< إشَعْياء 41 >

اصْمُتِي وَاسْمَعِي لِي أَيَّتُهَا الْجَزَائِرُ. لِتُجَدِّدِ الأُمَمُ قُوَّتَهَا وَلْيَتَقَدَّمُوا لِيَعْرِضُوا حُجَجَهُمْ. لِنَجْتَمِعْ مَعاً لِلْمُثُولِ أَمَامَ الْقَضَاءِ. ١ 1
“দ্বীপনিবাসী তোমরা, আমার সামনে নীরব হও! জাতিসমূহ তাদের শক্তি নবায়িত করুক! তারা সামনে এগিয়ে এসে কথা বলুক; এসো, আমরা বিচারের স্থানে পরস্পর মিলিত হই।
مَنْ أَقَامَ مِنَ الْمَشْرِقِ قَائِداً مُظَفَّراً، يُوَاكِبُ النَّصْرُ كُلَّ خُطْوَةٍ مِنْ خُطْوَاتِهِ، وَأَسْلَمَ الأُمَمَ إِلَيْهِ وَأَخْضَعَ لَهُ الْمُلُوكَ، وَجَعَلَهُمْ كَالتُّرَابِ بِسَيْفِهِ، وَكَالْعُصَافَةِ الْمُذَرَّاةِ بِقَوْسِهِ؟ ٢ 2
“পূর্বদিক থেকে একজনকে কে উত্তেজিত করেছে, যাকে তাঁর সেবার জন্য ন্যায়সংগতভাবে আহ্বান করা হয়েছে? তিনি জাতিসমূহকে তাঁর হাতে সমর্পণ করেন এবং রাজাদের তাঁর সামনে অবনত করেন। তাঁর তরোয়ালের দ্বারা তিনি তাদের ধুলায় মেশান, তাঁর ধনুকের দ্বারা উড়ে যাওয়া তুষের মতো করেন।
يَتَعَقَّبُهُمْ وَيَجُوزُ آمِناً فِي دُرُوبٍ لَمْ يَطَأْهَا بِقَدَمَيْهِ. ٣ 3
তিনি তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে অক্ষত গমন করেন, এমন এক পথে, যেখানে তাঁর চরণ পূর্বে গমন করেনি।
مَنْ فَعَلَ هَذَا وَأَنْجَزَهُ دَاعِياً الأَجْيَالَ مُنْذُ الْبَدْءِ؟ أَنَا الرَّبُّ. أَنَا الأَوَّلُ وَالآخِرُ. ٤ 4
কে এই কাজ করেছেন এবং তা করে গিয়েছেন, প্রথম থেকেই প্রজন্ম পরম্পরাকে কে আহ্বান করেছেন? এ আমি, সেই সদাপ্রভু, প্রথম ও শেষ, কেবলমাত্র আমিই তিনি।”
شَاهَدَتِ الْجَزَائِرُ فِعْلِي وَخَافَتْ، وَارْتَجَفَتْ أَقَاصِي الأَرْضِ فَتَجَمَّعُوا مَعاً. ٥ 5
দ্বীপসমূহ তা দেখেছে এবং ভয় পায়; পৃথিবীর প্রান্তসীমাসকল ভয়ে কম্পিত হয়। তারা সম্মুখীন হয় ও এগিয়ে আসে;
شَرَعَ كُلُّ وَاحِدٍ يُشَجِّعُ جَارَهُ قَائِلاً لَهُ: تَشَدَّدْ. ٦ 6
একে অপরকে সাহায্য করে এবং তার প্রতিবেশীকে বলে, “বলবান হও!”
