< إشَعْياء 35 >
سَتَفْرَحُ الصَّحْرَاءُ وَالْقَفْرُ الأَجْرَدُ، وَتَبْتَهِجُ الْبَرِّيَّةُ وَتُزْهِرُ كَالْوَرْدِ. | ١ 1 |
সেদিন মরুভূমি ও শুকনো জমি হবে আনন্দিত; মরুপ্রান্তর উল্লসিত হবে এবং বসন্তের প্রথম ফুল সেখানে প্রস্ফুটিত হবে।
تَزْدَهِرُ ازْدِهَاراً، وَتَبْتَهِجُ أَشَدَّ بَهْجَةٍ وَيُضْفَى عَلَيْهَا مَجْدُ لُبْنَانَ وَجَلالُ الْكَرْمَلِ وَشَارُونَ وَيَشْهَدُونَ مَجْدَ الرَّبِّ وَبَهَاءَ إِلَهِنَا. | ٢ 2 |
হ্যাঁ, সেখানে ফুলের প্রাচুর্য হবে, তা ভীষণভাবে উল্লসিত হয়ে আনন্দে চিৎকার করবে। তাকে দেওয়া হবে লেবাননের প্রতাপ, দেওয়া হবে কর্মিল ও শারোণের শোভা; তারা সদাপ্রভুর মহিমা দেখতে পাবে, তারা দেখবে আমাদের ঈশ্বরের সৌন্দর্য।
شَدِّدُوا الأَيْدِي الْمُسْتَرْخِيَةَ، وَثَبِّتُوا الرُّكَبَ الْمُرْتَعِشَةَ. | ٣ 3 |
যাদের দুর্বল হস্ত, তাদের সবল করো, যাদের হাঁটু দুর্বল, তাদের সুস্থির করো।
قُولُوا لِذَوِي الْقُلُوبِ الْخَائِرَةِ: «تَقَوَّوْا وَلا تَفْزَعُوا، فَهَا هُوَ إِلَهُكُمْ قَادِمٌ، مُقْبِلٌ بِالنِّقْمَةِ، حَامِلٌ جَزَاءَهُ. سَيَأْتِي وَيُخَلِّصُكُمْ». | ٤ 4 |
যাদের হৃদয় ভয়ে ভীত, তাদের বলো, “সবল হও, ভয় কোরো না; তোমাদের ঈশ্বর আসবেন, তিনি প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য আসবেন; তিনি তোমাদের উদ্ধার করার জন্য তাদের প্রাপ্য শাস্তি দিতে আসবেন।”
عِنْدَئِذٍ تُبْصِرُ عُيُونُ الْمَكْفُوفِينَ وَتَنْفَتِحُ آذَانُ الصُّمِّ، | ٥ 5 |
তখন অন্ধদের চোখ খুলে যাবে, বধিরদের কান আর বন্ধ থাকবে না।
وَيَطْفُرُ الأَعْرَجُ كَالظَّبْيِ، وَيَتَرَنَّمُ لِسَانُ الأَبْكَمِ فَرَحاً، إِذْ تَنْفَجِرُ الْمِيَاهُ فِي الْبَرِّيَّةِ، وَتَتَدَفَّقُ الْجَدَاوِلُ فِي الصَّحْرَاءِ، | ٦ 6 |
সেই সময় খঞ্জেরা হরিণের মতো লাফ দেবে এবং বোবাদের জিভ আনন্দে চিৎকার করবে। জল তোড়ে বেরিয়ে আসবে প্রান্তর থেকে এবং জলপ্রবাহ মরুভূমি থেকে।
وَيَتَحَوَّلُ السَّرَابُ إِلَى وَاحَةٍ، وَالأَرْضُ الْظَّمْأَى إِلَى جَدَاوِلَ. وَفِي الأَوْجِرَةِ حَيْثُ كَانَتْ تَأْوِي بَنَاتُ آوَى، يَنْمُو الْعُشْبُ وَالْقَصَبُ وَالْبَرْدِيُّ. | ٧ 7 |
তপ্ত বালুকা পুকুরের মতো হবে, তৃষিত ভূমি হবে উচ্ছলিত ফোয়ারার মতো। যে আস্তানায় একদিন শিয়ালরা শুয়ে থাকত, সেখানে উৎপন্ন হবে ঘাস ও নলখাগড়া।
وَتَكُونُ هُنَاكَ طَرِيقٌ تُدْعَى طَرِيقَ الْقَدَاسَةِ، لَا يَسْلُكُ فِيهَا مَنْ هُوَ دَنِسٌ، إِنَّمَا تَكُونُ مِنْ نَصِيبِ السَّالِكِينَ فِي تِلْكَ الطَّرِيقِ، وَلا يَضِلُّ فِيهَا حَتَّى الْجُهَّالُ. | ٨ 8 |
সেখানে প্রস্তুত হবে এক রাজপথ; সেই পথকে বলা হবে, “পবিত্রতার সরণি।” কোনো অশুচি মানুষ সেই পথে যাবে না; যারা ঈশ্বরের পথে চলে, এ পথ হবে কেবলমাত্র তাদের জন্য; দুষ্ট ও মূর্খেরা সেই পথ অতিক্রম করবে না।
لَا يَطْرُقُهَا أَسَدٌ، وَلا يَأْتِيهَا حَيَوَانٌ مُفْتَرِسٌ. إِنَّمَا يَسْلُكُ فِيهَا الْمَفْدِيُّونَ | ٩ 9 |
সেখানে কোনো সিংহ থাকবে না, কোনো হিংস্র জন্তুও সেই পথে হাঁটবে না, তাদের সেখানে দেখাই যাবে না। কেবলমাত্র মুক্তিপ্রাপ্ত লোকেরাই সেই পথে চলবে,
وَيَرْجِعُ إِلَيْهَا مَفْدِيُّو الرَّبِّ وَيُقْبِلُونَ إِلَى صِهْيَوْنَ مُتَرَنِّمِينَ يُكَلِّلُ رُؤُوسَهُمْ فَرَحٌ أَبَدِيٌّ، وَتَغْمُرُهُمُ الْغِبْطَةُ وَالسُّرُورُ، وَيَهْرُبُ الْحُزْنُ وَالأَنِينُ. | ١٠ 10 |
আর মুক্তিপণ দেওয়া সদাপ্রভুর লোকেরা প্রত্যাবর্তন করবে। তারা গান গাইতে গাইতে সিয়োনে প্রবেশ করবে; তাদের মাথায় থাকবে চিরস্থায়ী আনন্দ-মুকুট। আমোদ ও আনন্দে তারা প্লাবিত হবে, দুঃখ ও দীর্ঘশ্বাস দূরে পলায়ন করবে।