< إشَعْياء 38 >
وَمَرِضَ حَزَقِيَّا فِي تِلْكَ الأَيَّامِ حَتَّى أَوْشَكَ عَلَى الْمَوْتِ، فَجَاءَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ إِشَعْيَاءُ بْنُ آمُوصَ، وَقَالَ لَهُ: «هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ: نَظِّمْ شُؤُونَ بَيْتِكَ لأَنَّكَ لَنْ تَبْرَأَ بَلْ حَتْماً تَمُوتَ». | ١ 1 |
১সেই দিনের হিষ্কিয় অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার দিন হয়েছিল। তাই আমোসের ছেলে ভাববাদী যিশাইয় তার কাছে গিয়ে বললেন এবং তাকে বললেন, “সদাপ্রভু বলছেন, তোমার ঘরে ব্যবস্থা করে রাখো, কারণ তুমি মারা যাবে, ভাল হবে না।”
فَأَدَارَ حَزَقِيَّا وَجْهَهُ نَحْوَ الْحَائِطِ وَصَلَّى إِلَى الرَّبِّ، | ٢ 2 |
২তারপর হিষ্কিয় দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন।
قَائِلاً: «آهِ يَا رَبُّ، اذْكُرْ كَيْفَ سَلَكْتُ أَمَامَكَ بِالأَمَانَةِ وَبِقَلْبٍ خَالِصٍ، وَصَنَعْتُ مَا يُرْضِيكَ». وَبَكَى حَزَقِيَّا بُكَاءً مُرّاً. | ٣ 3 |
৩সে বলেছিল, “সদাপ্রভু, বিনয় করি, তুমি মনে করে দেখ, আমি তোমার সামনে কেমন বিশ্বস্তভাবে ও সমস্ত হৃদয়ে দিয়ে চলেছি তোমার চোখে যা ঠিক তা করেছি” এবং এই বলে হিষ্কিয় খুব জোরে কাঁদতে লাগলেন।
فَأَوْحَى الرَّبُّ إِلَى إِشَعْيَاءَ قَائِلاً: | ٤ 4 |
৪তখন সদাপ্রভুর এই বাক্য যিশাইয়ের কাছে উপস্হিত হল,
«اذْهَبْ بَلِّغْ حَزَقِيَّا: هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ إِلَهُ دَاوُدَ أَبِيكَ: قَدْ سَمِعْتُ صَلاتَكَ وَرَأَيْتُ دُمُوعَكَ، وَهَا أَنَا أُضِيفُ إِلَى عُمْرِكَ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، | ٥ 5 |
৫তুমি যাও হিষ্কিয়কে বল, আমার লোকেদের নেতা, তোমার পূর্বপুরুষ দায়ূদের ঈশ্বর সদাপ্রভু বলছেন, আমি তোমার প্রার্থনা শুনেছি এবং তোমার চোখের জল দেখেছি; দেখ, আমি তোমার জীবনে আরও পনেরো বছর যোগ করব।
وَأُنْقِذُكَ أَنْتَ وَهَذِهِ الْمَدِينَةَ مِنْ مَلِكِ أَشُورَ، وَأُدَافِعُ عَنْهَا. | ٦ 6 |
৬অশূরীয়ার রাজার হাত থেকে আমি তোমাকে ও এই শহরকে উদ্ধার করব এবং শহরটার উদ্ধারের ব্যবস্থা করব।
وَهَذِهِ لَكَ عَلامَةٌ مِنْ عِنْدِ الرَّبِّ أَنَّهُ لابُدَّ أَنْ يُحَقِّقَ مَا وَعَدَ بِهِ: | ٧ 7 |
৭এবং আমি যে কাজ করব তার প্রমাণস্বরূপ চিহ্ন হল এই: সদাপ্রভু যা বলেছেন তা আমি করব।