فَشَجَّعَ الصَّانِعُ الصَّائِغَ، وَالصَّاقِلُ بِالْمِطْرَقَةِ الضَّارِبَ عَلَى السَّنْدَانِ قَائِلاً عَنِ الإِلْحَامِ: هَذَا عَمَلٌ جَيِّدٌ. ثُمَّ يُثَبِّتُ الصَّنَمَ بِمَسَامِيرَ كَيْ لَا يَتَقَلْقَلَ. ٧ 7
শিল্পকর স্বর্ণকারকে উৎসাহ দেয়, আর যে হাতুড়ি দিয়ে সমান করে, সে নেহাইয়ের উপরে যন্ত্রণাকারীকে উদ্দীপিত করে। সে জোড় দেওয়া ধাতুর বিষয়ে বলে, “ভালো হয়েছে।” সে প্রতিমায় পেরেক ঠোকে, যেন তা নড়ে না যায়।
أَمَّا أَنْتَ يَا إِسْرَائِيلُ عَبْدِي. يَا يَعْقُوبُ الَّذِي اصْطَفَيْتُهُ، يَا ذُرِّيَّةَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِي، ٨ 8
“কিন্তু তুমি, আমার দাস ইস্রায়েল, তুমি যাকোব, যাকে আমি মনোনীত করেছি, তুমি আমার বন্ধু অব্রাহামের বংশ,
يَا مَنْ أَخَذْتُكَ مِنْ أَقَاصِي الأَرْضِ، وَدَعَوْتُكَ مِنْ أَبْعَدِ أَطْرَافِهَا قَائِلاً لَكَ: أَنْتَ عَبْدِي. لَقَدِ اصْطَفَيْتُكَ وَلَمْ أَنْبِذْكَ. ٩ 9
আমি তোমাকে পৃথিবীর প্রান্তসীমা থেকে এনেছি, তার সুদূরতম প্রান্ত থেকে আমি তোমাকে আহ্বান করেছি। আমি বলেছি, ‘তুমি আমার দাস’; আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, অগ্রাহ্য করিনি।
لَا تَخَفْ لأَنِّي مَعَكَ. لَا تَتَلَفَّتْ حَوْلَكَ جَزَعاً، لأَنِّي إِلَهُكَ، أُشَدِّدُكَ وَأُعِينُكَ وَأَعْضُدُكَ بِيَمِينِ بِرِّي ١٠ 10
তাই ভয় কোরো না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে আছি; হতাশ হোয়ো না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর। আমি তোমাকে শক্তি দেব ও তোমাকে সাহায্য করব; আমার ধর্মময় ডান হাত দিয়ে তোমাকে ধরে রাখব।
يَعْتَرِي الْخِزْيُ وَالْعَارُ كُلَّ مَنْ يَغْتَاظُ مِنْكَ، وَيَتَلاشَى مُقَاوِمُوكَ كَالْعَدَمِ. ١١ 11
“যারা তোমার বিরুদ্ধে রেগে ওঠে, তারা অবশ্যই লজ্জিত ও অপমানিত হবে; যারা তোমার বিরোধিতা করে, তারা অসার প্রতিপন্ন হয়ে ধ্বংস হবে।
تَبْحَثُ عَنْ خُصُومِكَ فَلا تَجِدُ أَحَداً مِنْهُمْ، وَيُصْبِحُ مُحَارِبُوكَ كَلا شَيْءٍ، ١٢ 12
তুমি যদিও তোমার শত্রুদের খুঁজবে, তুমি তাদের সন্ধান পাবে না। যারা তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, তাদের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাবে না।
لأَنِّي أَنَا الرَّبُّ إِلَهُكَ الَّذِي يُمْسِكُ بِيَمِينِكَ قَائِلاً لَكَ: لَا تَخَفْ. سَأُعِينُكَ. ١٣ 13
কারণ আমি সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, যিনি ধারণ করেন তোমার ডান হাত এবং তোমাকে বলেন, ভয় কোরো না; আমি তোমাকে সাহায্য করব।
لَا تَخَفْ يَا يَعْقُوبُ الضَّعِيفُ كَالْحَشَرَةِ، وَيَا إِسْرَائِيلُ الْعَلِيلُ كَالشِّرْذِمَةِ، لأَنِّي سَأُعِينُكَ، يَقُولُ الرَّبُّ فَادِيكَ قُدُّوسُ إِسْرَائِيلَ. ١٤ 14
