতে সমস্ত ব্যাবিলনীয়কে পলাতক করব।
أَنَا هُوَ الرَّبُّ قُدُّوسُكُمْ خَالِقُ إِسْرَائِيلَ وَمَلِكُكُمْ. | ١٥ 15 |
আমিই সদাপ্রভু, তোমাদের সেই পবিত্রজন, আমি ইস্রায়েলের সৃষ্টিকর্তা, তোমাদের রাজাধিরাজ।”
هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ الصَّانِعُ فِي الْبَحْرِ طَرِيقاً، وَمَمَرّاً فِي اللُّجَجِ الْعَمِيقَةِ، | ١٦ 16 |
সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যিনি সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে চলাচলের পথ ও মহাজলরাশির মধ্য দিয়ে অতিক্রমের পথ তৈরি করেছিলেন,
الَّذِي يَسْتَدْرِجُ الْمَرْكَبَاتِ وَالْخُيُولَ وَالْجَيْشَ وَالْمُقَاتِلِينَ، فَيَسْقُطُونَ صَرْعَى جَمِيعاً وَلا يَقُومُونَ، وَيَخْمُدُونَ كَفَتِيلَةٍ وَيَنْطَفِئُونَ. | ١٧ 17 |
যিনি রথ ও অশ্ব, সৈন্যদল ও বীর যোদ্ধাদের একত্র বের করে এনেছিলেন, তারা সেখানেই পড়ে থাকল, আর কখনও না ওঠার জন্য, তারা সলতের মতো নিভে গেল, বিনষ্ট হল:
وَلَكِنَّكُمْ لَا تَتَذَكَّرُونَ الأُمُورَ السَّالِفَةَ وَلا تَعْتَبِرُونَ بِالأَحْدَاثِ الغَابِرَةِ | ١٨ 18 |
“তোমরা পুরোনো বিষয় সব ভুলে যাও; অতীতের মধ্যে আর বিচরণ কোরো না।
انْظُرُوا، هَا أَنَا أُنْجِزُ أَمْراً جَدِيداً يَنْشَأُ الآنَ، أَلا تَعْرِفُونَهُ؟ أَشُقُّ فِي الْبَرِّيَّةِ طَرِيقاً، وَفِي الصَّحْرَاءِ أَنْهَاراً، | ١٩ 19 |
দেখো, আমি নতুন এক কাজ করতে চলেছি! তা এখনই শুরু হবে; তোমরা কি তা বুঝতে পারবে না? আমি মরুভূমির মধ্য দিয়ে পথ ও প্রান্তরের মধ্য দিয়ে নদনদী তৈরি করব।
فَيُكْرِمُنِي وَحْشُ الصَّحْرَاءِ: الذِّئَابُ وَالنَّعَامُ لأَنِّي فَجَّرْتُ فِي الْقَفْرِ مَاءً، وَفِي الصَّحْرَاءِ أَنْهَاراً لأَسْقِيَ شَعْبِي الَّذِي اخْتَرْتُهُ، | ٢٠ 20 |
বন্যপশুরা আমার গৌরব করবে, শিয়াল ও প্যাঁচারাও করবে, কারণ আমি মরুভূমিতে জল জোগাই ও প্রান্তরের মধ্যে নদনদী বইয়ে দিই, যেন আমার প্রজারা, আমার মনোনীত জনেরা জলপান করতে পারে,
وَجَبَلْتُهُ لِنَفْسِي لِيُذِيعَ حَمْدِي. | ٢١ 21 |
যে প্রজাদের আমি নিজের জন্য গঠন করেছি, যেন তারা আমার প্রশংসা করে।
وَلَكِنَّكَ لَمْ تَلْتَمِسْنِي يَا يَعْقُوبُ، بَلْ سَئِمْتَ مِنِّي يَا إِسْرَائِيلُ. | ٢٢ 22 |
“তবুও, ওহে যাকোব, তুমি এখনও আমাকে ডাকোনি, ওহে ইস্রায়েল, আমাকে নিয়ে তুমি যেন ক্লান্ত হয়েছ।
لَمْ تَأْتِنِي بِشَاةٍ لِذَبِيحَةِ مُحْرَقَةٍ، وَلَمْ تُكْرِمْنِي بِقَرَابِينِكَ، مَعَ أَنِّي لَمْ أُثَقِّلْ عَلَيْكَ بِتَقْدِمَةٍ، وَلا أَرْهَقْتُكَ بِطَلَبِ اللُّبَانِ. | ٢٣ 23 |
হোমবলির জন্য তুমি আমার কাছে মেষ আনোনি, তোমার বলিদান সকলের দ্বারা আমার সম্মানও করোনি। আমি শস্য-নৈবেদ্যর জন্য তোমাকে ভারগ্রস্ত করিনি, আবার ধূপ উৎসর্গ দাবি করে তোমাকে বিব্রত করিনি।
لَمْ تَشْتَرِ لِي بَخُوراً ذَكِيَّ الرَّائِحَةِ، وَلَمْ تُشْبِعْنِي بِشَحْمِ ذَبَائِحِكَ. إِنَّمَا أَعْيَيْتَنِي بِثِقْلِ آثَامِكَ وَأَرْهَقْتَنِي بِذُنُوبِكَ. | ٢٤ 24 |
তুমি আমার জন্য কোনো সুগন্ধি বচ কেনোনি, কিংবা তোমার বলি সকলের মেদে আমাকে পরিতৃপ্ত করোনি। বরং তোমাদের পাপসকলের কারণে আমাকে ভারগ্রস্ত করেছ এবং তোমাদের সব অপরাধের কারণে আমাকে ক্লান্ত করেছ।
أَنَا، أَنَا هُوَ الْمَاحِي ذُنُوبَكَ مِنْ أَجْلِ ذَاتِي، وَخَطَايَاكَ لَنْ أَذْكُرَهَا. | ٢٥ 25 |
“আমি, হ্যাঁ আমিই আমার নিজের স্বার্থে, তোমাদের অধর্ম সকল মুছে ফেলি, তোমাদের পাপসকল আর স্মরণে আনব না।
هَيَّا إِلَى الْمُحَاكَمَةِ، وَاعْرِضْ عَلَيَّ دَعْوَاكَ، لِتَتَبَرَّرَ | ٢٦ 26 |
পূর্বের বিষয় সকল আমার জন্য পর্যালোচনা করো, এসো, আমরা সেই বিষয়ে পরস্পর তর্কবিতর্ক করি; তোমাদের নির্দোষিতার পক্ষে কারণ ব্যক্ত করো।
قَدْ أَخْطَأَ أَبُوكَ الأَوَّلُ، وَوُسَطَاؤُكَ عَصَوْا عَلَيَّ، | ٢٧ 27 |
তোমাদের আদিপিতা পাপ করেছিল; তোমাদের মুখপাত্রেরা আমার বিরুদ্ধে পাপ করেছিল।
لِذَلِكَ أُدَنِّسُ عُظَمَاءَ مَقَادِسِي وَأَقْضِي عَلَى إِسْرَائِيلَ بِالْهَلاكِ وَأَتْرُكُهُ عُرْضَةً لِلْخِزْيِ وَالْعَارِ. | ٢٨ 28 |
তাই, তোমাদের মন্দিরের বিশিষ্টজনেদের আমি অপমান করব, আমি যাকোবকে ধ্বংসের জন্য ও ইস্রায়েলকে বিদ্রুপ করার জন্য সমর্পণ করব।