سَأُرْجِعُ ظِلَّ الشَّمْسِ إِلَى الْوَرَاءِ عَشَرَ دَرَجَاتٍ عَلَى مِقْيَاسِ دَرَجَاتِ آحَازَ». وَهَكَذَا تَرَاجَعَتِ الشَّمْسُ عَشَرَ دَرَجَاتٍ إِلَى الْوَرَاءِ بَعْدَ أَنْ كَانَتْ قَدْ تَخَطَّتْهَا. | ٨ 8 |
৮দেখো, আমি আহসের সিঁড়ির উপরে দশ ধাপ পিছনে ছায়া দেবো। তাই ছায়াটি পিছিয়ে গিয়েছিল দশটি সিঁড়িতে।
وَحِينَ شُفِيَ حَزَقِيَّا كَتَبَ هَذِهِ الْقَصِيدَةَ: | ٩ 9 |
৯যিহূদার রাজা হিষ্কিয় তাঁর অসুস্থতা থেকে যখন সুস্থ হবার পরে প্রার্থনায় যা লিখেছিলেন:
قُلْتُ «هَا أَنَا فِي رَيْعَانِ أَيَّامِي أَنْحَدِرُ إِلَى عَالَمِ الْمَوْتَى وَتَفْنَى بَقِيَّةُ سَنَوَاتِ عُمْرِي» (Sheol ) | ١٠ 10 |
১০আমি বলেছিলাম, আমি বললাম যে আমার জীবনের মাঝখান দিয়ে আমি পাতালের দরজা দিয়ে যাব; আর আমার বাকি বছরগুলো থেকে কি আমাকে সেখানে পাঠানো হবে। (Sheol )
وَقُلْتُ «لَنْ أَرَى الرَّبَّ بَعْدُ فِي أَرْضِ الأَحْيَاءِ، وَلَنْ أُبْصِرَ أَحَداً مِنَ النَّاسِ فِي هَذِهِ الدُّنْيَا الْفَانِيَةِ. | ١١ 11 |
১১আমি বলেছিলাম যে, জীবিতদের দেশে আমি সদাপ্রভুকে আর দেখতে পাব না; এই অস্থায়ী জগতে মানবজাতি বা বিশ্ববাসীর বাসিন্দার আর আমি দেখতে পাব না।
قَدْ خُلِعَ عَنِّي مَسْكَنِي، وَانْتَقَلَ كَخَيْمَةِ الرَّاعِي. طَوَى حَيَاتِي كَحَائِكٍ: قَطَعَنِي مِنَ النَّوْلِ. أَنْتَ تُفْنِينِي لَيْلَ نَهَارَ. | ١٢ 12 |
১২মেষপালকের তাঁবুতে আমার প্রাণ সরে যায় এবং আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। তাঁতীদের মত করে আমার জীবন ঘূর্ণিত হয়েছে। তুমি কাঁটা থেকে আমাকে কেটে ফেলছ। রাতের মধ্যে তুমি আমাকে শেষ করে দেবে।
انْتَظَرْتُ بِصَبْرٍ حَتَّى الصَّبَاحِ، وَلَكِنَّهُ كَأَسَدٍ هَشَّمَ كُلَّ عِظَامِي. أَنْتَ تُفْنِينِي لَيْلَ نَهَارَ. | ١٣ 13 |
১৩সকাল না হওয়া পর্যন্ত আমি চিৎকার করে উঠলাম; সিংহের মত তিনি আমার সমস্ত হাড় ভেঙে ফেলবে এবং দিনের মধ্যে তুমি আমার জীবন শেষ করছ।
أَصِيحُ كَسُنُونَةٍ، وَأَنُوحُ كَهَدِيلِ الْحمَامَةِ. كَلَّتْ عَيْنَايَ مِنَ النَّظَرِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبُّ إِنِّي مُتَضَايِقٌ فَكُنْ لِي مَأْمَناً.» | ١٤ 14 |
১৪ঘুঘুর মত আমি কাতর স্বরে ডাকতে লাগলাম। উপর দিকে তাকাতে আমার চোখ দুর্বল হয়ে পড়ল। প্রভু, আমি কষ্ট পাচ্ছি, তুমি আমার সাহায্য কর।
وَلَكِنْ مَاذَا أَقُولُ؟ فَقَدْ خَاطَبَنِي هُوَ. هُوَ نَفْسُهُ قَضَى بِذَلِكَ عَلَيَّ. طَارَ النَّوْمُ مِنِّي لِفَرْطِ مَرَارَةِ رُوحِي. | ١٥ 15 |