ওহে কীটসদৃশ যাকোব, ওহে নগণ্য ইস্রায়েল, তোমরা ভয় কোরো না, কারণ আমি স্বয়ং তোমাকে সাহায্য করব,” যিনি তোমাদের মুক্তিদাতা, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতম জন, সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।
وَهَا أَنَا أَجْعَلُكَ نَوْرَجاً مُحَدَّداً جَدِيداً مُسَنَّناً، فَتَدْرُسُ الْجِبَالَ وَتَجْعَلُ التِّلالَ كَالْعُصَافَةِ، ١٥ 15
“দেখো, আমি তোমাকে এক শস্য মাড়াই কল বানাব, নতুন এবং ধারালো, যার মধ্যে অনেক দাঁত থাকবে। তুমি পর্বতসমূহকে মাড়াই করে সেগুলি চূর্ণ করবে এবং পাহাড়গুলিকে তুষের মতো করবে।
فَتُذَرِّيهَا، وَتَحْمِلُهَا الرِّيحُ بَعِيداً، وَتُبَدِّدُهَا الزَّوْبَعَةُ. أَمَّا أَنْتَ فَتَبْتَهِجُ بِالرَّبِّ وَتُمَجِّدُ قُدُّوسَ إِسْرَائِيلَ. ١٦ 16
তুমি তাদের ঝাড়াই করে তাদের তুলে নেবে আর এক ঘূর্ণিবায়ু তাদের উড়িয়ে নিয়ে যাবে। তুমি কিন্তু সদাপ্রভুতে উল্লসিত হবে, ইস্রায়েলের পবিত্রতমজনের উপরে মহিমা করবে।
وَعِنْدَمَا يَلْتَمِسُ الْبَائِسُونَ وَالْمَسَاكِينُ مَاءً وَلا يَجِدُونَهُ، وَتَتَشَقَّقُ أَلْسِنَتُهُمْ مِنَ الْعَطَشِ، أَنَا الرَّبُّ أَسْتَجِيبُ لَهُمْ، أَنَا إِلَهُ إِسْرَائِيلَ لَا أَتَخَلَّى عَنْهُمْ. ١٧ 17
“দরিদ্র ও নিঃস্ব লোকেরা জলের অন্বেষণ করে, কিন্তু কোনো জল পাওয়া যায় না; তাদের জিভ পিপাসায় শুকিয়ে গেছে। কিন্তু আমি সদাপ্রভু তাদের উত্তর দেব; আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তাদের পরিত্যাগ করব না।
فَأُفَجِّرُ أَنْهَاراً عَلَى الْهِضَابِ وَيَنَابِيعَ فِي وَسَطِ الأَوْدِيَةِ، وَأُحَوِّلُ الْبَرِّيَّةَ إِلَى وَاحَةِ مَاءٍ وَالأَرْضَ الْقَاحِلَةَ إِلَى جَدَاوِلَ. ١٨ 18
আমি বৃক্ষহীন পর্বতশ্রেণীতে নদী প্রবাহিত করব, উপত্যকাগুলিতে উৎপন্ন করব জলের ফোয়ারা। মরুভূমিকে আমি পরিণত করব জলাশয়ে, শুষ্ক-ভূমিতে আমি বইয়ে দেব ঝর্ণাধারা।
وَأُنْبِتُ فِي الصَّحْرَاءِ الأَرْزَ وَالسَّنْطَ وَالآسَ وَشَجَرَ الزَّيْتُونِ، وَأُنَمِّي فِي الْبَرِّيَّةِ أَشْجَارَ السَّرْوِ وَالسِّنْدِيَانَ وَالشَّرْبِينَ جَمِيعاً، ١٩ 19
আমি মরুভূমিতে স্থাপন করব সিডার ও বাবলা, মেদি গাছ ও জলপাই গাছ। পরিত্যক্ত স্থানে আমি রোপণ করব দেবদারু, একইসঙ্গে ঝাউ ও চিরহরিৎ সব বৃক্ষ,
حَتَّى يَرَى النَّاسُ وَيُدْرِكُوا وَيَتَأَمَّلُوا وَيَفْهَمُوا مَعاً أَنَّ يَدَ الرَّبِّ هِيَ الَّتِي صَنَعَتْ هَذَا، وَأَنَّ قُدُّوسَ إِسْرَائِيلَ هُوَ الَّذِي أَبْدَعَهُ. ٢٠ 20
যেন লোকেরা দেখে ও জানতে পায়, বিবেচনা করে ও বুঝতে পারে, যে সদাপ্রভুরই হাত এসব করেছে, ইস্রায়েলের পবিত্রতম জন এ সকল সৃষ্টি করেছেন।
اعْرِضُوا دَعْوَاكُمْ يَقُولُ الرَّبُّ، وَقَدِّمُوا حُجَجَكُمْ يَقُولُ مَلِكُ إِسْرَائِيلَ. ٢١ 21
“সদাপ্রভু বলেন, তোমাদের মামলা উপস্থাপিত করো,” যাকোবের রাজা বলেন, “তোমাদের তর্কবিতর্কসকল উত্থাপন করো।