১৫আমি কি বলব? তিনি আমার সাথে কথা বলেছেন এবং নিজেই এটা করছে। আমার প্রাণের এই যন্ত্রণার জন্য আমি জীবনের বাকি সব বছরগুলো নম্র হয়ে চলব।
يَا رَبُّ، بِمِثْلِ هَذِهِ يَحْيَا النَّاسُ، وَفِي هَذِهِ حَيَاةُ رُوحِي، فَرُدَّ لِي عَافِيَتِي وَأَحْيِنِي. | ١٦ 16 |
১৬প্রভু, তোমরা যে দুঃখ প্রকাশ করছ তা আমার পক্ষে ভাল; আমার জীবন আমার কাছে ফিরে আসতে পারে; তুমি আমার জীবন এবং স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করেছ।
حَقَّا إِنَّ مَا قَاسَيْتُهُ مِنْ مَرَارَةٍ كَانَ مِنْ أَجْلِ خَيْرِي، فَقَدْ حَفِظْتَنِي بِحُبِّكَ مِنْ حُفْرَةِ الْهَلاكِ، وَأَلْقَيْتَ جَمِيعَ خَطَايَايَ خَلْفَ ظَهْرِكَ. | ١٧ 17 |
১৭আমার সুবিধার জন্য দুঃখের অভিজ্ঞতা ভোগ করেছি, কিন্তু ধ্বংসের গর্ত থেকে তোমার ভালবাসায় তুমি আমাকে উদ্ধার করেছ। কারণ আমার সব পাপ তুমি পিছনে ফেলে দিয়েছ।
لأَنَّهُ لَيْسَ فِي وُسْعِ الْهَاوِيَةِ أَنْ تَحْمَدَكَ، وَالْمَوْتُ لَا يُسَبِّحُكَ، وَلا يَقْدِرُ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى الْهَاوِيَةِ أَنْ يَرْجُوا أَمَانَتَكَ. (Sheol ) | ١٨ 18 |
১৮কারণ পাতাল তোমার ধন্যবাদ দিতে পারে না; আর মৃত্যুও তোমার প্রশংসা করতে পারে না। যারা গর্তে নামে তারা তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার আশা করতে পারে না। (Sheol )
الأَحْيَاءُ وَحْدَهُمْ يُسَبِّحُونَكَ كَمَا أَفْعَلُ الْيَوْمَ، وَيُحَدِّثُ الآبَاءُ أَبْنَاءَهُمْ عَنْ أمَانَتِكَ | ١٩ 19 |
১৯কেবল জীবিতেরা, জীবিতেরাই তোমার প্রশংসা করে যেমন আজ আমি করছি; বাবা তার ছেলেদের তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার কথা বলবে।
الرَّبُّ يُنْقِذُنِي. فَلْنَشْدُ بِآلاتٍ وَتَرِيَّةٍ كُلَّ أَيَّامِ حَيَاتِنَا فِي هَيْكَلِ الرَّبِّ. | ٢٠ 20 |
২০সদাপ্রভু আমাকে রক্ষা করেছেন এবং সেইজন্য আমাদের জীবনের সমস্ত দিন গুলোতে সদাপ্রভুর ঘরে তারের বাজনার সাথে আমরা গান গাইব। সমস্ত দিন আমি সদাপ্রভুর ঘরে থাকবো।
ثُمَّ قَالَ إِشَعْيَاءُ: «ضَمِّدُوا الْقُرْحَةَ بِقُرْصِ تِينٍ فَيَبْرَأَ». | ٢١ 21 |
২১এখন যিশাইয় বলেছিলেন, “ডুমুর দিয়ে একটা প্রলেপ তৈরী করে তার ফোড়ার উপর লাগিয়ে দিলে তিনি সুস্থ হবেন।”
وَكَانَ حَزَقِيَّا قَدْ سَأَلَ: «مَا هِيَ الْعَلامَةُ الَّتِي تُؤَكِّدُ لِي أَنَّنِي سَأَذْهَبُ لِلصَّلاةِ فِي بَيْتِ الرَّبِّ؟» | ٢٢ 22 |
২২হিষ্কিয় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আমি যে সদাপ্রভুর ঘরে উঠবো তার চিহ্ন কি?”