أَحْضِرُوا أَصْنَامَكُمْ لِيُنْبِئُونَا عَمَّا يَأْتِي بِهِ الْمُسْتَقْبَلُ، وَعَنِ الأُمُورِ الْغَابِرَةِ. ٢٢ 22
কী সব ঘটবে, তা আমাদের কাছে বলার জন্য তোমাদের প্রতিমাগুলিকে নিয়ে এসো। আমাদের বলো, পূর্বের বিষয়গুলি সব কী কী, যেন আমরা সেগুলি বিবেচনা করি ও তাদের শেষ পরিণতি জানতে পারি। অথবা, ভাবী ঘটনাসমূহ আমাদের কাছে ঘোষণা করো,
أَطْلِعُونَا عَلَى أَحْدَاثِ الْغَيْبِ فَنَعْلَمَ أَنَّكُمْ آلِهَةٌ حَقّاً. إِيتُوا بِمُعْجِزَةٍ خَيْراً كَانَتْ أَمْ شَرّاً، تُثِيرُ دَهْشَتَنَا أَوْ رُعْبَنَا. ٢٣ 23
আমাদের বলো, ভবিষ্যতে কী ঘটতে চলেছে, যেন আমরা বুঝতে পারি যে তোমরাই দেবতা। ভালো হোক বা মন্দ, তোমরা কিছু করে দেখাও, যেন আমরা অবাক হয়ে ভীত হই।
وَلَكِنْ أَنْتُمْ لَا شَيْءَ، وَفِعْلُكُمْ عَدَمٌ، وَلا يَصْطَفِيكُمْ سِوَى الرِّجْسِ. ٢٤ 24
দেখো তোমরা কিছুরই মধ্যে গণ্য নও, তোমাদের সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ মূল্যহীন; যে তোমাদের মনোনীত করে সে ঘৃণ্য।
قَدْ آثَرْتُ رَجُلاً مِنَ الشَّمَالِ، هَا هُوَ مُقْبِلٌ مِنْ مَشْرِقِ الشَّمْسِ يَدْعُو بِاسْمِي، يَطَأُ الْوُلاةَ كَمَا يَطَأُ فَوْقَ الْوَحْلِ، وَيَدُوسُ عَلَيْهِمْ كَمَا يَدُوسُ الْخَزَّافُ فَوْقَ الطِّينِ. ٢٥ 25
“আমি উত্তর দিক থেকে একজনকে উত্তেজিত করেছি, আর সে আসছে, সূর্যোদয়ের দিক থেকে সে আমার নামে আহ্বান করে। চুনসুরকির মতো, অথবা মাটির তাল নিয়ে কুমোরের মতো, সে যত শাসককে দলাইমলাই করে।
مَنْ أَنْبَأَ بِهَذَا الْحَدَثِ مُنْذُ الْبَدْءِ حَتَّى نَعْلَمَ بِهِ؟ وَقَبْلَ أَوَانِ حُدُوثِهِ حَتَّى نَقُولَ: هُوَ صَادِقٌ. لَمْ يُوْجَدْ مُنْبِئٌ أَوْ مُعْلِنٌ، وَلَمْ يَسْمَعْ أَحَدٌ كَلِمَةً مِنْكُمْ. ٢٦ 26
পূর্ব থেকে কে একথা বলেছে, যেন আমরা জানতে পারি, অথবা আগেভাগে বলেছে যেন আমরা বলতে পারি, ‘তার কথা সঠিক ছিল?’ এ সম্পর্কে কেউই কিছু বলেনি, কেউই এ বিষয়ের পূর্বঘোষণা করেনি, তোমাদের কাছ থেকে কেউ কোনো কথা শোনেনি।
أَنَا أَوَّلُ قَائِلٍ لِصِهْيَوْنَ: انْظُرُوا هَا هُمْ، وَأَوَّلُ مَنْ أَقَامَ فِي أُورُشَلِيمَ بَشِيراً، ٢٧ 27
আমিই সর্বপ্রথম সিয়োনকে বলেছি, ‘এই দেখো, ওরা এখানে!’ আমি জেরুশালেমকে সুসংবাদের এক দূত দিয়েছি।
وَلَكِنْ عِنْدَمَا تَطَلَّعْتُ إِلَى الأَصْنَامِ لَمْ أَجِدْ أَحَداً، وَلَمْ يَكُنْ هُنَاكَ بَيْنَهُمْ مُشِيرٌ أَسْأَلُهُ فَيُجِيبُ. ٢٨ 28
আমি তাকালাম, কিন্তু কাউকে দেখতে পেলাম না, পরামর্শ দেওয়ার জন্য ঈশ্বরদের মধ্যে কেউ ছিল না, আমার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য কেউ ছিল না।
انْظُرُوا، إِنَّهُمْ جَمِيعاً وَهْمٌ بَاطِلٌ، وَأَعْمَالَهُمْ وَأَصْنَامَهُمُ الْمَسْبُوكَةَ رِيحٌ وَخَوَاءٌ. ٢٩ 29
দেখো, ওরা সকলে ভ্রান্ত! ওদের কাজগুলি সমস্তই অসার; ওদের মূর্তিগুলি যেন বাতাস ও বিভ্রান্তিস্বরূপ।

< إشَعْياء 41 >